Ajker Patrika

টোলের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ, নৌপরিবহন বন্ধ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১: ৩৪
টোলের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ, নৌপরিবহন বন্ধ

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে টোল আদায়ের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও তহসিলদারের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার থেকে নৌপথে অনির্দিষ্টকালের জন্য কয়লা ও চুনাপাথর পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক সমিতি। 

আজ বেলা ২টায় তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক সমিতির কার্যালয়ে উপজেলার বড়ছড়া, চারাগাঁও ও বাগলীর দুই শতাধিক ব্যবসায়ী জরুরি সভা করেন। ওই সভায় তাঁরা নৌপথে কয়লা ও চুনাপাথর পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দেন। এদিকে কোনো অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায় বিআইডব্লিউটিএর কর্তৃপক্ষ। 

তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক সমিতির সভাপতি আলখাছ উদ্দিন খন্দকার বলেন, ‘প্রশাসনের কাছে আমরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এখন পর্যন্ত কোনো আশ্বাস পাচ্ছি না। ফলে পরিবহন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ 

জেলা প্রশাসককে দেওয়া অভিযোগ থেকে জানা গেছে, সুনামগঞ্জের বড়ছড়া, চারাগাঁও ও বাগলী শুল্ক স্টেশনের প্রায় ৭০০ আমদানিকারক চুনাপাথর ও কয়লা পাটলাই নদী দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠান। পাটলাই নদীর ডাম্পের বাজার নৌকাঘাটে ইঞ্জিনচালিত নৌকা বা বাল্কহেডে মালামাল লোড দেওয়ার সময় বিআইডব্লিউটিএ ও স্থানীয় তহসিলদারের পক্ষ থেকে টোল আদায় করেন কিছু ব্যক্তি। 

ব্যবসায়ীদের দাবি, ডাম্পের বাজার নৌকাঘাটে মালামাল লোড দেওয়ার সময় নিয়ম অনুযায়ী প্রতি নৌকা থেকে ৫০০ টাকা টোল আদায় করার কথা রয়েছে। তবে সেখান থেকে খাস কালেকশনের নামে ৫ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিএর নামে নৌকাপ্রতি ১০ থেকে ২০ হাজার টাকাও আদায় হয়। এ ছাড়া শ্রীপুর ও মন্দিহাতা এলাকায় চলন্ত অবস্থায় টোলের নামে চাঁদাবাজি করা হয়। আদায়কারীরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রসিদ দেন না। 

সভায় তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক সমিতির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আবুল খয়ের বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই নদীতে বিআইডব্লিউটিএ ও তহসিলদার চলতি নৌকা থেকে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছেন। বারবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও এর কোনো সমাধান পাচ্ছি না। তাই বাধ্য হয়েই পণ্য পরিবহন থেকে বিরত থাকছি।’ 

নদীতে অতিরিক্ত টোল আদায়ের ফলে শুল্ক স্টেশনের ক্রেতা কমে যাচ্ছে বলে জানান অমল কর নামের এক ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, নৌযান এই নদীপথ দিয়ে কম আসছে। স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়ে কোনো কাজ হচ্ছে না। 

সভায় উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ সুনামগঞ্জের সহকারী পরিচালক সুব্রত রায়। তিনি বলেন, নদীতে নির্ধারিত টোলের বাইরে টাকা নেওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। কোনো অনিয়ম হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

তহসিলদারের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত