নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসেও আজ খোলা হয়নি রাজশাহীর বাবলা বন বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটকের তালা। শ্রদ্ধা জানাতে আসা লোকজন তাই প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকেছেন। তাঁদের অভিযোগ, বুদ্ধিজীবী দিবসেও বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটকে তালা থাকাটা স্থানীয় প্রশাসনের চরম গাফিলতি। এ ব্যাপারে যথাযথ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
আজ সকালে জনমানব উন্নয়ন সংস্থা নামের একটি সংগঠনের সদস্যরা প্রধান ফটকটি তালাবদ্ধ দেখেন। এ সময় তাঁরা এটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্তকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। ফোন করা হয় সিটি করপোরেশনের স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকেও। কিন্তু তিনিও কিছু জানাতে পারেননি। পরে কাউন্সিলরের পরামর্শে প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ফেলা হয়। এরপর ভেতরে ঢুকে তারা শ্রদ্ধা জানান। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনও এই স্মৃতিসৌধে গিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
রাজশাহীতে ২৫ নভেম্বর বাবলা বন গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেদিনও তালাবদ্ধ ছিল এই বধ্যভূমির প্রধান ফটক। সেদিন যারা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়েছিলেন তাঁদেরও সীমানা প্রাচীর টপকে ভেতরে ঢুকতে হয়েছিল।
জনমানব উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসেও বধ্যভূমির ফটকে তালাবদ্ধ থাকাটা অত্যন্ত লজ্জাজনক। এই লজ্জা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যারা এটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসেও ফটকে তালা থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে এলজিইডির রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহা. নাশির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা শুধু নির্মাণ কাজটা করেছিলাম। এরপর এটি জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের।’
এনিয়ে জানতে মোবাইল ফোনে জেলা প্রশাসক আবদুল জলিলকে একাধিক বার কল করা হয়। কিন্তু ফোন না ধরায় তাঁর কোনো মন্তব্য জানা যায়নি। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরীও ফোন ধরেননি।
মুক্তিযুদ্ধের গবেষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পরাজয় নিশ্চিত জেনে বিজয়ের আগে ১৯৭১ সালের ২৫ নভেম্বর রাজশাহীর শিক্ষক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশার বুদ্ধিজীবীদের ধরে নেয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এরপর তাঁদের হত্যা করে গণকবর দেওয়া হয় রাজশাহী নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় পদ্মা নদীর পাড়ের বাবলা বনে। স্বাধীনতা অর্জনের পর ৩০ ডিসেম্বর এই বধ্যভূমির সন্ধান পাওয়া যায়। অনেকে মনে করেন, যে ১৭ জন শহীদের মরদেহ এখানে পাওয়া যায়, তাঁদের জীবন্ত মাটিচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। কারণ, তাঁদের একই রশিতে ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায়, কিন্তু শরীরে বুলেটের বা কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। এই স্থানটিই বাবলা বন বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত।
এই বধ্যভূমিতে যাদের মরদেহ পাওয়া গেছে তাঁরা হলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মীর আব্দুল কাইয়ুম, পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নাজমুল হক সরকার, সরকারি কর্মকর্তা আবদুল হক সরকার, ব্যবসায়ী আজিজুল হক চৌধুরী, শামসুল ইসলাম ঝাটু, অ্যাডভোকেট সুরেশ, বীরেন সরকার, মকবুল হক চৌধুরী, আলতাফ হোসেন, মির্জা সুলতান, মির্জা আজিজুর রহমান, নওরোজ দৌল্লাহ খান, আমিনুল হক, তৈয়ব আলী, আলাউদ্দিন চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহম্মদ মুক্তা।
পরনের পোশাক ও হাতের আংটি দেখে স্বজনেরা তাদের মরদেহ শনাক্ত করেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বধ্যভূমিটি দীর্ঘ দিন অনাদরেই পড়ে ছিল। ১৯৯৫ সালের ২৫ নভেম্বর এই শহীদদের স্মরণে একটি স্মৃতিফলক বসানো হয়। এর উদ্বোধন করেন শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ুমের স্ত্রী অধ্যাপক মাসতুরা খানম। সেদিন অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের জন্য এখানকার মাটি সংগ্রহ করে নিয়ে যান। ওই স্মৃতিফলক স্থাপনের পরও কেটে যায় অনেক দিন। ২০২০ সালে বধ্যভূমিতে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ‘মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থানসমূহ সংরক্ষণ ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় বধ্যভূমি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসেও আজ খোলা হয়নি রাজশাহীর বাবলা বন বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটকের তালা। শ্রদ্ধা জানাতে আসা লোকজন তাই প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকেছেন। তাঁদের অভিযোগ, বুদ্ধিজীবী দিবসেও বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটকে তালা থাকাটা স্থানীয় প্রশাসনের চরম গাফিলতি। এ ব্যাপারে যথাযথ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
আজ সকালে জনমানব উন্নয়ন সংস্থা নামের একটি সংগঠনের সদস্যরা প্রধান ফটকটি তালাবদ্ধ দেখেন। এ সময় তাঁরা এটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্তকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। ফোন করা হয় সিটি করপোরেশনের স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকেও। কিন্তু তিনিও কিছু জানাতে পারেননি। পরে কাউন্সিলরের পরামর্শে প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ফেলা হয়। এরপর ভেতরে ঢুকে তারা শ্রদ্ধা জানান। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনও এই স্মৃতিসৌধে গিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
রাজশাহীতে ২৫ নভেম্বর বাবলা বন গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেদিনও তালাবদ্ধ ছিল এই বধ্যভূমির প্রধান ফটক। সেদিন যারা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়েছিলেন তাঁদেরও সীমানা প্রাচীর টপকে ভেতরে ঢুকতে হয়েছিল।
জনমানব উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসেও বধ্যভূমির ফটকে তালাবদ্ধ থাকাটা অত্যন্ত লজ্জাজনক। এই লজ্জা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যারা এটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসেও ফটকে তালা থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে এলজিইডির রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহা. নাশির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা শুধু নির্মাণ কাজটা করেছিলাম। এরপর এটি জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের।’
এনিয়ে জানতে মোবাইল ফোনে জেলা প্রশাসক আবদুল জলিলকে একাধিক বার কল করা হয়। কিন্তু ফোন না ধরায় তাঁর কোনো মন্তব্য জানা যায়নি। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরীও ফোন ধরেননি।
মুক্তিযুদ্ধের গবেষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পরাজয় নিশ্চিত জেনে বিজয়ের আগে ১৯৭১ সালের ২৫ নভেম্বর রাজশাহীর শিক্ষক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশার বুদ্ধিজীবীদের ধরে নেয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এরপর তাঁদের হত্যা করে গণকবর দেওয়া হয় রাজশাহী নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় পদ্মা নদীর পাড়ের বাবলা বনে। স্বাধীনতা অর্জনের পর ৩০ ডিসেম্বর এই বধ্যভূমির সন্ধান পাওয়া যায়। অনেকে মনে করেন, যে ১৭ জন শহীদের মরদেহ এখানে পাওয়া যায়, তাঁদের জীবন্ত মাটিচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। কারণ, তাঁদের একই রশিতে ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায়, কিন্তু শরীরে বুলেটের বা কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। এই স্থানটিই বাবলা বন বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত।
এই বধ্যভূমিতে যাদের মরদেহ পাওয়া গেছে তাঁরা হলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মীর আব্দুল কাইয়ুম, পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নাজমুল হক সরকার, সরকারি কর্মকর্তা আবদুল হক সরকার, ব্যবসায়ী আজিজুল হক চৌধুরী, শামসুল ইসলাম ঝাটু, অ্যাডভোকেট সুরেশ, বীরেন সরকার, মকবুল হক চৌধুরী, আলতাফ হোসেন, মির্জা সুলতান, মির্জা আজিজুর রহমান, নওরোজ দৌল্লাহ খান, আমিনুল হক, তৈয়ব আলী, আলাউদ্দিন চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহম্মদ মুক্তা।
পরনের পোশাক ও হাতের আংটি দেখে স্বজনেরা তাদের মরদেহ শনাক্ত করেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বধ্যভূমিটি দীর্ঘ দিন অনাদরেই পড়ে ছিল। ১৯৯৫ সালের ২৫ নভেম্বর এই শহীদদের স্মরণে একটি স্মৃতিফলক বসানো হয়। এর উদ্বোধন করেন শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ুমের স্ত্রী অধ্যাপক মাসতুরা খানম। সেদিন অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের জন্য এখানকার মাটি সংগ্রহ করে নিয়ে যান। ওই স্মৃতিফলক স্থাপনের পরও কেটে যায় অনেক দিন। ২০২০ সালে বধ্যভূমিতে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ‘মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থানসমূহ সংরক্ষণ ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় বধ্যভূমি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় লিটন হোসেন (৩০) নামের এক বাংলাদেশি যুবককে আটকের পর বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। বিজিবি গতকাল বুধবার বিকেলে থানায় সোপর্দ করলে তাঁকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
১৫ মিনিট আগেচট্টগ্রাম বন্দরে কাজের গতি বাড়াতে ২২ বছরের জন্য পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সৌদি আরবের ‘রাজকীয়’ অপারেটর রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনালকে (আরএসজিটিআই)।
২৯ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধের ঘটনায় দুই ভাই ও বোনের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবা বাবুল মিয়া (৪০) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা গেছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজন মারা গেলেন।
১ ঘণ্টা আগেনিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শরীয়তপুরের পদ্মা নদীতে ইলিশ শিকারের অপরাধে ২৬ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া চারটি মাছ ধরার নৌকা ও ২ লাখ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে