এইচ এম শাহনেওয়াজ, পুঠিয়া (রাজশাহী)
রাজশাহীর পুঠিয়ায় যত্রতত্র গড়ে ওঠা বেসরকারি ক্লিনিক ও প্যাথলজি সেন্টারগুলোতে নেই নিজস্ব কোনো চিকিৎসক। অথচ প্রতিটি ক্লিনিকে একাধিক চিকিৎসকের নাম ব্যবহার করে বোর্ড ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। দক্ষ টেকনিশিয়ানদের স্বাক্ষর, সিল ব্যবহার করে প্যাথলজির বিভিন্ন পরীক্ষার প্রতিবেদন দেন সেখানকার কর্মচারীরা। এমনকি মালিক, কর্মচারীরা চিকিৎসক সেজে চিকিৎসা দেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
জেলা সিভিল সার্জন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মধ্যে তালিকাভুক্ত মোট ৯টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চলছে। এ ছাড়া আলাদাভাবে আরও ৯টি প্যাথলজিক সেন্টার রয়েছে। তবে ওই তালিকার বাইরে আরও দু-একটি প্যাথলজি সেন্টার গোপনে অবৈধভাবে ব্যবসা করছে। আর সরকারি নিয়ম অনুসারে একটি বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকের ১০টি বেডের জন্য সার্বক্ষণিক একজন এমবিবিএস চিকিৎসক ও একজন প্রশিক্ষিত সেবিকা থাকার বিধান রয়েছে। আর প্যাথলজি বিভাগের জন্য স্ব-স্ব সেক্টরে সরকার অনুমোদিত ও প্রশিক্ষিত টেকনিশিয়ান।
স্থানীয়রা বলছেন, ক্লিনিক ও প্যাথলজি সেন্টারগুলোতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর কোনো নজরদারি করেন না। ফলে ক্লিনিক প্যাথলজি সেন্টার মালিকেরা স্বাস্থ্যসেবায় সরকারি কোনো নিয়মনীতি মানছেন না। অনিয়ম ও অপচিকিৎসার কারণে মাঝেমধ্যে ঘটছে রোগী মৃত্যুর ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমুল হক বলেন, তাৎক্ষণিক সেবা নিতে এসে রোগীরা বেশির ভাগ ক্লিনিক ও প্যাথলজি সেন্টারে গিয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছে। তারা ভালো মানের চিকিৎসকের মাধ্যমে সেবা দেওয়া কথা বলে প্রতিষ্ঠানের মালিক, কর্মচারীরা ডাক্তার সেজে রোগীদের চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপত্র দেন। এমনকি রোগীদের সিজারিয়ানসহ নানা ধরনের অপারেশন করছেন। আর প্রশিক্ষিত সেবিকার কাজ করানো হয় আয়া দিয়ে।
নাজিমুল হক আরও বলেন, প্যাথলজি বিভাগে রোগীদের সঙ্গে আরও বেশি প্রতারণা করা হয়। কর্মচারী দিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা করিয়ে এতে অন্য কোনো প্যাথলজিস্টদের স্বাক্ষর ও সিল ব্যবহার করে প্রতিবেদন দেন। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সিভিল সার্জন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোনো সুফল আসছে না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের দেওয়া তথ্যমতে, পুঠিয়াতে কোনো ক্লিনিকের নিজস্ব চিকিৎসক নেই। দু-একটা ক্লিনিকে ভাড়া করা চিকিৎসক দিয়ে শুধু অস্ত্রোপচার করিয়ে নেন। বাকি কাজ ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা করেন। অথচ ক্লিনিকের সামনে একাধিক বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নাম ব্যবহার করে বোর্ড ঝুলিয়ে রাখা আছে। যার বেশির ভাগ ভুয়া চিকিৎসক। অথবা এঁদের মধ্যে যাঁর নাম ব্যবহার করে প্রচারণা করছে, হয়তো ওই চিকিৎসকেরা জানেন না।
আবার অনেক ক্লিনিক মালিকেরা নিজেরাই চিকিৎসক সেজে অস্ত্রোপচার করছেন। এতে রোগীরা বিভিন্ন সমস্যায় পড়ছেন। এর ফলে মাঝেমধ্যে কিছু রোগী সঠিক সময়ে যথাযথ চিকিৎসাসেবার অভাবে মারাও যাচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক ক্লিনিক মালিক বলেন, ক্লিনিক ও প্যাথলজি সেন্টারে যেন কোনো হয়রানি বা আইনি জটিলতা না হয়—এ জন্য সব মালিক মিলে সমিতি করা হয়েছে। যেকোনো সমস্যা হলে সমাধান করবে সমিতি।
ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি এবং এক ক্লিনিকের মালিক আব্দুর রহমান বলেন, খাতা-কলমে উপজেলার সব ক্লিনিক ও প্যাথলজি সেন্টারের মালিকেরা বৈধভাবে ব্যবসা করছেন। তবে কোনো মালিকের নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসক নেই।
আব্দুর রহমান আরও বলেন, এই ব্যবসায় যে আয় তাতে একজন নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকের বেতন উঠবে না। তাই সব মালিক বিভিন্ন চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বা চুক্তি করেছেন। প্রয়োজনে চিকিৎসকদের ডাকলে তাঁরা তাৎক্ষণিক হাজির হন। আর যদি কোনো ক্লিনিকের মালিক চিকিৎসক ছাড়া অস্ত্রোপচার করেন, তাহলে এর দায়ভার ওই প্রতিষ্ঠান বহন করবে।
চিকিৎসক আসেন না অথচ তাঁদের নাম ব্যবহার করে বোর্ড ঝুলিয়ে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা অনেকেই করছেন। তবে এ বিষয়টি যেন আর কেউ না করেন সে জন্য সবাইকে সতর্ক করে দেওয়া হবে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাজরুই রহমান প্রত্যয় বলেন, উপজেলার বেশির ভাগ ক্লিনিক ও প্যাথলজি সেন্টারগুলোর মালিকেরা যথাযথ নিয়ম মানছেন না। আর এ বিষয়গুলো তদারকি করতে জেলা সিভিল সার্জন বরাবর আবেদন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, পুঠিয়াতে অনেক ক্লিনিক ও প্যাথলজি সেন্টারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে একটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলোতে দ্রুত অভিযান চালানো হবে। আর কোনো অবৈধ ক্লিনিক বা প্যাথলজি সেন্টার আছে কি না, সেটা কাগজপত্র না দেখে এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।
রাজশাহীর পুঠিয়ায় যত্রতত্র গড়ে ওঠা বেসরকারি ক্লিনিক ও প্যাথলজি সেন্টারগুলোতে নেই নিজস্ব কোনো চিকিৎসক। অথচ প্রতিটি ক্লিনিকে একাধিক চিকিৎসকের নাম ব্যবহার করে বোর্ড ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। দক্ষ টেকনিশিয়ানদের স্বাক্ষর, সিল ব্যবহার করে প্যাথলজির বিভিন্ন পরীক্ষার প্রতিবেদন দেন সেখানকার কর্মচারীরা। এমনকি মালিক, কর্মচারীরা চিকিৎসক সেজে চিকিৎসা দেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
জেলা সিভিল সার্জন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মধ্যে তালিকাভুক্ত মোট ৯টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চলছে। এ ছাড়া আলাদাভাবে আরও ৯টি প্যাথলজিক সেন্টার রয়েছে। তবে ওই তালিকার বাইরে আরও দু-একটি প্যাথলজি সেন্টার গোপনে অবৈধভাবে ব্যবসা করছে। আর সরকারি নিয়ম অনুসারে একটি বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকের ১০টি বেডের জন্য সার্বক্ষণিক একজন এমবিবিএস চিকিৎসক ও একজন প্রশিক্ষিত সেবিকা থাকার বিধান রয়েছে। আর প্যাথলজি বিভাগের জন্য স্ব-স্ব সেক্টরে সরকার অনুমোদিত ও প্রশিক্ষিত টেকনিশিয়ান।
স্থানীয়রা বলছেন, ক্লিনিক ও প্যাথলজি সেন্টারগুলোতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর কোনো নজরদারি করেন না। ফলে ক্লিনিক প্যাথলজি সেন্টার মালিকেরা স্বাস্থ্যসেবায় সরকারি কোনো নিয়মনীতি মানছেন না। অনিয়ম ও অপচিকিৎসার কারণে মাঝেমধ্যে ঘটছে রোগী মৃত্যুর ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমুল হক বলেন, তাৎক্ষণিক সেবা নিতে এসে রোগীরা বেশির ভাগ ক্লিনিক ও প্যাথলজি সেন্টারে গিয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছে। তারা ভালো মানের চিকিৎসকের মাধ্যমে সেবা দেওয়া কথা বলে প্রতিষ্ঠানের মালিক, কর্মচারীরা ডাক্তার সেজে রোগীদের চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপত্র দেন। এমনকি রোগীদের সিজারিয়ানসহ নানা ধরনের অপারেশন করছেন। আর প্রশিক্ষিত সেবিকার কাজ করানো হয় আয়া দিয়ে।
নাজিমুল হক আরও বলেন, প্যাথলজি বিভাগে রোগীদের সঙ্গে আরও বেশি প্রতারণা করা হয়। কর্মচারী দিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা করিয়ে এতে অন্য কোনো প্যাথলজিস্টদের স্বাক্ষর ও সিল ব্যবহার করে প্রতিবেদন দেন। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সিভিল সার্জন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোনো সুফল আসছে না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের দেওয়া তথ্যমতে, পুঠিয়াতে কোনো ক্লিনিকের নিজস্ব চিকিৎসক নেই। দু-একটা ক্লিনিকে ভাড়া করা চিকিৎসক দিয়ে শুধু অস্ত্রোপচার করিয়ে নেন। বাকি কাজ ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা করেন। অথচ ক্লিনিকের সামনে একাধিক বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নাম ব্যবহার করে বোর্ড ঝুলিয়ে রাখা আছে। যার বেশির ভাগ ভুয়া চিকিৎসক। অথবা এঁদের মধ্যে যাঁর নাম ব্যবহার করে প্রচারণা করছে, হয়তো ওই চিকিৎসকেরা জানেন না।
আবার অনেক ক্লিনিক মালিকেরা নিজেরাই চিকিৎসক সেজে অস্ত্রোপচার করছেন। এতে রোগীরা বিভিন্ন সমস্যায় পড়ছেন। এর ফলে মাঝেমধ্যে কিছু রোগী সঠিক সময়ে যথাযথ চিকিৎসাসেবার অভাবে মারাও যাচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক ক্লিনিক মালিক বলেন, ক্লিনিক ও প্যাথলজি সেন্টারে যেন কোনো হয়রানি বা আইনি জটিলতা না হয়—এ জন্য সব মালিক মিলে সমিতি করা হয়েছে। যেকোনো সমস্যা হলে সমাধান করবে সমিতি।
ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি এবং এক ক্লিনিকের মালিক আব্দুর রহমান বলেন, খাতা-কলমে উপজেলার সব ক্লিনিক ও প্যাথলজি সেন্টারের মালিকেরা বৈধভাবে ব্যবসা করছেন। তবে কোনো মালিকের নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসক নেই।
আব্দুর রহমান আরও বলেন, এই ব্যবসায় যে আয় তাতে একজন নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকের বেতন উঠবে না। তাই সব মালিক বিভিন্ন চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বা চুক্তি করেছেন। প্রয়োজনে চিকিৎসকদের ডাকলে তাঁরা তাৎক্ষণিক হাজির হন। আর যদি কোনো ক্লিনিকের মালিক চিকিৎসক ছাড়া অস্ত্রোপচার করেন, তাহলে এর দায়ভার ওই প্রতিষ্ঠান বহন করবে।
চিকিৎসক আসেন না অথচ তাঁদের নাম ব্যবহার করে বোর্ড ঝুলিয়ে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা অনেকেই করছেন। তবে এ বিষয়টি যেন আর কেউ না করেন সে জন্য সবাইকে সতর্ক করে দেওয়া হবে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাজরুই রহমান প্রত্যয় বলেন, উপজেলার বেশির ভাগ ক্লিনিক ও প্যাথলজি সেন্টারগুলোর মালিকেরা যথাযথ নিয়ম মানছেন না। আর এ বিষয়গুলো তদারকি করতে জেলা সিভিল সার্জন বরাবর আবেদন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, পুঠিয়াতে অনেক ক্লিনিক ও প্যাথলজি সেন্টারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে একটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলোতে দ্রুত অভিযান চালানো হবে। আর কোনো অবৈধ ক্লিনিক বা প্যাথলজি সেন্টার আছে কি না, সেটা কাগজপত্র না দেখে এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।
সিলেটে ১ কোটি ২১ লাখ টাকার চোরাই পণ্য আটক করেছে বিজিবি। গতকাল বৃহস্পতি ও আজ শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব আটক করা হয়।
১৭ মিনিট আগেচট্টগ্রাম নগরে আত্মীয়ের বাসা থেকে সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর মনছুরাবাদ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ডাবলমুরিং থানা-পুলিশ।
২১ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জে সাবেক জেলা প্রশাসক পরিচয়ের প্রভাব খাটিয়ে ছোট ভাইকে পারিবারিক বাসাবাড়ি থেকে উচ্ছেদ এবং সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার শহরের গৌরাঙ্গবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলেন ছোট ভাই আ. করিম মোল্লা।
৩৪ মিনিট আগেমানিকগঞ্জের ঘিওরে কৃষক স্বপন মিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. বিল্লাল মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ শুক্রবার ভোরে রাজধানীর হাজী ক্যাম্প রোড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩৫ মিনিট আগে