Ajker Patrika

ইউক্রেন যুদ্ধ: অস্ত্র বাণিজ্যে ফিরছে ইউরোপের দুর্বল অর্থনীতির দেশগুলো

ইউক্রেন যুদ্ধ: অস্ত্র বাণিজ্যে ফিরছে ইউরোপের দুর্বল অর্থনীতির দেশগুলো

ডেনমার্কের সর্বোচ্চ উত্তরে অবস্থিত ক্রুডটেনে গোলাবারুদের কারখানা প্রায় কয়েক বছর ধরেই বন্ধ পড়ে ছিল। ড্যানিশ সামরিক বাহিনীর জন্য বুলেট, গোলা ও বিস্ফোরক বানানোর দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এই কারখানার। কিন্তু দীর্ঘকাল ধরেই অকেজো পড়ে আছে।

তবে এ চিত্র বদলাতে যাচ্ছে। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের কারণে দেশটিতে পশ্চিমা অস্ত্রের চাহিদা বাড়ছে। সম্প্রতি গোলাবারুদের বাণিজ্যে পুরোনো ভূমিকায় নতুন করে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডেনমার্কের সরকার।

২০০৮ সালে ইউরোপজুড়ে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় কমানোর উদ্যোগে এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে ডেনমার্ক ক্রুডটেন অস্ত্র কারখানা বিক্রি করে দেয়। তখন ক্রুডটেন ড্যানিশ সামরিক বাহিনীর অস্ত্রের প্রধান কারখানা। গত অক্টোবর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার হাত বদল হওয়ার পর সরকার এটি আবার অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার দ্রুত সম্প্রসারণশীল অস্ত্র কারখানাকে টক্কর দেওয়ার জন্য অনেক দেশই এখন অস্ত্র তৈরিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এ কারখানা আবারও অধিগ্রহণের মাধ্যমে ডেনমার্কও এ প্রতিযোগিতার সর্বশেষ খেলোয়াড় হিসেবে নাম লিখিয়েছে।

গত ডিসেম্বরে এক সাক্ষাৎকারে ডেনমার্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ট্রোয়েলস লান্ড পোউলসেন বলেন, ‘এ কারখানা হাতে পাওয়া অত্যন্ত জরুরি।’ তিনি এ সময় ইউরোপজুড়ে গোলাবারুদের চাহিদা বাড়ার কথা উল্লেখ করেন।

পোউলসেন বলেন, ‘আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত, কারণ রাশিয়া গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামের উৎপাদন বাড়াচ্ছে। এ কারণেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ইউরোপীয় ইউনিয়নে যেসব দেশ অস্ত্র উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছে তাদের সাহায্য করা হবে।’

চলতি বছর ইউক্রেনে অস্ত্রের ঘাটতি দেখা দিতে পারে এ আশঙ্কায় চিন্তিত ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর কর্মকর্তারা। ইউক্রেনের জন্য কংগ্রেসে বাড়তি মার্কিন সামরিক সহায়তা আটকে দিয়েছে রিপাবলিকানেরা। এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকেও আরেকটি অর্থনৈতিক প্যাকেজের ক্ষেত্রে ভেটো দিয়েছে হাঙ্গেরি।

বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়ার বিস্তৃত অস্ত্র বাণিজ্য ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। এ কারণেই ইউরোপীয় দেশগুলো নিজস্ব অস্ত্র উৎপাদন বৃদ্ধির উপায় খুঁজছে। এ জন্য অস্ত্র তৈরি কেন্দ্রিক বিধি–নিষেধগুলো শিথিল করা হচ্ছে এবং এ খাতে বিনিয়োগেও উৎসাহিত করা হচ্ছে।

বারুদকেই ড্যানিশ ভাষায় ক্রুডটেন বলা হয়। পুরোনো ইটের ভবনে স্থাপিত ক্রুডটেন কারখানা বিস্তীর্ণ গ্রামীণ এলাকাজুড়ে রয়েছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কারখানাটিতে কর্মকর্তারা গোলাবারুদ তৈরির জন্য বেসরকারি কোম্পানিকে নিয়োগ দেওয়ার চিন্তা করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের সামরিক গোলাবারুদের কারখানা দেখা যায়, যেখানে কারখানাগুলো সরকারের মালিকানাধীন থাকলেও পরিচালনা করে বেসরকারি কোম্পানি। বাজার চাহিদার সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষার জন্য সরকারিভাবে এতে অর্থায়ন করা হয়। ২০২২ সালে রাশিয়া যখন ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে তখন যুক্তরাষ্ট্রের ১৫৫ মিলিমিটার ক্যালিবার রাউন্ডের মাসিক উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ১৪ হাজার। চলতি বছর উৎপাদন দ্বিগুণের চেয়েও বেড়ে ৩৬ হাজার হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে ইউরোপের দেশগুলোর বৈচিত্র্যময় অর্থনীতি, বাজেটের সীমাবদ্ধতা ও সরকারের প্রতিরক্ষা খাতে বহুবিধ বিধি–নিষেধের মধ্যে অস্ত্র উৎপাদনের সুযোগ খুব কমই। অনুমোদনের গতি বাড়ানোর জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ওই সব দেশের জন্য আর্থিক প্রণোদনার ব্যবস্থা করছে যারা যৌথভাবে প্রচুর পরিমাণে গোলাবারুদ তৈরি করছে। এ ছাড়া বিধি–নিষেধগুলো শিথিল করা হচ্ছে যার কারণে অস্ত্র উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আগামী ১২ মাসের মধ্যেই ইউক্রেনে ১৫৫ মিলিমিটার ক্যালিবারের ১০ লাখ শেল সরবরাহ করতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এ উদ্যোগে সফলতা নিশ্চিত করতে সরকার ও অস্ত্র প্রস্তুতকারকদের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই এই পরিমাণ শেল সরবরাহ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করলেও এখনো অর্ধেক পরিমাণও মজুত করা সম্ভব হয়নি। অস্ত্র বাণিজ্য খাতে ইউরোপীয় দেশগুলোর বিনিয়োগের দ্বিধার কারণে মূলত এমনটা হচ্ছে।

প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ানোর তাগিদ দিচ্ছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন দের লিয়েন। গত নভেম্বরে ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা সংস্থার বার্ষিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সহায়তা করার জন্য এখনো আমাদের কাছে যথেষ্ট সরঞ্জাম নেই।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয় বাজেট ঘাটতি বেড়ে যাওয়ার কারণে যেসব দেশের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা হবে, যদি তারা প্রতিরক্ষা খাতে উন্নয়নের জন্য ব্য়য় করে থাকে। নজিরবিহীন এ সময়ে ইউনিয়নের প্রতিরক্ষা এবং এর প্রতিরক্ষা শিল্পনীতির জন্য এটি একটি গেম চেঞ্জার হতে পারে।’

তবে একই সময়ে এটি সরকার ও অস্ত্রবাণিজ্যের জন্য অস্বস্তিকর একটি সমন্বয়ও হতে পারে। ডেনমার্কের প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা শিল্প সমিতির মহাপরিচালক জোয়াকিম ফিনকিয়েলম্যান বলেন, ‘আমি সরকার নিয়ন্ত্রিত অস্ত্র উৎপাদনের পক্ষে নই, তবে আমার জন্য যেটি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো, এ মুহূর্তে বিপুল চাহিদা রয়েছে কিন্তু যথেষ্ট উৎপাদন সক্ষমতা নেই।’

জোয়াকিম বলেন, বর্তমানে ডেনমার্ক সামরিক গোলাবারুদ সংগ্রহ করে বিদেশি উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে। ক্রুডটেন কারখানা একবার চালু হয়ে যাওয়ার পর সামরিক বাহিনীকে সরবরাহ ও রপ্তানির মতো যথেষ্ট গোলাবারুদ তৈরি নিশ্চিত করতে সরকারকে এতে যথেষ্ট বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এটিকে বাণিজ্যের বিশেষ এক সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করার জন্য এ বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। কারখানাটির কার্যক্রম শুরু হতে আরও দুই বছরের মতো লাগতে পারে।

সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপ বাজার তৈরির রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য কারখানা উন্মুক্ত করারই ইঙ্গিত বলে উল্লেখ করেন জোয়াকিম।

