নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বারবার অস্বীকার করলেও অবশেষে নিট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর) ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের হিসাব স্বীকার করল বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমানে নিট রিজার্ভের পরিমাণ ১৬ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার। মূলত মোট রিজার্ভ থেকে বিভিন্ন মেয়াদি বিনিয়োগ এবং ঋণের দায় বাদ দিয়ে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে যে হিসাব করা সেটিই ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ বা এনআইআর।
তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নিট রিজার্ভের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের বন্ডে থাকা বিনিয়োগও দেখানো হয়েছে। এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্রের দপ্তর থেকে আজ মঙ্গলবার জানানো হয়েছে, আজ পর্যন্ত দেশে মোট রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ২১ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার। আর তা থেকে আকু বিল, অন্যান্য চলতি ঋণ ও দেনা খাতের অর্থ বাদ দিলে এনআইআর বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ দাঁড়ায় ১৬ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার। এটা আর সামনের দিনগুলোতে কখনো প্রকাশ করা হবে না। তবে বিপিএম–৬ অনুযায়ী যে রিজার্ভ তা প্রকাশ হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালকদার গত বছরের নভেম্বরে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছিলেন, এ দেশে একজন তথাকথিত অর্থনীতিবিদ যে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ দাবি করেছেন তা বাংলাদেশ হিসাব করে না। পরবর্তীতে গভর্নরের সঙ্গে সুর মিলিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র এবং নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক এনআইআরের হিসাব অস্বীকার করে আসছিলেন। যদিও বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি এবং অর্থ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের তথ্য দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
মূলত সাংবাদিক এবং বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কাছে এই তথ্য দিতে গড়িমসি করে আসছিল। তবে আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র এনআইআরের তথ্য প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ‘রিজার্ভ বেড়েছে। আইএমএফের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। রিজার্ভ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। আমাদের রেমিট্যান্স বেড়েছে। বিদেশে থেকে ঋণ এসেছে। এটা আমাদের রিজার্ভকে সমৃদ্ধ করেছে।’
ঋণের তৃতীয় কিস্তির ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ছাড় করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এর সঙ্গে আরও কয়েকটি দাতা সংস্থার ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ। ফলে দীর্ঘদিন ধরে কমতে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। ২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলার ছিল। সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে, ৩০ জুন রিজার্ভ দেখানো হয়েছে ২৬ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়, প্রকাশ করা হয় না। তবে ঋণসহায়তা পাওয়ার পর হঠাৎ ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রিজার্ভ বেড়ে যাওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে তাও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতি মাসে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার করে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন প্রান্তিক অবস্থানে রয়েছে।
২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি করে বাংলাদেশ। তিন দিন পর প্রথম কিস্তিতে ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার ছাড় করে সংস্থাটি। এরপর গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার ছাড় করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাতটি কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ ছাড় করার কথা রয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:
বারবার অস্বীকার করলেও অবশেষে নিট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর) ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের হিসাব স্বীকার করল বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমানে নিট রিজার্ভের পরিমাণ ১৬ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার। মূলত মোট রিজার্ভ থেকে বিভিন্ন মেয়াদি বিনিয়োগ এবং ঋণের দায় বাদ দিয়ে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে যে হিসাব করা সেটিই ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ বা এনআইআর।
তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নিট রিজার্ভের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের বন্ডে থাকা বিনিয়োগও দেখানো হয়েছে। এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্রের দপ্তর থেকে আজ মঙ্গলবার জানানো হয়েছে, আজ পর্যন্ত দেশে মোট রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ২১ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার। আর তা থেকে আকু বিল, অন্যান্য চলতি ঋণ ও দেনা খাতের অর্থ বাদ দিলে এনআইআর বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ দাঁড়ায় ১৬ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার। এটা আর সামনের দিনগুলোতে কখনো প্রকাশ করা হবে না। তবে বিপিএম–৬ অনুযায়ী যে রিজার্ভ তা প্রকাশ হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালকদার গত বছরের নভেম্বরে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছিলেন, এ দেশে একজন তথাকথিত অর্থনীতিবিদ যে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ দাবি করেছেন তা বাংলাদেশ হিসাব করে না। পরবর্তীতে গভর্নরের সঙ্গে সুর মিলিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র এবং নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক এনআইআরের হিসাব অস্বীকার করে আসছিলেন। যদিও বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি এবং অর্থ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের তথ্য দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
মূলত সাংবাদিক এবং বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কাছে এই তথ্য দিতে গড়িমসি করে আসছিল। তবে আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র এনআইআরের তথ্য প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ‘রিজার্ভ বেড়েছে। আইএমএফের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। রিজার্ভ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। আমাদের রেমিট্যান্স বেড়েছে। বিদেশে থেকে ঋণ এসেছে। এটা আমাদের রিজার্ভকে সমৃদ্ধ করেছে।’
ঋণের তৃতীয় কিস্তির ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ছাড় করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এর সঙ্গে আরও কয়েকটি দাতা সংস্থার ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ। ফলে দীর্ঘদিন ধরে কমতে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। ২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলার ছিল। সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে, ৩০ জুন রিজার্ভ দেখানো হয়েছে ২৬ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়, প্রকাশ করা হয় না। তবে ঋণসহায়তা পাওয়ার পর হঠাৎ ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রিজার্ভ বেড়ে যাওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে তাও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতি মাসে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার করে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন প্রান্তিক অবস্থানে রয়েছে।
২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি করে বাংলাদেশ। তিন দিন পর প্রথম কিস্তিতে ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার ছাড় করে সংস্থাটি। এরপর গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার ছাড় করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাতটি কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ ছাড় করার কথা রয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:
ঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
৩৭ মিনিট আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
১ ঘণ্টা আগেব্যাংকিং খাতে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দীর্ঘদিনের প্রথা। তবে এবার নতুন নীতিমালায় আরোপিত কঠোর শর্ত—ব্যাংকিং ডিপ্লোমা, মাস্টার্স ডিগ্রি ও গবেষণাপত্র প্রকাশের বাধ্যবাধকতা—সরকারি ব্যাংকের ২৫৮ কর্মকর্তার জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) পদে পদোন্নতি নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।
১ ঘণ্টা আগেস্থানীয় বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির প্রস্তাবিত মূল্য পরিশোধে আগ্রহী ছিল না। এতে চুক্তিটির বাস্তবায়ন হুমকির মধ্যে পড়ে। মার্কিন কর্তৃপক্ষের অভিযোগ অনুযায়ী, চুক্তি রক্ষার জন্য আদানি স্থানীয় কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে তাঁদের এই বিদ্যুৎ কিনতে রাজি করানোর সিদ্ধান্ত নেন।
২ ঘণ্টা আগে