অনলাইন ডেস্ক
ঋণের শর্ত হিসেবে দেওয়া কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ মোটা দাগে সঠিক পথেই রয়েছে বলে মনে করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বৈদেশিক মুদ্রা বা ডলারের একক বিনিময় হারসহ মুদ্রানীতির সংস্কারমূলক পদক্ষেপকেও স্বাগত জানিয়েছে বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি।
গতকাল মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে আইএমএফের নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় কিস্তির ঋণ ছাড়ের অনুমতি দেওয়ার পর এক বিবৃতিতে এই মূল্যায়ন তুলে ধরা হয়।
আইএমএফের নির্বাহী পরিষদের মূল্যায়নে বলা হয়, নানা বাহ্যিক ধাক্কা ও কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও আইএমএফের ঋণের শর্ত বাস্তবায়নের পথেই রয়েছে বাংলাদেশ। সরকারের গৃহীত নানা সংশোধন ও সংস্কারমূলক পদক্ষেপকেও স্বাগত জানানো হয়।
স্বল্প মেয়াদে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বাহ্যিক ধাক্কা মোকাবিলায় স্থিতিস্থাপকতা তৈরির লক্ষ্যে নীতিমালা গ্রহণের উপর জোর দিয়েছেন আইএমএফের পরিচালকেরা। জোরালো, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই প্রবৃদ্ধি এগিয়ে নিতে কাঠামোগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বারোপ করেন তারা।
স্বাধীন আর্থিক অবস্থান ধারাবাহিকভাবে বজায় রাখার মাধ্যমে আর্থিক নীতিমালা কঠোর করার আহ্বান জানিয়েছেন আইএমএফের পরিচালকেরা। স্বল্প মেয়াদে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের এবং বাহ্যিক ধাক্কায় স্থিতিস্থাপকতা জোরদারে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে আরও নমনীয়তা আনার প্রতি জোর দিয়েছেন তারা।
আর্থিক নীতি কাঠামোকে আরও আধুনিকীকরণ করায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে আইএমএফ। এটি মূল্যস্ফীতি কমাতে সাহায্য করবে বলে মনে করেন তাঁরা।
বৈদেশিক মুদ্রার তথা ডলারের একক বিনিময় হার নির্ধারণে ব্যবস্থা নেওয়ায় বাংলাদেশকে স্বাগত জানিয়েছে আইএমএফ। বাহ্যিক ধাক্কার মুখে টিকে থাকার জন্য স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে অর্থনীতির ওপর নিয়ন্ত্রণ ধীরে ধীরে কমানোর পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
আইএমএফ মনে করে, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি ও প্রবৃদ্ধি সহায়ক বিনিয়োগ জরুরি। করনীতি সংশোধন ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে কর-রাজস্ব বাড়ানো দরকার। এছাড়া ভর্তুকির যৌক্তিকীকরণ, ব্যয় সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আরও দক্ষতার সঙ্গে আর্থিক ঝুঁকি মোকাবিলায় গুরুত্ব দিয়েছে সংস্থাটি।
আইএমএফ বলছে, অর্থনৈতিক প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি প্রবৃদ্ধি এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের আর্থিক খাতের সংস্কার জরুরি। ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকি কমাতে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ কমানোর পাশাপাশি পুঁজি পুনরুদ্ধারে বিশেষ কৌশল প্রণয়নের তাগিদ দিয়েছেন সংস্থাটির পরিচালকেরা।
ব্যাংকিং খাতের তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ কাঠামো জোরদার করা, শাসনব্যবস্থার উন্নতি ও দেশীয় পুঁজিবাজার উন্নত করা গেলে আর্থিক খাতের দক্ষতা বাড়বে বলে তাঁরা একমত প্রকাশ করেন। তাহলে উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে আইএমএফ মনে করে।
উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উন্নীত হতে হলে বাংলাদেশকে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার ত্বরান্বিত করতে হবে বলে জোর দিয়েছে আইএমএফ। সংস্থাটির পরিচালকেরা বলেছেন, আরও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে, রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনতে এবং প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়াতে বাণিজ্যের উদারীকরণ, বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়ন, সুশাসন নিশ্চিত করা, শ্রমশক্তিকে দক্ষ করা এবং নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ বাড়ানো জরুরি।
জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের উচ্চ ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশ। এই পরিস্থিতিতে আইএমএফ মনে করে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব রোধে সরকারি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা উন্নত করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে পরিবেশবান্ধব সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করার তাগিদ দিয়েছেন তারা।
সংস্থাটি মনে করে, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা ব্যবস্থা উন্নত হলে তা আর্থিক খাতে ধাক্কা সহ্য করার সক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বেসরকারি খাতের তহবিলও পাওয়া যাবে।
ঋণের শর্ত হিসেবে দেওয়া কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ মোটা দাগে সঠিক পথেই রয়েছে বলে মনে করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বৈদেশিক মুদ্রা বা ডলারের একক বিনিময় হারসহ মুদ্রানীতির সংস্কারমূলক পদক্ষেপকেও স্বাগত জানিয়েছে বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি।
গতকাল মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে আইএমএফের নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় কিস্তির ঋণ ছাড়ের অনুমতি দেওয়ার পর এক বিবৃতিতে এই মূল্যায়ন তুলে ধরা হয়।
আইএমএফের নির্বাহী পরিষদের মূল্যায়নে বলা হয়, নানা বাহ্যিক ধাক্কা ও কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও আইএমএফের ঋণের শর্ত বাস্তবায়নের পথেই রয়েছে বাংলাদেশ। সরকারের গৃহীত নানা সংশোধন ও সংস্কারমূলক পদক্ষেপকেও স্বাগত জানানো হয়।
স্বল্প মেয়াদে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বাহ্যিক ধাক্কা মোকাবিলায় স্থিতিস্থাপকতা তৈরির লক্ষ্যে নীতিমালা গ্রহণের উপর জোর দিয়েছেন আইএমএফের পরিচালকেরা। জোরালো, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই প্রবৃদ্ধি এগিয়ে নিতে কাঠামোগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বারোপ করেন তারা।
স্বাধীন আর্থিক অবস্থান ধারাবাহিকভাবে বজায় রাখার মাধ্যমে আর্থিক নীতিমালা কঠোর করার আহ্বান জানিয়েছেন আইএমএফের পরিচালকেরা। স্বল্প মেয়াদে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের এবং বাহ্যিক ধাক্কায় স্থিতিস্থাপকতা জোরদারে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে আরও নমনীয়তা আনার প্রতি জোর দিয়েছেন তারা।
আর্থিক নীতি কাঠামোকে আরও আধুনিকীকরণ করায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে আইএমএফ। এটি মূল্যস্ফীতি কমাতে সাহায্য করবে বলে মনে করেন তাঁরা।
বৈদেশিক মুদ্রার তথা ডলারের একক বিনিময় হার নির্ধারণে ব্যবস্থা নেওয়ায় বাংলাদেশকে স্বাগত জানিয়েছে আইএমএফ। বাহ্যিক ধাক্কার মুখে টিকে থাকার জন্য স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে অর্থনীতির ওপর নিয়ন্ত্রণ ধীরে ধীরে কমানোর পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
আইএমএফ মনে করে, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি ও প্রবৃদ্ধি সহায়ক বিনিয়োগ জরুরি। করনীতি সংশোধন ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে কর-রাজস্ব বাড়ানো দরকার। এছাড়া ভর্তুকির যৌক্তিকীকরণ, ব্যয় সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আরও দক্ষতার সঙ্গে আর্থিক ঝুঁকি মোকাবিলায় গুরুত্ব দিয়েছে সংস্থাটি।
আইএমএফ বলছে, অর্থনৈতিক প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি প্রবৃদ্ধি এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের আর্থিক খাতের সংস্কার জরুরি। ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকি কমাতে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ কমানোর পাশাপাশি পুঁজি পুনরুদ্ধারে বিশেষ কৌশল প্রণয়নের তাগিদ দিয়েছেন সংস্থাটির পরিচালকেরা।
ব্যাংকিং খাতের তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ কাঠামো জোরদার করা, শাসনব্যবস্থার উন্নতি ও দেশীয় পুঁজিবাজার উন্নত করা গেলে আর্থিক খাতের দক্ষতা বাড়বে বলে তাঁরা একমত প্রকাশ করেন। তাহলে উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে আইএমএফ মনে করে।
উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উন্নীত হতে হলে বাংলাদেশকে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার ত্বরান্বিত করতে হবে বলে জোর দিয়েছে আইএমএফ। সংস্থাটির পরিচালকেরা বলেছেন, আরও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে, রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনতে এবং প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়াতে বাণিজ্যের উদারীকরণ, বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়ন, সুশাসন নিশ্চিত করা, শ্রমশক্তিকে দক্ষ করা এবং নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ বাড়ানো জরুরি।
জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের উচ্চ ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশ। এই পরিস্থিতিতে আইএমএফ মনে করে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব রোধে সরকারি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা উন্নত করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে পরিবেশবান্ধব সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করার তাগিদ দিয়েছেন তারা।
সংস্থাটি মনে করে, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা ব্যবস্থা উন্নত হলে তা আর্থিক খাতে ধাক্কা সহ্য করার সক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বেসরকারি খাতের তহবিলও পাওয়া যাবে।
অনুমতি ছাড়াই চার বছর কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় চাকরি হারালেন আসমা উল হুসনা নামের এক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা। সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী পলায়নের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে অপসারণ করা হয়েছে। তিনি কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকার (দক্ষিণ) কর্মকর্তা ছিলেন।
৯ ঘণ্টা আগেইস্পাহানির পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতায় আয়োজিত ‘আনোয়ারা মান্নান বেগ আন্তজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট-মলি’-এর পর্দা নামল। আটটি দলের অংশগ্রহণে প্রায় এক মাসব্যাপী প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে যশোরের শামস-উল-হুদা ফুটবল একাডেমি।
১০ ঘণ্টা আগেবিশ্বের সেরা ২৫ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় স্থান পেয়েছে মেটলাইফ। ২০২৪ সালের কাজের জন্য আন্তর্জাতিক ফরচুন ম্যাগাজিন থেকে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে১০০ দিনে অর্থনীতি সবল অবস্থানে এসেছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা জানান
১১ ঘণ্টা আগে