পঞ্চগড়ে মরিচের বাম্পার ফলন, গতবছরের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আশা

প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২১, ১৬: ১৪

পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ে এবার মরিচ চাষ হয়েছে ১২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে স্থানীয় জাতের মরিচ ছাড়াও উচ্চফলনশীল (হাইব্রিড) জাতের বাঁশ গাইয়া, জিরা, মল্লিকা, বিন্দু, হটমাস্টার, সুরক্ষাসহ বিভিন্ন জাতের মরিচের ব্যাপক চাষ হয়েছে। যেসব উঁচু জমিতে অন্য ফসল ভালো হয় না সেসব জমিতে এবার বেশি মরিচ চাষ করেছেন চাষিরা।

গতবছর টেপাপচা রোগের কারণে মরিচের উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসায় যে ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন এবার তা পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে আশা করছেন চাষিরা।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের মরিচ চাষি আবুল কালাম আজাদ জানান, এই অঞ্চলের চাষিরা মরিচ চাষ করে প্রতিবছর আর্থিকভাবে লাভবান হয়। কিন্ত বেশ কয়েকে বছর ধরে বিভিন্ন রোগ বালাইয়ের কারণে মরিচ আবাদে চাষিদের উৎকন্ঠা বেড়েছে।

আটোয়ারা উপজেলার মরিচ চাষি পশির উদ্দিন, মনজ রায় ও ঢেপারু মোহাম্মদ জানায়, বেশ কয়েকবছর ধরে মরিচের আবাদ খারাপ হলেও এবার ফলন ভাল হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে যদি ব্যবসায়ীরা এলাকায় মরিচ কিনতে আসতে না পারে তাহলে চাষিরা আর্থিক সংকটে পড়বে।

দেশের বিভিন্ন স্থানের বড় ধরনের চাহিদা মিটিয়ে আসছে পঞ্চগড়ের উৎপাদিত মরিচ। সাইজ, রঙ এবং স্বাদে এখানকার মরিচের কদর খুব বেশি। গত কয়েকবছর ধরে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে উৎপাদনে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ে চাষিরা।

কৃষি কর্মকর্তারা রোগটিকে বলছেন এনথ্রাকনোজ। মরিচ গাছগুলো হলদে রঙ ধারণ করে ঝলসে যায়। ধূসর রঙ ধারণ করে গাছ থেকে মরিচ ঝরে যায়। তাই এ বছর চাষিরা কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ মেনে ওষুধ প্রয়োগ করায় মরিচের ভালো ফলন পেয়েছে।

পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবীদ মো. মিজানুর রহমান জানান, মাঝে মাঝে বৃষ্টি, অসময়ে কুয়াশা এবং দিন ও রাতের তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে মরিচের এই এনথ্রাকনোজ (স্থানীয়রা বলেন টেপাপচা) রোগ হয়। এই রোগে কৃষকদের আতঙ্কিত না হয়ে ছত্রাক নাশক ছিটানোর পরমার্শ দিচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তারা। তবে এ বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এই রোগের বিস্তার ঘটার আর কোন আশংকা নেই।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত