জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
সীমাহীন খেলাপি ঋণের ঘানি টানতে টানতে নাজেহাল রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংক। এসব ব্যাংকের খেলাপি কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক নজরদারি বাড়ালেও ব্যাংকগুলো খেলাপি আদায়ে তৎপর নয়। উল্টো চলমান নজরদারির মধ্যেও খেলাপি ঋণ বেপরোয়া হয়ে পড়েছে।
এসব ব্যাংকের খেলাপি ১০ শতাংশের নিচে আনতে শর্ত আরোপ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। কিন্তু বর্তমানে রয়েছে ২৫ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি শর্তের ৫ শতাংশের কাছাকাছি রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাংক খাতে মার্চ-জুন প্রান্তিকে ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা। আর খেলাপি ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা বা ১০ দশমিক ১১ শতাংশ। আর রাষ্ট্রায়ত্ত ৬টি ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ২ লাখ ৯৭ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা। যার মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭৪ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ২৫ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। এসব ব্যাংকের তার আগের বছরে বিতরণ করা ঋণ ছিল ২ লাখ ৫২ হাজার ৭২ কোটি টাকা। তার মধ্যে খেলাপি ছিল ৫৫ হাজার ৪২৯ কোটি টাকা বা ২১ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
এ বিষয়ে অর্থনীতি বিশ্লেষক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, বিশেষ যোগসাজশে ঋণের কবলে পড়েছে ব্যাংক খাত। খেলাপিদের বিশেষ ছাড় বন্ধ না হলে খেলাপি আরও লাগামহীন হয়ে পড়বে। অধিকাংশ ব্যাংকে ঋণ খাতা-কলমে দেখানো হচ্ছে। ব্যাংকগুলোর ঋণ কমানোর শর্ত আইএমএফ দিলেও উল্টো বেড়ে যাচ্ছে, যা সামনে অন্ধকার ডেকে আনবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, বেসিক ব্যাংকের বিতরণ করা মোট ১২ হাজার ৮০৯ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি ৮ হাজার ২৫ কোটি, যা মোট ঋণের ৬২ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং এটি সরকারি ব্যাংকের খেলাপি হারের রেকর্ড। বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (বিডিবিএল) মোট ঋণ ২ হাজার ২০৬ কোটি টাকা এবং খেলাপি ৯১৮ কোটি টাকা। খেলাপির হার ৪৪ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। একইভাবে জনতা ব্যাংকের মোট ঋণ ৮৭ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা এবং খেলাপি ২৮ হাজার ৫৪২ কোটি। এখানে খেলাপির হার ৩২ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
খেলাপির খাতায় ১৬ হাজার ৪৯৫ কোটি বা ২৩ দশমিক ৫১ শতাংশ নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে অগ্রণী ব্যাংক। ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণ ৭০ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা। আর বিতরণ করা ৪২ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে ৮ হাজার ৩৯ কোটি টাকা বা ১৯ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ খেলাপি নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে রূপালী ব্যাংক। তবে সোনালী ব্যাংকের বিতরণ করা ৮২ হাজার ৯৪৯ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি ১২ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা বা ১৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আফজাল করিম বলেন, খেলাপি একটা বড় সমস্যা। সরকারি ব্যাংকের খেলাপি কমাতে এমওইউ করা হয়েছে। তবে খেলাপি কমছে না। এটা নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।
সীমাহীন খেলাপি ঋণের ঘানি টানতে টানতে নাজেহাল রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংক। এসব ব্যাংকের খেলাপি কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক নজরদারি বাড়ালেও ব্যাংকগুলো খেলাপি আদায়ে তৎপর নয়। উল্টো চলমান নজরদারির মধ্যেও খেলাপি ঋণ বেপরোয়া হয়ে পড়েছে।
এসব ব্যাংকের খেলাপি ১০ শতাংশের নিচে আনতে শর্ত আরোপ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। কিন্তু বর্তমানে রয়েছে ২৫ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি শর্তের ৫ শতাংশের কাছাকাছি রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাংক খাতে মার্চ-জুন প্রান্তিকে ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা। আর খেলাপি ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা বা ১০ দশমিক ১১ শতাংশ। আর রাষ্ট্রায়ত্ত ৬টি ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ২ লাখ ৯৭ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা। যার মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭৪ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ২৫ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। এসব ব্যাংকের তার আগের বছরে বিতরণ করা ঋণ ছিল ২ লাখ ৫২ হাজার ৭২ কোটি টাকা। তার মধ্যে খেলাপি ছিল ৫৫ হাজার ৪২৯ কোটি টাকা বা ২১ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
এ বিষয়ে অর্থনীতি বিশ্লেষক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, বিশেষ যোগসাজশে ঋণের কবলে পড়েছে ব্যাংক খাত। খেলাপিদের বিশেষ ছাড় বন্ধ না হলে খেলাপি আরও লাগামহীন হয়ে পড়বে। অধিকাংশ ব্যাংকে ঋণ খাতা-কলমে দেখানো হচ্ছে। ব্যাংকগুলোর ঋণ কমানোর শর্ত আইএমএফ দিলেও উল্টো বেড়ে যাচ্ছে, যা সামনে অন্ধকার ডেকে আনবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, বেসিক ব্যাংকের বিতরণ করা মোট ১২ হাজার ৮০৯ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি ৮ হাজার ২৫ কোটি, যা মোট ঋণের ৬২ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং এটি সরকারি ব্যাংকের খেলাপি হারের রেকর্ড। বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (বিডিবিএল) মোট ঋণ ২ হাজার ২০৬ কোটি টাকা এবং খেলাপি ৯১৮ কোটি টাকা। খেলাপির হার ৪৪ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। একইভাবে জনতা ব্যাংকের মোট ঋণ ৮৭ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা এবং খেলাপি ২৮ হাজার ৫৪২ কোটি। এখানে খেলাপির হার ৩২ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
খেলাপির খাতায় ১৬ হাজার ৪৯৫ কোটি বা ২৩ দশমিক ৫১ শতাংশ নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে অগ্রণী ব্যাংক। ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণ ৭০ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা। আর বিতরণ করা ৪২ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে ৮ হাজার ৩৯ কোটি টাকা বা ১৯ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ খেলাপি নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে রূপালী ব্যাংক। তবে সোনালী ব্যাংকের বিতরণ করা ৮২ হাজার ৯৪৯ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি ১২ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা বা ১৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আফজাল করিম বলেন, খেলাপি একটা বড় সমস্যা। সরকারি ব্যাংকের খেলাপি কমাতে এমওইউ করা হয়েছে। তবে খেলাপি কমছে না। এটা নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।
অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের আন্তর্জাতিক সালিসে যাওয়ার হুমকিতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগেবেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
১১ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
১২ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
১২ ঘণ্টা আগে