নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
সাজানো-গোছানো পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে রাজশাহীর সুনাম থাকলেও দিনে দিনে এখানকার শব্দদূষণের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে গিয়ে ঠেকছে। এ শহরের শুধু শিল্প এলাকায় শব্দ দূষণের মাত্রা সহনীয় পর্যায়ে আছে। অন্য সব এলাকা শব্দদূষণ সহনীয় মাত্রা অতিক্রম করেছে। রিকশা-অটোরিকশার অনিয়ন্ত্রিত হর্ন এই শব্দদূষণের জন্য দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে।
গতকাল শনিবার দিনভর রাজশাহী নগরের ছয়টি পয়েন্টে শব্দদূষণের মাত্রা পরিমাপ করে পরিবেশবাদী সংগঠন বরেন্দ্র পরিবেশ উন্নয়ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাতে দেখা যায়, আগের তিন বছরের চেয়ে শব্দ দূষণ বেড়েছে রাজশাহীতে। এ দিন নগরের তালাইমারী, রেলগেট, সপুরা, লক্ষ্মীপুর, সাহেববাজার ও ভদ্রা এলাকায় শব্দদূষণ পরীক্ষা করে দেখেন বিশেষজ্ঞরা।
শব্দের মানমাত্রা নির্ণয়ের সময় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সাবেক অধ্যাপক ইকবাল মতিন উপস্থিত ছিলেন। পরীক্ষায় নেতৃত্ব দেন প্রকৌশলী জাকির হোসেন খান। তাঁকে সহযোগিতা করেন পিএইচডি গবেষক অলি আহমেদ, শেখ ফয়সাল আহমেদ প্রমুখ।
আজ রোববার বরেন্দ্র পরিবেশ উন্নয়ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ড. জাকির হোসেন খান বলেন, নগরের ব্যস্ততম রেলগেট এলাকায় ধারাবাহিকভাবে গত তিন বছর শব্দের মাত্রা পাওয়া গিয়েছিল ৯০ ডেসিবল, এবার সেখানে পাওয়া গেছে ৯০ দশমিক ৬ ডেসিবল। অথচ সরকারের আইন অনুযায়ী বাণিজ্যিক এলাকায় শব্দের সহনীয় মাত্রা হওয়া উচিত ৭০ ডেসিবল।
জাকির হোসেন খান আরও বলেন, নীরব এলাকায় দিনে ও রাতে সর্বোচ্চ শব্দের মাত্রা থাকতে হবে ৫০ ও ৪০ ডেসিবল। কিন্তু রাজশাহীর ঘোষিত নীরব এলাকায় দিনে শব্দের মাত্রা পাওয়া গেছে ৮৪ ডেসিবল। বাণিজ্যিক এলাকায় দিনে ও রাতে সর্বোচ্চ শব্দের মাত্রা থাকতে হবে ৭০ ও ৬০ ডেসিবল। তবে রাজশাহীর বাণিজ্যিক এলাকায় দিনে শব্দের ঘনমাত্রা পাওয়া যায় ৮৮ থেকে ৯০ ডেসিবলের মধ্যে। এভাবে সব ক্যাটাগরিতেই রাজশাহীর শব্দের মাত্রা বেশি পাওয়া গেছে।
শুধু শিল্প এলাকায় শব্দের স্বাভাবিক মাত্রা পাওয়া গেছে। শিল্প এলাকায় দিনে ও রাতে সর্বোচ্চ শব্দের মাত্রা থাকতে হবে ৭৫ ও ৭০ ডেসিবল। রাজশাহীর শিল্প এলাকায় শব্দের মাত্রা পাওয়া যায় ৭৪ ডেসিবেল। প্রাপ্ত মানগুলো থেকে দেখা যায়, শিল্প এলাকা ছাড়া অন্য সব জায়গায় শব্দের নির্ধারিত মানমাত্রা অতিক্রম করেছে।
ড. জাকির হোসেন খান বলেন, ‘শহরের এই শব্দদূষণ মানুষের জন্য ক্ষতিকর। রিকশা-অটোরিকশার উচ্চমাত্রার হর্ন, যানজটের মধ্যে বাস-ট্রাকের অযথা হর্ন বাজানোসহ ক্রমাগত বড় বড় গাছ কেটে ফেলা এর জন্য দায়ী।’ পরিবেশ সহনীয় করতে অটোরিকশায় উচ্চমাত্রার হর্নের পরিবর্তে ভেঁপু হর্ন লাগানো এবং প্রচুর পরিমাণ গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন এই গবেষক।
গত বছর জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) বৈশ্বিক প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, শব্দদূষণে বিশ্বের চতুর্থ স্থানে আছে রাজশাহী। ঢাকা বিশ্বের শব্দ দূষণের শীর্ষ নগরী। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী মানুষের জন্য ঘরের ভেতর শব্দের গ্রহণযোগ্য মাত্রা ৫৫ ডেসিবল। আর ঘরের বাইরে বাণিজ্যিক এলাকার জন্য ৭০ ডেসিবল। অথচ রাজশাহীর বাণিজ্যিক এলাকায় শব্দের মাত্রা ১০৩ ডেসিবল, যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর।
সাজানো-গোছানো পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে রাজশাহীর সুনাম থাকলেও দিনে দিনে এখানকার শব্দদূষণের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে গিয়ে ঠেকছে। এ শহরের শুধু শিল্প এলাকায় শব্দ দূষণের মাত্রা সহনীয় পর্যায়ে আছে। অন্য সব এলাকা শব্দদূষণ সহনীয় মাত্রা অতিক্রম করেছে। রিকশা-অটোরিকশার অনিয়ন্ত্রিত হর্ন এই শব্দদূষণের জন্য দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে।
গতকাল শনিবার দিনভর রাজশাহী নগরের ছয়টি পয়েন্টে শব্দদূষণের মাত্রা পরিমাপ করে পরিবেশবাদী সংগঠন বরেন্দ্র পরিবেশ উন্নয়ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাতে দেখা যায়, আগের তিন বছরের চেয়ে শব্দ দূষণ বেড়েছে রাজশাহীতে। এ দিন নগরের তালাইমারী, রেলগেট, সপুরা, লক্ষ্মীপুর, সাহেববাজার ও ভদ্রা এলাকায় শব্দদূষণ পরীক্ষা করে দেখেন বিশেষজ্ঞরা।
শব্দের মানমাত্রা নির্ণয়ের সময় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সাবেক অধ্যাপক ইকবাল মতিন উপস্থিত ছিলেন। পরীক্ষায় নেতৃত্ব দেন প্রকৌশলী জাকির হোসেন খান। তাঁকে সহযোগিতা করেন পিএইচডি গবেষক অলি আহমেদ, শেখ ফয়সাল আহমেদ প্রমুখ।
আজ রোববার বরেন্দ্র পরিবেশ উন্নয়ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ড. জাকির হোসেন খান বলেন, নগরের ব্যস্ততম রেলগেট এলাকায় ধারাবাহিকভাবে গত তিন বছর শব্দের মাত্রা পাওয়া গিয়েছিল ৯০ ডেসিবল, এবার সেখানে পাওয়া গেছে ৯০ দশমিক ৬ ডেসিবল। অথচ সরকারের আইন অনুযায়ী বাণিজ্যিক এলাকায় শব্দের সহনীয় মাত্রা হওয়া উচিত ৭০ ডেসিবল।
জাকির হোসেন খান আরও বলেন, নীরব এলাকায় দিনে ও রাতে সর্বোচ্চ শব্দের মাত্রা থাকতে হবে ৫০ ও ৪০ ডেসিবল। কিন্তু রাজশাহীর ঘোষিত নীরব এলাকায় দিনে শব্দের মাত্রা পাওয়া গেছে ৮৪ ডেসিবল। বাণিজ্যিক এলাকায় দিনে ও রাতে সর্বোচ্চ শব্দের মাত্রা থাকতে হবে ৭০ ও ৬০ ডেসিবল। তবে রাজশাহীর বাণিজ্যিক এলাকায় দিনে শব্দের ঘনমাত্রা পাওয়া যায় ৮৮ থেকে ৯০ ডেসিবলের মধ্যে। এভাবে সব ক্যাটাগরিতেই রাজশাহীর শব্দের মাত্রা বেশি পাওয়া গেছে।
শুধু শিল্প এলাকায় শব্দের স্বাভাবিক মাত্রা পাওয়া গেছে। শিল্প এলাকায় দিনে ও রাতে সর্বোচ্চ শব্দের মাত্রা থাকতে হবে ৭৫ ও ৭০ ডেসিবল। রাজশাহীর শিল্প এলাকায় শব্দের মাত্রা পাওয়া যায় ৭৪ ডেসিবেল। প্রাপ্ত মানগুলো থেকে দেখা যায়, শিল্প এলাকা ছাড়া অন্য সব জায়গায় শব্দের নির্ধারিত মানমাত্রা অতিক্রম করেছে।
ড. জাকির হোসেন খান বলেন, ‘শহরের এই শব্দদূষণ মানুষের জন্য ক্ষতিকর। রিকশা-অটোরিকশার উচ্চমাত্রার হর্ন, যানজটের মধ্যে বাস-ট্রাকের অযথা হর্ন বাজানোসহ ক্রমাগত বড় বড় গাছ কেটে ফেলা এর জন্য দায়ী।’ পরিবেশ সহনীয় করতে অটোরিকশায় উচ্চমাত্রার হর্নের পরিবর্তে ভেঁপু হর্ন লাগানো এবং প্রচুর পরিমাণ গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন এই গবেষক।
গত বছর জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) বৈশ্বিক প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, শব্দদূষণে বিশ্বের চতুর্থ স্থানে আছে রাজশাহী। ঢাকা বিশ্বের শব্দ দূষণের শীর্ষ নগরী। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী মানুষের জন্য ঘরের ভেতর শব্দের গ্রহণযোগ্য মাত্রা ৫৫ ডেসিবল। আর ঘরের বাইরে বাণিজ্যিক এলাকার জন্য ৭০ ডেসিবল। অথচ রাজশাহীর বাণিজ্যিক এলাকায় শব্দের মাত্রা ১০৩ ডেসিবল, যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর।
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী আবুল হাশেম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার চার আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে আসামিরা জানান, পূর্বশত্রুতা ও প্রতিশোধের উদ্দেশ্যে ১০ জন মিলে এই হত্যাকাণ্ড ঘটান। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত
১৯ মিনিট আগেপটুয়াখালীতে প্রচণ্ড গরমে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই প্রায় এক শ রোগীকে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে শয্যা-সংকটের কারণে রোগীরা মেঝে, বারান্দায় বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশাপাশি সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ দৃশ্য দেখা
৩৩ মিনিট আগেচাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে জনবল-সংকটে অচলাবস্থায় পড়েছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয়। স্থবির হয়ে গেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগের কার্যক্রম। শুধু পিআইও এবং সেতু প্রকল্পের একজন কার্যসহকারী পদায়ন আছেন।
৩৪ মিনিট আগেখাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাসুদুল হাসান বলেছেন, কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পান, সেদিক বিবেচনা করে সরকার ধান ও চালের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। কৃষকের নিরলস শ্রমে এবার হাওরসহ সারা দেশে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকেরা বাংলাদেশের প্রাণ। সরকারও কৃষক ভাইদের নানাভাবে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। এই সৌহার্দ্য
৩৮ মিনিট আগে