Ajker Patrika

তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে পানি, দুশ্চিন্তায় পারের মানুষ

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪: ২২
তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে পানি, দুশ্চিন্তায় পারের মানুষ

তিস্তা নদীর পানি বেড়ে রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ভাঙছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের ফসলি জমি ও বসতবাড়ি। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। 

সন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভার মধ্যে ৭ ইউনিয়নের ওপর দিয়ে তিস্তা নদী প্রবাহিত হয়েছে। ইউনিয়ন ৭টি হলো, তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, শ্রীপুর, কাপাসিয়া, কঞ্চিবাড়ী ও শ্রীপুর ইউনিয়ন। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে কোথাও কোথাও ভাঙছে ফসলি জমি। এতে চরম দুশ্চিন্তায় আছেন নদীর দুই পাড়ের মানুষ। 

এ বিষয়ে কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মন্জু মিয়া বলেন, ‘নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল স্রোত দেখা দিয়েছে। আমার ইউনিয়নের ৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের অবস্থা খুবই খারাপ। ফসিল জমিসহ ভাঙছে ঘরবাড়ি। এ পর্যন্ত ৩টি বসতবাড়ি নদীতে গেছে।’ 

হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের পাড়া সাদুয়া ও লখিয়ার পাড়া গ্রামের অবস্থা খুবই খারাপ। এ পর্যন্ত দুটি বাড়ি নদীর পেটে গেছে। পানির তীব্র স্রোতে ফসিল জমি ভাঙছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এভাবে চললে ভয়াবহ রূপ নিবে তিস্তা নদী।’ 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. ওয়ালিফ মণ্ডল বলেন, ‘তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা ব্যাপক তৎপর আছি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি এবং আমরা নিজেরাও যাচ্ছি।’ 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজির হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রশাসন তৎপর আছে। সংশ্লিষ্টদের খোঁজ নিয়ে জানাতে বলেছি। তথ্য পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হকের রোববার দুপুর ১২টায় পাঠানো এক বার্তায় জানা যায়, রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ওয়াটার লেভেল ২৯.৬৪ মিটার ও ডেঞ্জার লেভেল ২৯.৩১ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় পানির উচ্চতা বেড়েছে ৫৪ সেন্টিমিটার। নতুন করে আর বৃষ্টি না হলে আগামী ২৪ ঘণ্টা পর থেকে পানি কমার সম্ভাবনা আছে বলেও জানান এ প্রকৌশলী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত