১৭ কেন্দ্রে ইভিএমে ত্রুটি, তাৎক্ষণিক সমাধানের দাবি ইসির

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১৪: ০৯
Thumbnail image

রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় মহানগর এলাকায় মোট ২২৯টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।

নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণে ধীরগতির অভিযোগ করছেন ভোটাররা। সরেজমিনে দেখা যায়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে পারছেন না অনেকে। নগরীর হাজিরহাট থানার উত্তম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন মশিউর রহমান নামের এক ভোটার। তিনি জানান, তিন ঘণ্টা ধরে লাইনে অপেক্ষা করে ভোট দিতে পারেননি। 

এদিকে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেছেন, ‘১৭ কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ত্রুটির খবর পাওয়া গেছে। তবে তাৎক্ষণিক সমাধান করা হয়েছে।’ সার্বিক বিবেচনায় নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হচ্ছে বলেও জানান তিনি। 

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে মনিটরিং রুমে তিনি এ কথা বলেন। 

আনিছুর রহমান জানান, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাড়ে তিন ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পর ১০ শতাংশ ভোট পড়েছে।

এর আগে নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘রংপুর সিটি করপোরেশনে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হচ্ছে। ভোটের আড়াই ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়া সময়ের মধ্যে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’ শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ভোটারদের উপস্থিতি আমাদের মতে সন্তোষজনক। সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিং করছি। ট্যাবের মাধ্যমে কক্ষে কক্ষে মনিটরিং করছি।’

ভোটে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএমের) ধীরগতির বিষয়টি আপেক্ষিক উল্লেখ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত দেখতে হবে কতজন লোক ইভিএমে ভোট না দিয়ে চলে গেছে। আমরা সেটা মূল্যায়ন করব। আমাদের কাছে যদি তথ্য আসে ব্যাপকসংখ্যক ভোটার ধীরগতির কারণে ভোটই দিতে পারেননি, তখন সেটাকে আমরা সিরিয়াসলি গ্রহণ করব।’ 

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে ভিড় বাড়তে শুরু করে। ছবি: মারুফ কিবরিয়া 

ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে ২২৯টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৮০৭টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছে ইসি। গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে সাংবাদিকেরা মনিটরিং রুমে অবাধে প্রবেশ করতে পারলেও এবার সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করছে আউয়াল কমিশন। 

নির্বাচনে ২ লাখ ১২ হাজার ৩০২ জন পুরুষ এবং ২ লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন নারী ভোটার ২২৯টি কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। ভোটে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে রয়েছে ১৬ জনের ফোর্স। আর সাধারণ কেন্দ্রে রয়েছে ১৫ জনের ফোর্স। 

ভোটের মাঠে খাতা-কলমে মেয়র পদে প্রার্থী ৯ জন। তবে স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, প্রার্থী ৯ জন হলেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে তিন প্রার্থীর মধ্যে। তাঁরা হলেন সদ্য বিদায়ী মেয়র জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা (লাঙল)। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া (নৌকা)। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) লতিফুর রহমান মিলন (হাতি)। তবে শেষ পর্যন্ত লড়াইটা গড়াবে মোস্তফা আর ডালিয়ার মধ্যে। 

অন্য ছয় প্রার্থী হলেন বাংলাদেশের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান (মশাল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল (হাতপাখা), খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু (দেয়ালঘড়ি), জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন (গোলাপ ফুল), বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান (ডাব), মেহেদী হাসান বনি (হরিণ)। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত