রংপুর ও বদরগঞ্জ প্রতিনিধি
রংপুর সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয়ের কার্যসহকারী রেজাউল ইসলাম অর্ধকোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন। বিষয়টি স্বীকার করেছেন পিআইও আব্দুল মতিন। তবে কোন প্রকল্পের টাকা এবং এর সঠিক পরিমাণ বলতে রাজি হননি তিনি।
এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অভিযোগ করেছেন, ঘুষ ছাড়া কোনো প্রকল্পের ফাইল ছাড় করেন না পিআইও মতিন। তিনি ৭ বছর এবং কার্যসহকারী রেজাউল ৮ বছর আগে এই কার্যালয়ে যোগদান করেন। মতিন যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের হাত করে টিআর, কাবিখা, কাবিটাসহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করছেন। তাঁর অপ্রতিরোধ্য দুর্নীতি দেখে কার্যসহকারী রেজাউলও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
পিআইওর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৩০ জুনের আগে টিআর, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের শতভাগ কাজ বাস্তবায়ন না হলেও কাগজে-কলমে তা বাস্তবায়ন দেখিয়ে পিআইও তাঁর কার্যসহকারীকে দিয়ে সরকারের কোষাগার থেকে প্রকল্পের কোটি টাকা তুলে নেন। সেখান থেকে প্রায় ৫০ লাখ টাকা নিয়ে গত রোববার থেকে লাপাত্তা হয়েছেন কার্যসহকারী রেজাউল। ওই দিন থেকে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক চেয়ারম্যান বলেন, ‘৩০ জুন অতিবাহিত হলেও টিআর, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের কাজ শতভাগ বাস্তবায়ন হয়নি। তবে কাগজে-কলমে শতভাগ বাস্তবায়ন দেখিয়ে এসব প্রকল্পের টাকা নিজ পকেটে রেখে পিআইও ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁর নানা অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে আজ তাঁর অফিস সহকারীও দুর্নীতি করার সাহস পেয়েছেন। কিন্তু এর দায় কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না পিআইও আব্দুল মতিন ও ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা)। কারণ, তাঁদের স্বাক্ষরে ব্যাংক থেকে আসে প্রকল্পের টাকা।’
আরেক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘ইউএনওর স্বাক্ষর ছাড়া কোনো প্রকল্পের টাকা ব্যাংক থেকে উঠে না। এ কারণে ইউএনও এর দায় এড়াতে পারেন না।’ ওই চেয়ারম্যান অভিযোগ করে বলেন, ‘সাত বছরের প্রকল্পের সঠিক তদন্ত হলে অনেকেই ধরা খাবেন।’
মমিনপুর ইউপির এক সদস্য বলেন, ‘পিআইও মতিন এ উপজেলা থেকে প্রায় সাত বছরে কোটি টাকার ওপরে কামিয়েছেন। সেই টাকা দিয়ে তিনি নগরীর কেরানিপাড়ায় (পিবিআই অফিসের কাছে) ৬ শতক জমি কিনে আট তলা বিল্ডিং করছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিআইও মতিন গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, ‘আমি কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি করিনি। আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন।’ তবে তিনি বলেন, ‘অফিসের মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে আমার কার্যসহকারী লাপাত্তা হয়েছেন, এটা সত্য।’ টাকার পরিমাণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘কার্যসহকারীকে না ধরা পর্যন্ত সঠিক তথ্য বাইরে প্রকাশ করা যাবে না। তাকে ধরি আগে, পরে সব বলব।’
এ নিয়ে কথা হলে সদর থানার ইউএনও মো. নাইম হাসান খান বলেন, ‘ওই বিষয়ে কিছু জানার থাকলে পিআইওর সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর অফিসের ঘটনা, তিনি দেখবেন।’
যোগাযোগ করা হলে রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, ‘প্রকল্পের টাকা নিয়ে কার্যসহকারী লাপাত্তা হওয়ার ঘটনাটি জেনেছি। তবে কোনো প্রকল্পের টাকা এবং টাকার সঠিক পরিমাণ জানতে পারিনি। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রংপুর সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয়ের কার্যসহকারী রেজাউল ইসলাম অর্ধকোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন। বিষয়টি স্বীকার করেছেন পিআইও আব্দুল মতিন। তবে কোন প্রকল্পের টাকা এবং এর সঠিক পরিমাণ বলতে রাজি হননি তিনি।
এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অভিযোগ করেছেন, ঘুষ ছাড়া কোনো প্রকল্পের ফাইল ছাড় করেন না পিআইও মতিন। তিনি ৭ বছর এবং কার্যসহকারী রেজাউল ৮ বছর আগে এই কার্যালয়ে যোগদান করেন। মতিন যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের হাত করে টিআর, কাবিখা, কাবিটাসহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করছেন। তাঁর অপ্রতিরোধ্য দুর্নীতি দেখে কার্যসহকারী রেজাউলও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
পিআইওর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৩০ জুনের আগে টিআর, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের শতভাগ কাজ বাস্তবায়ন না হলেও কাগজে-কলমে তা বাস্তবায়ন দেখিয়ে পিআইও তাঁর কার্যসহকারীকে দিয়ে সরকারের কোষাগার থেকে প্রকল্পের কোটি টাকা তুলে নেন। সেখান থেকে প্রায় ৫০ লাখ টাকা নিয়ে গত রোববার থেকে লাপাত্তা হয়েছেন কার্যসহকারী রেজাউল। ওই দিন থেকে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক চেয়ারম্যান বলেন, ‘৩০ জুন অতিবাহিত হলেও টিআর, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের কাজ শতভাগ বাস্তবায়ন হয়নি। তবে কাগজে-কলমে শতভাগ বাস্তবায়ন দেখিয়ে এসব প্রকল্পের টাকা নিজ পকেটে রেখে পিআইও ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁর নানা অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে আজ তাঁর অফিস সহকারীও দুর্নীতি করার সাহস পেয়েছেন। কিন্তু এর দায় কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না পিআইও আব্দুল মতিন ও ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা)। কারণ, তাঁদের স্বাক্ষরে ব্যাংক থেকে আসে প্রকল্পের টাকা।’
আরেক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘ইউএনওর স্বাক্ষর ছাড়া কোনো প্রকল্পের টাকা ব্যাংক থেকে উঠে না। এ কারণে ইউএনও এর দায় এড়াতে পারেন না।’ ওই চেয়ারম্যান অভিযোগ করে বলেন, ‘সাত বছরের প্রকল্পের সঠিক তদন্ত হলে অনেকেই ধরা খাবেন।’
মমিনপুর ইউপির এক সদস্য বলেন, ‘পিআইও মতিন এ উপজেলা থেকে প্রায় সাত বছরে কোটি টাকার ওপরে কামিয়েছেন। সেই টাকা দিয়ে তিনি নগরীর কেরানিপাড়ায় (পিবিআই অফিসের কাছে) ৬ শতক জমি কিনে আট তলা বিল্ডিং করছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিআইও মতিন গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, ‘আমি কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি করিনি। আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন।’ তবে তিনি বলেন, ‘অফিসের মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে আমার কার্যসহকারী লাপাত্তা হয়েছেন, এটা সত্য।’ টাকার পরিমাণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘কার্যসহকারীকে না ধরা পর্যন্ত সঠিক তথ্য বাইরে প্রকাশ করা যাবে না। তাকে ধরি আগে, পরে সব বলব।’
এ নিয়ে কথা হলে সদর থানার ইউএনও মো. নাইম হাসান খান বলেন, ‘ওই বিষয়ে কিছু জানার থাকলে পিআইওর সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর অফিসের ঘটনা, তিনি দেখবেন।’
যোগাযোগ করা হলে রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, ‘প্রকল্পের টাকা নিয়ে কার্যসহকারী লাপাত্তা হওয়ার ঘটনাটি জেনেছি। তবে কোনো প্রকল্পের টাকা এবং টাকার সঠিক পরিমাণ জানতে পারিনি। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
৯ মিনিট আগেসিলেট বিভাগ, মৌলভীবাজার জেলা, কমলগঞ্জ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জেলার খবর
১৭ মিনিট আগেলালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ইউপি সদস্যসহ অন্তত ১১ জন আহত হন।
১৯ মিনিট আগেব্যবসায়ীদের সংগঠন দ্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালনা পর্ষদের ২০২৪-২৬ মেয়াদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শনিবার। সংগঠনটিতে ২২ জন পরিচালকের মধ্যে চারজন ট্রেড গ্রুপ থেকে ইতিমধ্যে মনোনীত হয়েছেন। ভোটাভুটি হবে ১৮ পরিচালক পদে। এর মধ্যে ১৩ জন সাধারণ ও ৫ জন সহযোগী পরিচালক।
৩৯ মিনিট আগে