নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিভিন্ন লেখা সংবলিত গ্রাফিতি এঁকেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৮ জুলাই) বিকেল ৫টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের দেয়ালে গ্রাফিতি অঙ্কন কর্মসূচি শুরু করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পূর্বঘোষিত এ কর্মসূচিতে মামলা প্রত্যাহার, গুম–আটককৃতদের মুক্তি, হল–ক্যাম্পাস খুলে দেওয়া এবং দেশব্যাপী গণহত্যার প্রতিবাদই দেয়াল লিখন ও গ্রাফিতির মূল উদ্দেশ্য।
‘আমরা বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন দেখিনি, একাত্তরের ২৫ মার্চ কালো রাতের গণহত্যা দেখিনি; কিন্তু এগুলো আমাদের প্রতিবাদী চেতনার জন্ম দেয় সব সময়। এবার আমরাও ইতিহাসের সাক্ষী হলাম, আমরা চব্বিশ (২০২৪ সাল) দেখেছি। দেয়ালে, সড়কে গ্রাফিতির মাধ্যমে চব্বিশকে পৃথিবীব্যাপী আমরা জানিয়ে দিতে চাই, এটিও আমাদের গৌরবোজ্জ্বল চেতনা, প্রতিবাদের ভাষা।’ বলছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাবিপ্রবির অন্যতম সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব।
গালিব বলেন, ‘দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারি ক্যাডার বাহিনী কর্তৃক যে হামলা ও হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে তার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে শিক্ষার্থীরা গ্রাফিতি অঙ্কন করেছেন। এর ধারাবাহিকতায় আমরাও ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে (শহীদ রুদ্র তোরণ) গ্রাফিতি অঙ্কন করেছি।’
কর্মসূচিতে সিলেটের মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, নর্থইস্ট ইউনিভার্সিটি ও ব্লু বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এর আগে বিকেল সোয়া ৪টা থেকে শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকে জড়ো হতে থাকেন।
দেয়ালে ও সড়কে লিখতে দেখা যায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও রাষ্ট্র কারও বাপের না; হামার বেটাক মারলু কেনে? বিচার চাই বিচার চাই; ছাত্র যদি ভয় পাইতো বন্দুকের গুলি, উর্দু থাকত রাষ্ট্রভাষা, উর্দু থাকত বুলি; দেশ স্বাধীন হলে আমরা আবার ছাদে উঠব; তুমি কে আমি কে, বিকল্প বিকল্প; লোহার টুপি মানুষের মগজ খায়; মেধা শহীদ; আমি মেট্রোরেল হতে চেয়েছিলাম, খোদা আমাকে ছাত্র বানাল’ প্রভৃতি।
কর্মসূচিতে মদন মোহন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আল আমিন দেয়ালে লিখেছেন, ‘রক্ত দেখলে বাড়ছে সাহস’। লাল রঙে এই লেখার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারপন্থীরা আমাদেরে মেরে দমিয়ে রাখতে চাচ্ছে। আমরা এই লেখার মাধ্যমে বোঝাতে চাই যতই মেরে ফেলা হোক আমাদের সাহস আরও দ্বিগুণ হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক ফয়সাল হোসেন বলেন, ‘প্রথম ১৮ তারিখ থেকে আমাদের ওপর যে গণহত্যা চালিয়েছে, অনেককে প্রতিবন্ধী করা হয়েছে, নিহত আবু সাঈদের বোনের ভাষাসহ বিভিন্ন প্রতিবাদী ভাষাকে আমরা দেয়াল লিখন ও গ্রাফিতিতে তুলে ধরছি।’
তিনি জানান, ছাত্রদের নিজেদের সংগৃহীত সাত থেকে আট হাজার টাকায় রংতুলি কিনেছেন তাঁরা।
দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিভিন্ন লেখা সংবলিত গ্রাফিতি এঁকেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৮ জুলাই) বিকেল ৫টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের দেয়ালে গ্রাফিতি অঙ্কন কর্মসূচি শুরু করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পূর্বঘোষিত এ কর্মসূচিতে মামলা প্রত্যাহার, গুম–আটককৃতদের মুক্তি, হল–ক্যাম্পাস খুলে দেওয়া এবং দেশব্যাপী গণহত্যার প্রতিবাদই দেয়াল লিখন ও গ্রাফিতির মূল উদ্দেশ্য।
‘আমরা বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন দেখিনি, একাত্তরের ২৫ মার্চ কালো রাতের গণহত্যা দেখিনি; কিন্তু এগুলো আমাদের প্রতিবাদী চেতনার জন্ম দেয় সব সময়। এবার আমরাও ইতিহাসের সাক্ষী হলাম, আমরা চব্বিশ (২০২৪ সাল) দেখেছি। দেয়ালে, সড়কে গ্রাফিতির মাধ্যমে চব্বিশকে পৃথিবীব্যাপী আমরা জানিয়ে দিতে চাই, এটিও আমাদের গৌরবোজ্জ্বল চেতনা, প্রতিবাদের ভাষা।’ বলছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাবিপ্রবির অন্যতম সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব।
গালিব বলেন, ‘দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারি ক্যাডার বাহিনী কর্তৃক যে হামলা ও হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে তার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে শিক্ষার্থীরা গ্রাফিতি অঙ্কন করেছেন। এর ধারাবাহিকতায় আমরাও ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে (শহীদ রুদ্র তোরণ) গ্রাফিতি অঙ্কন করেছি।’
কর্মসূচিতে সিলেটের মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, নর্থইস্ট ইউনিভার্সিটি ও ব্লু বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এর আগে বিকেল সোয়া ৪টা থেকে শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকে জড়ো হতে থাকেন।
দেয়ালে ও সড়কে লিখতে দেখা যায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও রাষ্ট্র কারও বাপের না; হামার বেটাক মারলু কেনে? বিচার চাই বিচার চাই; ছাত্র যদি ভয় পাইতো বন্দুকের গুলি, উর্দু থাকত রাষ্ট্রভাষা, উর্দু থাকত বুলি; দেশ স্বাধীন হলে আমরা আবার ছাদে উঠব; তুমি কে আমি কে, বিকল্প বিকল্প; লোহার টুপি মানুষের মগজ খায়; মেধা শহীদ; আমি মেট্রোরেল হতে চেয়েছিলাম, খোদা আমাকে ছাত্র বানাল’ প্রভৃতি।
কর্মসূচিতে মদন মোহন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আল আমিন দেয়ালে লিখেছেন, ‘রক্ত দেখলে বাড়ছে সাহস’। লাল রঙে এই লেখার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারপন্থীরা আমাদেরে মেরে দমিয়ে রাখতে চাচ্ছে। আমরা এই লেখার মাধ্যমে বোঝাতে চাই যতই মেরে ফেলা হোক আমাদের সাহস আরও দ্বিগুণ হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক ফয়সাল হোসেন বলেন, ‘প্রথম ১৮ তারিখ থেকে আমাদের ওপর যে গণহত্যা চালিয়েছে, অনেককে প্রতিবন্ধী করা হয়েছে, নিহত আবু সাঈদের বোনের ভাষাসহ বিভিন্ন প্রতিবাদী ভাষাকে আমরা দেয়াল লিখন ও গ্রাফিতিতে তুলে ধরছি।’
তিনি জানান, ছাত্রদের নিজেদের সংগৃহীত সাত থেকে আট হাজার টাকায় রংতুলি কিনেছেন তাঁরা।
ডেমরায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর নির্মিত হাজীনগর সেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রশস্ত হওয়ায় পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার বহু মানুষ। স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর এলাকার এই গার্ডার সেতু প্রায় দেড় দশক আগে নির্মিত।
৭ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদী খননের কারণে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থাপনা (সেতু ও কালভার্ট) ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশাশুনিসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ। ধসে পড়া সেতুর ওর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
৭ ঘণ্টা আগেপানির ৫৭টি পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পানি পরীক্ষাগার। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে উদ্বোধনের চার বছর পরও জেলার একমাত্র পানি পরীক্ষাগারটি চালু করা যায়নি।
৭ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মেঘমল্লার বসুর নামে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) যুবাইর বিন নেছারী নামের এক শিক্ষার্থী এ জিডি করেন।
৭ ঘণ্টা আগে