Ajker Patrika

রাজশাহী থেকে আক্কেলপুর রেলস্টেশনে কে ফেলে গেল বৃদ্ধাকে

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
রাজশাহী থেকে আক্কেলপুর রেলস্টেশনে কে ফেলে গেল বৃদ্ধাকে

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দুই দিন ধরে পড়ে ছিলেন ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা। স্থানীয় এক ব্যক্তি জরুরি পরিষেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করে থানা–পুলিশ জানান। পুলিশের পরামর্শে ওই ব্যক্তি নিজের খরচে ভ্যান ভাড়া করে বৃদ্ধাকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। তবে তাঁকে বাঁচানো যায়নি। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৮টায় হাসপাতালে ওই বৃদ্ধা মারা যান। লাশ কেউ নিতে আসেনি। রাত ৮টা পর্যন্ত বৃদ্ধার লাশ হাসপাতালে পড়ে ছিল। 

আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাকসুদুল হাসান আকন্দ বলেন, গত সোমবার দুপুরের পর হাস্তাবসন্তপুর গ্রামের এরফান হোসেন বৃদ্ধাকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করান। মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে বৃদ্ধা মারা যান। থানা–পুলিশ ও ভর্তি করানো ব্যক্তিকে বৃদ্ধার মৃত্যুর কথা জানানো হয়। পুলিশ ও এরফান হোসেন হাসপাতালে এসেছিলেন। এখনো বৃদ্ধার পরিচয় শনাক্ত হয়নি। তবে বৃদ্ধা ভর্তি সময় জানিয়েছিলেন, তাঁর বাড়ি রাজশাহীর পবায়। তবে কেউ তাঁর খোঁজে হাসপাতালে আসেননি। 

এরফান হোসেন বলেন, ‘আমি দুই দিন ধরে বৃদ্ধাকে আক্কেলপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে এক পাশে পড়ে থাকতে দেখি। নড়াচড়াও করতে পারছিলেন না। আবার ঠিকমতো কথাও বলছিলেন না। সোমবার দুপুরে রেলস্টেশনে গিয়ে একই অবস্থায় বৃদ্ধাকে দেখতে পেয়ে ৯৯৯–এ কল করি। এরপর আক্কেলপুর থানা–পুলিশের সঙ্গে আমার কথা হয়। পুলিশের পরামর্শে দুইশ টাকা খরচা করে বৃদ্ধাকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেছি। আজ সকালে বৃদ্ধা মারা যান।’ 

এরফান হোসেন আরও বলেন, ‘বৃদ্ধার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। বৃদ্ধার একা রেলস্টেশনে আসার ক্ষমতা ছিল না। হয়তো কেউ রেলস্টেশনে রেখে গেছে। বৃদ্ধার পরনে ভালো শাড়িও ছিল। এ কারণে তাঁকে ভিক্ষুকও মনে হয়নি। বৃদ্ধার মৃত্যুতে খুব কষ্ট পেয়েছি। বৃদ্ধা ঠিকমতো চিকিৎসা পায়নি। বৃদ্ধাকে যেখানে রাখা হয়েছিল সেখানের টিনের চালার তাপ লাগছিল। একটি ফ্যানের ব্যবস্থা ছিল।’ 

আক্কেলপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আক্কেলপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে অসুস্থ এক বৃদ্ধা পড়ে ছিলেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে বৃদ্ধা মারা যান। তাঁর পরিচয় এখনো শনাক্ত হয়নি। হাসপাতালের ভর্তি রেজিস্টারে ফিরোজা, পবা, রাজশাহী লেখা ছিল। পবা থানায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। ইউএনও স্যারের সঙ্গে কথা বলে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত