নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
সিলেট নগরীর অন্যতম প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা। ঘণ্টাখানেকের ভারী বৃষ্টিতেই পানি জমে রাস্তায়। বাসাবাড়ি-দোকানপাটেও ঢুকে যায় পানি। নগরবাসীর দুর্ভোগের যেন কোনো সীমা নেই। এ সমস্যা নিয়ে টানা দুই মেয়াদে কাজ করে গেছেন সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বর্তমান মেয়রও দায়িত্বে নিয়েই নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। তবে অনেক টাকা ব্যয় হলেও মেলেনি সুফল।
এমন পরিস্থিতিতে ‘নগর বাঁচাও, সিলেট বাঁচাও’ স্লোগানকে সামনে রেখে বিভিন্ন ছড়া পরিদর্শন করেছেন সিটি করপোরেশনের (সিসিক) বর্তমান মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। শনিবার (২২ জুন) বিকেলে নগরের রিকাবিবাজার এলাকার স্টেডিয়াম সংলগ্ন মাদার কেয়ার হাসপাতালের পাশে বৈটাখাল ছড়া পরিদর্শন করেন তাঁরা। এ সময় ছড়ায় পানি প্রবাহে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা তদারকি করেন এবং সমস্যা সমাধানে একে অপরকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘নগরের ভেতর ২৩টি ছড়া আছে। সেগুলো নিয়ে ১৯৫৬ সালের ম্যাপ ধরে আমরা কাজ করব। সকল ছড়া উদ্ধার ও খনন করে সুরমা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত করব এবং সুরমা নদীও খনন করা হবে। শুধু সিটি করপোরেশন এলাকা খনন করলে হবে না। উৎপত্তিস্থল থেকে খনন কাজ করতে হবে। বক্তব্য কম হবে, কাজ বেশি হবে।’
সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর আন্তরিক সহযোগিতার প্রশংসা করে আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘তাঁর ১০ বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা কাজ করব। তিনি কোথায় কোথায় প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছেন সেগুলোও আমাকে অবহিত করছেন।’
বর্তমান মেয়র আরও বলেন, ‘নগর বাঁচাও, সিলেট বাঁচাও—স্লোগানকে সামনে নিয়ে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ নগরকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সিলেটের স্বার্থে আমরা দলমত-নির্বিশেষে সবাই একমত। সিলেট নগরের মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছেন। আমরা জনগণের প্রতিনিধি। আমরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। কিছু সংখ্যক মানুষের স্বার্থে সিলেট শহর ডুবে যাবে, নগরবাসীর ভোগান্তি হবে, সেটা আমরা মেনে নেব না।’
যারা ছড়া দখল করে বসে আছেন তাঁদেরকে উদ্দেশ্য করে আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘আপনারা নিজ নিজ দায়িত্বে ছড়া ছেড়ে দিন। আর না হলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে ছড়া উদ্ধার করব। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। সিলেট নগর রক্ষায়, প্রবাসীদের জানমাল রক্ষায় এবং সিলেটে বিনিয়োগ রক্ষায় আমরা বদ্ধপরিকর। কোনো দখলবাজ বা সন্ত্রাসীকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
এ সময় সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সিলেট রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতির নগর। বহু বছর ধরে আমরা দেখছি নগরের মানুষ পানিবন্দী হয়ে যান এবং মালামাল নষ্ট হয়ে যায় এটি আর দেখতে চাই না। তবে এটির দায়ভার একা সিটি করপোরেশনের নয়। যে সকল ছড়া, খাল আছে সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ কিছু ব্যক্তি মালিকানা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাঁরা যদি নগরবাসীর কথা বিবেচনা করে এগুলো ছেড়ে দেন, তাহলে তাঁদের স্বাগত জানাব। অন্যথায় বর্তমান মেয়র তাঁদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ছড়াগুলো উদ্ধার করা গেলে সিলেটবাসী বন্যার কবল থেকে অনেকটা রক্ষা পাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্যান্য সিটি করপোরেশনের সঙ্গে তুলনায় সিলেট অনেক পিছিয়ে। এর মূল কারণ হচ্ছে আমাদের নেতৃত্বের অভাব। আমার বিশ্বাস বর্তমান মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে সিলেট সিটির মাস্টার প্ল্যান অনুয়ায়ী কাজ এগিয়ে যাবে। মূল উৎপত্তিস্থল থেকে নগরের ছড়া সরকারিভাবে খননসহ শহর রক্ষা বেড়িবাঁধ করা যায়, তাহলে এর লাঘব হবে। কালক্ষেপণ না করে একটা একটা করে সমস্যার সমাধান করতে হবে। আমার বিশ্বাস মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এগুলো পারবেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত কাছের মানুষ। গত ১৫ বছরে যেটা হয়নি, আমরা আশা করি আগামী ৪ বছরের মধ্যে সিলেটে অনেক বেশি উন্নয়ন হবে।’
নগরীর স্বার্থে অন্যান্য যারা আরও দায়িত্ববান ও রাজনীতিবিদরা আছেন সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান আরিফুল হক চৌধুরী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন—সিসিকের প্যানেল মেয়র মো. মখলিছুর রহমান কামরান, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সিলেট জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম আহমদ, দেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মিসবাউর রহমান প্রমুখ।
সিলেট নগরীর অন্যতম প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা। ঘণ্টাখানেকের ভারী বৃষ্টিতেই পানি জমে রাস্তায়। বাসাবাড়ি-দোকানপাটেও ঢুকে যায় পানি। নগরবাসীর দুর্ভোগের যেন কোনো সীমা নেই। এ সমস্যা নিয়ে টানা দুই মেয়াদে কাজ করে গেছেন সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বর্তমান মেয়রও দায়িত্বে নিয়েই নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। তবে অনেক টাকা ব্যয় হলেও মেলেনি সুফল।
এমন পরিস্থিতিতে ‘নগর বাঁচাও, সিলেট বাঁচাও’ স্লোগানকে সামনে রেখে বিভিন্ন ছড়া পরিদর্শন করেছেন সিটি করপোরেশনের (সিসিক) বর্তমান মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। শনিবার (২২ জুন) বিকেলে নগরের রিকাবিবাজার এলাকার স্টেডিয়াম সংলগ্ন মাদার কেয়ার হাসপাতালের পাশে বৈটাখাল ছড়া পরিদর্শন করেন তাঁরা। এ সময় ছড়ায় পানি প্রবাহে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা তদারকি করেন এবং সমস্যা সমাধানে একে অপরকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘নগরের ভেতর ২৩টি ছড়া আছে। সেগুলো নিয়ে ১৯৫৬ সালের ম্যাপ ধরে আমরা কাজ করব। সকল ছড়া উদ্ধার ও খনন করে সুরমা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত করব এবং সুরমা নদীও খনন করা হবে। শুধু সিটি করপোরেশন এলাকা খনন করলে হবে না। উৎপত্তিস্থল থেকে খনন কাজ করতে হবে। বক্তব্য কম হবে, কাজ বেশি হবে।’
সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর আন্তরিক সহযোগিতার প্রশংসা করে আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘তাঁর ১০ বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা কাজ করব। তিনি কোথায় কোথায় প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছেন সেগুলোও আমাকে অবহিত করছেন।’
বর্তমান মেয়র আরও বলেন, ‘নগর বাঁচাও, সিলেট বাঁচাও—স্লোগানকে সামনে নিয়ে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ নগরকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সিলেটের স্বার্থে আমরা দলমত-নির্বিশেষে সবাই একমত। সিলেট নগরের মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছেন। আমরা জনগণের প্রতিনিধি। আমরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। কিছু সংখ্যক মানুষের স্বার্থে সিলেট শহর ডুবে যাবে, নগরবাসীর ভোগান্তি হবে, সেটা আমরা মেনে নেব না।’
যারা ছড়া দখল করে বসে আছেন তাঁদেরকে উদ্দেশ্য করে আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘আপনারা নিজ নিজ দায়িত্বে ছড়া ছেড়ে দিন। আর না হলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে ছড়া উদ্ধার করব। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। সিলেট নগর রক্ষায়, প্রবাসীদের জানমাল রক্ষায় এবং সিলেটে বিনিয়োগ রক্ষায় আমরা বদ্ধপরিকর। কোনো দখলবাজ বা সন্ত্রাসীকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
এ সময় সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সিলেট রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতির নগর। বহু বছর ধরে আমরা দেখছি নগরের মানুষ পানিবন্দী হয়ে যান এবং মালামাল নষ্ট হয়ে যায় এটি আর দেখতে চাই না। তবে এটির দায়ভার একা সিটি করপোরেশনের নয়। যে সকল ছড়া, খাল আছে সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ কিছু ব্যক্তি মালিকানা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাঁরা যদি নগরবাসীর কথা বিবেচনা করে এগুলো ছেড়ে দেন, তাহলে তাঁদের স্বাগত জানাব। অন্যথায় বর্তমান মেয়র তাঁদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ছড়াগুলো উদ্ধার করা গেলে সিলেটবাসী বন্যার কবল থেকে অনেকটা রক্ষা পাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্যান্য সিটি করপোরেশনের সঙ্গে তুলনায় সিলেট অনেক পিছিয়ে। এর মূল কারণ হচ্ছে আমাদের নেতৃত্বের অভাব। আমার বিশ্বাস বর্তমান মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে সিলেট সিটির মাস্টার প্ল্যান অনুয়ায়ী কাজ এগিয়ে যাবে। মূল উৎপত্তিস্থল থেকে নগরের ছড়া সরকারিভাবে খননসহ শহর রক্ষা বেড়িবাঁধ করা যায়, তাহলে এর লাঘব হবে। কালক্ষেপণ না করে একটা একটা করে সমস্যার সমাধান করতে হবে। আমার বিশ্বাস মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এগুলো পারবেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত কাছের মানুষ। গত ১৫ বছরে যেটা হয়নি, আমরা আশা করি আগামী ৪ বছরের মধ্যে সিলেটে অনেক বেশি উন্নয়ন হবে।’
নগরীর স্বার্থে অন্যান্য যারা আরও দায়িত্ববান ও রাজনীতিবিদরা আছেন সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান আরিফুল হক চৌধুরী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন—সিসিকের প্যানেল মেয়র মো. মখলিছুর রহমান কামরান, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সিলেট জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম আহমদ, দেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মিসবাউর রহমান প্রমুখ।
ঢাকার ধামরাইয়ে তিন দফা দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীরামপুর এলাকার গ্রাফিক্স টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিকেরা এ বিক্ষোভ করেন। এ সময় অবরোধস্থলের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
৪ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে খালের পানিতে ডুবে চার বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের কাকড়াবুনিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
৫ ঘণ্টা আগেযশোরের অভয়নগরে পুকুরে ডুবে এক দেড় বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে উপজেলার অভয়নগর গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৫ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচারকালে সেলিম হোসেন (২৬) নামে এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা–৬ বিজিবির দর্শনা বিওপির একটি টহলদল তাকে আটক করে।
৫ ঘণ্টা আগে