আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা ভাগ হয়েছে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রে। সমতল ও চরাঞ্চলের জনজীবনের বেশ পার্থক্য রয়েছে। চরাঞ্চলের মানুষের কেনাকাটা মূলত হাটনির্ভর। আর তাই জনপ্রিয় ফুলছড়ির হাট। চরাঞ্চলে যা উৎপাদিত হয়, তার একটি বড় অংশ বিক্রি হয় এই হাটে। গাইবান্ধার এই হাটের অন্যতম পণ্য লাল মরিচ।
শনি ও মঙ্গলবার—সপ্তাহে এই দুই দিন বসে ফুলছড়ি হাট। কাকডাকা ভোর থেকে হাটে আনা শুরু হয় লাল টুকটুকে মরিচ। নৌকা আর ঘোড়ার গাড়িতে করে গাইবান্ধার ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা এবং জামালপুর জেলার বিভিন্ন চর থেকে মরিচ বিক্রি করতে আসেন কৃষক ও পাইকারেরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় হাঁকডাক। বাড়ে ক্রেতা ও বিক্রেতার ব্যস্ততা। দুপুর পর্যন্ত চলে এই হাট। এরপর বস্তা বোঝাই করে সেই লাল মরিচ যায় দেশের নানান গন্তব্যে।
ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের খাটিয়ামারি গ্রামের সাইদুর রহমান বলেন, প্রতি বিঘা মরিচ উৎপাদনে খরচ হয় ২৫-৩০ হাজার টাকা। বিঘায় কাঁচা মরিচ ৫০ মণ হলে তা রোদে শুকানোর পর ৯-১০ মণ হয়। প্রতিমণ শুকনা মরিচ ১২-১৩ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। সব খরচ বাদ দিয়ে ৬০ হাজার টাকার মতো লাভ থাকে।
গাইবান্ধার শুকনা লাল মরিচের কদর রয়েছে দেশজুড়ে। এর অন্যতম কারণ মরিচের আকার ও স্বাদ। আর ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, যমুনা ও করতোয়াবেষ্টিত চরগুলোয় মরিচের ফলনও বেশি। সাধারণত বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরেই চরের পলি মাটিতে রোপণ করা হয় মরিচের চারা। চরাঞ্চলের এই লাল মরিচ চরের মানুষের কাছে লাল সোনা নামে পরিচিত।
চরাঞ্চলের কৃষকদের ফলানো মরিচ নিতে পাইকারের ভিড় কম নয়। বগুড়া, নওগাঁ, রাজশাহী, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকারেরা এই ফুলছড়ি হাটে আসেন। তবে এখান থেকে বেশি মরিচ কেনেন ভোগ্যপণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
বগুড়া থেকে ফুলছড়ি হাটে মরিচ কিনতে আসা সালেহ আকন্দ বলেন, ‘এখানকার মরিচের মানটা অনেক ভালো। তবে দাম একটু বেশি। ভোরবেলায় ট্রাক নিয়ে এসেছি এই হাটে মরিচ কেনার জন্য।’
জয়পুরহাট থেকে মরিচ কিনতে আসা জুয়েল মিয়া বলেন, ‘প্রতি হাটে এখান থেকে ৩০-৪০ মণ মরিচ কিনে নিয়ে যাই। স্থানীয় কিছু হাটে পাইকারি বিক্রির পাশাপাশি বিভিন্ন কোম্পানিকে দিয়ে থাকি।’
ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত পুরাতন উপজেলা হেডকোয়ার্টার্স মাঠে ২০০২ সাল থেকে বসে এই মরিচের হাট। ফেব্রুয়ারি মাঝামাঝি থেকে মে মাস পর্যন্ত ভরা মৌসুমে মরিচ বেশি বিক্রি হয়। অন্যান্য সময়ে বেচাবিক্রি কম হয়। ফুলছড়ি হাটের ইজারাদার বজলুর রহমান বলেন, প্রতি হাটে শুধু চরাঞ্চলের শুকনা লাল মরিচ কোটি টাকার ওপরে বিক্রি হয়।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. খোরশেদ আলম দৈনিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, আবহাওয়া ও মাটি উর্বর হওয়ায় চরাঞ্চলে দিন দিন মরিচ চাষের পরিমাণ বাড়ছে। চরের লোকজনও মরিচ চাষে ঝুঁকছেন এবং মরিচ চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা ভাগ হয়েছে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রে। সমতল ও চরাঞ্চলের জনজীবনের বেশ পার্থক্য রয়েছে। চরাঞ্চলের মানুষের কেনাকাটা মূলত হাটনির্ভর। আর তাই জনপ্রিয় ফুলছড়ির হাট। চরাঞ্চলে যা উৎপাদিত হয়, তার একটি বড় অংশ বিক্রি হয় এই হাটে। গাইবান্ধার এই হাটের অন্যতম পণ্য লাল মরিচ।
শনি ও মঙ্গলবার—সপ্তাহে এই দুই দিন বসে ফুলছড়ি হাট। কাকডাকা ভোর থেকে হাটে আনা শুরু হয় লাল টুকটুকে মরিচ। নৌকা আর ঘোড়ার গাড়িতে করে গাইবান্ধার ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা এবং জামালপুর জেলার বিভিন্ন চর থেকে মরিচ বিক্রি করতে আসেন কৃষক ও পাইকারেরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় হাঁকডাক। বাড়ে ক্রেতা ও বিক্রেতার ব্যস্ততা। দুপুর পর্যন্ত চলে এই হাট। এরপর বস্তা বোঝাই করে সেই লাল মরিচ যায় দেশের নানান গন্তব্যে।
ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের খাটিয়ামারি গ্রামের সাইদুর রহমান বলেন, প্রতি বিঘা মরিচ উৎপাদনে খরচ হয় ২৫-৩০ হাজার টাকা। বিঘায় কাঁচা মরিচ ৫০ মণ হলে তা রোদে শুকানোর পর ৯-১০ মণ হয়। প্রতিমণ শুকনা মরিচ ১২-১৩ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। সব খরচ বাদ দিয়ে ৬০ হাজার টাকার মতো লাভ থাকে।
গাইবান্ধার শুকনা লাল মরিচের কদর রয়েছে দেশজুড়ে। এর অন্যতম কারণ মরিচের আকার ও স্বাদ। আর ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, যমুনা ও করতোয়াবেষ্টিত চরগুলোয় মরিচের ফলনও বেশি। সাধারণত বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরেই চরের পলি মাটিতে রোপণ করা হয় মরিচের চারা। চরাঞ্চলের এই লাল মরিচ চরের মানুষের কাছে লাল সোনা নামে পরিচিত।
চরাঞ্চলের কৃষকদের ফলানো মরিচ নিতে পাইকারের ভিড় কম নয়। বগুড়া, নওগাঁ, রাজশাহী, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকারেরা এই ফুলছড়ি হাটে আসেন। তবে এখান থেকে বেশি মরিচ কেনেন ভোগ্যপণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
বগুড়া থেকে ফুলছড়ি হাটে মরিচ কিনতে আসা সালেহ আকন্দ বলেন, ‘এখানকার মরিচের মানটা অনেক ভালো। তবে দাম একটু বেশি। ভোরবেলায় ট্রাক নিয়ে এসেছি এই হাটে মরিচ কেনার জন্য।’
জয়পুরহাট থেকে মরিচ কিনতে আসা জুয়েল মিয়া বলেন, ‘প্রতি হাটে এখান থেকে ৩০-৪০ মণ মরিচ কিনে নিয়ে যাই। স্থানীয় কিছু হাটে পাইকারি বিক্রির পাশাপাশি বিভিন্ন কোম্পানিকে দিয়ে থাকি।’
ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত পুরাতন উপজেলা হেডকোয়ার্টার্স মাঠে ২০০২ সাল থেকে বসে এই মরিচের হাট। ফেব্রুয়ারি মাঝামাঝি থেকে মে মাস পর্যন্ত ভরা মৌসুমে মরিচ বেশি বিক্রি হয়। অন্যান্য সময়ে বেচাবিক্রি কম হয়। ফুলছড়ি হাটের ইজারাদার বজলুর রহমান বলেন, প্রতি হাটে শুধু চরাঞ্চলের শুকনা লাল মরিচ কোটি টাকার ওপরে বিক্রি হয়।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. খোরশেদ আলম দৈনিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, আবহাওয়া ও মাটি উর্বর হওয়ায় চরাঞ্চলে দিন দিন মরিচ চাষের পরিমাণ বাড়ছে। চরের লোকজনও মরিচ চাষে ঝুঁকছেন এবং মরিচ চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
ঢাকার ধামরাইয়ে তিন দফা দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীরামপুর এলাকার গ্রাফিক্স টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিকেরা এ বিক্ষোভ করেন। এ সময় অবরোধস্থলের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
৫ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে খালের পানিতে ডুবে চার বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের কাকড়াবুনিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
৬ ঘণ্টা আগেযশোরের অভয়নগরে পুকুরে ডুবে এক দেড় বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে উপজেলার অভয়নগর গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৬ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচারকালে সেলিম হোসেন (২৬) নামে এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা–৬ বিজিবির দর্শনা বিওপির একটি টহলদল তাকে আটক করে।
৬ ঘণ্টা আগে