গত ডিসেম্বরে ফিনল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা করে, ২০২৭ সাল শেষ হওয়ার আগেই তারা ভারী গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক তৈরির সক্ষমতা দ্বিগুণ করবে। এক বিবৃতিতে ফিনল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আনতি হাক্কানেন বলেন, ‘এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আমরা ইউক্রেনকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করার জন্য আমাদের দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করতে চাই।’

এদিকে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী দেশগুলোর মধ্যে অস্ত্র বাণিজ্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে কাজ করার ইচ্ছা প্রকটভাবে দেখা দিয়েছে। পোল্যান্ড, বুলগেরিয়া, রোমানিয়াসহ পূর্ব ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশই জাতীয় গোলাবারুদ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের অন্তত একটি অংশের মালিক।

দুই বছর ধরেই দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন বাড়িয়ে চলেছে রাশিয়া। প্রতি মাসে রাশিয়া ১০০ টিরও বেশি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে।

এস্তোনিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লরি লানেমেৎস বলেন, ‘তাদের (রাশিয়া) সমগ্র অর্থনীতিই এখন অস্ত্র তৈরি করছে। এমনকি যেসব কারখানা আগে কৌটাজাত পণ্য তৈরি করত তারাও আজকাল বুলেট তৈরি করছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাংবাদিক আনিস আলমগীর ডিবি হেফাজতে, জিজ্ঞাসাবাদ হবে

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের স্ত্রীসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার

বন্ডাই বিচে হামলাকারীর অস্ত্র কেড়ে নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন, কে এই পথচারী

বাড্ডায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন

বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে জামায়াতের দুই ছাত্রনেতা আশরাফ ও মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তৈরি পোশাক রপ্তানি: ইইউ-যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে সম্ভাবনা জাপানে

রোকন উদ্দীন, ঢাকা
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ২৭
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।

এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।

তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’

জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।

কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’

এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।

বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাংবাদিক আনিস আলমগীর ডিবি হেফাজতে, জিজ্ঞাসাবাদ হবে

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের স্ত্রীসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার

বন্ডাই বিচে হামলাকারীর অস্ত্র কেড়ে নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন, কে এই পথচারী

বাড্ডায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন

বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে জামায়াতের দুই ছাত্রনেতা আশরাফ ও মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এসএমই মেলায় ১৬ কোটি টাকার অর্ডার পেলেন উদ্যোক্তারা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।

এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।

এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।

শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।

এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।

মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।

মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাংবাদিক আনিস আলমগীর ডিবি হেফাজতে, জিজ্ঞাসাবাদ হবে

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের স্ত্রীসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার

বন্ডাই বিচে হামলাকারীর অস্ত্র কেড়ে নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন, কে এই পথচারী

বাড্ডায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন

বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে জামায়াতের দুই ছাত্রনেতা আশরাফ ও মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আপেল, মাল্টা, কমলাসহ তাজা ফলের শুল্ক কমানোর সুপারিশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।

সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।

অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাংবাদিক আনিস আলমগীর ডিবি হেফাজতে, জিজ্ঞাসাবাদ হবে

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের স্ত্রীসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার

বন্ডাই বিচে হামলাকারীর অস্ত্র কেড়ে নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন, কে এই পথচারী

বাড্ডায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন

বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে জামায়াতের দুই ছাত্রনেতা আশরাফ ও মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচনে ভোটার ও রাজনীতিবিদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে: দেবপ্রিয়

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৯
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ফাইল ছবি
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ফাইল ছবি

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা।
বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা।

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’

ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’

সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।

তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’

সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।

সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’

তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাংবাদিক আনিস আলমগীর ডিবি হেফাজতে, জিজ্ঞাসাবাদ হবে

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের স্ত্রীসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার

বন্ডাই বিচে হামলাকারীর অস্ত্র কেড়ে নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন, কে এই পথচারী

বাড্ডায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন

বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে জামায়াতের দুই ছাত্রনেতা আশরাফ ও মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত