কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের কারখানার কাজের পরিবেশ ও শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ২০১৩ সালের জুনে পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা (জিএসপি) স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র। সেই প্রত্যাহার তুলে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ কোনো ধরনের চেষ্টাই করেনি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের চাপ নিয়ে প্রশ্ন করলে এম শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা এটিকে চাপ বলব না। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে অনেক কথাই হয়েছে। আমাদের কাজ হলো সামনের দিনে এ নিষেধাজ্ঞা কীভাবে সরিয়ে নেওয়া যায়। সেই সঙ্গে আমরা নিশ্চিত করেছি যে, নিষেধাজ্ঞা যাতে আরও না বাড়ে। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সংযোগ রেখেছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মার্চ ও এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ে সফর ও সংলাপ রয়েছে। অংশীদারত্ব সংলাপ, টিকফা বৈঠক, নিরাপত্তা সংলাপসহ বেশ কিছু বৈঠক সামনের সপ্তাহের পর থেকে শুরু হবে। এগুলো একটি আবহ তৈরি করবে, বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও গাঢ় করতে ভূমিকা রাখবে। আর বৈঠকগুলোতে র্যাব ইস্যু আলোচনা হবে। তবে র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য যে আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে, আমরা সেই অনুযায়ী আগাচ্ছি। বাংলাদেশের হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোন প্রতিষ্ঠান এ কাজগুলো করবে তা নির্ধারণে আমরা সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি প্রত্যাহারের পরও এ ধরনের প্রত্যাশার কথা বলা হয়েছিল—এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জানি এ প্রশ্নটি আপনারা করবেন, জিএসপি প্রত্যাহার নিয়ে আমরা কোনো চেষ্টাই করিনি। কারণ আমরা সব সময়ে মনে করি, এটি অবিচার করা হয়েছে। জিএসপি প্রত্যাহারের পরে বরং অন্য রাষ্ট্রগুলো ডব্লিউটিওর নির্দেশনা মেনে বাংলাদেশকে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার দিয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জিএসপি প্রত্যাহারের ফলে বাংলাদেশ ব্যবসায় প্রভাব পড়েছে প্রায় ৩ কোটি ডলারের মতো। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আবার এর মধ্যে বাণিজ্য কয়েক শ কোটি ডলার বেড়েছে। যখন থেকে জিএসপি বাতিল হয়েছে, তারপর থেকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি দ্বিগুণ বেড়েছে।’
আরেক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, র্যাব ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাড়তি কোনো চাপ অনুভব করছে না বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করলে এ ধরনের বার্তাই পাওয়া যাবে।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনারকে ফেরত আনার বিষয়ে এম শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘একটি আইনি প্রক্রিয়ায় রয়েছে। মালয়েশিয়ার সরকার বিষয়টি মোকাবিলা করবে। কারণ এম খায়রুজ্জামানকে গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত মালয়েশিয়া সরকারের। এ বিষয়ে আমরা অনুরোধ বা তদবির করে থাকলে, সেটি ভিন্ন বিষয়।’
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের কারখানার কাজের পরিবেশ ও শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ২০১৩ সালের জুনে পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা (জিএসপি) স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র। সেই প্রত্যাহার তুলে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ কোনো ধরনের চেষ্টাই করেনি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের চাপ নিয়ে প্রশ্ন করলে এম শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা এটিকে চাপ বলব না। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে অনেক কথাই হয়েছে। আমাদের কাজ হলো সামনের দিনে এ নিষেধাজ্ঞা কীভাবে সরিয়ে নেওয়া যায়। সেই সঙ্গে আমরা নিশ্চিত করেছি যে, নিষেধাজ্ঞা যাতে আরও না বাড়ে। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সংযোগ রেখেছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মার্চ ও এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ে সফর ও সংলাপ রয়েছে। অংশীদারত্ব সংলাপ, টিকফা বৈঠক, নিরাপত্তা সংলাপসহ বেশ কিছু বৈঠক সামনের সপ্তাহের পর থেকে শুরু হবে। এগুলো একটি আবহ তৈরি করবে, বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও গাঢ় করতে ভূমিকা রাখবে। আর বৈঠকগুলোতে র্যাব ইস্যু আলোচনা হবে। তবে র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য যে আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে, আমরা সেই অনুযায়ী আগাচ্ছি। বাংলাদেশের হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোন প্রতিষ্ঠান এ কাজগুলো করবে তা নির্ধারণে আমরা সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি প্রত্যাহারের পরও এ ধরনের প্রত্যাশার কথা বলা হয়েছিল—এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জানি এ প্রশ্নটি আপনারা করবেন, জিএসপি প্রত্যাহার নিয়ে আমরা কোনো চেষ্টাই করিনি। কারণ আমরা সব সময়ে মনে করি, এটি অবিচার করা হয়েছে। জিএসপি প্রত্যাহারের পরে বরং অন্য রাষ্ট্রগুলো ডব্লিউটিওর নির্দেশনা মেনে বাংলাদেশকে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার দিয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জিএসপি প্রত্যাহারের ফলে বাংলাদেশ ব্যবসায় প্রভাব পড়েছে প্রায় ৩ কোটি ডলারের মতো। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আবার এর মধ্যে বাণিজ্য কয়েক শ কোটি ডলার বেড়েছে। যখন থেকে জিএসপি বাতিল হয়েছে, তারপর থেকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি দ্বিগুণ বেড়েছে।’
আরেক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, র্যাব ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাড়তি কোনো চাপ অনুভব করছে না বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করলে এ ধরনের বার্তাই পাওয়া যাবে।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনারকে ফেরত আনার বিষয়ে এম শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘একটি আইনি প্রক্রিয়ায় রয়েছে। মালয়েশিয়ার সরকার বিষয়টি মোকাবিলা করবে। কারণ এম খায়রুজ্জামানকে গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত মালয়েশিয়া সরকারের। এ বিষয়ে আমরা অনুরোধ বা তদবির করে থাকলে, সেটি ভিন্ন বিষয়।’
অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের আন্তর্জাতিক সালিসে যাওয়ার হুমকিতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগেবেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
১১ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
১২ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
১২ ঘণ্টা আগে