গরু চুরির অভিযোগে পিটুনি ও চুনমিশ্রিত পানি খাইয়ে যুবককে হত্যা

গোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১: ৪৬
প্রতীকী ছবি

সিলেটের গোয়াইনঘাটে গরু চুরির অভিযোগে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর, বালু ও চুনমিশ্রিত পানি খাইয়ে নির্যাতনে এক যুবক মারা গেছেন। তাঁর নাম হেলাল (৩২)। গত মঙ্গলবার বিকেল তাঁর ওপর এই নির্যাতন শুরু হয়। গতকাল বুধবার সকালে হেলালকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

মধ্য জাফলং ইউনিয়নের জাফলং চা-বাগানে এ ঘটনা ঘটে। হেলালের বাড়ি উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নের দাতারি গ্রামে। তিনি দাতারি গ্রামের মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে জাফলং চা-বাগানে গরু চুরির অভিযোগে ইসলামপুর গাংপার গ্রামের মোশাররফ হোসেন, আমির উদ্দিন, সালামসহ তাঁদের সহযোগীরা হেলালকে ধরে নিয়ে যান। এরপর তাঁকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে চোখে চুন দেওয়া হয়। পরে তাঁকে বালু ও চুনমিশ্রিত প্রায় এক লিটার পানি খাওয়ান তাঁরা। একপর্যায়ে হেলাল অচেতন হয়ে পড়লে তাঁকে মধ্য জাফলং ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে রাখা হয়। সেখানেও তাঁর ওপর নির্যাতন চলে। খবর পেয়ে গতকাল সকালে হেলালকে তাঁর স্বজনেরা অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে অতিরিক্ত বমি ও রক্তক্ষরণে মারা যান।

গোয়াইনঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রভাকর রায় বলেন, ‘আমি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হেলালকে উদ্ধার করার জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানকার লোকজন বলেছে হেলাল উদ্দিনের পরিবারের লোকজন এলে তাঁদের কাছে দিয়ে দেবে। তারপর আমরা চলে আসি।’

অভিযুক্ত মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমি কোনো মারধর করিনি। এলাকার লোকজন তাঁকে মারধর করেছে। তবে আমি কিছু সময় ঘটনাস্থলে ছিলাম।’

গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ বলেন, অতিরিক্ত মারধর, বালু ও চুনমিশ্রিত পানি খাওয়ানোর কারণেই হেলালের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত