ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক জহুরুল ইসলামের (২৭) লাশ দুই দিনেও ফেরত পায়নি পরিবার। মরদেহ ফেরত পাওয়ার অপেক্ষায় সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন স্ত্রী, সন্তান, বাবা–মা ও স্বজনেরা। কবর খুঁড়ে প্রস্তুত করে রেখেছে পরিবার।
বিজিবি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার ভোরে হরিপুর উপজেলার গেদুড়া ইউনিয়নের কাঁঠালডাঙ্গী সীমান্তের ৩৭০ / ৩ এস সীমান্তখুঁটি এলাকা দিয়ে জহুরুল ইসলাম, মোখলেছুর রহমানসহ গরু পারাপারকারী দলের কয়েকজন সদস্য অবৈধপথে ভারতের ওপারের নারগাঁও ক্যাম্পের কাছাকাছি যান। টের পেয়ে বিএসএফ সাত–আটটি গুলি ছোড়ে। দলের অন্য সদস্যরা পালিয়ে এলেও জহুরুল ও মোখলেছুর গুলিবিদ্ধ হন।
পরে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মোখলেছুর রহমান বাংলাদেশ অংশে চলে এলেও জহুরুলকে বিএসএফ ধরে নিয়ে সীমান্তের একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই দিন সকালে গ্রামবাসী মোখলেছুর রহমানের নিথর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে ময়নাতদন্ত করে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) মোখলেছুর রহমানের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জহুল ইসলাম হরিপুর উপজেলার উপজেলার গেরুয়াডাঙ্গী গ্রামের আব্দুল বাসেতের ছেলে। আর মোখলেছুর রহমান (২৮) একই গ্রামের নজরুল ইসলাম ছেলে।
জহুরুল ইসলামের বড় ভাই আব্দুর রহমান বলেন, কৃষিকাজের পাশাপাশি গরুর ব্যবসা করতেন তাঁর ভাই। তাঁর দুই বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
দুই দিন ধরে ভাইয়ের লাশ ফেরত পাওয়ার অপেক্ষায় তাঁরা। বুধবার দেওয়ার কথা থাকলেও বিএসএফ দেয়নি। এদিকে কবর খুঁড়ে প্রস্তুত করে রেখেছেন তাঁরা।
বিজিবির ভাষ্যমতে, সীমান্তে দুই যুবক নিহতের ঘটনায় বিএসএফকে ঠাকুরগাঁও বিজিবির সেক্টর কমান্ডার গত ৪ ডিসেম্বর একটি প্রতিবাদলিপি দেন। একই দিন বিকেলে ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি ও বিএসএফের অধিনায়ক (সিও) পর্যায়ে সীমান্তে পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে হত্যাকাণ্ডের কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও–৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের হরিপুর উপজেলার কাঁঠালডাঙ্গী বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার এমতাজুল হক সেলফোনে বলেন, ‘জহুরুলের মরদেহ ভারতের শিলিগুড়ির একটি হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। ভারতীয় নারগাঁও ক্যাম্প বিএসএফ সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁদের অফিশিয়াল কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় জহুরুলের লাশ এখন দেবে না। কবে নাগাদ দেবে এ বিষয়েও সুস্পষ্ট কিছুই জানায়নি।’
হরিপুর গেদুড়া ইউপি চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারের কাছে জহুরুলের লাশ ফেরত আনার ব্যবস্থা করার অনুরোধ করছি। পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাচ্ছি।’
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক জহুরুল ইসলামের (২৭) লাশ দুই দিনেও ফেরত পায়নি পরিবার। মরদেহ ফেরত পাওয়ার অপেক্ষায় সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন স্ত্রী, সন্তান, বাবা–মা ও স্বজনেরা। কবর খুঁড়ে প্রস্তুত করে রেখেছে পরিবার।
বিজিবি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার ভোরে হরিপুর উপজেলার গেদুড়া ইউনিয়নের কাঁঠালডাঙ্গী সীমান্তের ৩৭০ / ৩ এস সীমান্তখুঁটি এলাকা দিয়ে জহুরুল ইসলাম, মোখলেছুর রহমানসহ গরু পারাপারকারী দলের কয়েকজন সদস্য অবৈধপথে ভারতের ওপারের নারগাঁও ক্যাম্পের কাছাকাছি যান। টের পেয়ে বিএসএফ সাত–আটটি গুলি ছোড়ে। দলের অন্য সদস্যরা পালিয়ে এলেও জহুরুল ও মোখলেছুর গুলিবিদ্ধ হন।
পরে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মোখলেছুর রহমান বাংলাদেশ অংশে চলে এলেও জহুরুলকে বিএসএফ ধরে নিয়ে সীমান্তের একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই দিন সকালে গ্রামবাসী মোখলেছুর রহমানের নিথর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে ময়নাতদন্ত করে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) মোখলেছুর রহমানের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জহুল ইসলাম হরিপুর উপজেলার উপজেলার গেরুয়াডাঙ্গী গ্রামের আব্দুল বাসেতের ছেলে। আর মোখলেছুর রহমান (২৮) একই গ্রামের নজরুল ইসলাম ছেলে।
জহুরুল ইসলামের বড় ভাই আব্দুর রহমান বলেন, কৃষিকাজের পাশাপাশি গরুর ব্যবসা করতেন তাঁর ভাই। তাঁর দুই বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
দুই দিন ধরে ভাইয়ের লাশ ফেরত পাওয়ার অপেক্ষায় তাঁরা। বুধবার দেওয়ার কথা থাকলেও বিএসএফ দেয়নি। এদিকে কবর খুঁড়ে প্রস্তুত করে রেখেছেন তাঁরা।
বিজিবির ভাষ্যমতে, সীমান্তে দুই যুবক নিহতের ঘটনায় বিএসএফকে ঠাকুরগাঁও বিজিবির সেক্টর কমান্ডার গত ৪ ডিসেম্বর একটি প্রতিবাদলিপি দেন। একই দিন বিকেলে ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি ও বিএসএফের অধিনায়ক (সিও) পর্যায়ে সীমান্তে পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে হত্যাকাণ্ডের কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও–৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের হরিপুর উপজেলার কাঁঠালডাঙ্গী বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার এমতাজুল হক সেলফোনে বলেন, ‘জহুরুলের মরদেহ ভারতের শিলিগুড়ির একটি হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। ভারতীয় নারগাঁও ক্যাম্প বিএসএফ সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁদের অফিশিয়াল কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় জহুরুলের লাশ এখন দেবে না। কবে নাগাদ দেবে এ বিষয়েও সুস্পষ্ট কিছুই জানায়নি।’
হরিপুর গেদুড়া ইউপি চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারের কাছে জহুরুলের লাশ ফেরত আনার ব্যবস্থা করার অনুরোধ করছি। পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাচ্ছি।’
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি পয়েন্টে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং চোরাচালান বন্ধে বুলেটপ্রুফ গাড়ি নিয়ে টহল শুরু করেছে বিজিবি। আজ শুক্রবার দুপুর থেকে চোরাচালানের জোন বলে খ্যাত সীমান্ত সড়কের ৪২ নম্বর পিলার থেকে ৫৪ নম্বর পিলার পর্যন্ত আট কিলোমিটার এলাকায় টহল দিচ্ছেন বিজিবির
১৭ মিনিট আগেবাগেরহাটের কচুয়ায় ‘চলো পাল্টাই’ সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা বিনা লাভের বাজার চালু করেছে। খোলা বাজারের চেয়ে ১০-২০ টাকা কমে আলু, পেঁয়াজ, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
২৭ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
১ ঘণ্টা আগেপদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
১ ঘণ্টা আগে