মোসাইদ রাহাত, সুনামগঞ্জ
হাওরের চাষিদের মধ্যে কম্বাইন হারভেস্টার বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। টাকা নিয়েও যন্ত্র না দেওয়া, এক যন্ত্র একাধিকজনকে দিয়ে সরকারের দেওয়া ভর্তুকির বরাদ্দ তুলে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
সুনামগঞ্জ কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় অন্তত ৮৫০টি কম্বাইন হারভেস্টার কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
তালিকা ধরে চাষিদের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অর্ধেক যন্ত্রও মাঠে সচল নেই। বিকল পড়ে রয়েছে তিন শতাধিক। শতাধিক যন্ত্রের হিসাবই পাওয়া যাচ্ছে না। কৃষকের কাছ থেকে ৩০ ভাগ এবং সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকির ৭০ ভাগ অর্থ নিয়েও এসব যন্ত্র গায়েব করে ফেলা হয়েছে। আবার দুই বছরের মধ্যে যন্ত্রে কোনো ত্রুটি দেখা দিলে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিনা খরচে মেরামত করে দেওয়ার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।
চাষি ও সরবরাহকারী সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে অন্তত ১৪টি কোম্পানি চাষিদের মধ্যে কম্বাইন হারভেস্টার সরবরাহ করে। কিছু কোম্পানি নিম্নমানের যন্ত্র সরবরাহ করেছে। এতে অল্প দিনেই বিকল হয়ে পড়েছে বেশ কিছু যন্ত্র। আবার দুই বছর পর্যন্ত বিনা খরচে মেরামত করে দেওয়ার কথা থাকলেও কৃষকদের নিজ খরচে যন্ত্রাংশ কিনতে হচ্ছে।
জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার খিরদরপুর গ্রামের কৃষক শাহ জামাল জানান, ২০২১-২২ অর্থবছরে হারভেস্টার পাওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত হন তিনি। কিন্তু তাঁর নামে বরাদ্দের যন্ত্রটি ব্যবহার করছেন আরেক মধ্যস্বত্বভোগী। বিষয়টি সামনে এলে কৃষি বিভাগ ও সরবরাহকারী কোম্পানির লোকজন নিজেদের বাঁচাতে একই উপজেলার বাগুয়া গ্রামের এহিয়া ও শান্তিপুর গ্রামের মোজাহিদ হোসেনের নামে যৌথভাবে যন্ত্রটি ব্যবহারের বিষয়ে একটি এফিডেভিট করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাস্তবে এ যন্ত্র দেওয়াই হয়নি, তালিকাভুক্ত কৃষকও ৩০ ভাগ টাকা দেননি।
শাল্লা উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের মনোহর রায়, আটগাঁওয়ের রুহুল আমিন যন্ত্র নষ্ট হওয়ার পর কোম্পানি ও কৃষি বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে মেরামত করতে না পেরে বাধ্য হয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন।
কাশিপুর গ্রামের দীপক রঞ্জন দাস ও দীপু চন্দ্র দাস কাগজ-কলমে যন্ত্র উত্তোলন করলেও এগুলো কোথায় আছে, তাঁরাই জানেন না। আনন্দপুরের মৃদুল চন্দ্র দাস ও আকাশ রায়ের যন্ত্রও তাঁরা কোনো দিন দেখেননি। কাশিপুরের দীনার শাহরিয়ার ও আলাউদ্দিন আদনানের যন্ত্রটি অন্যত্র বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের কৃষক রফিক মিয়া জানান, ২০২১-২২ অর্থবছরে তালিকাভুক্ত হন তিনি। তাঁর নামে যন্ত্র বিতরণ দেখানো হয়, কিন্তু তিনি পাননি। এ ঘটনায় তিনি গত ১৯ ডিসেম্বর লিখিত অভিযোগ করেন ইউএনওর কাছে। এরপর সুনামগঞ্জ জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোস্তফা ইকবাল আজাদ তদন্ত করে সরবরাহকারী কোম্পানি ও সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তাকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রতিবেদন দেন।
শাল্লা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, ‘পুরোনো যন্ত্র বিতরণ করায় অধিকাংশই অকেজো হয়ে গেছে। আমরা কোম্পানিকে এগুলো সচল করে দেওয়ার জন্য বললেও তারা দিচ্ছে না।’
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, ‘যন্ত্র কাজ করছে না বলে একাধিক কৃষক আমাদের কাছ অভিযোগ করেছেন। আমরা লিখিতভাবে কোম্পানিসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। বর্তমানে আমাদের ৭৪টি যন্ত্র বিকল আছে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস গত ১৯ এপ্রিল ধান কাটা উৎসব দেখতে হাওরে আসেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘যন্ত্র বিতরণে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেব।’
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহিদ ওই দিন সাংবাদিকদের এ-সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আমরা কম্বাইন হারভেস্টার চীন থেকে নিয়ে আসি। সরকার প্রতিটি মেশিনে ৭০ ভাগ ভর্তুকি দেয়। মেশিন চালাতে গিয়ে যন্ত্রপাতির সমস্যা হলে কৃষি বিভাগ অথবা সংশ্লিষ্টরা ব্যবস্থা না নিলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। যন্ত্র নিয়ে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হলে ছাড় দেওয়া হবে না।’
হাওরের চাষিদের মধ্যে কম্বাইন হারভেস্টার বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। টাকা নিয়েও যন্ত্র না দেওয়া, এক যন্ত্র একাধিকজনকে দিয়ে সরকারের দেওয়া ভর্তুকির বরাদ্দ তুলে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
সুনামগঞ্জ কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় অন্তত ৮৫০টি কম্বাইন হারভেস্টার কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
তালিকা ধরে চাষিদের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অর্ধেক যন্ত্রও মাঠে সচল নেই। বিকল পড়ে রয়েছে তিন শতাধিক। শতাধিক যন্ত্রের হিসাবই পাওয়া যাচ্ছে না। কৃষকের কাছ থেকে ৩০ ভাগ এবং সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকির ৭০ ভাগ অর্থ নিয়েও এসব যন্ত্র গায়েব করে ফেলা হয়েছে। আবার দুই বছরের মধ্যে যন্ত্রে কোনো ত্রুটি দেখা দিলে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিনা খরচে মেরামত করে দেওয়ার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।
চাষি ও সরবরাহকারী সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে অন্তত ১৪টি কোম্পানি চাষিদের মধ্যে কম্বাইন হারভেস্টার সরবরাহ করে। কিছু কোম্পানি নিম্নমানের যন্ত্র সরবরাহ করেছে। এতে অল্প দিনেই বিকল হয়ে পড়েছে বেশ কিছু যন্ত্র। আবার দুই বছর পর্যন্ত বিনা খরচে মেরামত করে দেওয়ার কথা থাকলেও কৃষকদের নিজ খরচে যন্ত্রাংশ কিনতে হচ্ছে।
জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার খিরদরপুর গ্রামের কৃষক শাহ জামাল জানান, ২০২১-২২ অর্থবছরে হারভেস্টার পাওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত হন তিনি। কিন্তু তাঁর নামে বরাদ্দের যন্ত্রটি ব্যবহার করছেন আরেক মধ্যস্বত্বভোগী। বিষয়টি সামনে এলে কৃষি বিভাগ ও সরবরাহকারী কোম্পানির লোকজন নিজেদের বাঁচাতে একই উপজেলার বাগুয়া গ্রামের এহিয়া ও শান্তিপুর গ্রামের মোজাহিদ হোসেনের নামে যৌথভাবে যন্ত্রটি ব্যবহারের বিষয়ে একটি এফিডেভিট করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাস্তবে এ যন্ত্র দেওয়াই হয়নি, তালিকাভুক্ত কৃষকও ৩০ ভাগ টাকা দেননি।
শাল্লা উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের মনোহর রায়, আটগাঁওয়ের রুহুল আমিন যন্ত্র নষ্ট হওয়ার পর কোম্পানি ও কৃষি বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে মেরামত করতে না পেরে বাধ্য হয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন।
কাশিপুর গ্রামের দীপক রঞ্জন দাস ও দীপু চন্দ্র দাস কাগজ-কলমে যন্ত্র উত্তোলন করলেও এগুলো কোথায় আছে, তাঁরাই জানেন না। আনন্দপুরের মৃদুল চন্দ্র দাস ও আকাশ রায়ের যন্ত্রও তাঁরা কোনো দিন দেখেননি। কাশিপুরের দীনার শাহরিয়ার ও আলাউদ্দিন আদনানের যন্ত্রটি অন্যত্র বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের কৃষক রফিক মিয়া জানান, ২০২১-২২ অর্থবছরে তালিকাভুক্ত হন তিনি। তাঁর নামে যন্ত্র বিতরণ দেখানো হয়, কিন্তু তিনি পাননি। এ ঘটনায় তিনি গত ১৯ ডিসেম্বর লিখিত অভিযোগ করেন ইউএনওর কাছে। এরপর সুনামগঞ্জ জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোস্তফা ইকবাল আজাদ তদন্ত করে সরবরাহকারী কোম্পানি ও সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তাকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রতিবেদন দেন।
শাল্লা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, ‘পুরোনো যন্ত্র বিতরণ করায় অধিকাংশই অকেজো হয়ে গেছে। আমরা কোম্পানিকে এগুলো সচল করে দেওয়ার জন্য বললেও তারা দিচ্ছে না।’
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, ‘যন্ত্র কাজ করছে না বলে একাধিক কৃষক আমাদের কাছ অভিযোগ করেছেন। আমরা লিখিতভাবে কোম্পানিসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। বর্তমানে আমাদের ৭৪টি যন্ত্র বিকল আছে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস গত ১৯ এপ্রিল ধান কাটা উৎসব দেখতে হাওরে আসেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘যন্ত্র বিতরণে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেব।’
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহিদ ওই দিন সাংবাদিকদের এ-সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আমরা কম্বাইন হারভেস্টার চীন থেকে নিয়ে আসি। সরকার প্রতিটি মেশিনে ৭০ ভাগ ভর্তুকি দেয়। মেশিন চালাতে গিয়ে যন্ত্রপাতির সমস্যা হলে কৃষি বিভাগ অথবা সংশ্লিষ্টরা ব্যবস্থা না নিলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। যন্ত্র নিয়ে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হলে ছাড় দেওয়া হবে না।’
চট্টগ্রাম নগরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মো. আলম নামে এক ব্যক্তি নিহতের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এম এ লতিফের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তিনি চট্টগ্রাম-১১ আসনের (বন্দর-পতেঙ্গা) আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন। বুধবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম পুলিশের আ
১ few সেকেন্ড আগেদীর্ঘ ২৫ বছর পর ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করেছেন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। আজ বুধবার অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে ভোট গ্রহণের পুরো প্রক্রিয়াটি সরাসরি দেখানো হয়। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের এই নির্বাচনে সভাপতি হিসেবে
২২ মিনিট আগেকুড়িগ্রামের উলিপুরে হত্যা মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে পৌর শহরের পূর্ব বাজার এলাকার নির্মাণাধীন মডেল মসজিদের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৬ মিনিট আগেবিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেছেন, ‘সংস্কারের কথা বলে দীর্ঘ সময় ক্ষমতা ধরে রাখা জনগণ হয়তো সন্দেহের চোখে দেখছে। দ্রুত উল্লেখযোগ্য সংস্কার করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া এ সরকারের প্রধান কাজ।’
২৭ মিনিট আগে