Ajker Patrika

হাওর-নদীতে পানি কমায় প্লাবিত এলাকায় স্বস্তি

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৩, ২০: ০৭
হাওর-নদীতে পানি কমায় প্লাবিত এলাকায় স্বস্তি

গত কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি বেড়ে যায়। ফলে আবারও বন্যার শঙ্কা বাড়তে থাকে। তবে গতকাল মঙ্গলবার থেকে আজ বুধবার রাত পর্যন্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় সুরমা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। এতে স্বস্তি ফিরেছে জনমনে। 

আজ বেলা ৪টা পর্যন্ত সুরমা নদীর ষোলঘর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ নিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। অন্যদিকে সুরমা নদীর ছাতক পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২২ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। 

জেলার অন্তত ৬ উপজেলার নিম্নাঞ্চল আংশিক প্লাবিত হয়। তবে হাওর ও নদী থেকে পানি কমতে শুরু করায় প্লাবিত এলাকাগুলো থেকেও কমতে শুরু করেছে পানি। তবে এখনো পানিবন্দী এসব এলাকার মানুষ। অনেকের ঘরে পানি ওঠায় তাঁরা আশ্রয়কেন্দ্র ও উঁচু জায়গাতে আশ্রয় নিয়েছেন। 

এদিকে বৃষ্টি কিছুটা কম হলেও সুনামগঞ্জ সদর, দোয়ারাবাজার, ছাতক, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, শান্তিগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলায় পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে নিচু এলাকা। 

এদিকে সুনামগঞ্জ পৌরসভার পূর্ব সুলতানপুর, হাসননগর, কালিপুর এলাকায় অনেক বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। ওই এলাকার কমপক্ষে ৫০টি পরিবার সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে আশ্রয় নিয়েছে। এ ছাড়া শহরের পশ্চিম হাজীপাড়া ও বড়পাড়া এলাকার অনেক স্থানে পানি ওঠায় বড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে ১০টি পরিবার। 

এ ছাড়া ছাতক ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার একাধিক বিদ্যালয়ে মানুষজন আশ্রয় নিয়েছে। 

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা আক্রান্তদের জন্য প্রস্তুতির কথা জানালেন। জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী জানান, বন্যাকবলিতদের জন্য ইতিমধ্যে প্রত্যেক উপজেলায় শুকনা খাবার ও জিআর চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য সব বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত