নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে দফায় দফায় বাড়ছে জেট ফুয়েলের দাম। গত রোববার আবারও ৬ টাকা বাড়ানোর পর জেট ফুয়েলের দাম এখন লিটার প্রতি ১০৬ টাকা। এ নিয়ে গত ১৮ মাসে ১৪ দফা জেট ফুয়েলের দাম বাড়াল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি।
অ্যাভিয়েশন সংশ্লিষ্টরা বলছে, করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত দেশের অ্যাভিয়েশন খাত যখন আবারও স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে, এ অবস্থায় জেট ফুয়েলের দাম বাড়ানোয় আকাশপথে ভ্রমণ আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে। অতিরিক্ত খরচ পুষিয়ে নিতে টিকিটের দাম বাড়াতে হবে এয়ারলাইনসগুলোকে। দিন শেষে এ বাড়তি খরচের ভার নিতে হবে যাত্রীদের।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) তথ্য বলছে, দেশে গত দেড় বছরে দেশে উড়োজাহাজের জ্বালানির দাম বেড়েছে ১৪ বার। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে দেশে জেট ফুয়েলের দাম ছিল ৪৬ টাকা। এরপর ডিসেম্বরে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য প্রতি লিটার জেট ফুয়েলের দাম নির্ধারণ করা হয় ৪৮ টাকা। পরের মাস অর্থাৎ ২০২১ সালের জানুয়ারিতে দাম বাড়িয়ে করা হয় ৫৩ টাকা। এরপর ধারাবাহিকভাবে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৫৫ টাকা, মার্চে ৬০ টাকা এবং এপ্রিলে ৬১ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়। তবে মে মাসে লিটারে ১ টাকা দাম কমানো হয়েছিল। জুনে আবার ৩ টাকা বাড়িয়ে করা হয় ৬৩ টাকা। একইভাবে জুলাইয়ে ৬৬, আগস্টে ৬৭, অক্টোবরে ৭০ এবং নভেম্বরে ৭৭ টাকা নির্ধারণ করা হয় প্রতি লিটার জেট ফুয়েলের দাম। তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে এসে দুই দফায় ৪ টাকা কমানো হয়েছিল দাম। কিন্তু পরের দুই মাস ফেব্রুয়ারি ও মার্চে দুই দফায় ১৪ টাকা বাড়িয়ে ৮৭ টাকায় দিয়ে ঠেকে দাম। গত ৬ এপ্রিল লিটারে ১৩ টাকা বেড়ে দাম পৌঁছায় ১০০ টাকায়। সর্বশেষ ১৫ মে ৬ টাকা বাড়ানোর পর জেট ফুয়েলের দাম এখন লিটার প্রতি ১০৬ টাকা। এভাবে ১৮ মাসের ব্যবধানে দেশে জেট ফুয়েলের দাম বেড়েছে ৬০ টাকা।
অ্যাভিয়েশন খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, একটি ফ্লাইট পরিচালনা খরচের ৪৬ শতাংশ পর্যন্ত জ্বালানিতে ব্যয় হয়। দেশের বিভিন্ন এয়ারলাইনস সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ মাসে জেট ফুয়েলের দাম ১৩০ শতাংশ বেড়েছে।
জেট ফুয়েলের দাম বাড়া নিয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উড়োজাহাজ চালাতে যে খরচ, তার একটি বড় অংশ হয় জ্বালানির পেছনে। ফলে জেট ফুয়েলের দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই টিকিটের দাম বাড়বে। আর ভাড়া বেড়ে গেলে দেশের ভেতরে বিমানে ওড়ার যাত্রী কমে যাবে।’ দেশের অ্যাভিয়েশন খাতকে সুরক্ষিত রাখতে জেট ফুয়েলের দাম নির্ধারণে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই জরুরি বলে মনে করেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের এই কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে বিপিসির চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বর্তমানে সব পণ্যের দাম বেড়েছে। এতে জেট ফুয়েলের দামও বেড়েছে। আমরা জেট ফুয়েল উৎপাদন করি না। আমাদের আমদানি করতে হবে। তাই, জেট ফুয়েলের স্থানীয় দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য করতে হয়।’
বিপিসির চেয়ারম্যান আরও জানান, ভারতের দামের তুলনায় আমাদের দেশে এখনো জেট ফুয়েলের দাম কম।
দেশে দফায় দফায় বাড়ছে জেট ফুয়েলের দাম। গত রোববার আবারও ৬ টাকা বাড়ানোর পর জেট ফুয়েলের দাম এখন লিটার প্রতি ১০৬ টাকা। এ নিয়ে গত ১৮ মাসে ১৪ দফা জেট ফুয়েলের দাম বাড়াল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি।
অ্যাভিয়েশন সংশ্লিষ্টরা বলছে, করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত দেশের অ্যাভিয়েশন খাত যখন আবারও স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে, এ অবস্থায় জেট ফুয়েলের দাম বাড়ানোয় আকাশপথে ভ্রমণ আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে। অতিরিক্ত খরচ পুষিয়ে নিতে টিকিটের দাম বাড়াতে হবে এয়ারলাইনসগুলোকে। দিন শেষে এ বাড়তি খরচের ভার নিতে হবে যাত্রীদের।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) তথ্য বলছে, দেশে গত দেড় বছরে দেশে উড়োজাহাজের জ্বালানির দাম বেড়েছে ১৪ বার। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে দেশে জেট ফুয়েলের দাম ছিল ৪৬ টাকা। এরপর ডিসেম্বরে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য প্রতি লিটার জেট ফুয়েলের দাম নির্ধারণ করা হয় ৪৮ টাকা। পরের মাস অর্থাৎ ২০২১ সালের জানুয়ারিতে দাম বাড়িয়ে করা হয় ৫৩ টাকা। এরপর ধারাবাহিকভাবে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৫৫ টাকা, মার্চে ৬০ টাকা এবং এপ্রিলে ৬১ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়। তবে মে মাসে লিটারে ১ টাকা দাম কমানো হয়েছিল। জুনে আবার ৩ টাকা বাড়িয়ে করা হয় ৬৩ টাকা। একইভাবে জুলাইয়ে ৬৬, আগস্টে ৬৭, অক্টোবরে ৭০ এবং নভেম্বরে ৭৭ টাকা নির্ধারণ করা হয় প্রতি লিটার জেট ফুয়েলের দাম। তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে এসে দুই দফায় ৪ টাকা কমানো হয়েছিল দাম। কিন্তু পরের দুই মাস ফেব্রুয়ারি ও মার্চে দুই দফায় ১৪ টাকা বাড়িয়ে ৮৭ টাকায় দিয়ে ঠেকে দাম। গত ৬ এপ্রিল লিটারে ১৩ টাকা বেড়ে দাম পৌঁছায় ১০০ টাকায়। সর্বশেষ ১৫ মে ৬ টাকা বাড়ানোর পর জেট ফুয়েলের দাম এখন লিটার প্রতি ১০৬ টাকা। এভাবে ১৮ মাসের ব্যবধানে দেশে জেট ফুয়েলের দাম বেড়েছে ৬০ টাকা।
অ্যাভিয়েশন খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, একটি ফ্লাইট পরিচালনা খরচের ৪৬ শতাংশ পর্যন্ত জ্বালানিতে ব্যয় হয়। দেশের বিভিন্ন এয়ারলাইনস সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ মাসে জেট ফুয়েলের দাম ১৩০ শতাংশ বেড়েছে।
জেট ফুয়েলের দাম বাড়া নিয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উড়োজাহাজ চালাতে যে খরচ, তার একটি বড় অংশ হয় জ্বালানির পেছনে। ফলে জেট ফুয়েলের দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই টিকিটের দাম বাড়বে। আর ভাড়া বেড়ে গেলে দেশের ভেতরে বিমানে ওড়ার যাত্রী কমে যাবে।’ দেশের অ্যাভিয়েশন খাতকে সুরক্ষিত রাখতে জেট ফুয়েলের দাম নির্ধারণে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই জরুরি বলে মনে করেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের এই কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে বিপিসির চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বর্তমানে সব পণ্যের দাম বেড়েছে। এতে জেট ফুয়েলের দামও বেড়েছে। আমরা জেট ফুয়েল উৎপাদন করি না। আমাদের আমদানি করতে হবে। তাই, জেট ফুয়েলের স্থানীয় দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য করতে হয়।’
বিপিসির চেয়ারম্যান আরও জানান, ভারতের দামের তুলনায় আমাদের দেশে এখনো জেট ফুয়েলের দাম কম।
বেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
৪ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
৪ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
৫ ঘণ্টা আগেব্যাংকিং খাতে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দীর্ঘদিনের প্রথা। তবে এবার নতুন নীতিমালায় আরোপিত কঠোর শর্ত—ব্যাংকিং ডিপ্লোমা, মাস্টার্স ডিগ্রি ও গবেষণাপত্র প্রকাশের বাধ্যবাধকতা—সরকারি ব্যাংকের ২৫৮ কর্মকর্তার জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) পদে পদোন্নতি নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।
৫ ঘণ্টা আগে