নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগের সরকারের সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি) বাস্তবায়ন করতে দেশে নতুন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) প্রকল্প ও টার্মিনালের জন্য প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হবে। এর ফলে অর্থনীতি বড় ধরনের ক্ষতি মুখে পড়বে বলে এক যৌথ গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। মার্কেট ফোর্সেস, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
‘বাংলাদেশের জন্য ৫০ বিলিয়ন ডলারের এলএনজি প্রকল্পের ব্যয় ও একটি টেকসই ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এলএনজিনির্ভর প্রকল্পে দেশের অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়বে এবং দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে লাখো মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হবে বলে আশঙ্কার কথা উঠে এসেছে। আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় হয়, বর্তমানে বাংলাদেশের জনগণ বিদ্যুতের বিপুল ব্যয়ের চাপের মধ্যে আছে। ব্যয়বহুল আমদানির মাধ্যমে যোগান দেওয়া এলএনজির ওপর নির্ভরতা চলতে থাকলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।
তা না করে পরিকল্পিত এলএনজি প্রকল্পগুলির তহবিল নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও গ্রিড অবকাঠামোর উন্নয়নে বিনিয়োগের পরামর্শ দেওয়া দেওয়া হয়েছে গবেষণা প্রতিবেদনে।
মহাপরিকল্পনার আওতায় ১৪ বিলিয়ন ডলার এলএনজি আমদানির জন্য ব্যয় হবে। আর ৩৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে এলএনজি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে, যেটা নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করলে ৬২ গিগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতা অর্জন করা সম্ভব এবং সেটা দেশের বর্তমান বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার দ্বিগুণ বলে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রস্তাবিত ৪১টি নতুন গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমে বিষাক্ত গ্যাস নির্গমন হবে, যা শ্বাসযন্ত্রের সমস্যাগুলোর প্রকোপ বাড়োবে এবং বায়ু দূষণের ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম খারাপ অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে নিয়ে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেন, এলএনজি একদিকে আর্থিক বোঝা আরেকদিকে পরিবেশগত বিপর্যয় ডেকে আনছে। বাংলাদেশকে অবশ্যই আমদানিকৃত এলএনজি এবং বিদেশি স্বার্থ দ্বারা প্রভাবিত বিদ্যুৎ পরিকল্পনা থেকে সরে এসে দেশীয় নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের পথ অনুসরণ করতে হবে। এটি দেশে জীবিকা রক্ষা করবে, স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করবে এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, পাশাপাশি জ্বালানি আমদানির উচ্চ খরচ থেকেও রক্ষা করবে। এ ছাড়াও জ্বালানি নীতি যেন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে না হয়ে জনস্বার্থে হয় সেই আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন ব্যবসা বিস্তারে এডিবির মতন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উন্নয়ন পরিকল্পনার মোড়কে উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছে বিক্রি করা হয়। এলএনজি, কয়লা, পারমানবিক ব্যবস্থাকে গ্রহণ না করে নবায়নযোগ্য উৎপাদন ব্যবস্থায় যেতে পারতো। এসব পদ্ধতি/ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে ভবিষ্যতে বড় ধরণের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে পারে বাংলাদেশ। বিগত সরকারের এলএনজি, কয়লা, পারমাণবিক শক্তিনির্ভরজ্বালানি মহাপরিকল্পনা বাতিল করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা বলেন, ‘নিয়ম হলো আমরা যদি কোনো পরিকল্পনা করতে চাই, তাহলে অন্য দেশের লোকদের টাকা দিয়ে আমরা সেটি করব। কিন্তু আমাদের দেশের বেলায় সেটি উল্টো হয়েছে। অন্যদেশগুলো নিজেরাই প্ল্যান করার জন্য টাকা দিয়েছে। এতে বুঝতে হবে তাদের অন্যকোনো উদ্দেশ্য আছে। তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন দেশের স্বার্থের শিকার। জনমুখী না করে গ্লোবাল চক্রের ফাঁদে পড়ে প্রকল্পগুলো নিচ্ছি।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, সরকার ২০৪১সালে ২৭হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ দরকার নেই। কিন্তু বিগত সরকার বাড়তি ধরেছে। বর্তমানে ১৬ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন হয়। এটা ব্যবহারের সক্ষমতাই আমাদের নেই। জ্বালানির কৃত্তিম চাহিদা তৈরি করে উৎপাদন ও আমদানি করা হয়েছে।
ন্যাশনাল রিভার কনজারভেশন কমিশনের (এনআরসিসি) সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে এতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপনা করেন ওয়াটারকিপার্সের কোঅর্ডিনেটর শরীফ জামিল। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে এশিয়া এনার্জি এনালিস্টে মুনিরা চৌধুরী, আইইইএফএর লিড এনালিস্ট শফিকুল আলম ও থ্রিফিফটির আমানুল্লাহ পরাগ অংশগ্রহণ করেন।
আগের সরকারের সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি) বাস্তবায়ন করতে দেশে নতুন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) প্রকল্প ও টার্মিনালের জন্য প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হবে। এর ফলে অর্থনীতি বড় ধরনের ক্ষতি মুখে পড়বে বলে এক যৌথ গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। মার্কেট ফোর্সেস, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
‘বাংলাদেশের জন্য ৫০ বিলিয়ন ডলারের এলএনজি প্রকল্পের ব্যয় ও একটি টেকসই ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এলএনজিনির্ভর প্রকল্পে দেশের অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়বে এবং দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে লাখো মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হবে বলে আশঙ্কার কথা উঠে এসেছে। আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় হয়, বর্তমানে বাংলাদেশের জনগণ বিদ্যুতের বিপুল ব্যয়ের চাপের মধ্যে আছে। ব্যয়বহুল আমদানির মাধ্যমে যোগান দেওয়া এলএনজির ওপর নির্ভরতা চলতে থাকলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।
তা না করে পরিকল্পিত এলএনজি প্রকল্পগুলির তহবিল নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও গ্রিড অবকাঠামোর উন্নয়নে বিনিয়োগের পরামর্শ দেওয়া দেওয়া হয়েছে গবেষণা প্রতিবেদনে।
মহাপরিকল্পনার আওতায় ১৪ বিলিয়ন ডলার এলএনজি আমদানির জন্য ব্যয় হবে। আর ৩৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে এলএনজি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে, যেটা নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করলে ৬২ গিগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতা অর্জন করা সম্ভব এবং সেটা দেশের বর্তমান বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার দ্বিগুণ বলে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রস্তাবিত ৪১টি নতুন গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমে বিষাক্ত গ্যাস নির্গমন হবে, যা শ্বাসযন্ত্রের সমস্যাগুলোর প্রকোপ বাড়োবে এবং বায়ু দূষণের ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম খারাপ অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে নিয়ে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেন, এলএনজি একদিকে আর্থিক বোঝা আরেকদিকে পরিবেশগত বিপর্যয় ডেকে আনছে। বাংলাদেশকে অবশ্যই আমদানিকৃত এলএনজি এবং বিদেশি স্বার্থ দ্বারা প্রভাবিত বিদ্যুৎ পরিকল্পনা থেকে সরে এসে দেশীয় নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের পথ অনুসরণ করতে হবে। এটি দেশে জীবিকা রক্ষা করবে, স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করবে এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, পাশাপাশি জ্বালানি আমদানির উচ্চ খরচ থেকেও রক্ষা করবে। এ ছাড়াও জ্বালানি নীতি যেন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে না হয়ে জনস্বার্থে হয় সেই আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন ব্যবসা বিস্তারে এডিবির মতন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উন্নয়ন পরিকল্পনার মোড়কে উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছে বিক্রি করা হয়। এলএনজি, কয়লা, পারমানবিক ব্যবস্থাকে গ্রহণ না করে নবায়নযোগ্য উৎপাদন ব্যবস্থায় যেতে পারতো। এসব পদ্ধতি/ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে ভবিষ্যতে বড় ধরণের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে পারে বাংলাদেশ। বিগত সরকারের এলএনজি, কয়লা, পারমাণবিক শক্তিনির্ভরজ্বালানি মহাপরিকল্পনা বাতিল করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা বলেন, ‘নিয়ম হলো আমরা যদি কোনো পরিকল্পনা করতে চাই, তাহলে অন্য দেশের লোকদের টাকা দিয়ে আমরা সেটি করব। কিন্তু আমাদের দেশের বেলায় সেটি উল্টো হয়েছে। অন্যদেশগুলো নিজেরাই প্ল্যান করার জন্য টাকা দিয়েছে। এতে বুঝতে হবে তাদের অন্যকোনো উদ্দেশ্য আছে। তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন দেশের স্বার্থের শিকার। জনমুখী না করে গ্লোবাল চক্রের ফাঁদে পড়ে প্রকল্পগুলো নিচ্ছি।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, সরকার ২০৪১সালে ২৭হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ দরকার নেই। কিন্তু বিগত সরকার বাড়তি ধরেছে। বর্তমানে ১৬ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন হয়। এটা ব্যবহারের সক্ষমতাই আমাদের নেই। জ্বালানির কৃত্তিম চাহিদা তৈরি করে উৎপাদন ও আমদানি করা হয়েছে।
ন্যাশনাল রিভার কনজারভেশন কমিশনের (এনআরসিসি) সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে এতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপনা করেন ওয়াটারকিপার্সের কোঅর্ডিনেটর শরীফ জামিল। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে এশিয়া এনার্জি এনালিস্টে মুনিরা চৌধুরী, আইইইএফএর লিড এনালিস্ট শফিকুল আলম ও থ্রিফিফটির আমানুল্লাহ পরাগ অংশগ্রহণ করেন।
আমাদের শেয়ারবাজার অনেক সংকুচিত। গত ১৫ বছরে শেয়ারবাজার অনেক পিছিয়েছে। একই সময়ে বিশ্বের অন্য সব দেশের শেয়ারবাজার এগিয়েছে। এই অবস্থায় বর্তমান সময়ে দেশের সব স্টেকহোল্ডাররা বাংলাদেশের শেয়ারবাজারকে এগিয়ে নিতে ইতিবাচকভাবে কাজ করছে...
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের জন্য এ বছর পাঁচটি বড় ঝুঁকি চিহ্নিত করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি মূল্যস্ফীতি। বাকি চার ঝুঁকি হলো চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া (বন্যা, তাপপ্রবাহ ইত্যাদি), দূষণ (বায়ু, পানি, মাটি), বেকারত্ব বা অর্থনৈতিক সুযোগের ঘাটতি এবং অর্থনৈতিক নিম্নমুখিতা...
৪ ঘণ্টা আগেপাঁচ বছর অন্যের বাসায় কাজ করে কিছু টাকা জমিয়েছিলেন গৃহকর্মী রেহানা আক্তার। সেই টাকা পুরোটাই নিয়ে গেছেন তাঁর স্বামী। এখন টাকা চাইতে গেলে উল্টো তাঁর ওপর নেমে আসে শারীরিক নির্যাতন। রেহানা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শীত, গ্রীষ্ম দেহি নাই। পাঁচ বছর মানুষের বাসায় কাম কইরা দুই লাখ টাহা জমাইছিলাম...
৭ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার তেল-বাণিজ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার পর বিশ্বজুড়ে ডিজেলের দাম বেড়েছে। বেড়ে গেছে পরিশোধনকারীদের মুনাফার পরিমাণও। নতুন এই নিষেধাজ্ঞার ফলে জ্বালানি তেলের সরবরাহ কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
১ দিন আগে