ফারুক মেহেদী, ঢাকা
আসছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর জন্য বাজেট বক্তৃতা লেখার কাজও শুরু হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর আগামী বাজেট বক্তৃতায় চলমান অর্থনৈতিক সংকট থেকে পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা তুলে ধরা হবে।
একই সঙ্গে এলডিসি থেকে উত্তরণ-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কী করা হবে, তার দিকনির্দেশনা দেবেন অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতাটি অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে গঠনমূলক, বাস্তবধর্মী ও আরও তথ্যসমৃদ্ধ করার জন্য সব মন্ত্রণালয়ের কাছে তথ্য-উপাত্ত ও পরামর্শ চেয়েছেন অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার। তিনি এরই মধ্যে সচিবদের কাছে চিঠি লিখে বাজেট বক্তৃতায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ, নির্দেশনা ও তথ্য ১৫ মার্চের মধ্যে পাঠাতে অনুরোধ করেছেন।
জানা যায়, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের ধাক্কা বাংলাদেশেও লেগেছে। এর প্রভাবে এখানে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও উচ্চ মূল্যস্ফীতি অর্থনীতিকে বেশ চাপে রেখেছে। এসব চাপ ও সংকট মোকাবিলা করে আগামী অর্থবছরে অর্থনীতিতে কতটা স্থিতিশীল করা যাবে এই নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে ভাবছে অর্থ মন্ত্রণালয়। তা ছাড়া আগামী অর্থবছরে অর্থমন্ত্রী হিসেবে প্রথম বাজেট দেবেন অর্থমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। তাই ওই বাজেট বক্তৃতাটিকে তথ্যসমৃদ্ধ এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার একটি সুস্পষ্ট দলিল হিসেবে তৈরি করতে চায় অর্থ বিভাগ। তারই ধারাবাহিকতায় বাজেট বক্তৃতাকে সমৃদ্ধ করতে আগেভাগেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ওই মন্ত্রণালয়। এ জন্য অর্থসচিব নিজে তৎপর হয়ে সব সচিবকে একটি সমৃদ্ধ বাজেট বক্তৃতা তৈরিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আসছে বাজেটে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কীভাবে সম্ভব–এ বিষয়ে সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, একটি চ্যালেঞ্জিং সময়ে বাজেট করতে যাচ্ছে সরকার। মূল্যস্ফীতি অনেক বেড়ে গেছে। এটা কীভাবে কমানো যায়, সেই পরিকল্পনা ও কর্মসূচি নিতে হবে।
তবে শুধু মুদ্রানীতি দিয়ে মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে না। আপাতত প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর দিকে একটু রক্ষণশীল হতে হবে। দুটো একসঙ্গে হবে না। মোট কথা উৎপাদন খরচ কমিয়ে, সর্বক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়াতে হবে। উৎপাদন বাড়ানোর প্রযুক্তি গ্রহণ করতে হবে। সেবা খাতের খরচও কমাতে হবে। পোশাক খাতে ভর্তুকি কমাতে হবে। সব খাতের জন্য সমান সুযোগ রাখতে হবে। বিদ্যুৎ-জ্বালানিতে একেবারে ভর্তুকি তোলা যাবে না। পোশাক খাতের সুবিধা কমিয়ে তা জ্বালানি খাতে অব্যাহত রাখা যেতে পারে। কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, আসছে বাজেট বক্তৃতায় চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপ ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার পরিকল্পনার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। এ ছাড়া চলতি বাজেটে প্রতিশ্রুত কার্যক্রম বাস্তবায়ন পরিস্থিতি এবং বিগত ১৫ বছরে সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জনসমূহও বাজেট বক্তৃতায় থাকবে। সরকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেসব কাজের স্বীকৃতি পেয়েছে, সেসব তথ্যও থাকবে বক্তৃতায়। চলতি অর্থবছরে নেওয়া সরকারের উল্লেখযোগ্য নীতি, আইন ও পরিকল্পনাগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য কর্মপরিকল্পনা জানানো হবে।
আসছে বাজেট বক্তৃতায় নতুন অর্থমন্ত্রী দারিদ্র্যবিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে উল্লেখযোগ্য নীতি ও পদক্ষেপের কথা বলবেন। বক্তৃতায় বিশেষ গুরুত্ব থাকবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের গৃহীত পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ সামনে এলডিসি থেকে উত্তরণ-পরবর্তী চ্যালেঞ্জগুলো তিনি কীভাবে সমাধান করবেন সেই বিষয়টিও।
আসছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর জন্য বাজেট বক্তৃতা লেখার কাজও শুরু হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর আগামী বাজেট বক্তৃতায় চলমান অর্থনৈতিক সংকট থেকে পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা তুলে ধরা হবে।
একই সঙ্গে এলডিসি থেকে উত্তরণ-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কী করা হবে, তার দিকনির্দেশনা দেবেন অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতাটি অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে গঠনমূলক, বাস্তবধর্মী ও আরও তথ্যসমৃদ্ধ করার জন্য সব মন্ত্রণালয়ের কাছে তথ্য-উপাত্ত ও পরামর্শ চেয়েছেন অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার। তিনি এরই মধ্যে সচিবদের কাছে চিঠি লিখে বাজেট বক্তৃতায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ, নির্দেশনা ও তথ্য ১৫ মার্চের মধ্যে পাঠাতে অনুরোধ করেছেন।
জানা যায়, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের ধাক্কা বাংলাদেশেও লেগেছে। এর প্রভাবে এখানে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও উচ্চ মূল্যস্ফীতি অর্থনীতিকে বেশ চাপে রেখেছে। এসব চাপ ও সংকট মোকাবিলা করে আগামী অর্থবছরে অর্থনীতিতে কতটা স্থিতিশীল করা যাবে এই নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে ভাবছে অর্থ মন্ত্রণালয়। তা ছাড়া আগামী অর্থবছরে অর্থমন্ত্রী হিসেবে প্রথম বাজেট দেবেন অর্থমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। তাই ওই বাজেট বক্তৃতাটিকে তথ্যসমৃদ্ধ এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার একটি সুস্পষ্ট দলিল হিসেবে তৈরি করতে চায় অর্থ বিভাগ। তারই ধারাবাহিকতায় বাজেট বক্তৃতাকে সমৃদ্ধ করতে আগেভাগেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ওই মন্ত্রণালয়। এ জন্য অর্থসচিব নিজে তৎপর হয়ে সব সচিবকে একটি সমৃদ্ধ বাজেট বক্তৃতা তৈরিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আসছে বাজেটে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কীভাবে সম্ভব–এ বিষয়ে সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, একটি চ্যালেঞ্জিং সময়ে বাজেট করতে যাচ্ছে সরকার। মূল্যস্ফীতি অনেক বেড়ে গেছে। এটা কীভাবে কমানো যায়, সেই পরিকল্পনা ও কর্মসূচি নিতে হবে।
তবে শুধু মুদ্রানীতি দিয়ে মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে না। আপাতত প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর দিকে একটু রক্ষণশীল হতে হবে। দুটো একসঙ্গে হবে না। মোট কথা উৎপাদন খরচ কমিয়ে, সর্বক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়াতে হবে। উৎপাদন বাড়ানোর প্রযুক্তি গ্রহণ করতে হবে। সেবা খাতের খরচও কমাতে হবে। পোশাক খাতে ভর্তুকি কমাতে হবে। সব খাতের জন্য সমান সুযোগ রাখতে হবে। বিদ্যুৎ-জ্বালানিতে একেবারে ভর্তুকি তোলা যাবে না। পোশাক খাতের সুবিধা কমিয়ে তা জ্বালানি খাতে অব্যাহত রাখা যেতে পারে। কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, আসছে বাজেট বক্তৃতায় চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপ ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার পরিকল্পনার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। এ ছাড়া চলতি বাজেটে প্রতিশ্রুত কার্যক্রম বাস্তবায়ন পরিস্থিতি এবং বিগত ১৫ বছরে সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জনসমূহও বাজেট বক্তৃতায় থাকবে। সরকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেসব কাজের স্বীকৃতি পেয়েছে, সেসব তথ্যও থাকবে বক্তৃতায়। চলতি অর্থবছরে নেওয়া সরকারের উল্লেখযোগ্য নীতি, আইন ও পরিকল্পনাগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য কর্মপরিকল্পনা জানানো হবে।
আসছে বাজেট বক্তৃতায় নতুন অর্থমন্ত্রী দারিদ্র্যবিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে উল্লেখযোগ্য নীতি ও পদক্ষেপের কথা বলবেন। বক্তৃতায় বিশেষ গুরুত্ব থাকবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের গৃহীত পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ সামনে এলডিসি থেকে উত্তরণ-পরবর্তী চ্যালেঞ্জগুলো তিনি কীভাবে সমাধান করবেন সেই বিষয়টিও।
অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের আন্তর্জাতিক সালিসে যাওয়ার হুমকিতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেবেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
৯ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
১০ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
১০ ঘণ্টা আগে