রংপুর প্রতিনিধি
রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) কাউন্সিলর জাকারিয়া আলম শিপলুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার সকালে আদালতে তোলা হলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। গত বুধবার রংপুরে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছিলেন তিনি।
রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর শিপলুকে আজ (শনিবার) আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’
গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর বিনোদপুর রেলক্রসিং এলাকার বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জাকারিয়া আলম শিপলু রসিকের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং তাজহাট মেট্রোপলিটন থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি জাল দলিল করে বিক্রির মামলায় এক বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত এবং তিনটি মামলার ওয়ারেন্টভুক্তসহ আট মামলার আসামি ছিলেন।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন বলেন, ‘রংপুর সিটি করপোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকারিয়া আলম শিপলুকে মামলার ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে জমি দখল, বাড়ি নির্মাণে বাধা দেওয়া, ভাঙচুর, মারপিট, চাঁদাবাজির অভিযোগে ২৪৪/ ২২ এবং ১৮১/ ২২ নম্বর মামলা, সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ কোর্টে বিল বকেয়া রাখার কারণে ৪০৫৪/ ২১ নম্বর মামলায় ওয়ারেন্ট ছিল। সে কারণে তাঁকে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় নগরীর বিনোদপুর এলাকার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এ ছাড়া তিনি একটি মামলায় এক বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। ওয়ারেন্টগুলো আগেই আদালত জারি করলেও প্রক্রিয়াগতভাবে ওয়ারেন্টগুলো আমাদের কাছে না থাকায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে আদালত থেকে আদেশ পাওয়ার পরপরই তাঁকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় আটটি পুলিশ ভ্যানে করে জাকারিয়া আলম শিপলুর বিনোদপুরের বাড়ি ঘেরাও করে অভিযান পরিচালনা করে মেট্রোপলিটন পুলিশ। অভিযানের খবর পেয়ে শিপলুর বাড়ির সামনে শত শত লোক জড়ো হয়। তারা বাড়ির ভেতরে প্রবেশে পুলিশকে বাধা দেয় এবং গ্রেপ্তার চেষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করতে থাকে। একপর্যায়ে অবস্থা বেগতিক হতে থাকলে কোতোয়ালি থানা থেকে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স ও জলকামান পাঠানো হয়। প্রায় চার ঘণ্টা অভিযান শেষে রাত সাড়ে ৯টায় কাউন্সিলর শিপলু বাড়ির দোতলা থেকে নিচে নেমে আসেন। এরপর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায়।
অভিযানে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা আবু মারুফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেকেরই অনেক অনুসারী থাকে। কাউন্সিলর শিপলু সাহেবের লোকজন সেখানে জড়ো হয়েছিল। তবে তারা কোনো ফোর্স করেনি।’
রসিক কাউন্সিলর জাকারিয়া আলম শিপলুর আইনজীবী মাহামুদুল হক সেলিম সাংবাদিকদের জানান, কাউন্সিলর শিপলুকে যে মামলায় কোতোয়ালি থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে, সেই মামলা সম্পর্কে তিনি জানতেন না। এই মামলার চার্জশিটে কাউন্সিলরকে অভিযুক্ত করেছে পুলিশ। শনিবার আদালতে কাউন্সিলরের জামিনের আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত শনিবার যমুনা টেলিভিশনের ‘ক্রাইম সিন’-এ জাকারিয়া আলম শিপলুর জমি জাল দলিল করে বিক্রি, জালিয়াতি, জবরদখল, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, কবরস্থানের জমি বেদখল, মাদকে পৃষ্ঠপোষকতা এবং সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে হলফনামায় তথ্য গোপণ করার বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ওই প্রতিবেদনের জেরে গত বুধবার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও জাকারিয়া আলম শিপলু আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে যমুনা টেলিভিশনের স্টাফ করেসপনডেন্ট সরকার মাজহারুল মান্নানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দাখিল করেন। আদালত দাখিল হওয়া মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং শিপলুকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বৃহস্পতিবার রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরে সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়।
রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) কাউন্সিলর জাকারিয়া আলম শিপলুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার সকালে আদালতে তোলা হলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। গত বুধবার রংপুরে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছিলেন তিনি।
রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর শিপলুকে আজ (শনিবার) আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’
গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর বিনোদপুর রেলক্রসিং এলাকার বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জাকারিয়া আলম শিপলু রসিকের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং তাজহাট মেট্রোপলিটন থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি জাল দলিল করে বিক্রির মামলায় এক বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত এবং তিনটি মামলার ওয়ারেন্টভুক্তসহ আট মামলার আসামি ছিলেন।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন বলেন, ‘রংপুর সিটি করপোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকারিয়া আলম শিপলুকে মামলার ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে জমি দখল, বাড়ি নির্মাণে বাধা দেওয়া, ভাঙচুর, মারপিট, চাঁদাবাজির অভিযোগে ২৪৪/ ২২ এবং ১৮১/ ২২ নম্বর মামলা, সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ কোর্টে বিল বকেয়া রাখার কারণে ৪০৫৪/ ২১ নম্বর মামলায় ওয়ারেন্ট ছিল। সে কারণে তাঁকে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় নগরীর বিনোদপুর এলাকার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এ ছাড়া তিনি একটি মামলায় এক বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। ওয়ারেন্টগুলো আগেই আদালত জারি করলেও প্রক্রিয়াগতভাবে ওয়ারেন্টগুলো আমাদের কাছে না থাকায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে আদালত থেকে আদেশ পাওয়ার পরপরই তাঁকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় আটটি পুলিশ ভ্যানে করে জাকারিয়া আলম শিপলুর বিনোদপুরের বাড়ি ঘেরাও করে অভিযান পরিচালনা করে মেট্রোপলিটন পুলিশ। অভিযানের খবর পেয়ে শিপলুর বাড়ির সামনে শত শত লোক জড়ো হয়। তারা বাড়ির ভেতরে প্রবেশে পুলিশকে বাধা দেয় এবং গ্রেপ্তার চেষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করতে থাকে। একপর্যায়ে অবস্থা বেগতিক হতে থাকলে কোতোয়ালি থানা থেকে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স ও জলকামান পাঠানো হয়। প্রায় চার ঘণ্টা অভিযান শেষে রাত সাড়ে ৯টায় কাউন্সিলর শিপলু বাড়ির দোতলা থেকে নিচে নেমে আসেন। এরপর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায়।
অভিযানে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা আবু মারুফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেকেরই অনেক অনুসারী থাকে। কাউন্সিলর শিপলু সাহেবের লোকজন সেখানে জড়ো হয়েছিল। তবে তারা কোনো ফোর্স করেনি।’
রসিক কাউন্সিলর জাকারিয়া আলম শিপলুর আইনজীবী মাহামুদুল হক সেলিম সাংবাদিকদের জানান, কাউন্সিলর শিপলুকে যে মামলায় কোতোয়ালি থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে, সেই মামলা সম্পর্কে তিনি জানতেন না। এই মামলার চার্জশিটে কাউন্সিলরকে অভিযুক্ত করেছে পুলিশ। শনিবার আদালতে কাউন্সিলরের জামিনের আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত শনিবার যমুনা টেলিভিশনের ‘ক্রাইম সিন’-এ জাকারিয়া আলম শিপলুর জমি জাল দলিল করে বিক্রি, জালিয়াতি, জবরদখল, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, কবরস্থানের জমি বেদখল, মাদকে পৃষ্ঠপোষকতা এবং সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে হলফনামায় তথ্য গোপণ করার বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ওই প্রতিবেদনের জেরে গত বুধবার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও জাকারিয়া আলম শিপলু আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে যমুনা টেলিভিশনের স্টাফ করেসপনডেন্ট সরকার মাজহারুল মান্নানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দাখিল করেন। আদালত দাখিল হওয়া মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং শিপলুকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বৃহস্পতিবার রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরে সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়।
বরিশাল আইএইচটিতে সিনিয়র-জুনিয়র সংঘর্ষের ঘটনায় এক শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব স্থগিত, আটজন বহিষ্কার এবং একজনকে সতর্ক করা হয়েছে। শাস্তি নিশ্চিত করতে তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
১০ মিনিট আগেজেলার খবর, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, সুবর্ণচর, গৃহবধূ, লাশ উদ্ধার, স্বজন, অভিযোগ, পিটিয়ে হত্যা
১৩ মিনিট আগেবাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পর কোণঠাসা করে রাখতে নিজের মাকে জামায়াতের রুকন বলে প্রচার করেছেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। তুরিন একসময় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২৪ মিনিট আগেরাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে থেকে সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা রাহেনুল হকের ছেলে রেজাউন-উল হক তরঙ্গকে (২৭) অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি করা হয়। আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। তবে স্থানীয় যুবদল-ছাত্রদলের মধ্যস্থতায় তরঙ্গকে মুক্তি দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগে