আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ)
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় চলছে আলু উত্তোলনের ব্যস্ততম মৌসুম। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের প্রায় ১০-১২ হাজার কৃষক মাঠে পরিশ্রম করছেন। এ বছর পচা ও দাউদের পরিমাণ কম থাকলেও আলুর আকার ছোট হওয়ায় কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। এ ছাড়া উৎপাদন ভালো হলেও ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তাই তাঁরা সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সম্প্রতি উপজেলার রশুনিয়া গ্রামে সরেজমিনে দেখা গেছে, কৃষকেরা জমি থেকে আলু উত্তোলনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলার বয়রাগাদী, মালখানগর, মধ্যপাড়া, ইছাপুরা, লতব্দীসহ ১৪টি ইউনিয়নে পুরোদমে আলু উত্তোলন চলছে। শ্রমিকেরা সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মাঠে কাজ করে আলু জমিতে স্তূপ করে রাখছেন, কেউ সংরক্ষণের জন্য বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন, আবার কেউ বস্তাবন্দী করে বিক্রির জন্য বা সংরক্ষণের জন্য হিমাগারে নিয়ে যাচ্ছেন। এ মৌসুমে কৃষক ও শ্রমিক উভয়ের ব্যস্ততা তুঙ্গে।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেও পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় উঁচু জমিতে আলুর আকার ছোট হয়েছে। তবে নিচু জমিতে ফলন তুলনামূলক ভালো হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর আলুর আবাদ বেড়েছে, কিন্তু উৎপাদিত আলুর আকার ছোট হওয়ায় বাজারদরে প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমানে জমিতে ডায়মন্ড ও এস্টারিক্স জাতের আলু ১৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ভূইরা গ্রামের কৃষক মো. দরবেশ আলী বলেন, ‘এ বছর আমি ৭৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। আলুর সাইজ বেশি বড় হয়নি, তাই ফলন কম হয়েছে। এ বছর ডায়মন্ড, এস্টারিক্স ও এলগার জাতের আলু চাষ করেছি। এক বিঘা জমির আলু ৫৪ থেকে ৬০ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে।’
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে সিরাজদিখানে ৮ হাজার ৯৮০ হেক্টর জমিতে আলু রোপণ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ২২৫ হেক্টর বেশি। এ উপজেলায় ১০টি হিমাগার রয়েছে, যার মোট ধারণক্ষমতা ৭৩ হাজার ১৩০ টন। এ বছর আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৩৪৩ টন।
গোবরদী গ্রামের কৃষক মো. ইয়াসিন শেখ বলেন, ‘আমি ১,০০০ শতাংশ জমিতে আলু চাষ করেছি। আলুর মান ভালো হলেও আকার ছোট হওয়ায় দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’ উত্তর তাজপুর গ্রামের কৃষক মো. পাভেল হাওলাদার বলেন, ‘আমি ৪ কানি জমিতে আলু চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে, কিন্তু বাজারদর নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।’
পশ্চিম রশুনিয়া গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি ৪০ কানি (১ কানি ১৪০ শতাংশ) জমিতে আলু চাষ করেছি। এ বছর ৩৫ শতাংশ জমিতে ৮০ বস্তা (প্রতি বস্তায় ৫৫ কেজি) আলু হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ৩০ বস্তা কম। প্রতি বস্তার দাম ৯০০-৯৫০ টাকা। এ হিসাবে আমার প্রায় ৫০ লাখ টাকা লোকসান হতে পারে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদ শুভ্র বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর আলুর উৎপাদন ভালো হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর আবাদ ও উৎপাদন বেড়েছে। তবে বৃষ্টির অভাবে কৃষকদের সেচ খরচ বেড়েছে। আশা করি, কৃষকেরা কাঙ্ক্ষিত ফলন ও ন্যায্য দাম পাবেন।’
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় চলছে আলু উত্তোলনের ব্যস্ততম মৌসুম। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের প্রায় ১০-১২ হাজার কৃষক মাঠে পরিশ্রম করছেন। এ বছর পচা ও দাউদের পরিমাণ কম থাকলেও আলুর আকার ছোট হওয়ায় কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। এ ছাড়া উৎপাদন ভালো হলেও ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তাই তাঁরা সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সম্প্রতি উপজেলার রশুনিয়া গ্রামে সরেজমিনে দেখা গেছে, কৃষকেরা জমি থেকে আলু উত্তোলনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলার বয়রাগাদী, মালখানগর, মধ্যপাড়া, ইছাপুরা, লতব্দীসহ ১৪টি ইউনিয়নে পুরোদমে আলু উত্তোলন চলছে। শ্রমিকেরা সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মাঠে কাজ করে আলু জমিতে স্তূপ করে রাখছেন, কেউ সংরক্ষণের জন্য বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন, আবার কেউ বস্তাবন্দী করে বিক্রির জন্য বা সংরক্ষণের জন্য হিমাগারে নিয়ে যাচ্ছেন। এ মৌসুমে কৃষক ও শ্রমিক উভয়ের ব্যস্ততা তুঙ্গে।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেও পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় উঁচু জমিতে আলুর আকার ছোট হয়েছে। তবে নিচু জমিতে ফলন তুলনামূলক ভালো হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর আলুর আবাদ বেড়েছে, কিন্তু উৎপাদিত আলুর আকার ছোট হওয়ায় বাজারদরে প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমানে জমিতে ডায়মন্ড ও এস্টারিক্স জাতের আলু ১৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ভূইরা গ্রামের কৃষক মো. দরবেশ আলী বলেন, ‘এ বছর আমি ৭৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। আলুর সাইজ বেশি বড় হয়নি, তাই ফলন কম হয়েছে। এ বছর ডায়মন্ড, এস্টারিক্স ও এলগার জাতের আলু চাষ করেছি। এক বিঘা জমির আলু ৫৪ থেকে ৬০ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে।’
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে সিরাজদিখানে ৮ হাজার ৯৮০ হেক্টর জমিতে আলু রোপণ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ২২৫ হেক্টর বেশি। এ উপজেলায় ১০টি হিমাগার রয়েছে, যার মোট ধারণক্ষমতা ৭৩ হাজার ১৩০ টন। এ বছর আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৩৪৩ টন।
গোবরদী গ্রামের কৃষক মো. ইয়াসিন শেখ বলেন, ‘আমি ১,০০০ শতাংশ জমিতে আলু চাষ করেছি। আলুর মান ভালো হলেও আকার ছোট হওয়ায় দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’ উত্তর তাজপুর গ্রামের কৃষক মো. পাভেল হাওলাদার বলেন, ‘আমি ৪ কানি জমিতে আলু চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে, কিন্তু বাজারদর নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।’
পশ্চিম রশুনিয়া গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি ৪০ কানি (১ কানি ১৪০ শতাংশ) জমিতে আলু চাষ করেছি। এ বছর ৩৫ শতাংশ জমিতে ৮০ বস্তা (প্রতি বস্তায় ৫৫ কেজি) আলু হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ৩০ বস্তা কম। প্রতি বস্তার দাম ৯০০-৯৫০ টাকা। এ হিসাবে আমার প্রায় ৫০ লাখ টাকা লোকসান হতে পারে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদ শুভ্র বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর আলুর উৎপাদন ভালো হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর আবাদ ও উৎপাদন বেড়েছে। তবে বৃষ্টির অভাবে কৃষকদের সেচ খরচ বেড়েছে। আশা করি, কৃষকেরা কাঙ্ক্ষিত ফলন ও ন্যায্য দাম পাবেন।’
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুরু করা বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধের বলি হলো বোয়িং! চীনের একটি এয়ারলাইনসের জন্য তৈরি একটি বোয়িং জেট বিমান আজ রোববার যুক্তরাষ্ট্রে কোম্পানির উৎপাদন কেন্দ্রে ফেরত এসেছে। পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের জেরেই এমন ঘটনা ঘটল।
১ ঘণ্টা আগেদেশে গ্যাসের আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এর উৎপাদন বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে আজ রোববার অনুষ্ঠেয় ৯ম জাতীয় পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় দুটি বড় প্রকল্প অনুমোদনের জন্য তোলা হচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগেভারতের মধ্য দিয়ে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ হওয়ায় শুধু তৈরি পোশাক খাত নয়, সংকটে পড়তে যাচ্ছে দেশের কৃষিভিত্তিক রপ্তানি খাতও। বিশেষ করে ফল, সবজি ও অন্যান্য পচনশীল পণ্য রপ্তানিকারকেরা আশঙ্কা করছেন, তৈরি পোশাক এখন বিমানে রপ্তানি হওয়ায় কার্গো বিমানে চাপ অনেক বাড়বে।
৪ ঘণ্টা আগেপ্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর অর্থ ব্যবহারে সিকিউরিটিজ আইন ভেঙেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। এ ছাড়া কোম্পানির কার্যক্রম, মুনাফা ও লভ্যাংশ বিতরণ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।
৪ ঘণ্টা আগে