রোকন উদ্দীন, ঢাকা

রাজধানীর মানিকনগর এলাকার সাইফুল ইসলাম একসময় চাকরি হারিয়ে গলির মোড়ে ঘড়ি মেরামতের দোকান দেন, কিন্তু দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় তাঁর সামান্য আয় দিয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবার চালিয়ে নিতে পারছেন না তিনি।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির হিসাব অনুযায়ী, পাঁচজনের সংসারের মাসিক খরচ ২৭-২৮ হাজার টাকা, যার মধ্যে শুধু খাবারের খরচই ১০ হাজার টাকা। সংসারের এই চাপ সহ্য করতে, ছেলে স্কুল ছেড়ে বাবার সঙ্গে কাজ শুরু করেছেন এবং মেয়ে টিউশনি করছেন। তা সত্ত্বেও পরিবারের চাহিদার বিপরীতে সীমিত আয় দিয়ে গত এক বছরের মূল্যবৃদ্ধির দ্বৈরথে পেরে উঠছে না সাইফুলের সংসার। এই চিত্র সারা দেশে কোটি সাইফুলের পরিবারেই।
২০২৪ সালে মূল্যবৃদ্ধির পাগলা ঘোড়া আগের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে। প্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। সরকারি ক্রয়-বিক্রয়কারী সংস্থা টিসিবির হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় চালের দাম বেড়েছে ১৭ শতাংশ। অর্থাৎ সাইফুলের মতো পরিবারগুলো এখন ১০০ টাকার চালের জন্য ১১৭ টাকা দিতে বাধ্য। শুধু চাল নয়, ভোজ্যতেল, ডিম, আলু, পেঁয়াজসহ প্রায় সব পণ্যের দামই বাড়ছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে কঠিন করে তুলছে।
২০২৪ সালে আলু ও পেঁয়াজের দাম ছিল অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বেশি। বছরের বেশির ভাগ সময় আলুর দাম প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা থাকলেও গত পাঁচ বছরে এবারই প্রথম পুরোনো আলুর দাম কেজিতে ৭৫ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। পেঁয়াজের দামও ছিল রেকর্ড পর্যায়ে। যদিও বর্তমানে কিছুটা কমেছে, তবে গত অক্টোবর ও নভেম্বরে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি ১৫০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল, যা ২০১৯ সালের পর সর্বোচ্চ। এ বছরের সবচেয়ে প্রভাবিত সেক্টর ছিল ডিম ও মুরগির দামও। বিশেষত অক্টোবর মাসে ডিমের দাম প্রতিটি ১৫ টাকা পর্যন্ত উঠে যায়, যা সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় ধাক্কা। টিসিবির হিসাব অনুযায়ী, এখনো গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৪ শতাংশ বেশি রয়েছে, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাবমতে বিদায়ী ২০২৪ সালে খাদ্যমূল্য গত সাড়ে ১৩ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠেছে। অথচ বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার হিসাব বলছে, একটি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে মোট আয়ের ৬০ শতাংশ অর্থই খাবারের পেছনে খরচ করতে হয়। এর সঙ্গে খাদ্যবহির্ভূত খরচের বাড়তি বোঝা তো রয়েছেই।
বিবিএসের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩.৮০ শতাংশ। যদিও জুলাইয়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪.১০ শতাংশ, নভেম্বরে তা কিছুটা কমেছে, তবে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ১১.৩৮ শতাংশে পৌঁছেছে। এর মানে, গত বছরের নভেম্বরে ১০০ টাকায় যা কেনা যেত, চলতি বছরের নভেম্বরে সেই একই পণ্য বা সেবা কিনতে ভোক্তাকে ১১১ টাকা ৩৮ পয়সা খরচ করতে হয়েছে। এ অবস্থায় মানুষের আয় বেড়েছে সীমিতভাবে, বিশেষত নিম্ন আয়ের মানুষের আয় বৃদ্ধি ছিল খুবই কম। বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ সালে শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে মাত্র ৭.৫২ শতাংশ, অর্থাৎ গত বছর যেখানে একজন শ্রমিক ১০০ টাকা আয় করতেন, সেখানে এই বছর তাঁর আয় হয়েছে ১০৭.৫০ টাকা।
রাজধানীর মালিবাগ বাজারের ক্রেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, একসময় যখন পকেটভর্তি টাকা নিয়ে বাজারে যাওয়া হতো, তখন ব্যাগভর্তি পণ্য নিয়ে বাসায় ফেরার আনন্দ ছিল। কিন্তু এখন পকেটভর্তি টাকা নিয়েও সেই পুরোনো বাজারের মতো অনেক কিছুই কেনা সম্ভব হয় না।
বিশ্লেষকদের মতে, পণ্যের দাম বাড়লে প্রথমে প্রভাব পড়ে দরিদ্র ও দারিদ্র্যসীমার কাছাকাছি থাকা মানুষের ওপর। এতে কিছু মধ্যবিত্তও নতুন করে দারিদ্র্যসীমার দিকে চলে আসে। মূল্যবৃদ্ধির ফলে তারা খরচ কমাতে খাবারের পরিমাণ ও বৈচিত্র্য কমায়, যা দীর্ঘ মেয়াদে অপুষ্টি এবং শিশুদের মেধার উন্নয়নে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, কোভিড-পরবর্তী সময়ে মানুষের আয় বাড়েনি এবং সঞ্চয় নেই, ফলে খাদ্যের চাহিদা তেমন বাড়েনি। তবু পণ্যের দাম বেড়েছে, যা গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য কষ্টকর। এর কারণ, মুদ্রার সরবরাহ বাড়ানো, ডলার-সংকট, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পণ্যের সরবরাহ কমে গেছে।
৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর অনেকে আশা করেছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকার মূল্যস্ফীতি কমিয়ে জনজীবনে স্বস্তি ফেরাবে। তবে শুল্ক কমানোসহ সরকারের পদক্ষেপের পরও পণ্যের দাম কমার পরিবর্তে আরও বেড়েছে এবং রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন জানান, পূর্ববর্তী সরকার অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় দাম বেড়ে গিয়েছিল, অন্তর্বর্তী সরকারও তা প্রতিরোধে সক্ষম হয়নি। বাজার সংস্কারের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। শুল্ক কমিয়ে পণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টা করা হলেও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের গাফিলতিতে তার সুফল ভোক্তারা পাননি।

রাজধানীর মানিকনগর এলাকার সাইফুল ইসলাম একসময় চাকরি হারিয়ে গলির মোড়ে ঘড়ি মেরামতের দোকান দেন, কিন্তু দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় তাঁর সামান্য আয় দিয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবার চালিয়ে নিতে পারছেন না তিনি।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির হিসাব অনুযায়ী, পাঁচজনের সংসারের মাসিক খরচ ২৭-২৮ হাজার টাকা, যার মধ্যে শুধু খাবারের খরচই ১০ হাজার টাকা। সংসারের এই চাপ সহ্য করতে, ছেলে স্কুল ছেড়ে বাবার সঙ্গে কাজ শুরু করেছেন এবং মেয়ে টিউশনি করছেন। তা সত্ত্বেও পরিবারের চাহিদার বিপরীতে সীমিত আয় দিয়ে গত এক বছরের মূল্যবৃদ্ধির দ্বৈরথে পেরে উঠছে না সাইফুলের সংসার। এই চিত্র সারা দেশে কোটি সাইফুলের পরিবারেই।
২০২৪ সালে মূল্যবৃদ্ধির পাগলা ঘোড়া আগের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে। প্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। সরকারি ক্রয়-বিক্রয়কারী সংস্থা টিসিবির হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় চালের দাম বেড়েছে ১৭ শতাংশ। অর্থাৎ সাইফুলের মতো পরিবারগুলো এখন ১০০ টাকার চালের জন্য ১১৭ টাকা দিতে বাধ্য। শুধু চাল নয়, ভোজ্যতেল, ডিম, আলু, পেঁয়াজসহ প্রায় সব পণ্যের দামই বাড়ছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে কঠিন করে তুলছে।
২০২৪ সালে আলু ও পেঁয়াজের দাম ছিল অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বেশি। বছরের বেশির ভাগ সময় আলুর দাম প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা থাকলেও গত পাঁচ বছরে এবারই প্রথম পুরোনো আলুর দাম কেজিতে ৭৫ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। পেঁয়াজের দামও ছিল রেকর্ড পর্যায়ে। যদিও বর্তমানে কিছুটা কমেছে, তবে গত অক্টোবর ও নভেম্বরে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি ১৫০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল, যা ২০১৯ সালের পর সর্বোচ্চ। এ বছরের সবচেয়ে প্রভাবিত সেক্টর ছিল ডিম ও মুরগির দামও। বিশেষত অক্টোবর মাসে ডিমের দাম প্রতিটি ১৫ টাকা পর্যন্ত উঠে যায়, যা সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় ধাক্কা। টিসিবির হিসাব অনুযায়ী, এখনো গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৪ শতাংশ বেশি রয়েছে, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাবমতে বিদায়ী ২০২৪ সালে খাদ্যমূল্য গত সাড়ে ১৩ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠেছে। অথচ বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার হিসাব বলছে, একটি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে মোট আয়ের ৬০ শতাংশ অর্থই খাবারের পেছনে খরচ করতে হয়। এর সঙ্গে খাদ্যবহির্ভূত খরচের বাড়তি বোঝা তো রয়েছেই।
বিবিএসের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩.৮০ শতাংশ। যদিও জুলাইয়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪.১০ শতাংশ, নভেম্বরে তা কিছুটা কমেছে, তবে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ১১.৩৮ শতাংশে পৌঁছেছে। এর মানে, গত বছরের নভেম্বরে ১০০ টাকায় যা কেনা যেত, চলতি বছরের নভেম্বরে সেই একই পণ্য বা সেবা কিনতে ভোক্তাকে ১১১ টাকা ৩৮ পয়সা খরচ করতে হয়েছে। এ অবস্থায় মানুষের আয় বেড়েছে সীমিতভাবে, বিশেষত নিম্ন আয়ের মানুষের আয় বৃদ্ধি ছিল খুবই কম। বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ সালে শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে মাত্র ৭.৫২ শতাংশ, অর্থাৎ গত বছর যেখানে একজন শ্রমিক ১০০ টাকা আয় করতেন, সেখানে এই বছর তাঁর আয় হয়েছে ১০৭.৫০ টাকা।
রাজধানীর মালিবাগ বাজারের ক্রেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, একসময় যখন পকেটভর্তি টাকা নিয়ে বাজারে যাওয়া হতো, তখন ব্যাগভর্তি পণ্য নিয়ে বাসায় ফেরার আনন্দ ছিল। কিন্তু এখন পকেটভর্তি টাকা নিয়েও সেই পুরোনো বাজারের মতো অনেক কিছুই কেনা সম্ভব হয় না।
বিশ্লেষকদের মতে, পণ্যের দাম বাড়লে প্রথমে প্রভাব পড়ে দরিদ্র ও দারিদ্র্যসীমার কাছাকাছি থাকা মানুষের ওপর। এতে কিছু মধ্যবিত্তও নতুন করে দারিদ্র্যসীমার দিকে চলে আসে। মূল্যবৃদ্ধির ফলে তারা খরচ কমাতে খাবারের পরিমাণ ও বৈচিত্র্য কমায়, যা দীর্ঘ মেয়াদে অপুষ্টি এবং শিশুদের মেধার উন্নয়নে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, কোভিড-পরবর্তী সময়ে মানুষের আয় বাড়েনি এবং সঞ্চয় নেই, ফলে খাদ্যের চাহিদা তেমন বাড়েনি। তবু পণ্যের দাম বেড়েছে, যা গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য কষ্টকর। এর কারণ, মুদ্রার সরবরাহ বাড়ানো, ডলার-সংকট, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পণ্যের সরবরাহ কমে গেছে।
৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর অনেকে আশা করেছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকার মূল্যস্ফীতি কমিয়ে জনজীবনে স্বস্তি ফেরাবে। তবে শুল্ক কমানোসহ সরকারের পদক্ষেপের পরও পণ্যের দাম কমার পরিবর্তে আরও বেড়েছে এবং রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন জানান, পূর্ববর্তী সরকার অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় দাম বেড়ে গিয়েছিল, অন্তর্বর্তী সরকারও তা প্রতিরোধে সক্ষম হয়নি। বাজার সংস্কারের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। শুল্ক কমিয়ে পণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টা করা হলেও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের গাফিলতিতে তার সুফল ভোক্তারা পাননি।
রোকন উদ্দীন, ঢাকা

রাজধানীর মানিকনগর এলাকার সাইফুল ইসলাম একসময় চাকরি হারিয়ে গলির মোড়ে ঘড়ি মেরামতের দোকান দেন, কিন্তু দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় তাঁর সামান্য আয় দিয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবার চালিয়ে নিতে পারছেন না তিনি।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির হিসাব অনুযায়ী, পাঁচজনের সংসারের মাসিক খরচ ২৭-২৮ হাজার টাকা, যার মধ্যে শুধু খাবারের খরচই ১০ হাজার টাকা। সংসারের এই চাপ সহ্য করতে, ছেলে স্কুল ছেড়ে বাবার সঙ্গে কাজ শুরু করেছেন এবং মেয়ে টিউশনি করছেন। তা সত্ত্বেও পরিবারের চাহিদার বিপরীতে সীমিত আয় দিয়ে গত এক বছরের মূল্যবৃদ্ধির দ্বৈরথে পেরে উঠছে না সাইফুলের সংসার। এই চিত্র সারা দেশে কোটি সাইফুলের পরিবারেই।
২০২৪ সালে মূল্যবৃদ্ধির পাগলা ঘোড়া আগের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে। প্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। সরকারি ক্রয়-বিক্রয়কারী সংস্থা টিসিবির হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় চালের দাম বেড়েছে ১৭ শতাংশ। অর্থাৎ সাইফুলের মতো পরিবারগুলো এখন ১০০ টাকার চালের জন্য ১১৭ টাকা দিতে বাধ্য। শুধু চাল নয়, ভোজ্যতেল, ডিম, আলু, পেঁয়াজসহ প্রায় সব পণ্যের দামই বাড়ছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে কঠিন করে তুলছে।
২০২৪ সালে আলু ও পেঁয়াজের দাম ছিল অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বেশি। বছরের বেশির ভাগ সময় আলুর দাম প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা থাকলেও গত পাঁচ বছরে এবারই প্রথম পুরোনো আলুর দাম কেজিতে ৭৫ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। পেঁয়াজের দামও ছিল রেকর্ড পর্যায়ে। যদিও বর্তমানে কিছুটা কমেছে, তবে গত অক্টোবর ও নভেম্বরে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি ১৫০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল, যা ২০১৯ সালের পর সর্বোচ্চ। এ বছরের সবচেয়ে প্রভাবিত সেক্টর ছিল ডিম ও মুরগির দামও। বিশেষত অক্টোবর মাসে ডিমের দাম প্রতিটি ১৫ টাকা পর্যন্ত উঠে যায়, যা সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় ধাক্কা। টিসিবির হিসাব অনুযায়ী, এখনো গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৪ শতাংশ বেশি রয়েছে, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাবমতে বিদায়ী ২০২৪ সালে খাদ্যমূল্য গত সাড়ে ১৩ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠেছে। অথচ বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার হিসাব বলছে, একটি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে মোট আয়ের ৬০ শতাংশ অর্থই খাবারের পেছনে খরচ করতে হয়। এর সঙ্গে খাদ্যবহির্ভূত খরচের বাড়তি বোঝা তো রয়েছেই।
বিবিএসের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩.৮০ শতাংশ। যদিও জুলাইয়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪.১০ শতাংশ, নভেম্বরে তা কিছুটা কমেছে, তবে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ১১.৩৮ শতাংশে পৌঁছেছে। এর মানে, গত বছরের নভেম্বরে ১০০ টাকায় যা কেনা যেত, চলতি বছরের নভেম্বরে সেই একই পণ্য বা সেবা কিনতে ভোক্তাকে ১১১ টাকা ৩৮ পয়সা খরচ করতে হয়েছে। এ অবস্থায় মানুষের আয় বেড়েছে সীমিতভাবে, বিশেষত নিম্ন আয়ের মানুষের আয় বৃদ্ধি ছিল খুবই কম। বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ সালে শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে মাত্র ৭.৫২ শতাংশ, অর্থাৎ গত বছর যেখানে একজন শ্রমিক ১০০ টাকা আয় করতেন, সেখানে এই বছর তাঁর আয় হয়েছে ১০৭.৫০ টাকা।
রাজধানীর মালিবাগ বাজারের ক্রেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, একসময় যখন পকেটভর্তি টাকা নিয়ে বাজারে যাওয়া হতো, তখন ব্যাগভর্তি পণ্য নিয়ে বাসায় ফেরার আনন্দ ছিল। কিন্তু এখন পকেটভর্তি টাকা নিয়েও সেই পুরোনো বাজারের মতো অনেক কিছুই কেনা সম্ভব হয় না।
বিশ্লেষকদের মতে, পণ্যের দাম বাড়লে প্রথমে প্রভাব পড়ে দরিদ্র ও দারিদ্র্যসীমার কাছাকাছি থাকা মানুষের ওপর। এতে কিছু মধ্যবিত্তও নতুন করে দারিদ্র্যসীমার দিকে চলে আসে। মূল্যবৃদ্ধির ফলে তারা খরচ কমাতে খাবারের পরিমাণ ও বৈচিত্র্য কমায়, যা দীর্ঘ মেয়াদে অপুষ্টি এবং শিশুদের মেধার উন্নয়নে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, কোভিড-পরবর্তী সময়ে মানুষের আয় বাড়েনি এবং সঞ্চয় নেই, ফলে খাদ্যের চাহিদা তেমন বাড়েনি। তবু পণ্যের দাম বেড়েছে, যা গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য কষ্টকর। এর কারণ, মুদ্রার সরবরাহ বাড়ানো, ডলার-সংকট, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পণ্যের সরবরাহ কমে গেছে।
৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর অনেকে আশা করেছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকার মূল্যস্ফীতি কমিয়ে জনজীবনে স্বস্তি ফেরাবে। তবে শুল্ক কমানোসহ সরকারের পদক্ষেপের পরও পণ্যের দাম কমার পরিবর্তে আরও বেড়েছে এবং রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন জানান, পূর্ববর্তী সরকার অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় দাম বেড়ে গিয়েছিল, অন্তর্বর্তী সরকারও তা প্রতিরোধে সক্ষম হয়নি। বাজার সংস্কারের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। শুল্ক কমিয়ে পণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টা করা হলেও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের গাফিলতিতে তার সুফল ভোক্তারা পাননি।

রাজধানীর মানিকনগর এলাকার সাইফুল ইসলাম একসময় চাকরি হারিয়ে গলির মোড়ে ঘড়ি মেরামতের দোকান দেন, কিন্তু দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় তাঁর সামান্য আয় দিয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবার চালিয়ে নিতে পারছেন না তিনি।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির হিসাব অনুযায়ী, পাঁচজনের সংসারের মাসিক খরচ ২৭-২৮ হাজার টাকা, যার মধ্যে শুধু খাবারের খরচই ১০ হাজার টাকা। সংসারের এই চাপ সহ্য করতে, ছেলে স্কুল ছেড়ে বাবার সঙ্গে কাজ শুরু করেছেন এবং মেয়ে টিউশনি করছেন। তা সত্ত্বেও পরিবারের চাহিদার বিপরীতে সীমিত আয় দিয়ে গত এক বছরের মূল্যবৃদ্ধির দ্বৈরথে পেরে উঠছে না সাইফুলের সংসার। এই চিত্র সারা দেশে কোটি সাইফুলের পরিবারেই।
২০২৪ সালে মূল্যবৃদ্ধির পাগলা ঘোড়া আগের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে। প্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। সরকারি ক্রয়-বিক্রয়কারী সংস্থা টিসিবির হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় চালের দাম বেড়েছে ১৭ শতাংশ। অর্থাৎ সাইফুলের মতো পরিবারগুলো এখন ১০০ টাকার চালের জন্য ১১৭ টাকা দিতে বাধ্য। শুধু চাল নয়, ভোজ্যতেল, ডিম, আলু, পেঁয়াজসহ প্রায় সব পণ্যের দামই বাড়ছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে কঠিন করে তুলছে।
২০২৪ সালে আলু ও পেঁয়াজের দাম ছিল অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বেশি। বছরের বেশির ভাগ সময় আলুর দাম প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা থাকলেও গত পাঁচ বছরে এবারই প্রথম পুরোনো আলুর দাম কেজিতে ৭৫ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। পেঁয়াজের দামও ছিল রেকর্ড পর্যায়ে। যদিও বর্তমানে কিছুটা কমেছে, তবে গত অক্টোবর ও নভেম্বরে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি ১৫০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল, যা ২০১৯ সালের পর সর্বোচ্চ। এ বছরের সবচেয়ে প্রভাবিত সেক্টর ছিল ডিম ও মুরগির দামও। বিশেষত অক্টোবর মাসে ডিমের দাম প্রতিটি ১৫ টাকা পর্যন্ত উঠে যায়, যা সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় ধাক্কা। টিসিবির হিসাব অনুযায়ী, এখনো গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৪ শতাংশ বেশি রয়েছে, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাবমতে বিদায়ী ২০২৪ সালে খাদ্যমূল্য গত সাড়ে ১৩ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠেছে। অথচ বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার হিসাব বলছে, একটি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে মোট আয়ের ৬০ শতাংশ অর্থই খাবারের পেছনে খরচ করতে হয়। এর সঙ্গে খাদ্যবহির্ভূত খরচের বাড়তি বোঝা তো রয়েছেই।
বিবিএসের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩.৮০ শতাংশ। যদিও জুলাইয়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪.১০ শতাংশ, নভেম্বরে তা কিছুটা কমেছে, তবে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ১১.৩৮ শতাংশে পৌঁছেছে। এর মানে, গত বছরের নভেম্বরে ১০০ টাকায় যা কেনা যেত, চলতি বছরের নভেম্বরে সেই একই পণ্য বা সেবা কিনতে ভোক্তাকে ১১১ টাকা ৩৮ পয়সা খরচ করতে হয়েছে। এ অবস্থায় মানুষের আয় বেড়েছে সীমিতভাবে, বিশেষত নিম্ন আয়ের মানুষের আয় বৃদ্ধি ছিল খুবই কম। বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ সালে শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে মাত্র ৭.৫২ শতাংশ, অর্থাৎ গত বছর যেখানে একজন শ্রমিক ১০০ টাকা আয় করতেন, সেখানে এই বছর তাঁর আয় হয়েছে ১০৭.৫০ টাকা।
রাজধানীর মালিবাগ বাজারের ক্রেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, একসময় যখন পকেটভর্তি টাকা নিয়ে বাজারে যাওয়া হতো, তখন ব্যাগভর্তি পণ্য নিয়ে বাসায় ফেরার আনন্দ ছিল। কিন্তু এখন পকেটভর্তি টাকা নিয়েও সেই পুরোনো বাজারের মতো অনেক কিছুই কেনা সম্ভব হয় না।
বিশ্লেষকদের মতে, পণ্যের দাম বাড়লে প্রথমে প্রভাব পড়ে দরিদ্র ও দারিদ্র্যসীমার কাছাকাছি থাকা মানুষের ওপর। এতে কিছু মধ্যবিত্তও নতুন করে দারিদ্র্যসীমার দিকে চলে আসে। মূল্যবৃদ্ধির ফলে তারা খরচ কমাতে খাবারের পরিমাণ ও বৈচিত্র্য কমায়, যা দীর্ঘ মেয়াদে অপুষ্টি এবং শিশুদের মেধার উন্নয়নে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, কোভিড-পরবর্তী সময়ে মানুষের আয় বাড়েনি এবং সঞ্চয় নেই, ফলে খাদ্যের চাহিদা তেমন বাড়েনি। তবু পণ্যের দাম বেড়েছে, যা গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য কষ্টকর। এর কারণ, মুদ্রার সরবরাহ বাড়ানো, ডলার-সংকট, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পণ্যের সরবরাহ কমে গেছে।
৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর অনেকে আশা করেছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকার মূল্যস্ফীতি কমিয়ে জনজীবনে স্বস্তি ফেরাবে। তবে শুল্ক কমানোসহ সরকারের পদক্ষেপের পরও পণ্যের দাম কমার পরিবর্তে আরও বেড়েছে এবং রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন জানান, পূর্ববর্তী সরকার অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় দাম বেড়ে গিয়েছিল, অন্তর্বর্তী সরকারও তা প্রতিরোধে সক্ষম হয়নি। বাজার সংস্কারের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। শুল্ক কমিয়ে পণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টা করা হলেও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের গাফিলতিতে তার সুফল ভোক্তারা পাননি।

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৮ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১৩ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৯ ঘণ্টা আগেরোকন উদ্দীন, ঢাকা

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

রাজধানীর মানিকনগর এলাকার সাইফুল ইসলাম একসময় চাকরি হারিয়ে গলির মোড়ে ঘড়ি মেরামতের দোকান দেন, কিন্তু দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় তাঁর সামান্য আয় দিয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবার চালিয়ে নিতে পারছেন না তিনি।
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১৩ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

রাজধানীর মানিকনগর এলাকার সাইফুল ইসলাম একসময় চাকরি হারিয়ে গলির মোড়ে ঘড়ি মেরামতের দোকান দেন, কিন্তু দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় তাঁর সামান্য আয় দিয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবার চালিয়ে নিতে পারছেন না তিনি।
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৮ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১৩ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

রাজধানীর মানিকনগর এলাকার সাইফুল ইসলাম একসময় চাকরি হারিয়ে গলির মোড়ে ঘড়ি মেরামতের দোকান দেন, কিন্তু দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় তাঁর সামান্য আয় দিয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবার চালিয়ে নিতে পারছেন না তিনি।
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৮ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

রাজধানীর মানিকনগর এলাকার সাইফুল ইসলাম একসময় চাকরি হারিয়ে গলির মোড়ে ঘড়ি মেরামতের দোকান দেন, কিন্তু দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় তাঁর সামান্য আয় দিয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবার চালিয়ে নিতে পারছেন না তিনি।
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৮ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১৩ ঘণ্টা আগে