অনলাইন ডেস্ক
চীনের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য আমদানি বাড়িয়েছে ওয়ালমার্ট। ব্যয় সংকোচন এবং সাপ্লাই চেইনে বৈচিত্র্য আনতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ডেটা ফার্ম ইয়েতির তথ্যানুসারে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা পণ্যের এক-চতুর্থাংশই ভারত থেকে পাঠিয়েছে ওয়ালমার্ট। ২০১৮ সালে এই পণ্য আমদানির পরিমাণ ছিল মাত্র ২ শতাংশ। সে বছর যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের ৮০ শতাংশই এসেছিল চীন থেকে। আর চলতি বছর এই পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৬০ শতাংশ। উল্লেখ্য, ওয়ালমার্ট এখনো সবচেয়ে বেশি পণ্য চীন থেকেই আমদানি করে।
চীন থেকে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়া এবং ওয়াশিংটন-বেইজিংয়ের মধ্যকার কূটনৈতিক টানাপোড়েনকেই পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ওয়ালমার্টের এই উদ্যোগের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় কোম্পানি তাই পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ভারত, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের দিকেও তাকাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার এবং খাদ্যপণ্যের দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের সঞ্চয় কমে যাওয়ার শঙ্কা থেকেই যায়। সেখানে চীন থেকে উচ্চমূল্যের আমদানি ব্যয় দিয়ে পণ্য আনলে সেটা ক্রেতাদের পক্ষে কেনা সম্ভব যে না-ও হতে পারে—সেদিকেও লক্ষ রাখা হয়েছে বলে জানায় ওয়ালমার্ট।
প্রতিষ্ঠানটির এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেয়া অলব্রাইট এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা সর্বোত্তম দামটাই নিশ্চিত করতে চাই। সে জন্য সাপ্লাই চেইনে বৈচিত্র্য আনা দরকার। পণ্যের জন্য কোনো একটি নির্দিষ্ট সরবরাহকারীর ওপর নির্ভর করতে পারি না আমরা। কারণ, হারিকেন-ভূমিকম্পের মতো ঘটনা থেকে শুরু করে কাঁচামালের ঘাটতি পর্যন্ত অনেক কিছুই আমাদের সামলাতে হয়।’
এক উৎস থেকেই বেশি পণ্য আমদানির চিত্র ধরা পড়েছে। নির্দিষ্ট উৎসের প্রতি এই নির্ভরতা মোটেও প্রয়োজনীয় নয় বলে ওয়ালমার্ট তা কমাতে চাইছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে তারা। উৎপাদন উৎস বাড়ানোর জন্য প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে। আন্দ্রেয়া অলব্রাইট বলেন, ভারত সেই উৎস হিসেবে বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে এসেছে।
২০১৮ সাল থেকেই ভারতে ব্যবসা বৃদ্ধি করছে ওয়ালমার্ট। সে বছর ভারতীয় ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্টের ৭৭ শতাংশ শেয়ার কিনেছিল প্রতিষ্ঠানটি। দুই বছর পর ওয়ালমার্ট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয় যে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ভারত থেকে প্রতিবছর ১ হাজার কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করবে তারা।
সেই লক্ষ্যেই ওয়ালমার্ট কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান অলব্রাইট। খুচরা পণ্যের ক্ষেত্রে বিশ্বের বৃহত্তম বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ভারত থেকে প্রতিবছর প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করছে।
খেলনা থেকে শুরু করে বাইসাইকেল কিংবা ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্যও ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করে ওয়ালমার্ট। ইদানীং ভারত থেকে যাওয়া প্যাকেটজাত খাবার, শুকনো শস্য এবং পাস্তাও জনপ্রিয় হচ্ছে বলে জানান অলব্রাইট।
ভারতের স্টক মার্কেট চলতি বছর রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছে। কম খরচে বৃহৎ উৎপাদনের দিক দিয়ে ভারত চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর পেছনে কারণ হিসেবে কাজ করছে ভারতের দ্রুত বর্ধনশীল কর্মশক্তি এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি। অন্যদিকে, শেষ ছয় দশকের মধ্যে গত বছরই প্রথমবারের মতো জনসংখ্যা হ্রাসের কথা জানিয়েছে চীন। আর এসবই ওয়ালমার্টের নজরে ছিল বলে জানান অলব্রাইট।
২০০২ সালে বেঙ্গালুরুতে কার্যক্রম শুরু করে ওয়ালমার্ট। বর্তমানে ওয়ালমার্ট গ্লোবাল টেক ইন্ডিয়া ইউনিট, ফ্লিপকার্ট গ্রুপ, ফোনপে এবং সোর্সিং অপারেশনগুলোর অধীনে সমগ্র ভারতের বিভিন্ন অফিসে ছড়িয়ে থাকা তাদের কর্মীর সংখ্যা ১ লাখেরও বেশি।
ওয়ালমার্টের প্রধান নির্বাহী ডগ ম্যাকমিলন এ বছরের মে মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। বৈঠকটিকে ‘ফলপ্রসূ’ বলে অভিহিত করেছিলেন মোদি। সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে নরেন্দ্র মোদি তখন বলেন, ‘বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে ভারতের আবির্ভাব দেখে আমি আনন্দিত।’
ভারতে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সুযোগ তৈরিতে ওয়ালমার্টের সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতির কথা তখন বলেছিলেন ম্যাকমিলন। অন্যদিকে, ২০২৫ সালের মধ্যে ভারত থেকে ২০০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রার ঘোষণা এ মাসেই দিয়েছে ওয়ালমার্টের প্রতিদ্বন্দ্বী আমাজন।
ফ্রিউইল স্পোর্টস নামে ফুটবল সরবরাহকারী ভারতীয় ছোট একটি কোম্পানিও ওয়ালমার্টের দ্বারা লাভবান হয়েছে বলে জানিয়েছেন এর প্রধান নির্বাহী রাজেশ খারাবান্দা। তিনি বলেন, ভারতীয় উৎপাদন শিল্পে এবং কারখানার অবকাঠামোর প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে নতুন আস্থার জায়গা তিরি হয়েছে।
মার্কিন আমদানি তথ্য অনুসারে, গত বছর ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি বন্দর গুজরাটের মুন্দ্রা থেকে ফ্রিউইলের কমপক্ষে আটটি চালান ওয়ালমার্টের গুদামে উদ্দেশে রওনা হয়েছিল।
সাপ্লাই চেইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীন থেকে পণ্য পরিবহনের খরচ ক্রমেই বেড়ে যাওয়ায় সুবিধা পাচ্ছে ভারত। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল মার্কেট ইন্টেলিজেন্সের সাপ্লাই চেইন বিশ্লেষণ গ্রুপ ‘পাঞ্জিভা’র গবেষণা বিশ্লেষক ক্রিস রজার্স বলেন, অন্যান্য উৎপাদন কেন্দ্রের তুলনায় শ্রমের ব্যয় বেশি হওয়ার কারণে চীনের বাজার কম প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠেছে।
চীনের ন্যূনতম মজুরি কেবল প্রদেশ থেকে প্রদেশ নয়, এক শহর থেকে আরেক শহরেও পরিবর্তিত হয়। এই মজুরি ১ হাজার ৪২০ থেকে ২ হাজার ৬৯০ ইউয়ান পর্যন্ত ওঠানামা করে। যা ১৯৮.৫২ ডলার থেকে ৩৭৬.০৮ ডলার সমমূল্যের।
অন্যদিকে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসেব অনুসারে, ভারতে অদক্ষ এবং আধা দক্ষ কর্মীদের গড় মজুরি প্রতি মাসে প্রায় ৯ হাজার থেকে ১৫ হাজার ভারতীয় রুপি হয়ে থাকে। গড় মজুরির এই সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ মান ১০৮.০৪ থেকে ১৮০.০৬ ডলারের সমান।
কোভিড-১৯ মহামারিতে প্রকাশ পেয়েছে বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনের কিছু দুর্বলতা। যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিকারকেরা যে অল্পসংখ্যক বাজারের ওপর অত্যধিক নির্ভর করে থাকে, সেটাও দেখা যায় তখন।
ওয়ালমার্টের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেয়া অলব্রাইট বলেন, ‘ভূরাজনৈতিক কোনো উপলক্ষ ঘিরে পরিকল্পনা করা অনেকটা হারিকেনের জন্য পরিকল্পনার মতো। আমার পণ্য কোথা থেকে আসছে—সেটাই কেবল আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। কিন্তু আমার সাপ্লাই চেইনে কিছু ঘটে গেলে তখনো ঠিকঠাকভাবে বড়দিন উদ্যাপিত হবে কি না—তা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারব না।’
গৃহস্থালি পণ্য ও তৈরি পোশাকের সরবরাহকারী হিসেবে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশও ওয়ালমার্টের কৌশল থেকে উপকৃত হয়েছে বলে জানান অলব্রাইট।
চলতি অর্থবছরে ভারতের অর্থনীতি ৬.৫ শতাংশ প্রসারিত হবে বলে অনুমান করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চীনের অর্থনীতি এ বছর প্রায় ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শেখর গুপ্তের পারিবারিক ব্যবসা ‘দেবগিরি’ প্রায় এক দশক ধরে ওয়ালমার্টের কাছে মেঝের পাটি বিক্রি করছে। শেখর বলেন, ওয়ালমার্ট তাদের প্রবৃদ্ধির কেন্দ্রবিন্দুতে ভারতকে কীভাবে চায়্স— সম্পর্কে সত্যিকারের একটি কৌশল প্রণয়নের পর গত ১২ থেকে ১৮ মাসে অবশ্যই একটি বড় প্রভাব পড়েছে।
চীনের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য আমদানি বাড়িয়েছে ওয়ালমার্ট। ব্যয় সংকোচন এবং সাপ্লাই চেইনে বৈচিত্র্য আনতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ডেটা ফার্ম ইয়েতির তথ্যানুসারে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা পণ্যের এক-চতুর্থাংশই ভারত থেকে পাঠিয়েছে ওয়ালমার্ট। ২০১৮ সালে এই পণ্য আমদানির পরিমাণ ছিল মাত্র ২ শতাংশ। সে বছর যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের ৮০ শতাংশই এসেছিল চীন থেকে। আর চলতি বছর এই পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৬০ শতাংশ। উল্লেখ্য, ওয়ালমার্ট এখনো সবচেয়ে বেশি পণ্য চীন থেকেই আমদানি করে।
চীন থেকে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়া এবং ওয়াশিংটন-বেইজিংয়ের মধ্যকার কূটনৈতিক টানাপোড়েনকেই পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ওয়ালমার্টের এই উদ্যোগের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় কোম্পানি তাই পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ভারত, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের দিকেও তাকাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার এবং খাদ্যপণ্যের দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের সঞ্চয় কমে যাওয়ার শঙ্কা থেকেই যায়। সেখানে চীন থেকে উচ্চমূল্যের আমদানি ব্যয় দিয়ে পণ্য আনলে সেটা ক্রেতাদের পক্ষে কেনা সম্ভব যে না-ও হতে পারে—সেদিকেও লক্ষ রাখা হয়েছে বলে জানায় ওয়ালমার্ট।
প্রতিষ্ঠানটির এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেয়া অলব্রাইট এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা সর্বোত্তম দামটাই নিশ্চিত করতে চাই। সে জন্য সাপ্লাই চেইনে বৈচিত্র্য আনা দরকার। পণ্যের জন্য কোনো একটি নির্দিষ্ট সরবরাহকারীর ওপর নির্ভর করতে পারি না আমরা। কারণ, হারিকেন-ভূমিকম্পের মতো ঘটনা থেকে শুরু করে কাঁচামালের ঘাটতি পর্যন্ত অনেক কিছুই আমাদের সামলাতে হয়।’
এক উৎস থেকেই বেশি পণ্য আমদানির চিত্র ধরা পড়েছে। নির্দিষ্ট উৎসের প্রতি এই নির্ভরতা মোটেও প্রয়োজনীয় নয় বলে ওয়ালমার্ট তা কমাতে চাইছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে তারা। উৎপাদন উৎস বাড়ানোর জন্য প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে। আন্দ্রেয়া অলব্রাইট বলেন, ভারত সেই উৎস হিসেবে বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে এসেছে।
