জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের টাঙ্গুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজ লেক (নিলাদ্রী), বারেকটিলা, জাদুকাটা নদী আর শিমুলবাগান ভ্রমণের স্থান হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। এখানে আসা পর্যটকদের সংখ্যা প্রতিবছরই বাড়ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হাওরের পানিতে ফেলা বর্জ্যের পরিমাণ। কারণ পর্যটকবাহী শত শত হাউসবোট টাঙ্গুয়ার হাওরসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে উপজেলার টেকেরঘাট এলাকায় রাত্রিযাপন করে। এর সুবাদে পর্যটক ও নৌ শ্রমিকেরা যখন-তখন পানির বোতল, চিপস-বিস্কুটের প্যাকেট, পলিথিনসহ প্লাস্টিক বর্জ্য ছুড়ে ফেলছে পানিতে।
এ অবস্থায় হাওরের প্রকৃতি, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। হাওরের পরিবেশ রক্ষায় পর্যটক ও এলাকাবাসীর উদ্দেশে গত ২ আগস্ট ১০ দফা নির্দেশনা দিয়েছিল সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন। এরপরও পর্যটক ও নৌকার কর্মীদের মধ্যে কোনো ধরনের সচেতনতার দেখা মিলছে না। বন্ধ হয়নি হাওরের পানিতে বর্জ্য ফেলা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত প্রশাসন শতভাগ নীতিমালা প্রয়োগ না করে, ততক্ষণ এ অবস্থা থেকে উত্তরণ হওয়া যাবে না।
এদিকে পানি শুকিয়ে গেলে শ্রীপুর হাওরের এই জমিগুলোতেই ফসল চাষ করেন কৃষকেরা। তাঁদের অভিযোগ, এসব বর্জ্য পানিতে না পচে দীর্ঘদিন পর্যন্ত অক্ষত থাকে। এ কারণে শুকনা মৌসুমে ফসল আবাদ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন তাঁরা।
তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল বাছিত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পানি শুকিয়ে গেলে এই হাওরে আমরা চাষাবাদ করি। কিন্তু গত তিন-চার বছর ধইরা চাষাবাদ করতে গিয়ে খুব সমস্যায় পড়তে হয়। চাষাবাদের সময় কাচের বোতল থেকে শুরু করে প্লাস্টিকের বোতল পর্যন্ত পাওয়া যায়।’
হাতেগোনা কয়েকটি নৌকা ছাড়া বাকিগুলোতে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কোনো ডাস্টবিনেরও দেখা মেলেনি। ঘাটে থাকা নৌকাগুলোর আশপাশেই পানিতে ভাসছিল পলিথিন, চিপসের প্যাকেট, পানির খালি বোতল। এতে করে এলাকার সৌন্দর্যহানির পাশাপাশি হাওরের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে জানালেন সচেতন পর্যটকেরা।
কিশোরগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক জুলহাস উদ্দিন বলেন, ‘সুনামগঞ্জের প্রকৃতি অনেক সুন্দর। কিন্তু হাওরে যেভাবে প্লাস্টিকের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে তাতে করে কিছুদিন পরে হাওরের পরিবেশ আর রক্ষা করা যাবে না।’ প্রশাসনকে কঠোর ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
বিলাসবহুল নৌকাগুলোতে ডাস্টবিন থাকা সত্ত্বেও টেকেরঘাট এলাকায় ময়লার স্তূপ করা হচ্ছে। এতে করে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়ে বায়ু দূষণের মাধ্যমে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
তাহিরপুর উপজেলা রতনশ্রী গ্রামের মাসুম আহমদ বলেন, ‘ছোট বড় সব নৌকাতেই ডাস্টবিন আছে। তারপরও তারা (পর্যটক) টেকেরঘাট আইসা সব ময়লা পানিতে ফালায়। দেশের বিভিন্ন জায়গা থাইকা পর্যটক আসে এই জায়গায়। এমন পরিবেশ দেখলে অনেক পর্যটক আর আইতো না আর আমরা এলাকাও নষ্ট হইতাছে।’
নৌকায় ডাস্টবিন আছে তারপরও কেনা পানিতে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে নৌ শ্রমিক মোসাহিদ আলী বলেন, ‘আমাদের নৌকায় বড় ডাস্টবিন আছে। আমরা সব সময় সব পর্যটকদের বলি যাতে ডাস্টবিন ব্যবহার করে। এরপরও অনেকে হঠাৎ করেই পানির বোতল বা চিপসের প্যাকেট পানিতে ফেলে দেয়।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সদস্য এন্ড্রো সলোমার আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতি বছর যেভাবে হাওর দূষণ হচ্ছে, এভাবে চলতে থাকলে আর বেশি দিন হাওরের পরিবেশ ধরে রাখা সম্ভব হবে না। প্রশাসন থেকে যে নীতিমালা করা হয়েছে তার প্রয়োগ শতভাগ করা দরকার।
তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুপ্রভাত চাকমা বলেন, ‘ইতিমধ্যেই একটি নীতিমালা করা হয়েছে হাওরে কোনো ধরনের বর্জ্য ফেলা যাবে না। যদি নীতিমালা অমান্য করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের টাঙ্গুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজ লেক (নিলাদ্রী), বারেকটিলা, জাদুকাটা নদী আর শিমুলবাগান ভ্রমণের স্থান হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। এখানে আসা পর্যটকদের সংখ্যা প্রতিবছরই বাড়ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হাওরের পানিতে ফেলা বর্জ্যের পরিমাণ। কারণ পর্যটকবাহী শত শত হাউসবোট টাঙ্গুয়ার হাওরসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে উপজেলার টেকেরঘাট এলাকায় রাত্রিযাপন করে। এর সুবাদে পর্যটক ও নৌ শ্রমিকেরা যখন-তখন পানির বোতল, চিপস-বিস্কুটের প্যাকেট, পলিথিনসহ প্লাস্টিক বর্জ্য ছুড়ে ফেলছে পানিতে।
এ অবস্থায় হাওরের প্রকৃতি, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। হাওরের পরিবেশ রক্ষায় পর্যটক ও এলাকাবাসীর উদ্দেশে গত ২ আগস্ট ১০ দফা নির্দেশনা দিয়েছিল সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন। এরপরও পর্যটক ও নৌকার কর্মীদের মধ্যে কোনো ধরনের সচেতনতার দেখা মিলছে না। বন্ধ হয়নি হাওরের পানিতে বর্জ্য ফেলা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত প্রশাসন শতভাগ নীতিমালা প্রয়োগ না করে, ততক্ষণ এ অবস্থা থেকে উত্তরণ হওয়া যাবে না।
এদিকে পানি শুকিয়ে গেলে শ্রীপুর হাওরের এই জমিগুলোতেই ফসল চাষ করেন কৃষকেরা। তাঁদের অভিযোগ, এসব বর্জ্য পানিতে না পচে দীর্ঘদিন পর্যন্ত অক্ষত থাকে। এ কারণে শুকনা মৌসুমে ফসল আবাদ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন তাঁরা।
তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল বাছিত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পানি শুকিয়ে গেলে এই হাওরে আমরা চাষাবাদ করি। কিন্তু গত তিন-চার বছর ধইরা চাষাবাদ করতে গিয়ে খুব সমস্যায় পড়তে হয়। চাষাবাদের সময় কাচের বোতল থেকে শুরু করে প্লাস্টিকের বোতল পর্যন্ত পাওয়া যায়।’
হাতেগোনা কয়েকটি নৌকা ছাড়া বাকিগুলোতে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কোনো ডাস্টবিনেরও দেখা মেলেনি। ঘাটে থাকা নৌকাগুলোর আশপাশেই পানিতে ভাসছিল পলিথিন, চিপসের প্যাকেট, পানির খালি বোতল। এতে করে এলাকার সৌন্দর্যহানির পাশাপাশি হাওরের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে জানালেন সচেতন পর্যটকেরা।
কিশোরগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক জুলহাস উদ্দিন বলেন, ‘সুনামগঞ্জের প্রকৃতি অনেক সুন্দর। কিন্তু হাওরে যেভাবে প্লাস্টিকের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে তাতে করে কিছুদিন পরে হাওরের পরিবেশ আর রক্ষা করা যাবে না।’ প্রশাসনকে কঠোর ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
বিলাসবহুল নৌকাগুলোতে ডাস্টবিন থাকা সত্ত্বেও টেকেরঘাট এলাকায় ময়লার স্তূপ করা হচ্ছে। এতে করে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়ে বায়ু দূষণের মাধ্যমে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
তাহিরপুর উপজেলা রতনশ্রী গ্রামের মাসুম আহমদ বলেন, ‘ছোট বড় সব নৌকাতেই ডাস্টবিন আছে। তারপরও তারা (পর্যটক) টেকেরঘাট আইসা সব ময়লা পানিতে ফালায়। দেশের বিভিন্ন জায়গা থাইকা পর্যটক আসে এই জায়গায়। এমন পরিবেশ দেখলে অনেক পর্যটক আর আইতো না আর আমরা এলাকাও নষ্ট হইতাছে।’
নৌকায় ডাস্টবিন আছে তারপরও কেনা পানিতে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে নৌ শ্রমিক মোসাহিদ আলী বলেন, ‘আমাদের নৌকায় বড় ডাস্টবিন আছে। আমরা সব সময় সব পর্যটকদের বলি যাতে ডাস্টবিন ব্যবহার করে। এরপরও অনেকে হঠাৎ করেই পানির বোতল বা চিপসের প্যাকেট পানিতে ফেলে দেয়।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সদস্য এন্ড্রো সলোমার আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতি বছর যেভাবে হাওর দূষণ হচ্ছে, এভাবে চলতে থাকলে আর বেশি দিন হাওরের পরিবেশ ধরে রাখা সম্ভব হবে না। প্রশাসন থেকে যে নীতিমালা করা হয়েছে তার প্রয়োগ শতভাগ করা দরকার।
তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুপ্রভাত চাকমা বলেন, ‘ইতিমধ্যেই একটি নীতিমালা করা হয়েছে হাওরে কোনো ধরনের বর্জ্য ফেলা যাবে না। যদি নীতিমালা অমান্য করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ভাড়াটিয়া মাবিয়া চার লাখ টাকার চুক্তিতে গৃহবধূ সালমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তবে মাবিয়া চুক্তি করা অটোভ্যানচালক সুমন রবিদাসকে টাকা দেননি।
১৪ মিনিট আগেপাঁচটি গ্রাম ঘেঁষে সরকারি জলাশয় ডাহার বিল। যুগ যুগ ধরে এ বিলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন জেলেরা। এ ছাড়া দেশীয় মাছ ধরে আমিষের চাহিদা মেটাত এসব গ্রামের মানুষ। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পৌর এলাকার শালঘরিয়াসহ পাঁচ গ্রামের ৬২ বিঘা খাস জলাশয় ডাহার...
২০ মিনিট আগেবিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি একটা জোরের জায়গা। আমরা আগামী সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪০টি প্রকল্পের জন্য টেন্ডার আহ্বান করবো। আমাদের বিদ্যুতের যে সমস্যা এটি বিদ্যুতের সমস্যা না...
৩৬ মিনিট আগেক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দাবি, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে বহিরাগত ছাত্রদলের হামলায় তাঁদের অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। আহত সবাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে জড়িতদের শনাক্ত করে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান তাঁরা।
৪২ মিনিট আগে