নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা অর্থনীতির অনিশ্চয়তাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে মনে করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই)। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘রাজনীতি ঠিক না থাকলে অর্থনীতি ঠিক থাকবে না। গত দুবার জাতীয় নির্বাচনের সময় বিদেশি সম্পৃক্ততা তেমন ছিল না। এবার আছে। এ বছর অন্য দুবারের মতো নির্বাচন হবে না। নির্বাচন নিয়েও অনিশ্চয়তা আছে। নির্বাচনের পরও যে শান্তিতে থাকব, সে কথাও বলা যাচ্ছে না।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীর কার্যালয়ে ‘আইএমএফ এবং বাংলাদেশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে আহসান মনসুর এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ ও শর্ত; সংস্কার—এসব বিষয় উঠে আসে। এ সময় পিআরআইয়ের গবেষণা পরিচালক ড. এম এ রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘উচ্চ মূল্যস্ফীতি, রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি, রিজার্ভ কমে যাওয়া, বিনিময় হার—এসব নিয়ে চাপে আছে অর্থনীতি। আইএমএফ এসব বিষয়ে সংস্কার করতে বলেছে। কিন্তু নির্বাচনের আগে এসব সংস্কার করা সম্ভব নয়। তাই মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের আশপাশেই থাকবে।’
ডলারের বাজারে অস্থিরতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিনিময় হার কোথায় ঠেকবে, বলা যাচ্ছে না। নির্বাচনের পরেও যে এসব সংস্কার হবে, সেই দিকনির্দেশনাও রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে বড় ধরনের সংস্কার করতেই হবে।’
এ সময় পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশ আইএমএফের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত। শিগগিরই এ বিষয়ে জানা যাবে যে, বাংলাদেশ আইএমএফের কাছে থেকে ৬৮১ মিলিয়ন ডলার পাচ্ছে। দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ পেতে বড় কোনো সমস্যা হবে না; যদি বৃহৎ শক্তিধর দেশ বাধা না দেয়।’
সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও আইএমএফের ঋণের অর্থ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে তিনটি বিষয়ে সরকারকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পিআরআই। সংস্থাটি বলছে, ব্যক্তিগত আয়কর থেকে আরও রাজস্ব বাড়াতে হবে। এটি মধ্য মেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াবে এবং দারিদ্র্য কমাবে।
কর অব্যাহতি আরও কমানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছে সংস্থাটি। কিছু করছাড় বা অব্যাহতি সরকার এরই মধ্যে তুলে নিয়েছে, তবে আরও অগ্রগতি প্রয়োজন মনে করছে তারা।
এনবিআরের তথ্য বিশ্লেষণ করে পিআরআই জানিয়েছে, শুধুমাত্র প্রত্যক্ষ করে যে ছাড় দেওয়া হয় তা জিডিপির প্রায় ৩ দশমিক ৫ শতাংশ।
এ ছাড়াও ভ্যাট আইন ২০১২ বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়ে পিআরআই বলছে, বর্তমান সংশোধিত ভ্যাট আইন ও ব্যবস্থায় অসংখ্য বিকৃতি হয়েছে, মূল আইনে ফিরে গেলে বছরে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশীয় পয়েন্ট রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে এবং পরিচালনা করা সহজ হবে।
ডলারের বিনিময় হার হঠাৎ করে বাজারের হাতে ছেড়ে দিলে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে, যা অর্থনীতির জন্য ক্ষতির। এ জন্য ডলারের বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারের হাতে ছেড়ে দেওয়ার আগে পরিবেশ তৈরি করতে হবে বলে মনে করেন ড. মনসুর।
বাংলাদেশ ব্যাংককে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের যে প্রতিবেদন দেওয়া হচ্ছে তা ভুয়া, অসত্য। বাজারে ডলারের একাধিক বিনিময় হার থাকার কারণে ব্যাংকগুলো এটি করে থাকে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকই দায়ী।’
এ সময় ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতার সঙ্গে এবার প্রথমবারের মতো অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা যুক্ত হওয়ার কারণে সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক জায়গাগুলো তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে।’
রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা অর্থনীতির অনিশ্চয়তাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে মনে করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই)। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘রাজনীতি ঠিক না থাকলে অর্থনীতি ঠিক থাকবে না। গত দুবার জাতীয় নির্বাচনের সময় বিদেশি সম্পৃক্ততা তেমন ছিল না। এবার আছে। এ বছর অন্য দুবারের মতো নির্বাচন হবে না। নির্বাচন নিয়েও অনিশ্চয়তা আছে। নির্বাচনের পরও যে শান্তিতে থাকব, সে কথাও বলা যাচ্ছে না।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীর কার্যালয়ে ‘আইএমএফ এবং বাংলাদেশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে আহসান মনসুর এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ ও শর্ত; সংস্কার—এসব বিষয় উঠে আসে। এ সময় পিআরআইয়ের গবেষণা পরিচালক ড. এম এ রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘উচ্চ মূল্যস্ফীতি, রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি, রিজার্ভ কমে যাওয়া, বিনিময় হার—এসব নিয়ে চাপে আছে অর্থনীতি। আইএমএফ এসব বিষয়ে সংস্কার করতে বলেছে। কিন্তু নির্বাচনের আগে এসব সংস্কার করা সম্ভব নয়। তাই মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের আশপাশেই থাকবে।’
ডলারের বাজারে অস্থিরতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিনিময় হার কোথায় ঠেকবে, বলা যাচ্ছে না। নির্বাচনের পরেও যে এসব সংস্কার হবে, সেই দিকনির্দেশনাও রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে বড় ধরনের সংস্কার করতেই হবে।’
এ সময় পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশ আইএমএফের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত। শিগগিরই এ বিষয়ে জানা যাবে যে, বাংলাদেশ আইএমএফের কাছে থেকে ৬৮১ মিলিয়ন ডলার পাচ্ছে। দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ পেতে বড় কোনো সমস্যা হবে না; যদি বৃহৎ শক্তিধর দেশ বাধা না দেয়।’
সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও আইএমএফের ঋণের অর্থ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে তিনটি বিষয়ে সরকারকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পিআরআই। সংস্থাটি বলছে, ব্যক্তিগত আয়কর থেকে আরও রাজস্ব বাড়াতে হবে। এটি মধ্য মেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াবে এবং দারিদ্র্য কমাবে।
কর অব্যাহতি আরও কমানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছে সংস্থাটি। কিছু করছাড় বা অব্যাহতি সরকার এরই মধ্যে তুলে নিয়েছে, তবে আরও অগ্রগতি প্রয়োজন মনে করছে তারা।
এনবিআরের তথ্য বিশ্লেষণ করে পিআরআই জানিয়েছে, শুধুমাত্র প্রত্যক্ষ করে যে ছাড় দেওয়া হয় তা জিডিপির প্রায় ৩ দশমিক ৫ শতাংশ।
এ ছাড়াও ভ্যাট আইন ২০১২ বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়ে পিআরআই বলছে, বর্তমান সংশোধিত ভ্যাট আইন ও ব্যবস্থায় অসংখ্য বিকৃতি হয়েছে, মূল আইনে ফিরে গেলে বছরে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশীয় পয়েন্ট রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে এবং পরিচালনা করা সহজ হবে।
ডলারের বিনিময় হার হঠাৎ করে বাজারের হাতে ছেড়ে দিলে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে, যা অর্থনীতির জন্য ক্ষতির। এ জন্য ডলারের বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারের হাতে ছেড়ে দেওয়ার আগে পরিবেশ তৈরি করতে হবে বলে মনে করেন ড. মনসুর।
বাংলাদেশ ব্যাংককে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের যে প্রতিবেদন দেওয়া হচ্ছে তা ভুয়া, অসত্য। বাজারে ডলারের একাধিক বিনিময় হার থাকার কারণে ব্যাংকগুলো এটি করে থাকে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকই দায়ী।’
এ সময় ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতার সঙ্গে এবার প্রথমবারের মতো অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা যুক্ত হওয়ার কারণে সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক জায়গাগুলো তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে।’
আমি জানি আপনারা অনেক কষ্টে আছেন। তবে এটাও বলতে চাই যে-আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে পেঁয়াজ, চিনি এবং তেলের দাম কিছুটা কমে এসেছে...
১ ঘণ্টা আগেভারতের আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানিকে ২৬৫ মিলিয়ন ডলার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিকিউটরেরা। এর পরপরই কেনিয়ায় গ্রুপটির দুটি বড় প্রকল্প বাতিল হয়ে গেছে। যদিও আদানি গ্রুপ তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
২ ঘণ্টা আগেভারতের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের গৌতম আদানি ও তাঁর ব্যবসায়িক গোষ্ঠী আদানি গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিযোগপত্র দাখিল ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও আদানি গ্রুপের সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে। এমনটাই ধারণা করছেন ঢাকার জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাষ্ট্রের আদানির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এমন এক
৪ ঘণ্টা আগেঅর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের আন্তর্জাতিক সালিসে যাওয়ার হুমকিতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
১৮ ঘণ্টা আগে