Ajker Patrika

ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে গোরস্থানের বরাদ্দের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
বাবুপুর গ্রামের গোরস্থানের সীমানাপ্রাচীর স্থানীয়দের টাকায় নির্মাণ করা হয়। ইনসেটে ইউপি সদস্য রাইহান আলী। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাবুপুর গ্রামের গোরস্থানের সীমানাপ্রাচীর স্থানীয়দের টাকায় নির্মাণ করা হয়। ইনসেটে ইউপি সদস্য রাইহান আলী। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রাইহান আলীর বিরুদ্ধে গোরস্থানের নামে সরকারি বরাদ্দের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সীমানাপ্রাচীর স্থানীয়দের মাধ্যমে নির্মাণ করা হলেও তিনি কোনো টাকা দেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে, একই ইউনিয়নের বাবুপুর গ্রামের গোরস্থানের উন্নয়নের জন্য ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস। বরাদ্দের টাকা ওই ইউপি সদস্য উত্তোলন করলেও ১ টাকাও ব্যয় করেননি।

সূত্র আরও জানায়, টিআর প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫০ হাজার টাকা গোরস্থানের সীমানাপ্রাচীরের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। ইউপি সদস্য রাইহান আলী গোরস্তান পরিচালনা কমিটির সদস্য।

এ বিষয়ে কমিটির সদস্য তোহরুল ইসলাম বলেন, সরকারি ৫০ হাজার টাকা গোরস্থানের নামে বরাদ্দ পেয়েছেন মেম্বার রাইহান আলী। কিন্তু সব টাকা নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন।

আরেক সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সরকারি টাকা মেম্বার উত্তোলন করে কাজ করার সময় দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্থানীয় লোকজনের উদ্যোগে কাজ শেষ হলেও এখন পর্যন্ত টাকা দেননি তিনি। তিনি বলতে পারবেন টাকা কি করেছেন।

তবে রাইহান আলী টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘২৪ বস্তা সিমেন্ট দিয়েছি। কিন্তু দেশে অস্থিরতার কারণে ঝামেলা হওয়ার পর আর দেওয়া হয়নি।’

শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফতাবুজ্জামান আল-ইমরান বলেন, গোরস্তান উন্নয়নের টাকা নয়ছয় করার কোনো সুযোগ নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে শিগগির আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার জানা নেই। বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত