দিনাজপুর প্রতিনিধি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, অতীতে যাই হয়েছে সবকিছুকে কবর দিয়ে সামনে একটা সোনার বাংলাদেশ গড়তে চাই। যেখানে কেউ যেন কাউকে পাহারা দেওয়ার দরকার না হয়। প্রত্যেক মানুষকে বিবেক পাহারা দেবে। একজনের ইজ্জতে, সম্পদে আরেকজনের হাত দেওয়া যাবে না। আমার যেমন সম্মান নিয়ে, সম্পদ নিয়ে বাঁচার অধিকার আছে, আরেকজনেরও আছে।
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আমরা মিলেমিশে একটা মানবিক সমাজ গড়তে চাই। যে সমাজে ধর্ম-বর্ণের ভিত্তিতে কোনো বিভাজন থাকবে না। যে সমাজে বিভাজন থাকে সেটা মানবিক সমাজ না, ওটা মানুষের সমাজ না।’
শফিকুর রহমান আজ সোমবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে হেলিকপ্টারে করে দিনাজপুর গোর এ শহীদ বড় ময়দানে আসেন। সেখান থেকে তিনি ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহরের পাহাড়পুরে রুদ্র সেনের বাসায় যান। সেখানে তিনি রুদ্রের বাবা সুবীর সেন ও মা শিখা বণিককে সান্ত্বনা দেন।
এ সময় জামায়াতের আমির বলেন, ‘রুদ্র মা-বাবার একমাত্র ছেলে সন্তান। তাঁকে ঘিরে মা-বাবার অনেক স্বপ্ন ছিল। রুদ্র বেঁচে থাকলে ভালো ইঞ্জিনিয়ার হতো। রাষ্ট্রকে সে কিছু দিতে পারত। কিন্তু সে চলে গিয়ে যা দিয়ে গেছে এটা রুদ্রের মতো আরও এক হাজার জনকে একসঙ্গে করলেও তা হবে না। রুদ্ররা বারবার ফিরে আসে আগামীর তরুণদের বুকে। তারা গর্ভ ভরে স্মরণ করবে যে আমাদেরও একজন রুদ্র ছিল, একজন আবু সাঈদ, একজন মুগ্ধ ছিল।’
জামায়াতে আমির আরও বলেন, ‘যিনি সন্তান হারিয়েছেন তিনি বোঝেন কলিজাটা কয় টুকরা হয়েছে। যাদের স্বজন হারায়নি তাঁরা এটা বুঝবে না। তাদের পরিবারের এই অপূরণীয় ক্ষতি কোনো দিন পূরণ হওয়ার নয়।’ এসব কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন জামায়াত আমির। তিনি বলেন, ‘আপনারা একা নন, এখন থেকে আমরা আপনাদের একজন। আমরা আপনাদের দুঃখকে ভাগাভাগি করে নিতে চাই।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘রুদ্রর মতো হাজারো মানুষ যারা জীবন দিয়ে গেল এই জাতি যেন তাঁদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা না করে। আগামীতে যারা সরকার চালাবেন, দেশ চালাবেন তাঁরা যেন এই আবেগ, এই চিন্তা এবং তাঁদের কামনার জায়গাটাকে সম্মান করেন।’ এ সময় তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে প্রধান ফটকের নাম শহীদ রুদ্র গেট রেখেছেন সেটি পরিবর্তন না করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আপনারা সমাজের কালকে কালো হিসেবে মূল্যায়ন করবেন। সাদাকে সাদা হিসেবে তুলে ধরে সমাজকে উৎসাহিত করবেন। কালদেরকে এই সমাজ থেকে অপসারিত করতে কলমযোদ্ধা, বাগযোদ্ধা হিসেবে বিশেষ দায়িত্ব পালন করতে হবে। সেই কাল ব্যক্তি যদি আমি হই আমাকেও ছাড় দেবেন না, ক্ষমা করবেন না। আর যারা সাদা তাদেরকে শক্তি যোগ করে সামনে এগিয়ে দিতে হবে।’
দিনাজপুর ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে দিনাজপুর জেলা (উত্তর) জামায়াতে ইসলামী আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে নিহত রুদ্র সেনসহ বিভিন্ন শহীদ ও আহতদের জন্য সমাবেশ ও দোয়া অনুষ্ঠানের। সমাবেশ শেষে শফিকুর রহমান উপস্থিত ছয়জন শহীদ পরিবারের খোঁজ খবর নেন ও তাঁদের প্রত্যেকে দুই লাখ টাকা করে দেন।
দিনাজপুর জেলা (উত্তর) জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাহবুবুর রহমান বেলাল, জেলা জামায়াতের সাবেক আমির আফতাব উদ্দিন মোল্লা, দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা নায়েবে আমির মাহবুবুর রহমান ভুট্টো, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাইনুল আলম, সিরাজুস সালেহীন প্রমুখ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, অতীতে যাই হয়েছে সবকিছুকে কবর দিয়ে সামনে একটা সোনার বাংলাদেশ গড়তে চাই। যেখানে কেউ যেন কাউকে পাহারা দেওয়ার দরকার না হয়। প্রত্যেক মানুষকে বিবেক পাহারা দেবে। একজনের ইজ্জতে, সম্পদে আরেকজনের হাত দেওয়া যাবে না। আমার যেমন সম্মান নিয়ে, সম্পদ নিয়ে বাঁচার অধিকার আছে, আরেকজনেরও আছে।
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আমরা মিলেমিশে একটা মানবিক সমাজ গড়তে চাই। যে সমাজে ধর্ম-বর্ণের ভিত্তিতে কোনো বিভাজন থাকবে না। যে সমাজে বিভাজন থাকে সেটা মানবিক সমাজ না, ওটা মানুষের সমাজ না।’
শফিকুর রহমান আজ সোমবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে হেলিকপ্টারে করে দিনাজপুর গোর এ শহীদ বড় ময়দানে আসেন। সেখান থেকে তিনি ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহরের পাহাড়পুরে রুদ্র সেনের বাসায় যান। সেখানে তিনি রুদ্রের বাবা সুবীর সেন ও মা শিখা বণিককে সান্ত্বনা দেন।
এ সময় জামায়াতের আমির বলেন, ‘রুদ্র মা-বাবার একমাত্র ছেলে সন্তান। তাঁকে ঘিরে মা-বাবার অনেক স্বপ্ন ছিল। রুদ্র বেঁচে থাকলে ভালো ইঞ্জিনিয়ার হতো। রাষ্ট্রকে সে কিছু দিতে পারত। কিন্তু সে চলে গিয়ে যা দিয়ে গেছে এটা রুদ্রের মতো আরও এক হাজার জনকে একসঙ্গে করলেও তা হবে না। রুদ্ররা বারবার ফিরে আসে আগামীর তরুণদের বুকে। তারা গর্ভ ভরে স্মরণ করবে যে আমাদেরও একজন রুদ্র ছিল, একজন আবু সাঈদ, একজন মুগ্ধ ছিল।’
জামায়াতে আমির আরও বলেন, ‘যিনি সন্তান হারিয়েছেন তিনি বোঝেন কলিজাটা কয় টুকরা হয়েছে। যাদের স্বজন হারায়নি তাঁরা এটা বুঝবে না। তাদের পরিবারের এই অপূরণীয় ক্ষতি কোনো দিন পূরণ হওয়ার নয়।’ এসব কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন জামায়াত আমির। তিনি বলেন, ‘আপনারা একা নন, এখন থেকে আমরা আপনাদের একজন। আমরা আপনাদের দুঃখকে ভাগাভাগি করে নিতে চাই।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘রুদ্রর মতো হাজারো মানুষ যারা জীবন দিয়ে গেল এই জাতি যেন তাঁদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা না করে। আগামীতে যারা সরকার চালাবেন, দেশ চালাবেন তাঁরা যেন এই আবেগ, এই চিন্তা এবং তাঁদের কামনার জায়গাটাকে সম্মান করেন।’ এ সময় তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে প্রধান ফটকের নাম শহীদ রুদ্র গেট রেখেছেন সেটি পরিবর্তন না করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আপনারা সমাজের কালকে কালো হিসেবে মূল্যায়ন করবেন। সাদাকে সাদা হিসেবে তুলে ধরে সমাজকে উৎসাহিত করবেন। কালদেরকে এই সমাজ থেকে অপসারিত করতে কলমযোদ্ধা, বাগযোদ্ধা হিসেবে বিশেষ দায়িত্ব পালন করতে হবে। সেই কাল ব্যক্তি যদি আমি হই আমাকেও ছাড় দেবেন না, ক্ষমা করবেন না। আর যারা সাদা তাদেরকে শক্তি যোগ করে সামনে এগিয়ে দিতে হবে।’
দিনাজপুর ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে দিনাজপুর জেলা (উত্তর) জামায়াতে ইসলামী আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে নিহত রুদ্র সেনসহ বিভিন্ন শহীদ ও আহতদের জন্য সমাবেশ ও দোয়া অনুষ্ঠানের। সমাবেশ শেষে শফিকুর রহমান উপস্থিত ছয়জন শহীদ পরিবারের খোঁজ খবর নেন ও তাঁদের প্রত্যেকে দুই লাখ টাকা করে দেন।
দিনাজপুর জেলা (উত্তর) জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাহবুবুর রহমান বেলাল, জেলা জামায়াতের সাবেক আমির আফতাব উদ্দিন মোল্লা, দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা নায়েবে আমির মাহবুবুর রহমান ভুট্টো, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাইনুল আলম, সিরাজুস সালেহীন প্রমুখ।
পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর কাছে কোমরতাঁতে বোনা কাপড় খুবই জনপ্রিয়। আর এ কাপড় বোনেন পাহাড়ি নারীরা। তবে আধুনিক বয়নশিল্পের প্রভাব এবং সুতাসহ কাঁচামালের দাম বাড়ায় এখন আর পোষাতে পারছেন না তাঁরা। সরকারের পক্ষ থেকেও নেই এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখার কোনো উদ্যোগ। তাই হারাতে বসেছে পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী এ শিল
১২ মিনিট আগেহবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে পড়ে গুরুতর আঘাত পেয়ে সাদিকুর রহমান সাদিক (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সন্দলপুরে নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১৮ মিনিট আগেডিসেম্বরের ২০ তারিখ বিয়ে। অনুষ্ঠানের জন্য ঠিক করা হয়েছে ক্লাবও। পরিবারের পক্ষ থেকে চলছিল কেনাকাটাসহ বিয়ের নানা আয়োজন। এরমধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ইশরাত জাহান তামান্না (২০)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
৪২ মিনিট আগেরাজশাহীতে দুই পক্ষের মীমাংসার সময় বিএনপির এক নেতাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের ভদ্রা এলাকায় রাজশাহী মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুর রহমান মন্টুর ওপর এ হামলা হয়। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে