Ajker Patrika

এলসিবিহীন কাঁচামাল আমদানি চেয়ে এনবিআরকে চিঠি

অনলাইন ডেস্ক
এলসিবিহীন কাঁচামাল আমদানি চেয়ে এনবিআরকে চিঠি

এলসিবিহীন বা ফ্রি অব কস্ট (এফওসি) কাঁচামাল আমদানির সুযোগ উন্মুক্ত করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)। সম্প্রতি এনবিআরের চেয়ারম্যান আবদুর রহমানের কাছে এ চিঠি পাঠানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, সাধারণত রপ্তানিমুখী নন-বন্ডেড তৈরি পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের (এলসি) মাধ্যমে স্থানীয় বাজার থেকে সুতা, কাপড় ও আনুষঙ্গিক উপকরণ সংগ্রহ করে। অন্যদিকে বন্ডেড ফ্যাক্টরিগুলো স্থানীয় বাজার ও আন্তর্জাতিক উৎস থেকে একই প্রক্রিয়ায় কাঁচামাল আমদানি করে থাকে।

বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের পলিসির কারণে দেশীয় উৎস থেকে সংগ্রহের পরিবর্তে বিদেশ থেকে কাঁচামাল আমদানির পরিমাণ বাড়ছে। এর ধারাবাহিকতায় ব্যাক টু ব্যাকের পাশাপাশি এফওসিতে কাঁচামাল আমদানির পরিমাণ বাড়ছে। এ ধরনের রপ্তানির ক্ষেত্রে মূল্য সংযোজন ১০০ শতাংশ, অর্থাৎ অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার পুরোটা দেশে থাকে।

এ সুবিধাকে রপ্তানিকারকদের জন্য নিরাপদ উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, এর ফলে রপ্তানিকারকদের ব্যাক টু ব্যাক এলসি করার জন্য ব্যাংকে কোনো লিমিট বা সিকিউরিটি মর্টগেজ প্রয়োজন হয় না। ক্রেতারা নিজ খরচে সব ধরনের কাঁচামাল সরবরাহ করে থাকে। ফলে এ ধরনের ক্রয়াদেশ বাতিল, ডিসকাউন্ট বা এয়ার শিপমেন্ট করে রপ্তানিকারকদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কিছু নিয়ম এ পদ্ধতিকে জটিল করে রেখেছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের রপ্তানি ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো।

চিঠিতে বলা হয়, দুটি এসআরওতে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে প্রতিষ্ঠানকে ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র ছাড়া শুধু ক্রেতা কর্তৃক চুক্তির বিপরীতে ছয় মাসের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ও আনুষঙ্গিক দ্রব্য রিভলভিং পদ্ধতিতে আমদানি করতে পারা।

এ ছাড়া কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান যদি তার রপ্তানি পণ্য উৎপাদনে ব্যবহার্য প্রায় সব কাঁচামাল (প্রয়োজনীয় কাঁচামালের ৮০ শতাংশ ওপরে) তার বৈদেশিক ক্রেতা অথবা ক্রেতার মনোনীত কোনো বৈদেশিক এজেন্টের কাছ থেকে বিনা মূল্যে পেয়ে থাকে এবং রপ্তানি মূল্য হিসেবে শুধু কাটিং, মেকিং ট্রিমিং (সিএমটি) প্রাপ্ত হয়; সেসব প্রতিষ্ঠান অনধিক ছয় মাসের কাঁচামাল রিভলভিং পদ্ধতিতে আমদানি করতে পারবে।

এসব শর্তের কারণে রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, রপ্তানিকারকেরা বৈদেশিক ক্রেতা হারাচ্ছে। এ অবস্থায় দেশের রপ্তানির বৃহৎ স্বার্থে তৈরি পোশাকশিল্পের রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখার অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিকেএমইএর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এই সুবিধা গ্রহণের ফলে ক্রয়াদেশ বাড়ে। রপ্তানিকারকেরা উপকৃত হয়। এনবিআরের এসআরওর কারণে রপ্তানিকারকেরা সমান সুযোগ পায় না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত