ঠাকুরগাঁওয়ে কুমড়াখেতে মোজাইকের আক্রমণ, চিন্তিত কৃষক

সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
Thumbnail image

কয়েক বছর ধরে ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় মিষ্টি কুমড়া বেশি করে চাষে আগ্রহী হয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকেরা। কিন্তু এবার কুমড়াখেতে দেখা দিয়েছে মোজাইক নামক ভাইরাস। ফলন রক্ষায় কয়েক দফা কীটনাশক ছিটিয়েও কাজ হচ্ছে না। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলার অনেক কৃষক।

জেলার সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি, ভুল্লি, নারগুন, বড় বালিয়া, ঢোলারহাট আউলিয়াপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, খেতের মিষ্টিকুমড়া গাছে ফুল ও ফল ধরেছে। মোজাইক ভাইরাসের আক্রমণ দেখা দেওয়ায় শত শত বিঘা জমির কুমড়া গাছ বিবর্ণ হয়ে গেছে। পাতা হলুদ হয়ে যাচ্ছে।

সদর উপজেলার বেগুনবাড়ী গ্রামের কুমড়া চাষি মহসিন আলী বলেন, ‘খেতের গাছ বড় হয়েছে। ডগাও ছড়িয়ে পড়েছে। ফুল-ফল আসতে শুরু করেছে। আর এই সময়ে ডগা, ও কচিপাতা সরু হয়ে কুঁচকে হলুদ হয়ে যাচ্ছে। এতে ফল টিকছে না।’

দেলোয়ার হোসেন নামের সদর উপজেলার নারগুন কহর পাড়া গ্রামের আরেক কুমড়া চাষি জানান, তিনি চার একর জমিতে কুমড়া লাগিয়েছেন। চাষে তাঁর খরচ হয়েছে ৯০ হাজার টাকা। এখন পুরো খেতে মোজাইক ভাইরাস আক্রমণ করেছে। কয়েক দফা কীটনাশক দিয়েও কাজ না হওয়ায় তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলার হাটে মোজাইক ভাইরাসের আক্রমণে কুমড়ার পাতা হলুদ হয়ে যাচ্ছেহরিপুর উপজেলার বর্গাচাষি সাইফুল আলম জানান, তাঁর দুই একর জমির মিষ্টি কুমড়াখেতে মোজাইক ভাইরাস দেখা দিয়েছে। লাভের আশায় অনেক পুঁজি বিনিয়োগ করে তিনি এখন ঝুঁকির মুখে আছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও জেলায় এ বছর ১ হাজার ১০৫ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) আলমগীর কবির বলেন, মোজাইক ভাইরাস দমনে কৃষি বিভাগ থেকে চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আক্রান্ত গাছ খেত থেকে তুলে ফেললেই ভাইরাস অনেকটা দমন হয়। এ ছাড়া কৃষকেরা সচেতন হলে অনেক রোগ থেকেই ফসল বাঁচানো সম্ভব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত