Ajker Patrika

কুয়াশায় নীলফামারীতে সড়ক-রেলপথে যানবাহন চলাচলে ধীরগতি, বিঘ্ন ফ্লাইট ওঠা-নামায়

নীলফামারী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১: ৫৯
কুয়াশায় ঢাকা নীলফামারীর সৈয়দপুর বাইপাস মহাসড়ক। সোমবার সকাল ৮টার চিত্র। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুয়াশায় ঢাকা নীলফামারীর সৈয়দপুর বাইপাস মহাসড়ক। সোমবার সকাল ৮টার চিত্র। ছবি: আজকের পত্রিকা

মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে উত্তরের জেলা নীলফামারী। দৃষ্টিসীমা কম থাকায় ধীরগতি চলাচল করছে রেল ও সড়কপথে চলাচলকারী যানবাহনগুলো। ফলে গত দু-দিন ধরে এ অঞ্চলের ট্রেন ও দূরপাল্লার কোচগুলো এক থেকে দুই ঘণ্টা বিলম্বে চলাচল করছে। প্রয়োজনীয় দৃষ্টিসীমা না থাকায় দুপুর পর্যন্ত বন্ধ থাকছে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা।

নীলফামারী রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার ওবায়দুল ইসলাম রতন আজকের পত্রিকাকে জানান, রাতের ঘন কুয়াশার কারণে ধীরগতিতে ট্রেন চলাচল করছে। এর ফলে ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা আন্তনগর ও মেইল ট্রেনগুলো এক থেকে দুই ঘণ্টা বিলম্বে নীলফামারীতে আসছে। আর এ কারণে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। তবে কুয়াশা কেটে গেলে এবং ট্রেনগুলোর সাপ্তাহিক বন্ধের পরবর্তী দিবসে স্বাভাবিক নিয়মে চলাচল করবে।

সৈয়দপুর শহরের দূরপাল্লার নাবিল পরিবহনের কোচ কাউন্টার এজেন্ট রবিউল আউয়াল রবি আজকের পত্রিকাকে জানান, ঘন কুয়াশায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নৈশ কোচগুলো সর্বনিম্ন দুই ঘণ্টা দেরিতে গন্তব্যে পৌঁছেছে। এতে দূরপাল্লার এসব যাত্রীদের মধ্যে নারী ও শিশুরা ভোগান্তিতে পড়েছে। তবে দিনের বেলায় চলাচলকারী কোচগুলো শিডিউল অনুযায়ী চলাচল করছে।

সৈয়দপুর বিমানবন্দরের আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে বিমানবন্দর এলাকা। সকাল ৯টায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রানওয়েতে দৃষ্টিসীমা ছিল মাত্র ২০০ মিটার। ফলে সাময়িকভাবে ফ্লাইট উঠানামা বন্ধ রয়েছে। ঘন কুয়াশা কেটে গিয়ে প্রয়োজনীয় দৃষ্টিসীমার আওতায় এলে স্বাভাবিক হবে ফ্লাইট চলাচল। আজ সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ১৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘিরে থাকা কুয়াশা। সকাল ৯টায় তোলা ছবি। আজকের পত্রিকা
সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘিরে থাকা কুয়াশা। সকাল ৯টায় তোলা ছবি। আজকের পত্রিকা

এদিকে তীব্র শীতের কারণে নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। তারা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে এখনো কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়নি। বিশেষ করে জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার তিস্তা নদী অববাহিকার লোকজন বেশি কষ্ট পাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত