অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশের চাল আমদানির অন্যতম বড় উৎস ভিয়েতনাম রপ্তানি কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বছরে চাল রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা প্রায় অর্ধেক কমিয়ে ৪০ লাখ টনে নামাবে দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার দেশটি। চাল রপ্তানি-সংক্রান্ত সরকারি কৌশলপত্রের ভিত্তিতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
ভারত ও থাইল্যান্ডের পর বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক দেশ ভিয়েতনাম। গত বছর দেশটি ৭১ লাখ টন চাল রপ্তানি করেছে। আর বাংলাদেশ গত সেপ্টেম্বরে ভিয়েতনাম থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার টন চাল কেনার জন্য সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি) চুক্তি করেছে। এ ছাড়া বেসরকারি পর্যায়েও চাল আমদানি।
সরকারি নথি বিশ্লেষণ করে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, উচ্চমানের চাল রপ্তানি বাড়ানো, অভ্যন্তরীণ খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পরিবেশ রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ভিয়েতনাম এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
এই কৌশলপত্র অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে চাল রপ্তানি থেকে ভিয়েতনামের বার্ষিক আয় ২৬২ কোটি ডলারে নেমে আসবে। যা গত বছর ছিল ৩৪৫ কোটি ডলার।
হো চি মিন শহরের এক চাল ব্যবসায়ী বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভিয়েতনামে ধান চাষের জমি এমনিতেই কমে এসেছে। বেশির ভাগ চাষি চিংড়ি চাষ বা অন্যান্য পেশায় গেছেন। পরিস্থিতি এমন হলেও সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা খুব আগ্রাসী বলেই মনে হচ্ছে।’
নির্দিষ্ট কিছু দেশের ওপর নির্ভরতা কমাতে চাল রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনতে চায় ভিয়েতনাম সরকার। ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন চলতি মাসে ইন্দোনেশিয়ায় আঞ্চলিক বৈঠকে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রকে বলেছেন, যুক্তিসঙ্গত মূল্যে দীর্ঘ মেয়াদে ফিলিপাইনে চাল রপ্তানি করতে ইচ্ছুক তাঁর সরকার।
দীর্ঘদিন ধরে ভিয়েতনামের সবচেয়ে বড় চাল ক্রেতা ফিলিপাইন। গত বছর ভিয়েতনামের ৪৫ শতাংশ চাল কিনেছে ফিলিপাইন।
ভিয়েতনামের সরকারি নথিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে এশিয়ার বাজারে ৬০ শতাংশ, আফ্রিকায় ২২ শতাংশ, মধ্যপ্রাচ্যে ৪ শতাংশ ও ইউরোপে ৩ শতাংশ চাল রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
চাল প্রক্রিয়াকরণ ও রপ্তারিকারক প্রতিষ্ঠান ভিয়েতনাম ফুড অ্যাসোসিয়েশন এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।
ভিয়েতনাম সরকার বলছে, তারা উচ্চ মানসম্পন্ন, সুগন্ধিযুক্ত ও আঠালো চাল উৎপাদনে মনোযোগ দেবে। নিম্নমানের চাল উৎপাদন ২০২৫ সালের মধ্যে মোট উৎপাদনের ১৫ শতাংশে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে।
শুল্ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে ভিয়েতনাম থেকে চাল রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪০ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ২৯ লাখ টন হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি) ভিয়েতনাম থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার টন চাল কেনার চুক্তি করেছে। প্রতি টন সেদ্ধ চাল ৫২১ ডলার এবং আতপ চাল ৪৯৪ ডলার দরে কেনা হচ্ছে। ভিয়েতনাম আতপ চাল নিজ দেশ থেকে দিলেও সেদ্ধ চাল থাইল্যান্ড থেকে কিনে দেবে।
তবে ভিয়েতনাম থেকে বেশি দামে চাল কেনা হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় খরচে গত বছর খাদ্যমন্ত্রী, খাদ্যসচিবসহ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের সফর নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
বাংলাদেশের চাল আমদানির অন্যতম বড় উৎস ভিয়েতনাম রপ্তানি কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বছরে চাল রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা প্রায় অর্ধেক কমিয়ে ৪০ লাখ টনে নামাবে দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার দেশটি। চাল রপ্তানি-সংক্রান্ত সরকারি কৌশলপত্রের ভিত্তিতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
ভারত ও থাইল্যান্ডের পর বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক দেশ ভিয়েতনাম। গত বছর দেশটি ৭১ লাখ টন চাল রপ্তানি করেছে। আর বাংলাদেশ গত সেপ্টেম্বরে ভিয়েতনাম থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার টন চাল কেনার জন্য সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি) চুক্তি করেছে। এ ছাড়া বেসরকারি পর্যায়েও চাল আমদানি।
সরকারি নথি বিশ্লেষণ করে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, উচ্চমানের চাল রপ্তানি বাড়ানো, অভ্যন্তরীণ খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পরিবেশ রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ভিয়েতনাম এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
এই কৌশলপত্র অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে চাল রপ্তানি থেকে ভিয়েতনামের বার্ষিক আয় ২৬২ কোটি ডলারে নেমে আসবে। যা গত বছর ছিল ৩৪৫ কোটি ডলার।
হো চি মিন শহরের এক চাল ব্যবসায়ী বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভিয়েতনামে ধান চাষের জমি এমনিতেই কমে এসেছে। বেশির ভাগ চাষি চিংড়ি চাষ বা অন্যান্য পেশায় গেছেন। পরিস্থিতি এমন হলেও সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা খুব আগ্রাসী বলেই মনে হচ্ছে।’
নির্দিষ্ট কিছু দেশের ওপর নির্ভরতা কমাতে চাল রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনতে চায় ভিয়েতনাম সরকার। ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন চলতি মাসে ইন্দোনেশিয়ায় আঞ্চলিক বৈঠকে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রকে বলেছেন, যুক্তিসঙ্গত মূল্যে দীর্ঘ মেয়াদে ফিলিপাইনে চাল রপ্তানি করতে ইচ্ছুক তাঁর সরকার।
দীর্ঘদিন ধরে ভিয়েতনামের সবচেয়ে বড় চাল ক্রেতা ফিলিপাইন। গত বছর ভিয়েতনামের ৪৫ শতাংশ চাল কিনেছে ফিলিপাইন।
ভিয়েতনামের সরকারি নথিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে এশিয়ার বাজারে ৬০ শতাংশ, আফ্রিকায় ২২ শতাংশ, মধ্যপ্রাচ্যে ৪ শতাংশ ও ইউরোপে ৩ শতাংশ চাল রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
চাল প্রক্রিয়াকরণ ও রপ্তারিকারক প্রতিষ্ঠান ভিয়েতনাম ফুড অ্যাসোসিয়েশন এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।
ভিয়েতনাম সরকার বলছে, তারা উচ্চ মানসম্পন্ন, সুগন্ধিযুক্ত ও আঠালো চাল উৎপাদনে মনোযোগ দেবে। নিম্নমানের চাল উৎপাদন ২০২৫ সালের মধ্যে মোট উৎপাদনের ১৫ শতাংশে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে।
শুল্ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে ভিয়েতনাম থেকে চাল রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪০ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ২৯ লাখ টন হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি) ভিয়েতনাম থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার টন চাল কেনার চুক্তি করেছে। প্রতি টন সেদ্ধ চাল ৫২১ ডলার এবং আতপ চাল ৪৯৪ ডলার দরে কেনা হচ্ছে। ভিয়েতনাম আতপ চাল নিজ দেশ থেকে দিলেও সেদ্ধ চাল থাইল্যান্ড থেকে কিনে দেবে।
তবে ভিয়েতনাম থেকে বেশি দামে চাল কেনা হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় খরচে গত বছর খাদ্যমন্ত্রী, খাদ্যসচিবসহ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের সফর নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের আন্তর্জাতিক সালিসে যাওয়ার হুমকিতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
৯ ঘণ্টা আগেবেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
১৪ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
১৫ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
১৬ ঘণ্টা আগে