পাবনা প্রতিনিধি
ঘর নির্মাণের জন্য ইট কেনা ও ব্যাংক থেকে টাকা তোলার কথা জানতে পেরে একটি বাড়িতে চুরি করতে যান তিনজন। ঘরে তাঁদের ঢোকার বিষয় টের পাওয়ায় গৃহবধূ লাবনী খাতুন ও তাঁর শিশুছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে ওই বাড়ি থেকে টাকা ও গয়না চুরি করে পালিয়ে যান তাঁরা। পাবনার চাটমোহরে চাঞ্চল্যকর মা-ছেলের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিন আসামিকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী।
পুলিশ সুপার জানান, চাটমোহর উপজেলার দিঘুলিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদ সাত বছর ধরে মালয়েশিয়ায় থাকেন। নতুন বাড়ি নির্মাণের জন্য তাঁর স্ত্রী লাবনী খাতুন কিছুদিন আগে ২৫ হাজার ইট কেনেন। এ ছাড়া ব্যাংক থেকে টাকা তোলেন। গত ২৫ জানুয়ারি গৃহবধূ লাবনী খাতুন তাঁর ১০ বছরের ছেলে রিয়াদকে নিয়ে রাতে ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। পরদিন সকালে বাড়ির ছাগলের ঘর থেকে লাবনীর ও বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে গাছে ঝুলন্ত শিশু রিয়াদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর রহস্য উদ্ঘাটন ও জড়িতদের খুঁজে বের করতে মাঠে নামে পুলিশ। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত বুধবার ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে জড়িত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁদের দেওয়া তথ্যে চোরাই গয়না, টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। আজ দুপুরের পর তাঁদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন চাটমোহর উপজেলার ধুপুলিয়া গ্রামের সাদ্দাম হোসেন (২৬) ও তাঁর আপন ভাই হোসেন আলী (৩৭) এবং রাজবাড়ির খানখানাপুর দত্তপাড়া এলাকার হুমায়ুন মিজি ওরফে হৃদয় (২৮)।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু বক্কর সিদ্দিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) হাসিবুল বেনজির, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমরান মাহমুদ তুহিন, সদর থানার ওসি রওশন আলীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
যেভাবে হত্যা
গ্রেপ্তার আসামিদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনশি জানান, বাড়ি করার জন্য নতুন ইট কেনা ও ঘটনার দুদিন আগে ব্যাংক থেকে টাকা উঠানোর কথা জানতে পারেন আসামিরা। এতে তাঁদের ধারণা ছিল প্রবাসীর স্ত্রী লাবনী খাতুনের কাছে বেশকিছু টাকা ও স্বর্ণালংকার রয়েছে। প্রথমে হোসেন আলী এই তথ্য ছোট ভাই সাদ্দামকে দেন।
সাদ্দাম চুরি ও ছিনতাইয়ের কাজ করেন। এই তথ্য পাওয়ার পরে ফরিদপুরের বসবাসরত হুমায়ুন কবির ওরফে হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে গত ২৫ জানুয়ারি সকালে সেখান থেকে রওনা দেন সাদ্দাম। তাঁরা স্থানীয় একটি এলাকায় অবস্থান করেন এবং হোসেন আলী লাবনী খাতুনের অবস্থান সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে থাকেন। রাত গভীর হলে হোসেন মোবাইল ফোনে কল করে সাদ্দাম এবং হৃদয়কে ডেকে নিয়ে আসেন। আনুমানিক রাত ১টার দিকে সাদ্দাম ও হৃদয় লাবনীর বসতবাড়ির গাছ বেয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় বাড়ির মেইন দরজা খুলে রেখে ঘরের পেছনে টিনের বেড়া কেটে ঢোকার চেষ্টা করলে লাবনী ঘুম থেকে জেগে ওঠেন। লাবনী ঘরের দরজা খোলা মাত্রই আসামিরা তাঁকে ধরে ফেলেন এবং কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
ঘটনার সময় লাবনীর ছেলে রিয়াদ ঘুম থেকে উঠেই চিৎকার শুরু করেন। সাদ্দাম তাকে পুকুর পাড়ে নিয়ে মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন এবং ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে রাখেন। পরে সাদ্দাম ও হৃদয় মিলে পুনরায় ওই বাড়িতে ঢুকে লাবনীর কোমরে থাকা চাবি এবং কানে থাকা স্বর্ণের রিং নিয়ে ঘরে প্রবেশ করেন। এরপর ঘরে স্টিলের বাক্সে থাকা সোনার চেইন, হাতের বালা, কানের দুল, দুই জোড়া রুপার নূপুর, রুপার পায়েল নিয়ে বাড়ির পেছন দিয়ে তাঁরা পালিয়ে যান।
ঘর নির্মাণের জন্য ইট কেনা ও ব্যাংক থেকে টাকা তোলার কথা জানতে পেরে একটি বাড়িতে চুরি করতে যান তিনজন। ঘরে তাঁদের ঢোকার বিষয় টের পাওয়ায় গৃহবধূ লাবনী খাতুন ও তাঁর শিশুছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে ওই বাড়ি থেকে টাকা ও গয়না চুরি করে পালিয়ে যান তাঁরা। পাবনার চাটমোহরে চাঞ্চল্যকর মা-ছেলের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিন আসামিকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী।
পুলিশ সুপার জানান, চাটমোহর উপজেলার দিঘুলিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদ সাত বছর ধরে মালয়েশিয়ায় থাকেন। নতুন বাড়ি নির্মাণের জন্য তাঁর স্ত্রী লাবনী খাতুন কিছুদিন আগে ২৫ হাজার ইট কেনেন। এ ছাড়া ব্যাংক থেকে টাকা তোলেন। গত ২৫ জানুয়ারি গৃহবধূ লাবনী খাতুন তাঁর ১০ বছরের ছেলে রিয়াদকে নিয়ে রাতে ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। পরদিন সকালে বাড়ির ছাগলের ঘর থেকে লাবনীর ও বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে গাছে ঝুলন্ত শিশু রিয়াদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর রহস্য উদ্ঘাটন ও জড়িতদের খুঁজে বের করতে মাঠে নামে পুলিশ। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত বুধবার ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে জড়িত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁদের দেওয়া তথ্যে চোরাই গয়না, টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। আজ দুপুরের পর তাঁদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন চাটমোহর উপজেলার ধুপুলিয়া গ্রামের সাদ্দাম হোসেন (২৬) ও তাঁর আপন ভাই হোসেন আলী (৩৭) এবং রাজবাড়ির খানখানাপুর দত্তপাড়া এলাকার হুমায়ুন মিজি ওরফে হৃদয় (২৮)।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু বক্কর সিদ্দিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) হাসিবুল বেনজির, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমরান মাহমুদ তুহিন, সদর থানার ওসি রওশন আলীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
যেভাবে হত্যা
গ্রেপ্তার আসামিদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনশি জানান, বাড়ি করার জন্য নতুন ইট কেনা ও ঘটনার দুদিন আগে ব্যাংক থেকে টাকা উঠানোর কথা জানতে পারেন আসামিরা। এতে তাঁদের ধারণা ছিল প্রবাসীর স্ত্রী লাবনী খাতুনের কাছে বেশকিছু টাকা ও স্বর্ণালংকার রয়েছে। প্রথমে হোসেন আলী এই তথ্য ছোট ভাই সাদ্দামকে দেন।
সাদ্দাম চুরি ও ছিনতাইয়ের কাজ করেন। এই তথ্য পাওয়ার পরে ফরিদপুরের বসবাসরত হুমায়ুন কবির ওরফে হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে গত ২৫ জানুয়ারি সকালে সেখান থেকে রওনা দেন সাদ্দাম। তাঁরা স্থানীয় একটি এলাকায় অবস্থান করেন এবং হোসেন আলী লাবনী খাতুনের অবস্থান সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে থাকেন। রাত গভীর হলে হোসেন মোবাইল ফোনে কল করে সাদ্দাম এবং হৃদয়কে ডেকে নিয়ে আসেন। আনুমানিক রাত ১টার দিকে সাদ্দাম ও হৃদয় লাবনীর বসতবাড়ির গাছ বেয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় বাড়ির মেইন দরজা খুলে রেখে ঘরের পেছনে টিনের বেড়া কেটে ঢোকার চেষ্টা করলে লাবনী ঘুম থেকে জেগে ওঠেন। লাবনী ঘরের দরজা খোলা মাত্রই আসামিরা তাঁকে ধরে ফেলেন এবং কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
ঘটনার সময় লাবনীর ছেলে রিয়াদ ঘুম থেকে উঠেই চিৎকার শুরু করেন। সাদ্দাম তাকে পুকুর পাড়ে নিয়ে মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন এবং ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে রাখেন। পরে সাদ্দাম ও হৃদয় মিলে পুনরায় ওই বাড়িতে ঢুকে লাবনীর কোমরে থাকা চাবি এবং কানে থাকা স্বর্ণের রিং নিয়ে ঘরে প্রবেশ করেন। এরপর ঘরে স্টিলের বাক্সে থাকা সোনার চেইন, হাতের বালা, কানের দুল, দুই জোড়া রুপার নূপুর, রুপার পায়েল নিয়ে বাড়ির পেছন দিয়ে তাঁরা পালিয়ে যান।
বগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবু ছালেককে হত্যায় মামলায় গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বগুড়া সদরের ঘোড়াধাপ বন্দর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩ মিনিট আগেবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাষ্ট্র ও সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে ছাত্ররা কথা বলছেন, তবে এটি একটি কমিটির মাধ্যমে সম্ভব নয়। এর জন্য সাংবিধানিক বা সংসদের প্রতিনিধি প্রয়োজন। পাশাপাশি, সবার আগে প্রয়োজন সুষ্ঠু নির্বাচন।
১৬ মিনিট আগেনেত্রকোনার কেন্দুয়ায় দুই সাংবাদিককে জিম্মি করে বেধড়ক মারধরের পর মুক্তিপণ আদায় করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে গাজীপুরে এই ঘটনা ঘটে। পরে সেখানে সড়কের পাশে তাঁদের ফেলে রেখে যায়।
২৫ মিনিট আগেবাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রীপদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বলেছেন , দীর্ঘদিন সংখ্যালঘুদের ‘ইন্ডিয়ার দালাল’ ও ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ আখ্যা দিয়ে রাজনীতি করা হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আর জ্বালানো যাবে না।
১ ঘণ্টা আগে