Ajker Patrika

ঝিনুক কুড়াতে গিয়ে নিখোঁজ, ভারতে লাশের খোঁজ পেয়ে স্বজনদের দেড় মাসের অপেক্ষা

দিনাজপুর ও চিরিরবন্দর প্রতিনিধি
ঝিনুক কুড়াতে গিয়ে নিখোঁজ, ভারতে লাশের খোঁজ পেয়ে স্বজনদের দেড় মাসের অপেক্ষা

‘আমার বাবার যদি হাড্ডি দুই খানও থাকে তাও নিয়ে আসি দেন। এত দিন ধরি ঘুরোছি কেউ কোনো খোঁজ দিবার পারোছে না। ৪৫ দিন ধরে ঠাকুর ঘরে সন্ধ্যা প্রদীপ জালেবার পারি নাই। ভাইরা চুল দাঁড়ি কাটোর পারোছেনা। মাওর (মায়ের) শাখা সিঁদুর ভাঙা হয় নাই। মাও ঠিকমতো কথাও কহোচে নাই। হামাক খালি বাবার শ্রাদ্ধ করির সুযোগ করি দেন।’ আহাজারি করতে করতে কথাগুলো বলছিলেন পানিতে ডুবে যাওয়া অবিনাষ চন্দ্র দাসের মেয়ে তুলসি চন্দ্র দাস। 

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ভিয়াইল ইউনিয়নের ঢাকইল ঘনপাড়া গ্রামের বাহাত্তর বছরের বৃদ্ধ অবিনাষ চন্দ্র দাস। গত ৩১ আগস্ট সকালে আত্রাই নদীর বৈদ্যনাথ ঘাটে ঝিনুক কুড়াতে নেমে ডুবে যায় তিনি। তাঁর মরদেহ ভেসে চলে যায় সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে। বিজিবি-বিএসএফ যোগাযোগ পতাকা বৈঠক হলেও দেড় মাসেও লাশ ফেরত পাওয়া যায়নি। স্বজনেরা মরদেহ ফেরত পাওয়ার আশায় ঘুরছেন সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায়। 

অবিনাষ চন্দ্র দাসের পরিবার জানায়, পরিবারের সদস্যদের নিষেধ উপেক্ষা করে বাড়ির পাশের আত্রাই নদীর বৈদ্যনাথ ঘাটে সকালে ঝিনুক কুড়াতে যান অবিনাষ। কিন্তু দুপুর পেরিয়ে গেলেও অবিনাষ বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন স্বজনেরা। দিনভর না পাওয়ায় পরদিন রংপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে খুঁজেও কোনো হদিস পাননি। দুই দিন পর স্বজনেরা ভারতে থাকা তাঁদের আত্মীয়ের মাধ্যমে জানতে পারেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের আমইল এলাকায় একটি মরদেহ পাওয়া গেছে। সেখান থেকে মরদেহের একটি ছবি পাঠানো হয়। ওই ছবি দেখেই সেটি অবিনাষের মরদেহ শনাক্ত করেন। গলায় তুলশির মালা, কোমরে পৈতা সবই আছে। 

এদিকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই লাশের স্বজনেরা মরদেহ ফেরত পাওয়ার আশায় ঘুরছেন সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায়। কখনো বা সীমান্ত সংলগ্ন বিজিবি ক্যাম্পে। কিন্তু মরদেহের অপেক্ষায় দেড় মাস কেটে গেলেও দেখা পাননি। 

গত শনিবার সকালে ঢাকইল ঘনপাড়ায় অবিনাষের বাড়িতে গেলে কথা হয়ে এলাকাবাসী ও স্বজনদের সঙ্গে। গ্রামে ২ শতাধিক হিন্দু পরিবারের বসবাস। অবিনাষের দুই ছেলে জোগেন চন্দ্র দাস ও হরিপদ চন্দ্র দাস, মেয়ে তুলসী চন্দ্র দাস। কাঁদতে কাঁদতে চোখের জল শুকিয়ে ফেলেছে মৃতের স্ত্রী-সন্তান ও স্বজনেরা। লাশের অপেক্ষায় প্রতিবেশীরাও। কিন্তু অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হয় না। 

ছেলে জোগেন চন্দ্র দাস বলেন, ‘এক মাস পনেরো দিন ধরে বাবার লাশের জন্য ঘুরতেছি। সীমান্ত এলাকায় বড়গ্রাম ক্যাম্পের পাশে ১৫ দিন বিছানা বালিশ নিয়ে পড়ে ছিলাম। সম্ভাব্য সবখানেই যোগাযোগ করেছি। কয়েকবার বিএসএফের সঙ্গে বৈঠকও করেছে বিজিবি। কিন্তু কোনো সুরাহা হয় নাই।’ 
 
নিহতের চাচাতো ভাই বুধু চন্দ্র দাশ বলেন, ‘ভারতে আমাদের আত্মীয়রা আছেন। তাঁরা ছবি পাঠিয়েছে। সব রকম চেষ্টা করছি কিন্তু লাশ পাচ্ছি না। লাশের শ্রাদ্ধ করতে না পারায় দুর্গাপূজায় আমার অছুত হয়ে আছি। পুজোর দিন ঘনিয়ে এলেও উৎসবে অংশ নেওয়া দূরে থাক পুজোর কার্যকলাপে অংশ নিতে পারছি না। এমনকি বাড়িতে জ্বলছেনা সন্ধ্যাবাতিও। লাশের সৎকার করতে না পারায় দেড় মাস ধরে সকলে নিরামিষ ভোজন করছেন।’ 

অবিনাষের পুত্রবধূ স্বপ্না রানী দাস বলেন, ওই দিন শ্বশুর ঝিনুক কুড়াতে যেতে নিষেধ করেছিলাম। উনি কহিল বেলে তাড়াতাড়ি চলে আসমো। বস্তা আর লুঙ্গি নিয়ে নদীর ঘাটে গেল। কিন্তু বেলা গড়াইল গেলেও আর ফিরি আসিলো না। 

স্থানীয় ভিয়াইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক শাহ বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের এক লোক আত্রাই নদীতে ঝিনুক কুড়াতে গিয়ে নদীর পানিতে ডুবে মারা যায়। নদীতে তার মরদেহ অনেক খোঁজাখুঁজির পরও পাওয়া যায়নি। পরে জানা গেছে মরদেহ ভেসে ভারতে চলে গেছে। আমরা স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পে যোগাযোগ করি। পরে তার বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করে। বিজিবি ক্যাম্প থেকে আমাদের জানায় মরদেহটি বাংলাদেশের এটি শনাক্ত করা হলেও মরদেহটি যে ওই পরিবারের তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তাই বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।  

এ বিষয়ে দিনাজপুর ২৯-বিজিবি সেক্টরের আওতাধীন বড় গ্রাম ক্যাম্পের দায়িত্বরত কর্মকর্তা সুবেদার সফিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তারা অবগত আছেন। কয়েকবার বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করেছেন। দ্রুতই বিষয়টির সুরাহা করার চেষ্টা চলছে।  

চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম শরীফুল হক বলেন, ‘লাশ যেহেতু ভাসতে ভাসতে ভারতীয় সীমান্তের অভ্যন্তরে চলে গেছে। একটু সময় লাগছে। বিজিবির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। তারাও চেষ্টা করছে। খুব কম সময়ের মধ্যে একটা সুরাহা হয়তো হয়ে যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

২,০০০ পুলিশের বলয়ে থাকবেন তারেক রহমান

বাগেরহাটের চিতলমারী: অবৈধ বালু উত্তোলনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট

‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ কর্মসূচি ঘোষণা রাকসুর জিএস আম্মারের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 
আজ সকালে ভালুকা উপজেলায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে ভালুকা উপজেলায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় একটি কারখানার শ্রমিককে বাসে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার জামিরদিয়া এলাকায় পিএ নিট কম্পোজিট লিমিটেডের সামনে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকদের ভাষ্য অনুযায়ী, গাজীপুর এলাকা থেকে কারখানার নিজস্ব বাসে করে শ্রমিকেরা ভালুকায় আসার পথে সৌখিন পরিবহনের একটি বাস শ্রমিকবাহী বাসটিকে ধাক্কা দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের সঙ্গে সৌখিন পরিবহনের চালকের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

একপর্যায়ে আমিনুল ইসলাম নামের এক শ্রমিক সৌখিন পরিবহনের বাসে উঠে চালকের সঙ্গে কথা-কাটাকাটিতে জড়ান। পরে তাঁকে ওই বাসের মধ্যে আটক রেখে বাসটি ময়মনসিংহের দিকে চলে যায় বলে অভিযোগ করেন শ্রমিকেরা।

এর প্রতিবাদে কারখানার শ্রমিকেরা প্রায় এক ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে শ্রমিকেরা সৌখিন পরিবহনের কয়েকটি বাস আটকে রেখে অন্য যানবাহন ছেড়ে দেন।

ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম মেহেদী মাসুদ বলেন, ‘এক শ্রমিককে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সৌখিন পরিবহনের বাসগুলো আটকে রাখা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

২,০০০ পুলিশের বলয়ে থাকবেন তারেক রহমান

বাগেরহাটের চিতলমারী: অবৈধ বালু উত্তোলনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট

‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ কর্মসূচি ঘোষণা রাকসুর জিএস আম্মারের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাতির আক্রমণ থেকে সুরক্ষায় কাপ্তাই বন বিভাগের সতর্কতামূলক কার্যক্রম

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সড়কে সতর্কবার্তা লিখে দেওয়া হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সড়কে সতর্কবার্তা লিখে দেওয়া হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাঙামাটির কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়কে বন্য হাতির চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সতর্কতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে কাপ্তাই বন বিভাগ। সম্প্রতি ওই সড়কে বন্য হাতির আক্রমণে প্রাণহানির ঘটনার পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বাড়ি ফেরার পথে বন্য হাতির আক্রমণে ঝর্ণা চাকমা ও সবিতা চাকমা নামে দুই নারী নিহত হন। এই ঘটনার পর এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং সড়কটিতে হাতির চলাচল বাড়তে থাকে।

