অনলাইন ডেস্ক
ডেনমার্কের সর্বোচ্চ উত্তরে অবস্থিত ক্রুডটেনে গোলাবারুদের কারখানা প্রায় কয়েক বছর ধরেই বন্ধ পড়ে ছিল। ড্যানিশ সামরিক বাহিনীর জন্য বুলেট, গোলা ও বিস্ফোরক বানানোর দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এই কারখানার। কিন্তু দীর্ঘকাল ধরেই অকেজো পড়ে আছে।
তবে এ চিত্র বদলাতে যাচ্ছে। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের কারণে দেশটিতে পশ্চিমা অস্ত্রের চাহিদা বাড়ছে। সম্প্রতি গোলাবারুদের বাণিজ্যে পুরোনো ভূমিকায় নতুন করে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডেনমার্কের সরকার।
২০০৮ সালে ইউরোপজুড়ে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় কমানোর উদ্যোগে এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে ডেনমার্ক ক্রুডটেন অস্ত্র কারখানা বিক্রি করে দেয়। তখন ক্রুডটেন ড্যানিশ সামরিক বাহিনীর অস্ত্রের প্রধান কারখানা। গত অক্টোবর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার হাত বদল হওয়ার পর সরকার এটি আবার অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার দ্রুত সম্প্রসারণশীল অস্ত্র কারখানাকে টক্কর দেওয়ার জন্য অনেক দেশই এখন অস্ত্র তৈরিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এ কারখানা আবারও অধিগ্রহণের মাধ্যমে ডেনমার্কও এ প্রতিযোগিতার সর্বশেষ খেলোয়াড় হিসেবে নাম লিখিয়েছে।
গত ডিসেম্বরে এক সাক্ষাৎকারে ডেনমার্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ট্রোয়েলস লান্ড পোউলসেন বলেন, ‘এ কারখানা হাতে পাওয়া অত্যন্ত জরুরি।’ তিনি এ সময় ইউরোপজুড়ে গোলাবারুদের চাহিদা বাড়ার কথা উল্লেখ করেন।
পোউলসেন বলেন, ‘আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত, কারণ রাশিয়া গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামের উৎপাদন বাড়াচ্ছে। এ কারণেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ইউরোপীয় ইউনিয়নে যেসব দেশ অস্ত্র উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছে তাদের সাহায্য করা হবে।’
চলতি বছর ইউক্রেনে অস্ত্রের ঘাটতি দেখা দিতে পারে এ আশঙ্কায় চিন্তিত ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর কর্মকর্তারা। ইউক্রেনের জন্য কংগ্রেসে বাড়তি মার্কিন সামরিক সহায়তা আটকে দিয়েছে রিপাবলিকানেরা। এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকেও আরেকটি অর্থনৈতিক প্যাকেজের ক্ষেত্রে ভেটো দিয়েছে হাঙ্গেরি।
বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়ার বিস্তৃত অস্ত্র বাণিজ্য ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। এ কারণেই ইউরোপীয় দেশগুলো নিজস্ব অস্ত্র উৎপাদন বৃদ্ধির উপায় খুঁজছে। এ জন্য অস্ত্র তৈরি কেন্দ্রিক বিধি–নিষেধগুলো শিথিল করা হচ্ছে এবং এ খাতে বিনিয়োগেও উৎসাহিত করা হচ্ছে।
বারুদকেই ড্যানিশ ভাষায় ক্রুডটেন বলা হয়। পুরোনো ইটের ভবনে স্থাপিত ক্রুডটেন কারখানা বিস্তীর্ণ গ্রামীণ এলাকাজুড়ে রয়েছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কারখানাটিতে কর্মকর্তারা গোলাবারুদ তৈরির জন্য বেসরকারি কোম্পানিকে নিয়োগ দেওয়ার চিন্তা করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের সামরিক গোলাবারুদের কারখানা দেখা যায়, যেখানে কারখানাগুলো সরকারের মালিকানাধীন থাকলেও পরিচালনা করে বেসরকারি কোম্পানি। বাজার চাহিদার সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষার জন্য সরকারিভাবে এতে অর্থায়ন করা হয়। ২০২২ সালে রাশিয়া যখন ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে তখন যুক্তরাষ্ট্রের ১৫৫ মিলিমিটার ক্যালিবার রাউন্ডের মাসিক উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ১৪ হাজার। চলতি বছর উৎপাদন দ্বিগুণের চেয়েও বেড়ে ৩৬ হাজার হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে ইউরোপের দেশগুলোর বৈচিত্র্যময় অর্থনীতি, বাজেটের সীমাবদ্ধতা ও সরকারের প্রতিরক্ষা খাতে বহুবিধ বিধি–নিষেধের মধ্যে অস্ত্র উৎপাদনের সুযোগ খুব কমই। অনুমোদনের গতি বাড়ানোর জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ওই সব দেশের জন্য আর্থিক প্রণোদনার ব্যবস্থা করছে যারা যৌথভাবে প্রচুর পরিমাণে গোলাবারুদ তৈরি করছে। এ ছাড়া বিধি–নিষেধগুলো শিথিল করা হচ্ছে যার কারণে অস্ত্র উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আগামী ১২ মাসের মধ্যেই ইউক্রেনে ১৫৫ মিলিমিটার ক্যালিবারের ১০ লাখ শেল সরবরাহ করতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এ উদ্যোগে সফলতা নিশ্চিত করতে সরকার ও অস্ত্র প্রস্তুতকারকদের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই এই পরিমাণ শেল সরবরাহ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করলেও এখনো অর্ধেক পরিমাণও মজুত করা সম্ভব হয়নি। অস্ত্র বাণিজ্য খাতে ইউরোপীয় দেশগুলোর বিনিয়োগের দ্বিধার কারণে মূলত এমনটা হচ্ছে।
প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ানোর তাগিদ দিচ্ছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন দের লিয়েন। গত নভেম্বরে ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা সংস্থার বার্ষিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সহায়তা করার জন্য এখনো আমাদের কাছে যথেষ্ট সরঞ্জাম নেই।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় বাজেট ঘাটতি বেড়ে যাওয়ার কারণে যেসব দেশের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা হবে, যদি তারা প্রতিরক্ষা খাতে উন্নয়নের জন্য ব্য়য় করে থাকে। নজিরবিহীন এ সময়ে ইউনিয়নের প্রতিরক্ষা এবং এর প্রতিরক্ষা শিল্পনীতির জন্য এটি একটি গেম চেঞ্জার হতে পারে।’
তবে একই সময়ে এটি সরকার ও অস্ত্রবাণিজ্যের জন্য অস্বস্তিকর একটি সমন্বয়ও হতে পারে। ডেনমার্কের প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা শিল্প সমিতির মহাপরিচালক জোয়াকিম ফিনকিয়েলম্যান বলেন, ‘আমি সরকার নিয়ন্ত্রিত অস্ত্র উৎপাদনের পক্ষে নই, তবে আমার জন্য যেটি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো, এ মুহূর্তে বিপুল চাহিদা রয়েছে কিন্তু যথেষ্ট উৎপাদন সক্ষমতা নেই।’
জোয়াকিম বলেন, বর্তমানে ডেনমার্ক সামরিক গোলাবারুদ সংগ্রহ করে বিদেশি উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে। ক্রুডটেন কারখানা একবার চালু হয়ে যাওয়ার পর সামরিক বাহিনীকে সরবরাহ ও রপ্তানির মতো যথেষ্ট গোলাবারুদ তৈরি নিশ্চিত করতে সরকারকে এতে যথেষ্ট বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এটিকে বাণিজ্যের বিশেষ এক সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করার জন্য এ বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। কারখানাটির কার্যক্রম শুরু হতে আরও দুই বছরের মতো লাগতে পারে।
সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপ বাজার তৈরির রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য কারখানা উন্মুক্ত করারই ইঙ্গিত বলে উল্লেখ করেন জোয়াকিম।
গত ডিসেম্বরে ফিনল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা করে, ২০২৭ সাল শেষ হওয়ার আগেই তারা ভারী গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক তৈরির সক্ষমতা দ্বিগুণ করবে। এক বিবৃতিতে ফিনল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আনতি হাক্কানেন বলেন, ‘এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আমরা ইউক্রেনকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করার জন্য আমাদের দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করতে চাই।’
এদিকে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী দেশগুলোর মধ্যে অস্ত্র বাণিজ্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে কাজ করার ইচ্ছা প্রকটভাবে দেখা দিয়েছে। পোল্যান্ড, বুলগেরিয়া, রোমানিয়াসহ পূর্ব ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশই জাতীয় গোলাবারুদ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের অন্তত একটি অংশের মালিক।
দুই বছর ধরেই দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন বাড়িয়ে চলেছে রাশিয়া। প্রতি মাসে রাশিয়া ১০০ টিরও বেশি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে।
এস্তোনিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লরি লানেমেৎস বলেন, ‘তাদের (রাশিয়া) সমগ্র অর্থনীতিই এখন অস্ত্র তৈরি করছে। এমনকি যেসব কারখানা আগে কৌটাজাত পণ্য তৈরি করত তারাও আজকাল বুলেট তৈরি করছে।’
ডেনমার্কের সর্বোচ্চ উত্তরে অবস্থিত ক্রুডটেনে গোলাবারুদের কারখানা প্রায় কয়েক বছর ধরেই বন্ধ পড়ে ছিল। ড্যানিশ সামরিক বাহিনীর জন্য বুলেট, গোলা ও বিস্ফোরক বানানোর দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এই কারখানার। কিন্তু দীর্ঘকাল ধরেই অকেজো পড়ে আছে।
তবে এ চিত্র বদলাতে যাচ্ছে। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের কারণে দেশটিতে পশ্চিমা অস্ত্রের চাহিদা বাড়ছে। সম্প্রতি গোলাবারুদের বাণিজ্যে পুরোনো ভূমিকায় নতুন করে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডেনমার্কের সরকার।
২০০৮ সালে ইউরোপজুড়ে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় কমানোর উদ্যোগে এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে ডেনমার্ক ক্রুডটেন অস্ত্র কারখানা বিক্রি করে দেয়। তখন ক্রুডটেন ড্যানিশ সামরিক বাহিনীর অস্ত্রের প্রধান কারখানা। গত অক্টোবর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার হাত বদল হওয়ার পর সরকার এটি আবার অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার দ্রুত সম্প্রসারণশীল অস্ত্র কারখানাকে টক্কর দেওয়ার জন্য অনেক দেশই এখন অস্ত্র তৈরিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এ কারখানা আবারও অধিগ্রহণের মাধ্যমে ডেনমার্কও এ প্রতিযোগিতার সর্বশেষ খেলোয়াড় হিসেবে নাম লিখিয়েছে।
গত ডিসেম্বরে এক সাক্ষাৎকারে ডেনমার্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ট্রোয়েলস লান্ড পোউলসেন বলেন, ‘এ কারখানা হাতে পাওয়া অত্যন্ত জরুরি।’ তিনি এ সময় ইউরোপজুড়ে গোলাবারুদের চাহিদা বাড়ার কথা উল্লেখ করেন।
পোউলসেন বলেন, ‘আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত, কারণ রাশিয়া গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামের উৎপাদন বাড়াচ্ছে। এ কারণেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ইউরোপীয় ইউনিয়নে যেসব দেশ অস্ত্র উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছে তাদের সাহায্য করা হবে।’
চলতি বছর ইউক্রেনে অস্ত্রের ঘাটতি দেখা দিতে পারে এ আশঙ্কায় চিন্তিত ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর কর্মকর্তারা। ইউক্রেনের জন্য কংগ্রেসে বাড়তি মার্কিন সামরিক সহায়তা আটকে দিয়েছে রিপাবলিকানেরা। এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকেও আরেকটি অর্থনৈতিক প্যাকেজের ক্ষেত্রে ভেটো দিয়েছে হাঙ্গেরি।
বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়ার বিস্তৃত অস্ত্র বাণিজ্য ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। এ কারণেই ইউরোপীয় দেশগুলো নিজস্ব অস্ত্র উৎপাদন বৃদ্ধির উপায় খুঁজছে। এ জন্য অস্ত্র তৈরি কেন্দ্রিক বিধি–নিষেধগুলো শিথিল করা হচ্ছে এবং এ খাতে বিনিয়োগেও উৎসাহিত করা হচ্ছে।
বারুদকেই ড্যানিশ ভাষায় ক্রুডটেন বলা হয়। পুরোনো ইটের ভবনে স্থাপিত ক্রুডটেন কারখানা বিস্তীর্ণ গ্রামীণ এলাকাজুড়ে রয়েছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কারখানাটিতে কর্মকর্তারা গোলাবারুদ তৈরির জন্য বেসরকারি কোম্পানিকে নিয়োগ দেওয়ার চিন্তা করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের সামরিক গোলাবারুদের কারখানা দেখা যায়, যেখানে কারখানাগুলো সরকারের মালিকানাধীন থাকলেও পরিচালনা করে বেসরকারি কোম্পানি। বাজার চাহিদার সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষার জন্য সরকারিভাবে এতে অর্থায়ন করা হয়। ২০২২ সালে রাশিয়া যখন ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে তখন যুক্তরাষ্ট্রের ১৫৫ মিলিমিটার ক্যালিবার রাউন্ডের মাসিক উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ১৪ হাজার। চলতি বছর উৎপাদন দ্বিগুণের চেয়েও বেড়ে ৩৬ হাজার হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে ইউরোপের দেশগুলোর বৈচিত্র্যময় অর্থনীতি, বাজেটের সীমাবদ্ধতা ও সরকারের প্রতিরক্ষা খাতে বহুবিধ বিধি–নিষেধের মধ্যে অস্ত্র উৎপাদনের সুযোগ খুব কমই। অনুমোদনের গতি বাড়ানোর জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ওই সব দেশের জন্য আর্থিক প্রণোদনার ব্যবস্থা করছে যারা যৌথভাবে প্রচুর পরিমাণে গোলাবারুদ তৈরি করছে। এ ছাড়া বিধি–নিষেধগুলো শিথিল করা হচ্ছে যার কারণে অস্ত্র উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আগামী ১২ মাসের মধ্যেই ইউক্রেনে ১৫৫ মিলিমিটার ক্যালিবারের ১০ লাখ শেল সরবরাহ করতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এ উদ্যোগে সফলতা নিশ্চিত করতে সরকার ও অস্ত্র প্রস্তুতকারকদের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই এই পরিমাণ শেল সরবরাহ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করলেও এখনো অর্ধেক পরিমাণও মজুত করা সম্ভব হয়নি। অস্ত্র বাণিজ্য খাতে ইউরোপীয় দেশগুলোর বিনিয়োগের দ্বিধার কারণে মূলত এমনটা হচ্ছে।
প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ানোর তাগিদ দিচ্ছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন দের লিয়েন। গত নভেম্বরে ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা সংস্থার বার্ষিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সহায়তা করার জন্য এখনো আমাদের কাছে যথেষ্ট সরঞ্জাম নেই।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় বাজেট ঘাটতি বেড়ে যাওয়ার কারণে যেসব দেশের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা হবে, যদি তারা প্রতিরক্ষা খাতে উন্নয়নের জন্য ব্য়য় করে থাকে। নজিরবিহীন এ সময়ে ইউনিয়নের প্রতিরক্ষা এবং এর প্রতিরক্ষা শিল্পনীতির জন্য এটি একটি গেম চেঞ্জার হতে পারে।’
তবে একই সময়ে এটি সরকার ও অস্ত্রবাণিজ্যের জন্য অস্বস্তিকর একটি সমন্বয়ও হতে পারে। ডেনমার্কের প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা শিল্প সমিতির মহাপরিচালক জোয়াকিম ফিনকিয়েলম্যান বলেন, ‘আমি সরকার নিয়ন্ত্রিত অস্ত্র উৎপাদনের পক্ষে নই, তবে আমার জন্য যেটি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো, এ মুহূর্তে বিপুল চাহিদা রয়েছে কিন্তু যথেষ্ট উৎপাদন সক্ষমতা নেই।’
জোয়াকিম বলেন, বর্তমানে ডেনমার্ক সামরিক গোলাবারুদ সংগ্রহ করে বিদেশি উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে। ক্রুডটেন কারখানা একবার চালু হয়ে যাওয়ার পর সামরিক বাহিনীকে সরবরাহ ও রপ্তানির মতো যথেষ্ট গোলাবারুদ তৈরি নিশ্চিত করতে সরকারকে এতে যথেষ্ট বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এটিকে বাণিজ্যের বিশেষ এক সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করার জন্য এ বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। কারখানাটির কার্যক্রম শুরু হতে আরও দুই বছরের মতো লাগতে পারে।
সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপ বাজার তৈরির রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য কারখানা উন্মুক্ত করারই ইঙ্গিত বলে উল্লেখ করেন জোয়াকিম।
গত ডিসেম্বরে ফিনল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা করে, ২০২৭ সাল শেষ হওয়ার আগেই তারা ভারী গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক তৈরির সক্ষমতা দ্বিগুণ করবে। এক বিবৃতিতে ফিনল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আনতি হাক্কানেন বলেন, ‘এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আমরা ইউক্রেনকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করার জন্য আমাদের দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করতে চাই।’
এদিকে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী দেশগুলোর মধ্যে অস্ত্র বাণিজ্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে কাজ করার ইচ্ছা প্রকটভাবে দেখা দিয়েছে। পোল্যান্ড, বুলগেরিয়া, রোমানিয়াসহ পূর্ব ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশই জাতীয় গোলাবারুদ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের অন্তত একটি অংশের মালিক।
দুই বছর ধরেই দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন বাড়িয়ে চলেছে রাশিয়া। প্রতি মাসে রাশিয়া ১০০ টিরও বেশি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে।
এস্তোনিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লরি লানেমেৎস বলেন, ‘তাদের (রাশিয়া) সমগ্র অর্থনীতিই এখন অস্ত্র তৈরি করছে। এমনকি যেসব কারখানা আগে কৌটাজাত পণ্য তৈরি করত তারাও আজকাল বুলেট তৈরি করছে।’
ইউএনডিপির আয়োজনে গতকাল বৃহস্পতিবার ‘জনবান্ধব নীতি প্রণয়নে সঠিক উপাত্ত সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনায় প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশনের সহায়তায় ইউএনডিপির স্ট্রেংদেনিং ইনস্টিটিউশনস, পলিসিজ অ্যান্ড সার্ভিসেস প্রকল্পের
২৫ মিনিট আগেঅত্যাধুনিক সুবিধা নিয়ে চালু হয়েছে বেনাপোল বন্দরের কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল, যা সেবা ও বাণিজ্যে নতুন মাত্রা যোগ করার পাশাপাশি যানজট ও পণ্যজট নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। ১৪ নভেম্বর এটি উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন ও শ্রম উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। ১৮ নভেম্বর থেকে টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু হয়।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্যদের জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ব্র্যাক ব্যাংক এবং বেসিস-এর মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই উদ্যোগ বাংলাদেশের আইসিটি খাতের উন্নয়ন ও উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
২ ঘণ্টা আগেদেশে গত বোরো মৌসুমের পরই বাড়তে থাকে চালের দাম। ক্রেতাদের আশা ছিল, আমন মৌসুম শুরু হলে দাম কমবে। কিন্তু আশা দুরাশাই রয়ে গেছে এখন পর্যন্ত। মোকামে আমন ধান আসতে শুরু করলেও চালের বাজারে খুব একটা প্রভাব নেই। শুধু তা-ই নয়, সরকার চাল আমদানির অনুমতি দিয়েও পণ্যটির দাম কমিয়ে আনতে পারছে না।
৩ ঘণ্টা আগে