Ajker Patrika

ট্রাম্পের শুল্কে বিশ্বজুড়ে প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস কাটছাঁট করল আইএমএফ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ট্রাম্পের শুল্কে বিশ্বজুড়ে প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস কাটছাঁট করল আইএমএফ

যুক্তরাষ্ট্রের শতবর্ষের রেকর্ড উচ্চতার শুল্কের প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ বেশির ভাগ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, বর্ধিত বাণিজ্য উত্তেজনা বিশ্ব প্রবৃদ্ধিকে আরও ধীর করবে।

আজ মঙ্গলবার সর্বশেষ ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক’ প্রকাশ করেছে আইএমএফ। প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের ৪ এপ্রিল পর্যন্ত পরিস্থিতির ভিত্তিতে তৈরি করা এই পূর্বাভাসে বিশ্ব প্রবৃদ্ধি ২০২৫ সালের জন্য ০ দশমিক ৫ শতাংশ কমিয়ে ২ দশমিক ৮ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।

এ ছাড়া, ২০২৪ ও ২০২৫ সালের জন্য জানুয়ারিতে দেওয়া ৩ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস সংশোধন করে যথাক্রমে ৩ শতাংশ ও ২ দশমিক ৮ শতাংশ করেছে আইএমএফ।

বিশ্বজুড়ে শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাবে মুদ্রাস্ফীতিও প্রত্যাশার চেয়ে ধীরগতিতে কমবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালে বিশ্বব্যাপী গড় মুদ্রাস্ফীতি হবে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ, আর ২০২৬ সালে তা নামবে ৩ দশমিক ৬ শতাংশে।

আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ পিয়ের অলিভিয়ে গোঁরাসা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এমন এক নতুন যুগে প্রবেশ করছি, যেখানে ৮০ বছর ধরে চলে আসা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে।’

পিয়ের অলিভিয়ে গোঁরাসা বলেন, এই শুল্ক ও বাণিজ্য উত্তেজনা কেবল যুক্তরাষ্ট্র নয়, ইউরোপ, চীন ও অন্যান্য অঞ্চলকেও নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে। ফলে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

বিশ্লেষকেরা আশঙ্কা করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অন্যান্য দেশের বাণিজ্য উত্তেজনা আরও বাড়লে আর্থিক বাজার অস্থির হবে, যা বিনিয়োগ ও পণ্যের উৎস নির্বাচন নিয়েও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করবে।

বিশ্ব বাণিজ্য প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসও বড়োসড়োভাবে কমানো হয়েছে। ২০২৫ সালে বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র ১ দশমিক ৭ শতাংশ, যা ২০২৪ সালের তুলনায় অর্ধেক।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উচ্চ শুল্কের ফলে এই দুই বৃহৎ অর্থনীতির মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে, যার প্রভাব পড়বে বৈশ্বিক বাণিজ্যে।

তবে এখন পর্যন্ত ডলারের বাজারে বড় ধস দেখা যায়নি। পিয়ের অলিভিয়ে গোঁরাসা বলেন, ‘আমরা এখনো কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখছি না। আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা নিয়ে আমরা এখনো উদ্বিগ্ন নই।’

তবে তিনি স্বীকার করেন, যদি এই বাণিজ্য উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা চলতে থাকে, তাহলে দীর্ঘ মেয়াদে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে পড়বে। আইএমএফের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছরে গড় প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ২ শতাংশ, যা ২০০০-১৯ সময়কালের ৩ দশমিক ৭ শতাংশ গড় থেকে অনেকটাই কম।

বিশ্ব বাণিজ্যব্যবস্থায় স্থিরতা ও স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়ে আইএমএফ বলেছে, নির্ভরযোগ্য ও পরিষ্কার বাণিজ্য কাঠামো পুনঃপ্রতিষ্ঠা এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আইএমএফ বিশ্ব বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমিয়ে ১ দশমিক ৭ শতাংশ করেছে, যা ২০২৪ সালের প্রবৃদ্ধির অর্ধেক। এটি বিশ্ব অর্থনীতির ক্রমবর্ধমান খণ্ডনকেই প্রতিফলিত করে।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে তীব্রভাবে শুল্ক বৃদ্ধির ফলে বিশ্বের বৃহত্তম দুটি অর্থনীতির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য অনেক কমে যাবে বলে জানান গুরিনচাস। তিনি যোগ করেন, এটি বিশ্ব বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধিকে টেনে নামাচ্ছে।

বাণিজ্য অব্যাহত থাকলেও এর খরচ বেশি হবে এবং এটি কম কার্যকর হবে। বিনিয়োগ এবং পণ্য ও যন্ত্রাংশ সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি ও অনিশ্চয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি রয়টার্সকে বলেন, যেকোনো রূপে বাণিজ্য ব্যবস্থার পূর্বাভাসযোগ্যতা ও স্পষ্টতা পুনরুদ্ধার করা একেবারে জরুরি।

মার্কিন প্রবৃদ্ধি হ্রাস, মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি

নীতিগত অনিশ্চয়তা এবং বাণিজ্য উত্তেজনার কথা উল্লেখ করে আইএমএফ ২০২৫ সালে মার্কিন প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ০ দশমিক ৯ শতাংশ কমিয়ে ১ দশমিক ৮ শতাংশ করেছে, যা ২০২৪ সালের ২ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি থেকে পুরো ১ শতাংশ কম এবং ২০২৬ সালে ০ দশমিক ৪ শতাংশ কমিয়ে ১ দশমিক ৭ শতাংশ করেছে।

গোঁরাসা সাংবাদিকদের বলেন, আইএমএফ যুক্তরাষ্ট্রে মন্দা দেখছে না, তবে অর্থনৈতিক নিম্নগামিতার সম্ভাবনা প্রায় ২৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৭ শতাংশ হয়েছে। আইএমএফ শুল্ক এবং পরিষেবা খাতের অন্তর্নিহিত শক্তির কারণে ২০২৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মুদ্রাস্ফীতি ৩ শতাংশে পৌঁছানোর পূর্বাভাস দিচ্ছে, যা জানুয়ারিতে তাদের পূর্বাভাসের চেয়ে ১ শতাংশ বেশি।

এর অর্থ হলো, ফেডারেল রিজার্ভকে মুদ্রাস্ফীতির প্রত্যাশা ধরে রাখার ক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকতে হবে। গোঁরাসা বলেন, অনেক আমেরিকান এখনো কোভিড মহামারির সময় হওয়া মুদ্রাস্ফীতির উল্লম্ফনে আতঙ্কিত।

হোয়াইট হাউস কর্তৃক ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলকে অপসারণের যেকোনো পদক্ষেপের প্রভাব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে গোঁরাসা বলেন, মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর স্বাধীন থাকতে পারা খুবই জরুরি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট পাওয়েলের ওপর তাঁর আক্রমণ তীব্র করার সঙ্গে সঙ্গে সোমবার মার্কিন শেয়ারবাজারে তীব্র পতন ঘটে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করে। তবে মঙ্গলবার শেয়ারবাজারের শুরু ছিল ঊর্ধ্বমুখী।

ট্রাম্পের শুল্কে মার্কিন প্রতিবেশী কানাডা এবং মেক্সিকোর প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসও কমেছে। আইএমএফ পূর্বাভাস দিয়েছে, কানাডার অর্থনীতি ২০২৫ সালে ১ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ২০২৬ সালে ১ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে, যেখানে জানুয়ারিতে উভয় বছরের জন্য ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।

তারা পূর্বাভাস দিয়েছে, মেক্সিকো শুল্ক দ্বারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যার প্রবৃদ্ধি ২০২৫ সালে ০ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে আসবে, যা জানুয়ারির পূর্বাভাস থেকে তীব্র ১ দশমিক ৭ শতাংশ হ্রাস, ২০২৬ সালে ১ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে পুনরুদ্ধারের আগে।

ইউরোপ ও এশিয়ায় কম প্রবৃদ্ধি

আইএমএফ পূর্বাভাস দিয়েছে, ইউরোপ অঞ্চলের প্রবৃদ্ধি ২০২৫ সালে ০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ২০২৬ সালে ১ দশমিক ২ শতাংশ ধীর হবে। উভয় পূর্বাভাসই জানুয়ারি থেকে প্রায় ০ দশমিক ২ শতাংশ কম। তবে স্পেন ব্যতিক্রম। ২০২৫ সালে দেশটির ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যা আগের চেয়ে ০ দশমিক ২ শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী।

প্রতিবাদী শক্তির মধ্যে রয়েছে ক্রমবর্ধমান মজুরি এবং জার্মানির ‘ঋণ ব্রেকে’ বড় ধরনের পরিবর্তনের পর প্রত্যাশিত আর্থিক শিথিলতার কারণে শক্তিশালী ভোগ। আইএমএফ ২০২৫ সালে জার্মানির প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ০ দশমিক ৩ শতাংশ কমিয়ে শূন্য শতাংশ এবং ২০২৬ সালে ০ দশমিক ২ শতাংশ কমিয়ে ০ দশমিক ৯ শতাংশ করেছে।

ব্রিটেনের প্রবৃদ্ধি ২০২৫ সালে ১ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছাবে, যা জানুয়ারির পূর্বাভাসের চেয়ে ০ দশমিক ৫ শতাংশ কম। আর ২০২৬ সালে ১ দশমিক ৪ শতাংশের সামান্য বৃদ্ধি পাবে। সম্প্রতি ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ, বেশি গিল্ট রিটার্ন এবং দুর্বল বেসরকারি ভোগ মূল্যায়ন করে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

বাণিজ্য উত্তেজনা এবং ট্রাম্পের শুল্কের কারণে ২০২৫ সালে জাপানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জানুয়ারির পূর্বাভাসের তুলনায় ০ দশমিক ৫ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যেখানে আগে ০ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলা হয়েছিল।

চীনের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ২০২৫ এবং ২০২৬ সালের জন্য ৪ শতাংশে কমিয়ে আনা হয়েছে, যা জানুয়ারির পূর্বাভাস থেকে যথাক্রমে ০ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ০ দশমিক ৫ শতাংশ কম।

গোঁরাসা বলেন, রপ্তানির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল চীনের ওপর শুল্কের প্রভাব ২০২৫ সালে প্রায় ১ দশমিক ৩ শতাংশ, তবে শক্তিশালী আর্থিক ব্যবস্থার কারণে তা পুষিয়ে গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইইউ-যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে সম্ভাবনা জাপানে

রোকন উদ্দীন, ঢাকা
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।

এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।

তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’

জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।

কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’

এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।

বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এসএমই মেলায় ১৬ কোটি টাকার অর্ডার পেলেন উদ্যোক্তারা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।

এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।

এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।

শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।

এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।

মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।

মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আপেল, মাল্টা, কমলাসহ তাজা ফলের শুল্ক কমানোর সুপারিশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।

সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।

অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচনে ভোটার ও রাজনীতিবিদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে: দেবপ্রিয়

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৯
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ফাইল ছবি
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ফাইল ছবি

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা।
বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা।

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’

ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’

সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।

তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’

সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।

সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’

তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত