গরু চুরি করে জবাইয়ের ঘটনায় বাবা-ছেলে কারাগারে

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮: ০৪

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় এক কৃষকের গরু চুরি করে জবাইয়ের ঘটনায় আদালত বাবা-ছেলেকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।

আজ দুপুরে পুলিশ বাবা-ছেলেকে আদালতে সোপর্দ করে। এ সময় তাঁরা আদালতে গরু চুরি করে জবাইয়ের কথা স্বীকার করেন। পরে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ তাঁদের কারাগারে পাঠায়। 

আসামিরা হলেন– উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের নাজিরখা গ্রামের নাজিম উদ্দিন (৪৫) ও তাঁর ছেলে এমদাদুল হক মুন্না (১৮)। 

এর আগে গতকাল সোমবার উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের ঝগড়ি গ্রামের কৃষক মতিলাল দাসের গরু চুরি করে জবাই করার অভিযোগে পুলিশ বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করে। ওইদিন রাতেই গরুর মালিক কৃষক মতিলাল দাস বাবা-ছেলেসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন। 

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুজানগর ইউনিয়নের ঝগড়ি গ্রামের কৃষক মতিলাল দাস গত রোববার ছয়টি গরু শিয়ালী বিলের পাশের জমিতে ঘাস খাওয়ার জন্য বেঁধে রাখেন। ওইদিন দুপুরে মতিলাল গরুগুলো আনতে গিয়ে দেখেন ছয়টি গরুর মধ্যে লাল রঙের একটি ষাঁড় নেই। অনেক খোঁজাখুজির পর না পেয়ে ওইদিন বিকেলে একটি ঝোপের পাশে জবাই হওয়া গরুর ভূরি ও চামড়া দেখতে পান। গরুর রঙ ও দড়ি দেখে গরুটি তার বলে তিনি নিশ্চিত হন। 

তখন তাঁর সন্দেহ হয় গরুটি নাজিম উদ্দিন গংরা চুরি করে জবাই করেছে। এরপর বিষয়টি তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানান। পরে ইউপি সদস্য ঘটনাটি পুলিশকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে বড়লেখা থানার এসআই আতাউর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে নাজিম উদ্দিনের ঘরে তল্লাশি করেন। এ সময় তাঁদের ঘরের ফ্রিজ থেকে কালো পলিথিনে মোড়ানো প্রায় ১৫ কেজি গরুর মাংস জব্দ করা হয়।

নাজিম উদ্দিন ও তাঁর ছেলে এমদাদুল হক মুন্নাকে আটক করা হয়। পরে  পরে নাজিম ও তাঁর ছেলে মুন্না গরু চুরি ও ঘটনার সঙ্গে নাজিরখা এলাকার কামরান আহমদ ও ছলিম উদ্দিন জড়িত বলে স্বীকার করেন। তাঁদের দেওয়া তথ্যে শিয়ালী বিলের পাশ থেকে জবাই করা গরুটির মাথা উদ্ধার করা হয়। 

মঙ্গলবার বিকেলে বড়লেখা থানার উপপরির্শক (এসআই) আতাউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাবা-ছেলে গরু চুরির কথা আদালতে স্বীকার করেছেন। জবানবন্দি শেষে আদালত তাঁদের কাগারারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত