কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে অভাবের তাড়নায় এক দম্পতি তাঁদের দুই দিন বয়সী কন্যাশিশুকে দত্তক দিয়েছেন।

আজ শনিবার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের শঠিবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভাবের তাড়নায় শিশুকে দত্তক দেওয়া ওই দম্পতি হলেন শফিকুল ইসলাম (৩২) ও মরিয়ম বেগম (২৮)।

শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভাবের সংসার। দিন আনি দিন খাই। আমি ও আমার স্ত্রী অসুস্থ। বর্তমানে আমাদের তিনটি সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে মফিজুলের বয়স নয় বছর, মেয়ে জান্নাতের বয়স সাত বছর, ছোট ছেলে মোস্তফার বয়স তিন বছর। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আমার স্ত্রী আরও একটি কন্যাসন্তান প্রসব করে। এতগুলো সন্তানের ভরণপোষণের সামর্থ্য আমার নেই। তাই কন্যাশিশুটি যাতে ভালো থাকে, সে জন্য আমার মামাতো বোন লাকী বেগম ও তার স্বামী আলমগীর হোসেনকে দত্তক দিয়েছি।’

• দেশে এখন খাদ্যের অভাব নেই, মঙ্গাও নেই: খাদ্যমন্ত্রী

শফিকুলের স্ত্রী মরিয়ম বেগম জানান, অভাবের কারণে শিশুকে দত্তক দিয়েছেন। 

• মাথাপিছু আয়ের ফাঁকি ও বৈষম্য

শফিকুল ইসলামের চাচা রেহান উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শফিকুল কাজকাম করতে পারে না। সে তার ভাইয়ের বাড়িতে থাকে। তিনটি ছেলেমেয়ে ভরণপোষণ ঠিকমতো করতে পারে না। সে কারণে দুই দিন বয়সী কন্যাশিশুকে দত্তক দিয়েছে।’ 

• ‘মানুষের গড় আয়ু ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে’

কন্যাশিশুটিকে দত্তক নেওয়া আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমরা নিঃসন্তান। তাই আমার স্ত্রীর ফুফাতো ভাই শফিকুল ইসলামের মেয়েকে দত্তক নিয়েছি।’

বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মায়নুল ইসলাম লিটন বলেন, ‘শফিকুল অত্যন্ত দরিদ্র মানুষ। সে তার নিঃসন্তান মামাতো বোনকে সন্তান দত্তক দিয়েছে।’