নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীতে এবার একটি ভোটও বাতিল হয়নি—এমন কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭। জেলার ছয়টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে শুধু রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে একটি ভোটও বাতিল হয়নি এমন ভোটকেন্দ্র নেই। অন্য পাঁচ আসনেই তিন থেকে পাঁচটি করে ভোটকেন্দ্রে একটি ভোটও বাতিল হয়নি। রাজশাহী-১ আসনে সর্বনিম্ন একটি ভোট বাতিল হয়েছে—এ রকম ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা এক। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বলছেন, ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তারাই রুমের দরজা বন্ধ করে নৌকায় সিল মেরেছেন। আবার কোনো কোনো কেন্দ্রে একটি ভোটও বাতিল না করে নৌকার হিসাবে ধরা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি তাই এমন হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রকাশ করা কেন্দ্রভিত্তিক ভোটকেন্দ্রের ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে। সবচেয়ে বেশি পাঁচটি ভোটকেন্দ্রে একটিও ভোট বাতিল হয়নি রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে।
সামান্য ব্যবধানে এ আসনে পরাজিত হওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমান বলেছেন, প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা ভোটের ফল পাল্টে দিয়েছেন। এ জন্য কোনো কোনো কেন্দ্রে একটি ভোটও বাতিল হয়নি। এক ভোটও বাতিল না হওয়া অবিশ্বাস্য।
ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, রাজশাহী-১ আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ১৫৮টি। এসব কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ১০০টি পর্যন্ত ভোট বাতিল হয়েছে। তবে বিজয়ী নৌকার প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীর নিজ এলাকা তানোরের কিসমত বিল্লি উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে মাত্র একটি ভোট বাতিল হয়েছে। এ কেন্দ্রে মোট ১ হাজার ২১০ জন ভোটার ভোট দেন। গোদাগাড়ীর দিয়াড় মানিকচক নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বাতিল হয়েছে ৭টি ভোট। এ কেন্দ্রে ভোট দেন ২৬১ জন ভোটার।
রাজশাহী-২ (সদর) আসনের ১১৩টি কেন্দ্রের মধ্যে তিনটি কেন্দ্রের একটি ভোটও বাতিল হয়নি। কেন্দ্রগুলো হচ্ছে হাতেমখাঁ আজিজর রহমান খলিফা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ মিশন একাডেমি ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৬৩২টি, মসজিদ মিশনে ৭২৯ ও আজিজর রহমান স্কুলে ৪২৭টি ভোট পড়েছে। সদরের অন্য সব কেন্দ্রে কিছু না কিছু ভোট বাতিল হয়েছে। এ আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুর রহমান বাদশা।
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে মোট কেন্দ্র ছিল ১২৯টি। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্রে একটি ভোটও বাতিল হয়নি। কেন্দ্র তিনটি হলো—জাহানাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরুষ কেন্দ্র, মাটিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বসন্তপুর উচ্চবিদ্যালয়। মাটিকাটায় ভোট পড়েছে ১ হাজার ১৭৫টি। বসন্তপুরে ভোট পড়েছে ১ হাজার ৬৯৯ টি। জাহানাবাদে ভোট পড়েছে ১ হাজার ২৭২টি। এখানে নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ একাই পেয়েছেন ১ হাজার ১৯২টি ভোট। বসন্তপুর কেন্দ্রের ১ হাজার ৬৯৯ ভোটের মধ্যে নৌকা পেয়েছে ১ হাজার ৫৭৮টি। এ ছাড়া মাটিকাটার ১ হাজার ১৭৫টি ভোটের মধ্যে নৌকা পেয়েছে ১ হাজার ৮০টি। এ আসনে বিপুল ভোটে আসাদ বিজয়ী হয়েছেন।
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনেও শূন্য বাতিল ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা তিন। এখানে মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ১২৩টি। এর মধ্যে উত্তর একডালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরুষ কেন্দ্র, মীরপুর উচ্চবিদ্যালয় ও গোপালপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার নারী কেন্দ্রে একটি ভোটও বাতিল হয়নি। বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ৪ থেকে ১০টি করে ভোট বাতিল হয়েছে এখানে। উত্তর একডালায় ১ হাজার ৪১৪ ভোটের মধ্যে ১ হাজার ৫৭টি, মীরপুরে ১ হাজার ৭৬১ ভোটের মধ্যে ১ হাজার ৬৪টি এবং গোপালপুরে ৯৮৩টি ভোটের মধ্যে ৫৬৮টি নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ পেয়েছেন। তিনি এই নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন।
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ১৩৩টি। এর মধ্যে পাঁচটি ভোটকেন্দ্রের কোনো ভোট বাতিল হয়নি। কেন্দ্রগুলো হলো—গোলাবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়, হোজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আনুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাওকান্দি উচ্চবিদ্যালয় ও তেঁতুলিয়া উচ্চবিদ্যালয়।
এর মধ্যে তেঁতুলিয়ার ৮৪১ ভোটের মধ্যে ৪৮৭টি, দাওকান্দির ১ হাজার ৬২৩ ভোটের মধ্যে ৮৬১, আনুলিয়ার ১ হাজার ১০৮টি ভোটের মধ্যে ৬০৭, হোজার ১ হাজার ৩৫০টি ভোটের মধ্যে ৫৩৫টি এবং গোলাবাড়ীর ১ হাজার ৪১১টি ভোটের মধ্যে ৯৫০টি ভোট পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদ দারা। তিনি সামান্য ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ১১৯টি। এর মধ্যে তিনটি ভোটকেন্দ্রে কোনো ভোট বাতিল হয়নি। বেশকিছু কেন্দ্রে ১ থেকে ৭টি করে ভোট বাতিল হয়েছে। কোনো ভোট বাতিল হয়নি লক্ষ্মীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাশের চর কালীদাসখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দাদপুর কওমি মাদ্রাসা কেন্দ্রে। এর মধ্যে দাদপুরে ৮৫৯ ভোটের মধ্যে ৬৮০টি, চর কালীদাসখালীর ৫৯৪ ভোটের মধ্যে ৪৫৭টি এবং লক্ষ্মীনগরের ৫৬৫ ভোটের মধ্যে ৪৭৩টি ভোট পেয়েছেন নৌকার বিজয়ী প্রার্থী শাহরিয়ার আলম।
রাজশাহী-৬ আসনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হক বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তারাই রুমের দরজা বন্ধ করে নৌকায় সিল মেরেছেন। আবার কোনো কোনো কেন্দ্রে একটি ভোটও বাতিল না করে নৌকার হিসাবে ধরা হয়েছে। এভাবে নৌকাকে জেতানো হয়েছে। কোনো ভোটকেন্দ্রে যে একটি ভোটও বাতিল হবে না—এটা একেবারে অবিশ্বাস্য। আগে তো দেখতাম ভোট কীভাবে দেওয়া হবে, তার ক্যাম্পেইন হতো। ভোটারদের মনে করিয়ে দেওয়া হতো। এবার সেটাও হয়নি। তাই ভোট যে একটাও বাতিল হবে না, তা অবিশ্বাস্য।’
রাজশাহী-৫ আসনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমানেরও একই অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সংস্থা এবং টেলিভিশনের মাধ্যমে দেখেছি যে আমি বিজয়ী। কিন্তু পরে আমাকে তিন হাজার ভোটে পরাজিত দেখানো হয়েছে। এই ফলাফল সঠিক না। আমি ভোট পুনর্গণনার দাবি জানাচ্ছি। আবার ভোট গণনা করা হলে বাতিল ভোট বের হওয়ার পাশাপাশি সঠিক ফলাফল হবে।’
রাজশাহী-৪ আসনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হকেরও দাবি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ভোট পড়ার হার ছিল খুব কম। কেন্দ্রে ভোটারই ছিল না। ৩টার পর বলা হয়েছে ভোট পড়েছে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ। এটা আসলে বানোয়াট। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। এনামুল হক ফল বাতিল করে পুনঃতফসিলের আবেদন জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনে।’
তবে রাজশাহীর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হয়নি। একেবারেই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। সঠিক ফল প্রকাশ হয়েছে।’
রাজশাহীতে এবার একটি ভোটও বাতিল হয়নি—এমন কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭। জেলার ছয়টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে শুধু রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে একটি ভোটও বাতিল হয়নি এমন ভোটকেন্দ্র নেই। অন্য পাঁচ আসনেই তিন থেকে পাঁচটি করে ভোটকেন্দ্রে একটি ভোটও বাতিল হয়নি। রাজশাহী-১ আসনে সর্বনিম্ন একটি ভোট বাতিল হয়েছে—এ রকম ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা এক। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বলছেন, ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তারাই রুমের দরজা বন্ধ করে নৌকায় সিল মেরেছেন। আবার কোনো কোনো কেন্দ্রে একটি ভোটও বাতিল না করে নৌকার হিসাবে ধরা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি তাই এমন হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রকাশ করা কেন্দ্রভিত্তিক ভোটকেন্দ্রের ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে। সবচেয়ে বেশি পাঁচটি ভোটকেন্দ্রে একটিও ভোট বাতিল হয়নি রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে।
সামান্য ব্যবধানে এ আসনে পরাজিত হওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমান বলেছেন, প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা ভোটের ফল পাল্টে দিয়েছেন। এ জন্য কোনো কোনো কেন্দ্রে একটি ভোটও বাতিল হয়নি। এক ভোটও বাতিল না হওয়া অবিশ্বাস্য।
ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, রাজশাহী-১ আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ১৫৮টি। এসব কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ১০০টি পর্যন্ত ভোট বাতিল হয়েছে। তবে বিজয়ী নৌকার প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীর নিজ এলাকা তানোরের কিসমত বিল্লি উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে মাত্র একটি ভোট বাতিল হয়েছে। এ কেন্দ্রে মোট ১ হাজার ২১০ জন ভোটার ভোট দেন। গোদাগাড়ীর দিয়াড় মানিকচক নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বাতিল হয়েছে ৭টি ভোট। এ কেন্দ্রে ভোট দেন ২৬১ জন ভোটার।
রাজশাহী-২ (সদর) আসনের ১১৩টি কেন্দ্রের মধ্যে তিনটি কেন্দ্রের একটি ভোটও বাতিল হয়নি। কেন্দ্রগুলো হচ্ছে হাতেমখাঁ আজিজর রহমান খলিফা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ মিশন একাডেমি ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৬৩২টি, মসজিদ মিশনে ৭২৯ ও আজিজর রহমান স্কুলে ৪২৭টি ভোট পড়েছে। সদরের অন্য সব কেন্দ্রে কিছু না কিছু ভোট বাতিল হয়েছে। এ আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুর রহমান বাদশা।
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে মোট কেন্দ্র ছিল ১২৯টি। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্রে একটি ভোটও বাতিল হয়নি। কেন্দ্র তিনটি হলো—জাহানাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরুষ কেন্দ্র, মাটিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বসন্তপুর উচ্চবিদ্যালয়। মাটিকাটায় ভোট পড়েছে ১ হাজার ১৭৫টি। বসন্তপুরে ভোট পড়েছে ১ হাজার ৬৯৯ টি। জাহানাবাদে ভোট পড়েছে ১ হাজার ২৭২টি। এখানে নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ একাই পেয়েছেন ১ হাজার ১৯২টি ভোট। বসন্তপুর কেন্দ্রের ১ হাজার ৬৯৯ ভোটের মধ্যে নৌকা পেয়েছে ১ হাজার ৫৭৮টি। এ ছাড়া মাটিকাটার ১ হাজার ১৭৫টি ভোটের মধ্যে নৌকা পেয়েছে ১ হাজার ৮০টি। এ আসনে বিপুল ভোটে আসাদ বিজয়ী হয়েছেন।
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনেও শূন্য বাতিল ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা তিন। এখানে মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ১২৩টি। এর মধ্যে উত্তর একডালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরুষ কেন্দ্র, মীরপুর উচ্চবিদ্যালয় ও গোপালপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার নারী কেন্দ্রে একটি ভোটও বাতিল হয়নি। বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ৪ থেকে ১০টি করে ভোট বাতিল হয়েছে এখানে। উত্তর একডালায় ১ হাজার ৪১৪ ভোটের মধ্যে ১ হাজার ৫৭টি, মীরপুরে ১ হাজার ৭৬১ ভোটের মধ্যে ১ হাজার ৬৪টি এবং গোপালপুরে ৯৮৩টি ভোটের মধ্যে ৫৬৮টি নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ পেয়েছেন। তিনি এই নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন।
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ১৩৩টি। এর মধ্যে পাঁচটি ভোটকেন্দ্রের কোনো ভোট বাতিল হয়নি। কেন্দ্রগুলো হলো—গোলাবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়, হোজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আনুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাওকান্দি উচ্চবিদ্যালয় ও তেঁতুলিয়া উচ্চবিদ্যালয়।
এর মধ্যে তেঁতুলিয়ার ৮৪১ ভোটের মধ্যে ৪৮৭টি, দাওকান্দির ১ হাজার ৬২৩ ভোটের মধ্যে ৮৬১, আনুলিয়ার ১ হাজার ১০৮টি ভোটের মধ্যে ৬০৭, হোজার ১ হাজার ৩৫০টি ভোটের মধ্যে ৫৩৫টি এবং গোলাবাড়ীর ১ হাজার ৪১১টি ভোটের মধ্যে ৯৫০টি ভোট পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদ দারা। তিনি সামান্য ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ১১৯টি। এর মধ্যে তিনটি ভোটকেন্দ্রে কোনো ভোট বাতিল হয়নি। বেশকিছু কেন্দ্রে ১ থেকে ৭টি করে ভোট বাতিল হয়েছে। কোনো ভোট বাতিল হয়নি লক্ষ্মীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাশের চর কালীদাসখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দাদপুর কওমি মাদ্রাসা কেন্দ্রে। এর মধ্যে দাদপুরে ৮৫৯ ভোটের মধ্যে ৬৮০টি, চর কালীদাসখালীর ৫৯৪ ভোটের মধ্যে ৪৫৭টি এবং লক্ষ্মীনগরের ৫৬৫ ভোটের মধ্যে ৪৭৩টি ভোট পেয়েছেন নৌকার বিজয়ী প্রার্থী শাহরিয়ার আলম।
রাজশাহী-৬ আসনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হক বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তারাই রুমের দরজা বন্ধ করে নৌকায় সিল মেরেছেন। আবার কোনো কোনো কেন্দ্রে একটি ভোটও বাতিল না করে নৌকার হিসাবে ধরা হয়েছে। এভাবে নৌকাকে জেতানো হয়েছে। কোনো ভোটকেন্দ্রে যে একটি ভোটও বাতিল হবে না—এটা একেবারে অবিশ্বাস্য। আগে তো দেখতাম ভোট কীভাবে দেওয়া হবে, তার ক্যাম্পেইন হতো। ভোটারদের মনে করিয়ে দেওয়া হতো। এবার সেটাও হয়নি। তাই ভোট যে একটাও বাতিল হবে না, তা অবিশ্বাস্য।’
রাজশাহী-৫ আসনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমানেরও একই অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সংস্থা এবং টেলিভিশনের মাধ্যমে দেখেছি যে আমি বিজয়ী। কিন্তু পরে আমাকে তিন হাজার ভোটে পরাজিত দেখানো হয়েছে। এই ফলাফল সঠিক না। আমি ভোট পুনর্গণনার দাবি জানাচ্ছি। আবার ভোট গণনা করা হলে বাতিল ভোট বের হওয়ার পাশাপাশি সঠিক ফলাফল হবে।’
রাজশাহী-৪ আসনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হকেরও দাবি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ভোট পড়ার হার ছিল খুব কম। কেন্দ্রে ভোটারই ছিল না। ৩টার পর বলা হয়েছে ভোট পড়েছে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ। এটা আসলে বানোয়াট। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। এনামুল হক ফল বাতিল করে পুনঃতফসিলের আবেদন জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনে।’
তবে রাজশাহীর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হয়নি। একেবারেই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। সঠিক ফল প্রকাশ হয়েছে।’
সিলেটে ১ কোটি ২১ লাখ টাকার চোরাই পণ্য আটক করেছে বিজিবি। গতকাল বৃহস্পতি ও আজ শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব আটক করা হয়।
২ মিনিট আগেচট্টগ্রাম নগরে আত্মীয়ের বাসা থেকে সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর মনছুরাবাদ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ডাবলমুরিং থানা-পুলিশ।
৬ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জে সাবেক জেলা প্রশাসক পরিচয়ের প্রভাব খাটিয়ে ছোট ভাইকে পারিবারিক বাসাবাড়ি থেকে উচ্ছেদ এবং সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার শহরের গৌরাঙ্গবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলেন ছোট ভাই আ. করিম মোল্লা।
১৯ মিনিট আগেমানিকগঞ্জের ঘিওরে কৃষক স্বপন মিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. বিল্লাল মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ শুক্রবার ভোরে রাজধানীর হাজী ক্যাম্প রোড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০ মিনিট আগে