শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) নিয়মিত ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালন করবেন ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ বদিউজ্জামন ফারুক।

আজ সোমবার বেলা আড়াইটায় ডিনদের এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও সোশ্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. লায়লা আশরাফুন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ডিনের মধ্যে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে এ দায়িত্ব পালন করবেন।

অধ্যাপক ড. লায়লা আশরাফুন বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরিত যে চিঠিটি এসেছে সেটার আলোকে আমরা আমাদের ডিনদের মধ্যে থেকে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. সৈয়দ বদিউজ্জামান ফারুককে মনোনীত করেছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরিত চিঠিতে যতটুকু কাজের পরিধি উল্লেখ করেছেন তিনি ততটুকু দায়িত্ব পালন করবেন।’

এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. সৈয়দ বদিউজ্জামান ফারুক বলেন, ‘ডিনদের এক জরুরি মিটিংয়ে আমাকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালন করার জন্য মনোনীত করা হয়েছে। ক্লাস-পরীক্ষা চালু ও হল খোলার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

জরুরি এই মিটিংয়ে ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বদিউজ্জামান ফারুকের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন লাইফ সাইন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রেজা সেলিম, সোশ্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. লায়লা আশরাফুন, ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাজহারুল হাসান মজুমদার ও অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড মিনারেল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু সাইদ আরেফিন খান।

উল্লেখ্য, এর আগে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের আলটিমেটামের পরিপ্রেক্ষিতে শাবিপ্রবির উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারারসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে মোট ৮৩ জন পদত্যাগ করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।