২০১৮ সাল থেকেই ভারতে ব্যবসা বৃদ্ধি করছে ওয়ালমার্ট। সে বছর ভারতীয় ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্টের ৭৭ শতাংশ শেয়ার কিনেছিল প্রতিষ্ঠানটি। দুই বছর পর ওয়ালমার্ট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয় যে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ভারত থেকে প্রতিবছর ১ হাজার কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করবে তারা।
সেই লক্ষ্যেই ওয়ালমার্ট কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান অলব্রাইট। খুচরা পণ্যের ক্ষেত্রে বিশ্বের বৃহত্তম বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ভারত থেকে প্রতিবছর প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করছে।
খেলনা থেকে শুরু করে বাইসাইকেল কিংবা ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্যও ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করে ওয়ালমার্ট। ইদানীং ভারত থেকে যাওয়া প্যাকেটজাত খাবার, শুকনো শস্য এবং পাস্তাও জনপ্রিয় হচ্ছে বলে জানান অলব্রাইট।
ভারতের স্টক মার্কেট চলতি বছর রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছে। কম খরচে বৃহৎ উৎপাদনের দিক দিয়ে ভারত চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর পেছনে কারণ হিসেবে কাজ করছে ভারতের দ্রুত বর্ধনশীল কর্মশক্তি এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি। অন্যদিকে, শেষ ছয় দশকের মধ্যে গত বছরই প্রথমবারের মতো জনসংখ্যা হ্রাসের কথা জানিয়েছে চীন। আর এসবই ওয়ালমার্টের নজরে ছিল বলে জানান অলব্রাইট।
২০০২ সালে বেঙ্গালুরুতে কার্যক্রম শুরু করে ওয়ালমার্ট। বর্তমানে ওয়ালমার্ট গ্লোবাল টেক ইন্ডিয়া ইউনিট, ফ্লিপকার্ট গ্রুপ, ফোনপে এবং সোর্সিং অপারেশনগুলোর অধীনে সমগ্র ভারতের বিভিন্ন অফিসে ছড়িয়ে থাকা তাদের কর্মীর সংখ্যা ১ লাখেরও বেশি।
ওয়ালমার্টের প্রধান নির্বাহী ডগ ম্যাকমিলন এ বছরের মে মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। বৈঠকটিকে ‘ফলপ্রসূ’ বলে অভিহিত করেছিলেন মোদি। সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে নরেন্দ্র মোদি তখন বলেন, ‘বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে ভারতের আবির্ভাব দেখে আমি আনন্দিত।’
ভারতে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সুযোগ তৈরিতে ওয়ালমার্টের সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতির কথা তখন বলেছিলেন ম্যাকমিলন। অন্যদিকে, ২০২৫ সালের মধ্যে ভারত থেকে ২০০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রার ঘোষণা এ মাসেই দিয়েছে ওয়ালমার্টের প্রতিদ্বন্দ্বী আমাজন।
ফ্রিউইল স্পোর্টস নামে ফুটবল সরবরাহকারী ভারতীয় ছোট একটি কোম্পানিও ওয়ালমার্টের দ্বারা লাভবান হয়েছে বলে জানিয়েছেন এর প্রধান নির্বাহী রাজেশ খারাবান্দা। তিনি বলেন, ভারতীয় উৎপাদন শিল্পে এবং কারখানার অবকাঠামোর প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে নতুন আস্থার জায়গা তিরি হয়েছে।
মার্কিন আমদানি তথ্য অনুসারে, গত বছর ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি বন্দর গুজরাটের মুন্দ্রা থেকে ফ্রিউইলের কমপক্ষে আটটি চালান ওয়ালমার্টের গুদামে উদ্দেশে রওনা হয়েছিল।
সাপ্লাই চেইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীন থেকে পণ্য পরিবহনের খরচ ক্রমেই বেড়ে যাওয়ায় সুবিধা পাচ্ছে ভারত। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল মার্কেট ইন্টেলিজেন্সের সাপ্লাই চেইন বিশ্লেষণ গ্রুপ ‘পাঞ্জিভা’র গবেষণা বিশ্লেষক ক্রিস রজার্স বলেন, অন্যান্য উৎপাদন কেন্দ্রের তুলনায় শ্রমের ব্যয় বেশি হওয়ার কারণে চীনের বাজার কম প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠেছে।
চীনের ন্যূনতম মজুরি কেবল প্রদেশ থেকে প্রদেশ নয়, এক শহর থেকে আরেক শহরেও পরিবর্তিত হয়। এই মজুরি ১ হাজার ৪২০ থেকে ২ হাজার ৬৯০ ইউয়ান পর্যন্ত ওঠানামা করে। যা ১৯৮.৫২ ডলার থেকে ৩৭৬.০৮ ডলার সমমূল্যের।
অন্যদিকে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসেব অনুসারে, ভারতে অদক্ষ এবং আধা দক্ষ কর্মীদের গড় মজুরি প্রতি মাসে প্রায় ৯ হাজার থেকে ১৫ হাজার ভারতীয় রুপি হয়ে থাকে। গড় মজুরির এই সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ মান ১০৮.০৪ থেকে ১৮০.০৬ ডলারের সমান।
কোভিড-১৯ মহামারিতে প্রকাশ পেয়েছে বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনের কিছু দুর্বলতা। যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিকারকেরা যে অল্পসংখ্যক বাজারের ওপর অত্যধিক নির্ভর করে থাকে, সেটাও দেখা যায় তখন।
ওয়ালমার্টের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেয়া অলব্রাইট বলেন, ‘ভূরাজনৈতিক কোনো উপলক্ষ ঘিরে পরিকল্পনা করা অনেকটা হারিকেনের জন্য পরিকল্পনার মতো। আমার পণ্য কোথা থেকে আসছে—সেটাই কেবল আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। কিন্তু আমার সাপ্লাই চেইনে কিছু ঘটে গেলে তখনো ঠিকঠাকভাবে বড়দিন উদ্যাপিত হবে কি না—তা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারব না।’
গৃহস্থালি পণ্য ও তৈরি পোশাকের সরবরাহকারী হিসেবে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশও ওয়ালমার্টের কৌশল থেকে উপকৃত হয়েছে বলে জানান অলব্রাইট।
চলতি অর্থবছরে ভারতের অর্থনীতি ৬.৫ শতাংশ প্রসারিত হবে বলে অনুমান করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চীনের অর্থনীতি এ বছর প্রায় ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শেখর গুপ্তের পারিবারিক ব্যবসা ‘দেবগিরি’ প্রায় এক দশক ধরে ওয়ালমার্টের কাছে মেঝের পাটি বিক্রি করছে। শেখর বলেন, ওয়ালমার্ট তাদের প্রবৃদ্ধির কেন্দ্রবিন্দুতে ভারতকে কীভাবে চায়্স— সম্পর্কে সত্যিকারের একটি কৌশল প্রণয়নের পর গত ১২ থেকে ১৮ মাসে অবশ্যই একটি বড় প্রভাব পড়েছে।
বাংলাদেশ সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় পর্যালোচনা কমিটি রোববার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন চুক্তি, যা ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার শাসনামলে স্বাক্ষরিত হয়েছিল, পুনরায় পর্যালোচনা করতে সহায়তার জন্য একটি খ্যাতিমান আইনি এবং তদন্ত সং
১ ঘণ্টা আগেশুরুতেই থমকে গেছে এস আলমের অর্থ পাচারের অনুসন্ধান। এক মাসের বেশি সময় ধরে তাঁদের অর্থ পাচার তদন্তের কাজ সিআইডিতে থমকে রয়েছে। এর নেপথ্যে রয়েছে স্বয়ং এস আলম গ্রুপের প্রভাব ও আধিপত্য। এতে সহযোগিতা করছে প্রভাবশালী একটি মহল। অনুসন্ধানে ওই মহলের ইচ্ছার গুরুত্ব না দেওয়ায় বদলি করা হয়েছে অর্থ পাচার...
৩ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনা সরকারের আমলে গত সাড়ে ১৫ বছরে বেসরকারি ও যৌথ অংশীদারত্ব মিলিয়ে ৮৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এসব কেন্দ্রের সঙ্গে করা বেশির ভাগ চুক্তিই নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বড় বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন
৩ ঘণ্টা আগেইউরোপের বাজারে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানি নেতিবাচক ধারাতেই আছে। চলতি বছরের ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে পোশাক রপ্তানি কমেছে ২ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। ইউরোস্টেটের তথ্যমতে, এ সময় ইউরোপের বাজারগুলোতে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১৪ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছর একই সময় ছি
৩ ঘণ্টা আগে