গৃহকর সহনীয় করার আশ্বাস সিলেট মেয়রের, নতুন করে নির্ধারণে দাবি নাগরিকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
Thumbnail image

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) বর্ধিত গৃহকর নিয়ে নগরজুড়ে অসন্তোষ বিরাজ করছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ রোববার বেলা ২টায় নগর ভবনে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। 

সংবাদ সম্মেলনে মেয়র বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে পর্যায়ক্রমে আলোচনা সভা করে কর নির্ধারণ নিয়ে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বর্তমানে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আইনজীবী সমন্বয়ে পুরোনো ২৭ ওয়ার্ডে ২৭টি রিভিউ বোর্ড গঠন করা হয়েছে। রিভিউয়ের সময় দুই সপ্তাহ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। 

মেয়র জানান, নাগরিকেরা ২৮ মে পর্যন্ত করের হার পুনর্মূল্যায়ন করার সুযোগ পাবেন। প্রয়োজনে এ সময়সীমা আরও বাড়ানো হবে। এ ছাড়া স্বল্প আয়ের মানুষ ও দরিদ্র মানুষের করের হার নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সিসিকের বিশেষ নজর থাকবে বলেও আশ্বাস দেন মেয়র। 

এ ছাড়া নতুন ১৫টি ওয়ার্ডের অ্যাসেসমেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, চলমান অ্যাসেসমেন্ট/রি–অ্যাসেসমেন্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। 

এর আগে সিটি করপোরেশনের সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান আনোয়ারুজ্জামান। 

তবে মেয়রের এই সংবাদ সম্মেলনে আশ্বস্ত হতে পারছেন না নগরবাসী। তাঁরা বলছেন, এত রিভিউয়ের নামে ভোগান্তি বাড়বে। তাঁরা ‘অযৌক্তিক ও অবিবেচক’ গৃহকর বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, নতুন করে স্বচ্ছতার সঙ্গে অ্যাসেসমেন্ট করে নগরবাসীর সঙ্গে পরামর্শক্রমে গৃহকর নির্ধারণ করতে হবে। 

সিসিকের পুরোনো ২৭টি ওয়ার্ডের হোল্ডিং করের পঞ্চবার্ষিকী মূল্যায়ন উপলক্ষে নগর ভবনের সামনে ২০টি বুথে গত ৩০ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া অ্যাসেসমেন্ট/রি–অ্যাসেসমেন্ট। এতে কর পরিশোধ করতে এসে নগরবাসী অভিযোগ তোলেন, তাঁদের গৃহকর কয়েক শ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে নগরজুড়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়। এরপর থেকে প্রতিদিন নগরের বিভিন্ন সংগঠন গৃহকর বাতিল করে যৌক্তিক বা সহনীয় পর্যায়ে আনার দাবিতে নিয়মিত আন্দোলন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। আজও গৃহকর বাতিলের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। 

জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আরও বলেন, চলমান অ্যাসেসমেন্ট/রি–অ্যাসেসমেন্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। সর্বসম্মতিক্রমে সহনীয় মাত্রায় ট্যাক্স নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যারা আপত্তি করেছেন তাঁদের আবেদন শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে রিভিউ করা হবে। 

মেয়র বলেন, ‘অনেক প্রভাবশালী কোনো দিন কর পরিশোধ করেননি। অনেকে আবার অনেক বছর ধরে নিয়মিত কর পরিশোধ করেন না।’ মেয়র আক্ষেপ করে বলেন, ‘এভাবে চললে সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন হবে কীভাবে!’ 

এর আগে সকাল ১১টায় সভাকক্ষে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সাধারণ কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলরেরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত