নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
১০ দিন আগেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ছিল ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। এখন তা ৫০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। অর্থাৎ বেড়েছে প্রায় ৩০০ টাকা। ক্রেতারা একে তুলনা করছেন ‘ঝাল বাড়ার’ সঙ্গে। আর বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে জোগান কম হওয়ায় দাম বাড়ছে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল ও মগবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
দাম হঠাৎ বাড়ার কারণ হিসেবে সেই বহু পুরোনো যুক্তিই দিচ্ছেন বিক্রেতারা। আর সেটা হলো, ‘জোগান কম’। আর এর সঙ্গে এবার যুক্ত করেছেন অতি বৃষ্টিকে।
জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা শরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৃষ্টির কারণে মরিচের সরবরাহ কমে গেছে। তাই দামও বেড়েছে।
১০ দিন আগেও যে মরিচের দাম ছিল ২০০ টাকা, তা এখন ৫০০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে বলে তিনি জানান।
মরিচভেদে দামে কিছুটা হেরফের আছে জানিয়ে শরিফ বলেন, ‘বিন্দু মরিচ ৪৫০ টাকায় বিক্রি করছি। তবে ঝাল বেশি হওয়ায় কারেন্ট মরিচের চাহিদা বেশি। তাই দামও বেশি। এই মরিচ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়।’
একই ভাষ্য মগবাজারের সবজি বিক্রেতা রাজীব মিয়ার। তিনি বলেন, ঈদের ছুটি থাকায় বাজারে কাঁচা মরিচ কম এসেছে। এর জন্য অবশ্য বৃষ্টিও কিছুটা দায়ী।
কিন্তু তাই বলে কাঁচা মরিচের এত দাম! বিষয়টি যেন মানতেই পারছেন না কারওয়ান বাজারে সবজি কিনতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আল মামুন।
একরাশ হতাশা নিয়ে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভাই, কী বলব বলেন? জীবনেও শুনি নাই কাঁচা মরিচের কেজি ৫০০ টাকা। তবে একটু নরমগুলো ৪৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।’
হাতিরপুলে বাজার করতে আসা গৃহিণী তাহমিনা বেগমও কাঁচা মরিচের এমন লাগাম ছাড়া দামে ভীষণ ক্ষুব্ধ। তার মতে, অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে কাঁচা মরিচ। এমন অস্বাভাবিক দাম কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
দাম বাড়ার সঙ্গে ঝাল বাড়ারও তুলনা করে তিনি বললেন, ‘আপনি লেখেন- মরিচের দাম নয়, ঝাল বেড়েছে। কারণ, ঝাল বাড়লে যেমন কম খেতে হয় তেমনি দাম বাড়ায় কম কিনতে হচ্ছে।’
সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি
কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিক বাড়লেও সবজির বাজারে রয়েছে কিছুটা স্বস্তি। প্রায় সব সবজিই কেজিপ্রতি কমেছে ১০ থেকে সর্বোচ্চ ২০ টাকা পর্যন্ত।
করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে, যা ঈদের ছুটির আগে ছিল ৮০ টাকা। এ ছাড়া পেঁপে ৩০ টাকা, ঢ্যাঁরস ৩৫ টাকা, কাঁকরোল ৪০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা এবং পোটল ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। লেবু প্রতি ডজন ৪০ টাকা এবং কাঁচা কলা প্রতি হালি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের দাম বাড়তি
কাঁচা মরিচ ছাড়া সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি থাকলেও মাছের বাজারে রয়েছে অস্বস্তি। কারণ সেই পুরোনো অজুহাত জোগান কম থাকায় দাম কিছুটা বাড়তি। প্রতি কেজি রুই বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তবে জ্যান্ত রুই কিনতে আরও ৫০ টাকা বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে।
বাগদা চিংড়ি ৭০০ ও গলদা ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এর বাইরে আইড়, চিতল, বেলে মাছ আকারভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়।
এ ছাড়া গরু ও খাসির মাংসের দামও কিছুটা বেড়েছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা কেজিতে। আর লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা আর ব্রয়লার ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকায়।
১০ দিন আগেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ছিল ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। এখন তা ৫০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। অর্থাৎ বেড়েছে প্রায় ৩০০ টাকা। ক্রেতারা একে তুলনা করছেন ‘ঝাল বাড়ার’ সঙ্গে। আর বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে জোগান কম হওয়ায় দাম বাড়ছে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল ও মগবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
দাম হঠাৎ বাড়ার কারণ হিসেবে সেই বহু পুরোনো যুক্তিই দিচ্ছেন বিক্রেতারা। আর সেটা হলো, ‘জোগান কম’। আর এর সঙ্গে এবার যুক্ত করেছেন অতি বৃষ্টিকে।
জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা শরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৃষ্টির কারণে মরিচের সরবরাহ কমে গেছে। তাই দামও বেড়েছে।
১০ দিন আগেও যে মরিচের দাম ছিল ২০০ টাকা, তা এখন ৫০০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে বলে তিনি জানান।
মরিচভেদে দামে কিছুটা হেরফের আছে জানিয়ে শরিফ বলেন, ‘বিন্দু মরিচ ৪৫০ টাকায় বিক্রি করছি। তবে ঝাল বেশি হওয়ায় কারেন্ট মরিচের চাহিদা বেশি। তাই দামও বেশি। এই মরিচ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়।’
একই ভাষ্য মগবাজারের সবজি বিক্রেতা রাজীব মিয়ার। তিনি বলেন, ঈদের ছুটি থাকায় বাজারে কাঁচা মরিচ কম এসেছে। এর জন্য অবশ্য বৃষ্টিও কিছুটা দায়ী।
কিন্তু তাই বলে কাঁচা মরিচের এত দাম! বিষয়টি যেন মানতেই পারছেন না কারওয়ান বাজারে সবজি কিনতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আল মামুন।
একরাশ হতাশা নিয়ে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভাই, কী বলব বলেন? জীবনেও শুনি নাই কাঁচা মরিচের কেজি ৫০০ টাকা। তবে একটু নরমগুলো ৪৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।’
হাতিরপুলে বাজার করতে আসা গৃহিণী তাহমিনা বেগমও কাঁচা মরিচের এমন লাগাম ছাড়া দামে ভীষণ ক্ষুব্ধ। তার মতে, অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে কাঁচা মরিচ। এমন অস্বাভাবিক দাম কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
দাম বাড়ার সঙ্গে ঝাল বাড়ারও তুলনা করে তিনি বললেন, ‘আপনি লেখেন- মরিচের দাম নয়, ঝাল বেড়েছে। কারণ, ঝাল বাড়লে যেমন কম খেতে হয় তেমনি দাম বাড়ায় কম কিনতে হচ্ছে।’
সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি
কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিক বাড়লেও সবজির বাজারে রয়েছে কিছুটা স্বস্তি। প্রায় সব সবজিই কেজিপ্রতি কমেছে ১০ থেকে সর্বোচ্চ ২০ টাকা পর্যন্ত।
করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে, যা ঈদের ছুটির আগে ছিল ৮০ টাকা। এ ছাড়া পেঁপে ৩০ টাকা, ঢ্যাঁরস ৩৫ টাকা, কাঁকরোল ৪০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা এবং পোটল ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। লেবু প্রতি ডজন ৪০ টাকা এবং কাঁচা কলা প্রতি হালি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের দাম বাড়তি
কাঁচা মরিচ ছাড়া সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি থাকলেও মাছের বাজারে রয়েছে অস্বস্তি। কারণ সেই পুরোনো অজুহাত জোগান কম থাকায় দাম কিছুটা বাড়তি। প্রতি কেজি রুই বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তবে জ্যান্ত রুই কিনতে আরও ৫০ টাকা বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে।
বাগদা চিংড়ি ৭০০ ও গলদা ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এর বাইরে আইড়, চিতল, বেলে মাছ আকারভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়।
এ ছাড়া গরু ও খাসির মাংসের দামও কিছুটা বেড়েছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা কেজিতে। আর লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা আর ব্রয়লার ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকায়।
মাইন্ডশেয়ার বাংলাদেশ, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অর্জন করল মর্যাদাপূর্ণ ‘অরিজিনাল মিডিয়া ইনোভেশন অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার | প্রত্যেক বছর শেষে মাইন্ডশেয়ার গ্লোবাল এই পুরস্কারের ঘোষণা করে। প্রায় ৩৫০টি এন্ট্রি এবং ৩২টি মার্কেট –এর প্রতিযোগিতার মধ্য থেকে ‘রিন বিপ কল ক্যাম্পেইন’ অর্জন করে এই অভূতপূর্ণ সাফল্
২ ঘণ্টা আগেজাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বেশ কয়েকটি পণ্যে ভ্যাট অব্যাহতির ঘোষণা দিয়েছে, যা বাজার স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এ তালিকায় রয়েছে দেশে উৎপাদিত বিস্কুট, লবণ, সরিষার তেল, আটা, ময়দা, এলপি গ্যাসসহ বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। কিছু পণ্যে উৎপাদন পর্যায়ে ও কিছুতে...
১৪ ঘণ্টা আগেদেশের তৈরি পোশাকশিল্প হঠাৎ করেই উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি। বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতার চাপ, ক্রমবর্ধমান উৎপাদন ব্যয় এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে আরও দুঃসংবাদ হলো, চলতি বছরের জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে পোশাক রপ্তানির ক্রয় আদেশ (ইউডি) ৪২ শতাংশ কমে গেছে, যা গত ১৪ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন।
১৪ ঘণ্টা আগেঈদ আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে বড় উৎসব। ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি, আর এই ঈদের খুশিকে সর্বজনীন করতে যমুনা ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড অটোমোবাইলসের পণ্যে শুরু হচ্ছে ‘ডাবল খুশি অফার’ সিজন-৩।
১৫ ঘণ্টা আগে