নীলফামারীতে ডিগ্রি পরীক্ষাকেন্দ্রে অনিয়ম, অধ্যক্ষকে শোকজ

নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২১: ০১
ডোমার মহিলা ডিগ্রি কলেজ। ছবি: সংগৃহীত

নীলফামারীর ডোমার মহিলা ডিগ্রি কলেজকেন্দ্রে চলছে ডিগ্রি (পাশ) তৃতীয় বর্ষের চুড়ান্ত পরীক্ষা। পরীক্ষাকেন্দ্রে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দিতে আসনবিন্যাসে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় কলেজ অধ্যক্ষকে শোকজ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল আলম।

গতকাল বুধবার কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হলেও আজ (বৃহস্পতিবার) সেটি জানাজানি হয়। এতে তিন কর্মদিবসের মধ্যে অধ্যক্ষকে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারি একটি সংস্থা থেকে প্রাপ্ত গোপনীয় তথ্যের প্রেক্ষিতে কলেজের দুজন শিক্ষককে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে বিরত রাখার অনুরোধ করা হয়। সে প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ওই দুই শিক্ষককে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে বিরত রাখার অঙ্গীকার করেন। এরপরও তাদের একজনকে কেন্দ্রের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও অপরজনকে কক্ষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেওয়া হয়।

এ ছাড়া ওই দিনের আসনবিন্যাস পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, কয়েকটি রোল নম্বরের পরীক্ষার্থীদের (১০২ নম্বর) নির্ধারিত কক্ষে না রেখে সিরিয়াল ভঙ্গ করে (১০৩ নম্বর) অন্য কক্ষে আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যা অস্বাভাবিক।

তথ্য মতে, ওই পরীক্ষাকেন্দ্রের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১০৩ জন। গত ২৫ নভেম্বর ইংরেজী আবশ্যিক বিষয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয় পরীক্ষা। সেদিন পরীক্ষার্থীদের আসন বিন্যাস করা হয় তিনটি কক্ষে। এর মধ্যে ১০১ নম্বর কক্ষে ৪৩ জন, ১০২ নম্বর কক্ষে ৩৫ জন এবং ১০৩ নম্বর কক্ষে ২৫ জন।

অধ্যক্ষের স্বাক্ষর করা গত ২৫ নভেম্বর ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষার আসনবিন্যাস থেকে দেখা গেছে, ১০২ নম্বর কক্ষে রোল নম্বর শুরু হয়েছে ২২৬১৩৪৩ থেকে। ৩৫ সংখ্যার কক্ষে শেষ হওয়ার কথা ২২৬১৩৭৭ রোল নম্বরে। কিন্তু সেখানে সর্বশেষ রোল নম্বর দেখা গেছে ২২৬১৩৮২ পর্যন্ত। কারণ দর্শানোর নোটিশে কয়েক পরীক্ষার্থীকে বিশেষ সুবিধা দিতে সিরিয়াল ভঙ্গ করে ১০৩ নম্বর কক্ষে নেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবকের অভিযোগ, কেন্দ্র থাকার সুবাদে বিভিন্ন পরীক্ষায় অধ্যক্ষের যোগসাজশে অনৈতিকভাবে সুবিধা করে দেওয়ার প্রতিযোগিতায় নামে কলেজের একটি চক্র। অর্থের বিনিময়ে ওই চক্রটি এসব কাজ করছে। এ কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শ উপেক্ষা করে অধ্যক্ষ এবারও সেটিই করেছেন। এ কাজে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন তারা।

জানতে চাইলে ডোমার মহিলা ডিগ্রি কলজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) লতিফুল মোন্তাকীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার রিলেটিভ অসুস্থ হওয়ায় দুই দিন ধরে রংপুরে আছি। কোনো চিঠি এসেছে কিনা সেটি আমার জানা নেই।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত