নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০২৩-২৪ অর্থবছরের ব্যবসা পরিবেশ সূচক বা বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স (বিবিএক্স) অনুযায়ী বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশের আরও অবনতি হয়েছে। এই অর্থবছরে ব্যবসার পরিবেশ সূচকে অর্জিত পয়েন্ট ৫৮ দশমিক ৭৫। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এটি ছিল ৬১ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট। অর্থাৎ এক বছরে ব্যবসার পরিবেশের স্কোর ৩ দশমিক ২ শতাংশীয় পয়েন্ট কমেছে।
আজ বৃহস্পতিবার এমসিসিআইয়ের গুলশান কার্যালয়ে জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। মূল প্রবন্ধের জরিপের ফল তুলে ধরেন পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ।
ব্যবসায়ীদের মধ্যে করা একটি জরিপের মাধ্যমে এই সূচক তৈরি করা হয়েছে। এবার নিয়ে তৃতীয়বার বিবিএক্স জরিপ পরিচালনা করেছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ও বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, বড় পরিসরে সামগ্রিক পরিস্থিতি ভালো রয়েছে।
ডলার সংকট নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। ডলারের দাম ১১৭ টাকায় নেমে এসেছে। ডলারের সংকটও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতির কারণে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিচে চলে আসার বিষয়ে আশাবাদী। জুলাই থেকে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।
পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সালমান এফ রহমান বলেন, দেশের অর্থনীতি অনেক বড়। অনেক বেশি শক্তিশালী হওয়া দরকার পুঁজিবাজার। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, পুঁজিবাজার সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এটাও আমরা করব।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এমসিসিআইয়ের সভাপতি কামরান টি রহমান। তিনি বলেন, দেশের সামগ্রিক ব্যবসায়িক পরিবেশ সম্পর্কে বোঝার জন্য এই জরিপ করা হয়েছে। কোন খাতে কেমন নীতি গ্রহণ করা দরকার, সে বিষয়ে ধারণা দিতে এই জরিপ। এর ফলে নীতিপ্রণেতাদের সঙ্গে বিনিয়োগকারীরাও বুঝতে পারবেন, তাঁদের কোন পথে চলতে হবে।
ব্যবসা শুরু, জমির প্রাপ্যতা, আইনকানুনের তথ্যপ্রাপ্তি, অবকাঠামোর সুবিধা, শ্রম নিয়ন্ত্রণ, বিরোধ নিষ্পত্তি, বাণিজ্য সহজীকরণ, কর পরিশোধ, প্রযুক্তি গ্রহণ, ঋণের প্রাপ্যতা এবং পরিবেশগত নিয়ন্ত্রণ ও মান—এই ১১ সূচকের ওপর ভিত্তি করে জরিপটি করা হয়েছে। পরিবেশগত নিয়ন্ত্রণ ও মান সূচকটি এবার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এবারের জরিপে দেখা গেছে, উল্লিখিত ১১টি সূচকের মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে খারাপ করেছে ঋণের প্রাপ্যতা সূচকে। এই সূচকে প্রাপ্ত পয়েন্ট মাত্র ২৮ দশমিক ১১। গত বছরের জরিপে বলা হয়েছিল, ব্যবসায়ীদের ব্যাংকঋণ পাওয়ার বিষয়টি জটিল আকার ধারণ করেছে। এবারের জরিপেও তার ধারাবাহিকতা দেখা গেল।
২০২১-২২ অর্থবছরে সামগ্রিকভাবে ব্যবসার পরিবেশ সূচকের ১০০ নম্বরের মধ্যে প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬১ দশমিক শূন্য ১। পরের বছর, অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরে সেই স্কোর সামান্য বেড়ে হয় ৬১ দশমিক ৯৫। ওই বছরে সূচকের মানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়ার বড় কারণ ছিল ১০টি সূচকের মধ্যে ৪টির অবস্থা খারাপ হয়; বাকি ৬টি সূচক উন্নতির দিকে ছিল।
২০২২ সালের মতো ২০২৩ সালেও বাংলাদেশ সবচেয়ে ভালো করেছে অবকাঠামো খাতে। এই সূচকে ১০০-এর মধ্যে স্কোর ৭১ দশমিক শূন্য ৮। এ ছাড়া ব্যবসা শুরুর সূচকে ৬২ দশমিক ৭৪; জমির প্রাপ্যতা সূচকে ৫৩ দশমিক ১১; আইনকানুনের তথ্যপ্রাপ্তি সূচকে ৬৮ দশমিক শূন্য ৪; শ্রম নিয়ন্ত্রণে ৭০ দশমিক শূন্য ৪; বিরোধ নিষ্পত্তিতে ৬২ দশমিক ৩৮; বাণিজ্য সহজীকরণে ৬০ দশমিক ৮৭; কর পরিশোধে ৫৪ দশমিক ৭৪; প্রযুক্তি গ্রহণে ৬৩ দশমিক ৫০ এবং পরিবেশগত নিয়ন্ত্রণ ও মানে ৫১ দশমিক ৫৯।
এমসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি নিহাদ কবির, স্কয়ার ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী প্রমুখ বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স প্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের ব্যবসা পরিবেশ সূচক বা বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স (বিবিএক্স) অনুযায়ী বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশের আরও অবনতি হয়েছে। এই অর্থবছরে ব্যবসার পরিবেশ সূচকে অর্জিত পয়েন্ট ৫৮ দশমিক ৭৫। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এটি ছিল ৬১ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট। অর্থাৎ এক বছরে ব্যবসার পরিবেশের স্কোর ৩ দশমিক ২ শতাংশীয় পয়েন্ট কমেছে।
আজ বৃহস্পতিবার এমসিসিআইয়ের গুলশান কার্যালয়ে জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। মূল প্রবন্ধের জরিপের ফল তুলে ধরেন পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ।
ব্যবসায়ীদের মধ্যে করা একটি জরিপের মাধ্যমে এই সূচক তৈরি করা হয়েছে। এবার নিয়ে তৃতীয়বার বিবিএক্স জরিপ পরিচালনা করেছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ও বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, বড় পরিসরে সামগ্রিক পরিস্থিতি ভালো রয়েছে।
ডলার সংকট নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। ডলারের দাম ১১৭ টাকায় নেমে এসেছে। ডলারের সংকটও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতির কারণে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিচে চলে আসার বিষয়ে আশাবাদী। জুলাই থেকে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।
পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সালমান এফ রহমান বলেন, দেশের অর্থনীতি অনেক বড়। অনেক বেশি শক্তিশালী হওয়া দরকার পুঁজিবাজার। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, পুঁজিবাজার সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এটাও আমরা করব।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এমসিসিআইয়ের সভাপতি কামরান টি রহমান। তিনি বলেন, দেশের সামগ্রিক ব্যবসায়িক পরিবেশ সম্পর্কে বোঝার জন্য এই জরিপ করা হয়েছে। কোন খাতে কেমন নীতি গ্রহণ করা দরকার, সে বিষয়ে ধারণা দিতে এই জরিপ। এর ফলে নীতিপ্রণেতাদের সঙ্গে বিনিয়োগকারীরাও বুঝতে পারবেন, তাঁদের কোন পথে চলতে হবে।
ব্যবসা শুরু, জমির প্রাপ্যতা, আইনকানুনের তথ্যপ্রাপ্তি, অবকাঠামোর সুবিধা, শ্রম নিয়ন্ত্রণ, বিরোধ নিষ্পত্তি, বাণিজ্য সহজীকরণ, কর পরিশোধ, প্রযুক্তি গ্রহণ, ঋণের প্রাপ্যতা এবং পরিবেশগত নিয়ন্ত্রণ ও মান—এই ১১ সূচকের ওপর ভিত্তি করে জরিপটি করা হয়েছে। পরিবেশগত নিয়ন্ত্রণ ও মান সূচকটি এবার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এবারের জরিপে দেখা গেছে, উল্লিখিত ১১টি সূচকের মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে খারাপ করেছে ঋণের প্রাপ্যতা সূচকে। এই সূচকে প্রাপ্ত পয়েন্ট মাত্র ২৮ দশমিক ১১। গত বছরের জরিপে বলা হয়েছিল, ব্যবসায়ীদের ব্যাংকঋণ পাওয়ার বিষয়টি জটিল আকার ধারণ করেছে। এবারের জরিপেও তার ধারাবাহিকতা দেখা গেল।
২০২১-২২ অর্থবছরে সামগ্রিকভাবে ব্যবসার পরিবেশ সূচকের ১০০ নম্বরের মধ্যে প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬১ দশমিক শূন্য ১। পরের বছর, অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরে সেই স্কোর সামান্য বেড়ে হয় ৬১ দশমিক ৯৫। ওই বছরে সূচকের মানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়ার বড় কারণ ছিল ১০টি সূচকের মধ্যে ৪টির অবস্থা খারাপ হয়; বাকি ৬টি সূচক উন্নতির দিকে ছিল।
২০২২ সালের মতো ২০২৩ সালেও বাংলাদেশ সবচেয়ে ভালো করেছে অবকাঠামো খাতে। এই সূচকে ১০০-এর মধ্যে স্কোর ৭১ দশমিক শূন্য ৮। এ ছাড়া ব্যবসা শুরুর সূচকে ৬২ দশমিক ৭৪; জমির প্রাপ্যতা সূচকে ৫৩ দশমিক ১১; আইনকানুনের তথ্যপ্রাপ্তি সূচকে ৬৮ দশমিক শূন্য ৪; শ্রম নিয়ন্ত্রণে ৭০ দশমিক শূন্য ৪; বিরোধ নিষ্পত্তিতে ৬২ দশমিক ৩৮; বাণিজ্য সহজীকরণে ৬০ দশমিক ৮৭; কর পরিশোধে ৫৪ দশমিক ৭৪; প্রযুক্তি গ্রহণে ৬৩ দশমিক ৫০ এবং পরিবেশগত নিয়ন্ত্রণ ও মানে ৫১ দশমিক ৫৯।
এমসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি নিহাদ কবির, স্কয়ার ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী প্রমুখ বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স প্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আসন্ন পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে সরকার। পাশাপাশি রোজার ইফতারির অন্যতম অনুষঙ্গ এই পণ্যের ওপর থাকা অগ্রিম করও পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়েছে। সরকারের নির্দেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। তবে খেজুর আমদানির অযৌক্তিক ট্যারিফ ভ্যালু...
৮ ঘণ্টা আগেদেশের বাজারে ফের সোনার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ২২ ক্যারেট সোনার ভরির নতুন দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। দাম বৃদ্ধির কারণ ও বিস্তারিত জানতে পড়ুন।
৮ ঘণ্টা আগেপুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন জুতা প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক তিন কোম্পানির কাছে প্রস্তুতকৃত চামড়া বিক্রি করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এপেক্স ট্যানারি লিমিটেড। এ লক্ষ্যে শিগগিরই হবে চুক্তি। চুক্তির আওতায় বছরে ১৬ কোটি টাকার চামড়া বিক্রি করবে এপেক্স ট্যানারি।
৮ ঘণ্টা আগেফলজাত পণ্য রপ্তানির জন্য বিশেষ সুবিধা দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফলজাত পাল্প থেকে প্রস্তুত করা জুস ও ড্রিংকস রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানিকারকেরা এখন মোট রপ্তানি আয়ের ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা পাবেন। আজ বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ
৮ ঘণ্টা আগে