কাপ্তাই বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, বন বিভাগের পক্ষ থেকে কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে সোলার ফেন্সিং কার্যকর করা হয়েছে। পাশাপাশি সোলার ফেন্সিংয়ের আওতার বাইরে থাকা কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়কে জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন ও সড়কে সতর্কবার্তা লিখে দেওয়া হয়েছে।

ওমর ফারুক স্বাধীন আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশনায় হাতি চলাচলের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড ও রোডমার্কিং করা হয়েছে। একই সঙ্গে কাপ্তাই রেঞ্জের পক্ষ থেকে নিয়মিত টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের বন্য হাতির চলাচল সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে, যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

২,০০০ পুলিশের বলয়ে থাকবেন তারেক রহমান

বাগেরহাটের চিতলমারী: অবৈধ বালু উত্তোলনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট

‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ কর্মসূচি ঘোষণা রাকসুর জিএস আম্মারের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দৌলতপুরে সূর্যের দেখা নেই, বাড়ছে শীতের তীব্রতা

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি 
সকালে রাস্তাঘাটে মানুষের আনাগোনা খুব কম। অফিসগামী যাত্রী ছাড়া তেমন কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। ছবি: আজকের পত্রিকা
সকালে রাস্তাঘাটে মানুষের আনাগোনা খুব কম। অফিসগামী যাত্রী ছাড়া তেমন কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় গতকাল শনিবার থেকে আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশা না থাকলেও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে যাওয়া হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে।

তীব্র শীতের কারণে কাজে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। শীতের প্রভাব পড়েছে হাটবাজারেও। অধিকাংশ বাজারে দোকানপাট খুলতে দেখা গেছে সকাল ১০টার পর। পেটের তাগিদে অনেকেই ঘরের বাইরে বের হলেও কাজ না পেয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন। অপর দিকে শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

দৌলতপুর উপজেলায় নিজস্ব আবহাওয়া অফিস না থাকায় জেলার কুমারখালী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল থেকে শুরু হওয়া এই আবহাওয়া আরও এক দিন, অর্থাৎ সোমবার পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকতে পারে। মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হলেও তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকবে। রোববার কুষ্টিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দিনমজুর মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঠান্ডা ও মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে আজ কাজে যেতে পারিনি। তা ছাড়া আমার ঠান্ডাজনিত রোগ আছে, তাই বাইরে বের হওয়াও কষ্টকর।’

উপজেলার মথুরাপুর বাজারের অটোরিকশাচালক মামুন হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকে মানুষের আনাগোনা কম। অফিসগামী যাত্রী ছাড়া তেমন কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। শীতের কারণে যাতায়াত কমে গেছে, আয়ও আগের তুলনায় অনেক কম।’

কুষ্টিয়ার কুমারখালী আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বলেন, ঘন কুয়াশা না থাকলেও মেঘাচ্ছন্ন আকাশের কারণে দু-এক দিন এমন আবহাওয়া থাকতে পারে। তবে দুপুরের পর সূর্যের দেখা মিলতে পারে এবং মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়া আরও উন্নত হবে।

এদিকে শীতের প্রভাবে হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। শিশু-বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ জ্বর, সর্দি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।

দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন, শীত থেকে বাঁচতে সবাইকে গরম পোশাক পরতে এবং অপ্রয়োজনে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের সব সময় গরম পোশাকে রাখতে এবং গরম খাবার খাওয়াতে বলা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

২,০০০ পুলিশের বলয়ে থাকবেন তারেক রহমান

বাগেরহাটের চিতলমারী: অবৈধ বালু উত্তোলনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট

‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ কর্মসূচি ঘোষণা রাকসুর জিএস আম্মারের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মধুপুরে পরিবহনের ধাক্কায় পথচারী নিহত

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার জলছত্র এলাকায় পরিবহনের ধাক্কায় আবু হানিফা আলী (৫৫) নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মহাসড়কের জলছত্র (ধরদরিয়া) এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আবু হানিফা আলী বেরিবাইদ ইউনিয়নের চুনিয়া দিগলবাইদ এলাকার বাসিন্দা এবং মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোরে জলছত্র বাজার মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় শেষে তিনি রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় পেছন দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী গাড়ি তাঁকে সজোরে ধাক্কা দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে অরনখোলা পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।

অরনখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) বিমল চন্দ পাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অজ্ঞাত পরিবহনের ধাক্কায় একজন পথচারী নিহত হয়েছেন। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

বিমল চন্দ পাইন জানান, ঘাতক পরিবহন শনাক্ত ও চালককে আটক করার জন্য তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

২,০০০ পুলিশের বলয়ে থাকবেন তারেক রহমান

বাগেরহাটের চিতলমারী: অবৈধ বালু উত্তোলনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট

‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ কর্মসূচি ঘোষণা রাকসুর জিএস আম্মারের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত