প্রতিনিধি
সিলেট: সিলেটে আজ শনিবার এক ঘণ্টার ব্যবধানে চারবার ভূ-কম্পন অনুভূত হয়েছে। সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে প্রথম ভূ-কম্পনটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৩। এরপর সকাল ১০টা ৫০ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডে ৪ দশমিক ১ মাত্রা, ১১টা ৩০ মিনিটে ২ দশমিক ৮ মাত্রা এবং ১১টা ৩৪ মিনিটে ২ মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত হয়। তবে বেলা ২টার দিকে পঞ্চমবারের মতো ভূমিকম্প অনুভূত হলেও সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তর চারবারই বলছে। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেট অঞ্চলের বাংলাদেশ–ভারত সীমান্তের জৈন্তাপুর এলাকায়।
এত কম সময়ের ব্যবধানে পাঁচটি ভূমিকম্পকে অশনিসংকেত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিলেট কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমেদ চৌধুরী এক ঘণ্টার ব্যবধানে চারবার ভূ-কম্পন ভালো লক্ষণ নয়। ঘন ঘন ছোট ভূ-কম্পন বড় ধরনের ভূমিকম্পেরই পূর্বাভাস। একই আশঙ্কার কথা বলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম।
এই দুই বিশেষজ্ঞের মতে, ভূমিকম্পের ডেঞ্জারজোনে আছে সিলেট। ফরাসি ইঞ্জিনিয়ারিং কনসোর্টিয়াম ১৯৯৮-এর জরিপ অনুযায়ী, সিলেট অঞ্চল ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে সক্রিয় ভূ-কম্পন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছে। ফলে এক ঘণ্টার মধ্যে চারটি ছোট ভূমিকম্প বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা আরও বাড়িয়েছে।
এদিকে, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, নীতিমালা না মেনে ভবন নির্মাণসহ নানা কারণে বড় ভূমিকম্প হলে এখানে বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা এই বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের মতে, রিখটার স্কেলে পাঁচ মাত্রার ভূমিকম্প হলে সিলেটের ৮০ ভাগ ভবনই ধসে পড়বে। সাত মাত্রার ভূমিকম্প হলে এ অঞ্চলের প্রায় ৯৫ ভাগ স্থাপনা ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রাণ হারাবে ১২ লাখ মানুষ। টাকার অঙ্কে ক্ষতি হবে ১৭ হাজার কোটি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিলেট কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, ছোট ছোট ভূমিকম্পের পর যেমন বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা থাকে তেমনি বড় ভূমিকম্পের পরও অনেকগুলো ছোট ভূমিকম্প হয়। তবে এ ক্ষেত্রে বিষয়টি উৎপত্তিস্থলের ওপর নির্ভর করে। যদি একই জায়গায় বারবার ভূমিকম্প হয় তাহলে বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা থাকে। তবে সিলেটের প্রেক্ষাপটে এই আশঙ্কা সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। কারণ আজকের দুটি ভূমিকম্প অনেক ছোট ছিল। যার ফলে সিলেট স্টেশন ছাড়া অন্য কোনো স্টেশনে এই কম্পন ধরা পড়েনি।
তিনি বলেন, সাধারণত ভূমিকম্পের গভীরতা যদি কম থাকে তাহলে ব্যাপ্তি কম হয়। এর আগেও ২৮ এপ্রিল সিলেটসহ সারা দেশে ৬ মাত্রার ভূ-কম্পন অনুভূত হয়েছে। আসামের ধেকিয়াজুলি থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার উত্তর-উত্তর পশ্চিমে ওই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল রাজ্যের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরত্বে ছিল। রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ৩৪ কিলোমিটার।
প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটে বাড়ছে আকাশছোঁয়া ভবন নির্মাণের প্রতিযোগিতা। আর এই মনোভাবের কারণে নির্বিচারে ভরাট করা হচ্ছে জলাধার, কেটে ফেলা হচ্ছে পাহাড়–টিলা। এতে বাড়ছে ভূমিকম্পে বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও। গবেষকদের মতে, সিলেটের অধিকাংশ বাণিজ্যিক ভবনই অপরিকল্পিত এবং ঝুঁকিপূর্ণ। রিখটার স্কেলে সাত বা এর বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হলে অধিকাংশ ভবনই ভেঙে পড়বে।
সিলেটে ভূমিকম্পে কোন এলাকায় কী পরিমাণ ক্ষতি হতে পারে এ নিয়ে কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ, জাপান ও শ্রীলঙ্কার একটি বিশেষজ্ঞ দল নগরীর ছয় হাজার ভবনের ওপর জরিপ চালায়। এই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবে নগরীর শাহজালাল উপশহর, আখালিয়া, বাগবাড়ি, মদিনা মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি এলাকা। বাণিজ্যিক ভবন ও ইমারতের পাশাপাশি নগরীতে অপরিকল্পিত ও ঝুঁকিপূর্ণ অনেকগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও রয়েছে। গবেষণার তথ্য মতে, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বহু বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে যেগুলো ভূমিকম্পের সময় ধসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর এসব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ধসে পড়লে প্রাণহানিও বাড়বে।
শ্রীলঙ্কার গবেষক অধ্যাপক আরঙ্গা পোলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হুমায়ূন আখতার, অধ্যাপক ড. আপ্তাব আহমেদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাকসুদ কামাল ও ড. জাহাঙ্গীর আলম এবং দুজন জাপানি বিশেষজ্ঞ এই গবেষণাটি করেন।
এ প্রসঙ্গে ড. জহির বিন আলম বলেন, সিলেট মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে থাকলেও তাৎক্ষণিক ক্ষতি-হ্রাস ও উদ্ধার কাজ চালানোর জন্য এখানে আধুনিক কোনো যন্ত্রপাতি নেই। তাই ভূমিকম্পের ঝুঁকি মাথায় রেখে এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে।
গবেষণার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, রিপোর্টে ভূমিকম্পের বিভিন্ন দিক গবেষণা-পর্যালোচনা করে এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করা হয়েছে। সিলেটে নতুন ভবন নির্মাণসহ সার্বিক নগরায়ণে ভূমিকম্প ঝুঁকির কথা বিবেচনায় রাখা হচ্ছে না। এ ছাড়া পুরোনো অসংখ্য দুর্বল ভবনও রয়েছে।
ভূমিকম্প বিষয়ক বিভিন্ন প্রকাশনা থেকে জানা যায়, ভূমিকম্পের মাত্রা অনুসারে বাংলাদেশ তিনটি ভূ-কম্পন বলয়ে অবস্থিত। এর মধ্যে এক নম্বর বলয়ে রিখটার স্কেলে ৭ থেকে ৯ বা তার অধিক মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে। আর এই এক নম্বর বলয়েই সিলেটের অবস্থান। এই বলয়ে আরও রয়েছে ময়মনসিংহ ও রংপুর।
অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম বলেন, ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকে ঘনঘন ভূমিকম্পের উৎপত্তি হলে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। তবে যদি একই জায়গা থেকে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয় তাহলে অবশ্যই চিন্তার বিষয়। এমন হলে আমাদের একটু সতর্ক থাকতে হবে।
সিলেট: সিলেটে আজ শনিবার এক ঘণ্টার ব্যবধানে চারবার ভূ-কম্পন অনুভূত হয়েছে। সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে প্রথম ভূ-কম্পনটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৩। এরপর সকাল ১০টা ৫০ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডে ৪ দশমিক ১ মাত্রা, ১১টা ৩০ মিনিটে ২ দশমিক ৮ মাত্রা এবং ১১টা ৩৪ মিনিটে ২ মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত হয়। তবে বেলা ২টার দিকে পঞ্চমবারের মতো ভূমিকম্প অনুভূত হলেও সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তর চারবারই বলছে। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেট অঞ্চলের বাংলাদেশ–ভারত সীমান্তের জৈন্তাপুর এলাকায়।
এত কম সময়ের ব্যবধানে পাঁচটি ভূমিকম্পকে অশনিসংকেত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিলেট কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমেদ চৌধুরী এক ঘণ্টার ব্যবধানে চারবার ভূ-কম্পন ভালো লক্ষণ নয়। ঘন ঘন ছোট ভূ-কম্পন বড় ধরনের ভূমিকম্পেরই পূর্বাভাস। একই আশঙ্কার কথা বলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম।
এই দুই বিশেষজ্ঞের মতে, ভূমিকম্পের ডেঞ্জারজোনে আছে সিলেট। ফরাসি ইঞ্জিনিয়ারিং কনসোর্টিয়াম ১৯৯৮-এর জরিপ অনুযায়ী, সিলেট অঞ্চল ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে সক্রিয় ভূ-কম্পন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছে। ফলে এক ঘণ্টার মধ্যে চারটি ছোট ভূমিকম্প বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা আরও বাড়িয়েছে।
এদিকে, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, নীতিমালা না মেনে ভবন নির্মাণসহ নানা কারণে বড় ভূমিকম্প হলে এখানে বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা এই বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের মতে, রিখটার স্কেলে পাঁচ মাত্রার ভূমিকম্প হলে সিলেটের ৮০ ভাগ ভবনই ধসে পড়বে। সাত মাত্রার ভূমিকম্প হলে এ অঞ্চলের প্রায় ৯৫ ভাগ স্থাপনা ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রাণ হারাবে ১২ লাখ মানুষ। টাকার অঙ্কে ক্ষতি হবে ১৭ হাজার কোটি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিলেট কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, ছোট ছোট ভূমিকম্পের পর যেমন বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা থাকে তেমনি বড় ভূমিকম্পের পরও অনেকগুলো ছোট ভূমিকম্প হয়। তবে এ ক্ষেত্রে বিষয়টি উৎপত্তিস্থলের ওপর নির্ভর করে। যদি একই জায়গায় বারবার ভূমিকম্প হয় তাহলে বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা থাকে। তবে সিলেটের প্রেক্ষাপটে এই আশঙ্কা সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। কারণ আজকের দুটি ভূমিকম্প অনেক ছোট ছিল। যার ফলে সিলেট স্টেশন ছাড়া অন্য কোনো স্টেশনে এই কম্পন ধরা পড়েনি।
তিনি বলেন, সাধারণত ভূমিকম্পের গভীরতা যদি কম থাকে তাহলে ব্যাপ্তি কম হয়। এর আগেও ২৮ এপ্রিল সিলেটসহ সারা দেশে ৬ মাত্রার ভূ-কম্পন অনুভূত হয়েছে। আসামের ধেকিয়াজুলি থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার উত্তর-উত্তর পশ্চিমে ওই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল রাজ্যের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরত্বে ছিল। রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ৩৪ কিলোমিটার।
প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটে বাড়ছে আকাশছোঁয়া ভবন নির্মাণের প্রতিযোগিতা। আর এই মনোভাবের কারণে নির্বিচারে ভরাট করা হচ্ছে জলাধার, কেটে ফেলা হচ্ছে পাহাড়–টিলা। এতে বাড়ছে ভূমিকম্পে বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও। গবেষকদের মতে, সিলেটের অধিকাংশ বাণিজ্যিক ভবনই অপরিকল্পিত এবং ঝুঁকিপূর্ণ। রিখটার স্কেলে সাত বা এর বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হলে অধিকাংশ ভবনই ভেঙে পড়বে।
সিলেটে ভূমিকম্পে কোন এলাকায় কী পরিমাণ ক্ষতি হতে পারে এ নিয়ে কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ, জাপান ও শ্রীলঙ্কার একটি বিশেষজ্ঞ দল নগরীর ছয় হাজার ভবনের ওপর জরিপ চালায়। এই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবে নগরীর শাহজালাল উপশহর, আখালিয়া, বাগবাড়ি, মদিনা মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি এলাকা। বাণিজ্যিক ভবন ও ইমারতের পাশাপাশি নগরীতে অপরিকল্পিত ও ঝুঁকিপূর্ণ অনেকগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও রয়েছে। গবেষণার তথ্য মতে, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বহু বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে যেগুলো ভূমিকম্পের সময় ধসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর এসব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ধসে পড়লে প্রাণহানিও বাড়বে।
শ্রীলঙ্কার গবেষক অধ্যাপক আরঙ্গা পোলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হুমায়ূন আখতার, অধ্যাপক ড. আপ্তাব আহমেদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাকসুদ কামাল ও ড. জাহাঙ্গীর আলম এবং দুজন জাপানি বিশেষজ্ঞ এই গবেষণাটি করেন।
এ প্রসঙ্গে ড. জহির বিন আলম বলেন, সিলেট মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে থাকলেও তাৎক্ষণিক ক্ষতি-হ্রাস ও উদ্ধার কাজ চালানোর জন্য এখানে আধুনিক কোনো যন্ত্রপাতি নেই। তাই ভূমিকম্পের ঝুঁকি মাথায় রেখে এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে।
গবেষণার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, রিপোর্টে ভূমিকম্পের বিভিন্ন দিক গবেষণা-পর্যালোচনা করে এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করা হয়েছে। সিলেটে নতুন ভবন নির্মাণসহ সার্বিক নগরায়ণে ভূমিকম্প ঝুঁকির কথা বিবেচনায় রাখা হচ্ছে না। এ ছাড়া পুরোনো অসংখ্য দুর্বল ভবনও রয়েছে।
ভূমিকম্প বিষয়ক বিভিন্ন প্রকাশনা থেকে জানা যায়, ভূমিকম্পের মাত্রা অনুসারে বাংলাদেশ তিনটি ভূ-কম্পন বলয়ে অবস্থিত। এর মধ্যে এক নম্বর বলয়ে রিখটার স্কেলে ৭ থেকে ৯ বা তার অধিক মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে। আর এই এক নম্বর বলয়েই সিলেটের অবস্থান। এই বলয়ে আরও রয়েছে ময়মনসিংহ ও রংপুর।
অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম বলেন, ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকে ঘনঘন ভূমিকম্পের উৎপত্তি হলে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। তবে যদি একই জায়গা থেকে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয় তাহলে অবশ্যই চিন্তার বিষয়। এমন হলে আমাদের একটু সতর্ক থাকতে হবে।
মিসরের ইজিপ্ট এয়ারের দুটি উড়োজাহাজ ভাড়ায় অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাঁচ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন বিমানের এই কর্মকর্তাদের কারাগারে
১৯ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের কুতুবপুরে কবরস্থানের গাছ থেকে হাসান আহমেদ (২৬) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার কুতুবপুর ইউনিয়নের শাহী মহল্লা কবরস্থানের কবর খননকারী কয়েক ব্যক্তি লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
২২ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ব্যানারে না দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ছয়জন আহত হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের শ্রীনিবাসদী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জড়ানো
২৯ মিনিট আগেটাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ১৫ দিনের রিমান্ড শেষে আজ রোবাবর তাঁকে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
৩৭ মিনিট আগে