নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে বিদ্যুতের চড়া দামের প্রধান কারণ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে সরকারের দেওয়া ‘ক্যাপাসিটি চার্জ’। গত কয়েক বছরে এই পেমেন্ট বিদ্যুৎ খাতের ব্যয় বিপুল পরিমাণে বাড়িয়েছে। ‘নো ইলেকট্রিসিটি নো পে’ (বিদ্যুৎ সরবরাহ করা না হলে অর্থ পরিশোধও নয়) নীতি বাস্তবায়ন করা হলে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি কমবে বিদ্যুতের দাম।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনে তিন দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ জ্বালানি সমৃদ্ধি ২০৫০’ সম্মেলনের সমাপনী দিনে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে এ পরামর্শ উঠে এসেছে।
ক্যাপাসিটি চার্জের শর্ত বন্ধের পাশাপাশি নবায়নযোগ্য শক্তি খাত পুরোদমে চালু হওয়ার আগপর্যন্ত বৃহদাকার উৎপাদন কেন্দ্র ও গৃহস্থালিতে ব্যবহারের জন্য সৌরবিদ্যুতের সরঞ্জাম আমদানিতে শুল্ক কমানোর দাবি উত্থাপন করেছেন খাতসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) তথ্য অনুযায়ী, গত বছর দেশের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সক্ষমতার প্রায় ৪১ শতাংশ অব্যবহৃত ছিল। বিগত সরকারের আমলে বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোকে প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করা হয়েছে। চাহিদা না থাকা বা অন্য কারণে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রকে অলস বসিয়ে রাখলে চুক্তি অনুযায়ী সরকার তাদের যে পরিমাণ ভর্তুকি দেয়, তা-ই ক্যাপাসিটি চার্জ।
সম্মেলনে বুয়েটের অধ্যাপক ইজাজ হোসেন বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কোনো নেট-জিরো টার্গেট ঠিক করতে পারেনি। পরিবেশ মন্ত্রণালয় এখনো বাংলাদেশের নেট-জিরো লক্ষ্য ঘোষণা করেনি। আর এ কারণেই দেশে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ছে না।’
বিশেষজ্ঞরা তেল, গ্যাস ও কয়লার মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে সৌর ও বায়ুবিদ্যুতের মতো জ্বালানি উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধি করে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার তাগিদ দিয়ে যাচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘এমনকি আমাদের জাতীয়ভাবে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো অর্জন করাও খুবই চ্যালেঞ্জিং। আমরা এখনো বিগত সরকারের সময়কার ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি। একই সঙ্গে পরিবর্তন আনার সুযোগও পেয়েছি।’
দুর্নীতি নজরদারি সংগঠন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সমন্বিত বিদ্যুৎ-জ্বালানি মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি) অবশ্যই বাতিল হওয়া উচিত। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো এবং নবায়নযোগ্য শক্তির পরিমাণ বাড়ানো এমন মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে নতুন একটি বিদ্যুৎ-জ্বালানি মহাপরিকল্পনা তৈরি ও কার্যকর করা উচিত।’
ইফতেখারুজ্জামান বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার ওপরও জোর দেন।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি উপকরণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ সোলার অ্যান্ড রিনিউঅ্যাবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি জাহিদুল আলম সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানির মালপত্রের আমদানি শুল্ক কমানো না গেলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ৩০ শতাংশ নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারবে না।’
নীতিনির্ধারক, একাডেমিক, গবেষক, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, জ্বালানি কোম্পানি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবাধিকার কর্মী, নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী, তরুণ, শিক্ষার্থী এবং ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রায় ৪০০ প্রতিনিধির পক্ষে সম্মেলনের সহ-আয়োজক বিডব্লিউজিইডির সদস্যসচিব হাসান মেহেদী সম্মেলনের ঘোষণা পাঠ করেন। ঘোষণায় নীতি সমন্বয়, প্রাতিষ্ঠানিক ও পদক্ষেপগত সংস্কার, কার্যকর আর্থিক পদ্ধতি, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহায়তা বৃদ্ধি এবং আরও উন্নত সামাজিক ও পরিবেশগত সুশাসনের মতো বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে মনোযোগ দেওয়ার ওপর আলোকপাত করা হয়।
বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিডব্লিউজিইডি), সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি), ট্র্যান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), মিডিয়া রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এমআরডিআই), বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল ল’ ইয়ারস অ্যাসোসিয়েশন (বেলা), মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ), অ্যাকশনএইড বাংলাদেশসহ ২০ টির বেশি সংগঠন যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
দেশে বিদ্যুতের চড়া দামের প্রধান কারণ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে সরকারের দেওয়া ‘ক্যাপাসিটি চার্জ’। গত কয়েক বছরে এই পেমেন্ট বিদ্যুৎ খাতের ব্যয় বিপুল পরিমাণে বাড়িয়েছে। ‘নো ইলেকট্রিসিটি নো পে’ (বিদ্যুৎ সরবরাহ করা না হলে অর্থ পরিশোধও নয়) নীতি বাস্তবায়ন করা হলে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি কমবে বিদ্যুতের দাম।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনে তিন দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ জ্বালানি সমৃদ্ধি ২০৫০’ সম্মেলনের সমাপনী দিনে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে এ পরামর্শ উঠে এসেছে।
ক্যাপাসিটি চার্জের শর্ত বন্ধের পাশাপাশি নবায়নযোগ্য শক্তি খাত পুরোদমে চালু হওয়ার আগপর্যন্ত বৃহদাকার উৎপাদন কেন্দ্র ও গৃহস্থালিতে ব্যবহারের জন্য সৌরবিদ্যুতের সরঞ্জাম আমদানিতে শুল্ক কমানোর দাবি উত্থাপন করেছেন খাতসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) তথ্য অনুযায়ী, গত বছর দেশের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সক্ষমতার প্রায় ৪১ শতাংশ অব্যবহৃত ছিল। বিগত সরকারের আমলে বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোকে প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করা হয়েছে। চাহিদা না থাকা বা অন্য কারণে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রকে অলস বসিয়ে রাখলে চুক্তি অনুযায়ী সরকার তাদের যে পরিমাণ ভর্তুকি দেয়, তা-ই ক্যাপাসিটি চার্জ।
সম্মেলনে বুয়েটের অধ্যাপক ইজাজ হোসেন বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কোনো নেট-জিরো টার্গেট ঠিক করতে পারেনি। পরিবেশ মন্ত্রণালয় এখনো বাংলাদেশের নেট-জিরো লক্ষ্য ঘোষণা করেনি। আর এ কারণেই দেশে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ছে না।’
বিশেষজ্ঞরা তেল, গ্যাস ও কয়লার মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে সৌর ও বায়ুবিদ্যুতের মতো জ্বালানি উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধি করে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার তাগিদ দিয়ে যাচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘এমনকি আমাদের জাতীয়ভাবে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো অর্জন করাও খুবই চ্যালেঞ্জিং। আমরা এখনো বিগত সরকারের সময়কার ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি। একই সঙ্গে পরিবর্তন আনার সুযোগও পেয়েছি।’
দুর্নীতি নজরদারি সংগঠন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সমন্বিত বিদ্যুৎ-জ্বালানি মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি) অবশ্যই বাতিল হওয়া উচিত। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো এবং নবায়নযোগ্য শক্তির পরিমাণ বাড়ানো এমন মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে নতুন একটি বিদ্যুৎ-জ্বালানি মহাপরিকল্পনা তৈরি ও কার্যকর করা উচিত।’
ইফতেখারুজ্জামান বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার ওপরও জোর দেন।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি উপকরণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ সোলার অ্যান্ড রিনিউঅ্যাবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি জাহিদুল আলম সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানির মালপত্রের আমদানি শুল্ক কমানো না গেলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ৩০ শতাংশ নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারবে না।’
নীতিনির্ধারক, একাডেমিক, গবেষক, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, জ্বালানি কোম্পানি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবাধিকার কর্মী, নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী, তরুণ, শিক্ষার্থী এবং ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রায় ৪০০ প্রতিনিধির পক্ষে সম্মেলনের সহ-আয়োজক বিডব্লিউজিইডির সদস্যসচিব হাসান মেহেদী সম্মেলনের ঘোষণা পাঠ করেন। ঘোষণায় নীতি সমন্বয়, প্রাতিষ্ঠানিক ও পদক্ষেপগত সংস্কার, কার্যকর আর্থিক পদ্ধতি, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহায়তা বৃদ্ধি এবং আরও উন্নত সামাজিক ও পরিবেশগত সুশাসনের মতো বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে মনোযোগ দেওয়ার ওপর আলোকপাত করা হয়।
বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিডব্লিউজিইডি), সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি), ট্র্যান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), মিডিয়া রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এমআরডিআই), বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল ল’ ইয়ারস অ্যাসোসিয়েশন (বেলা), মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ), অ্যাকশনএইড বাংলাদেশসহ ২০ টির বেশি সংগঠন যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) ও ডিরেক্টর মহসিন হাবিব চৌধুরী বাংলাদেশ সি-স্যুট অ্যাওয়ার্ডসে বর্ষসেরা ‘চিফ অপারেটিং অফিসার’ হিসেবে ভূষিত হয়েছেন। গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর লা মেরিডিয়ান ঢাকায় আয়োজিত এই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে ‘সিইও এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়ার মাধ্যমে এই সম্ম
৩ মিনিট আগেমাহরীন ফেরদৌসের ছোটগল্পের সংকলন ‘অরিগামির গোলকধাঁধায়’ নিয়ে সম্প্রতি আলোচনা করেছেন ব্র্যাক ব্যাংক রিডিং ক্যাফের সদস্যরা। এটি রিডিং ক্যাফের সদস্যদের পঠিত ২০তম বই, যা সদস্যদের মধ্যে সাহিত্যপ্রেম জাগ্রত করার প্রতি তাঁদের প্রতিশ্রুতি আরও দৃঢ়ভাবে তুলে ধরে।
২০ মিনিট আগে‘এমডি অব দ্য ইয়ার’ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদন, বাজারজাত ও রপ্তানির মাধ্যমে সামগ্রিক অর্থনীতি এবং মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম আয়োজিত...
২১ মিনিট আগেবাংলাদেশি ব্যাংকগুলোতে এলসি বা লেটার অব ক্রেডিট যথাযথভাবে মূল্যায়িত না হওয়ার প্রবণতা বাড়তে থাকায়, ভারতীয় রপ্তানিকারকেরা আশঙ্কা করছেন যে তাঁদের চালানের বিপরীতে পাওনা অর্থ হয় দেরিতে আসবে অথবা আদৌ আসবে না। এ কারণে বাংলাদেশে ভারতীয় রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য পতন লক্ষ করা যাচ্ছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম
৫ ঘণ্টা আগে