তিন মহানগরীর ৪৫ পয়েন্টে বিক্রি হচ্ছে ওএমএসের পণ্য

বাসস, ঢাকা  
প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ২০: ৪৮
ফাইল ছবি

ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা মহানগরীর ৪৫টি পয়েন্টে ওএমএস কর্মসূচির আওতায় দিনে ১২-১৩ হাজার নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য বিক্রি করছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। সাম্প্রতিক সময়ে অতিবৃষ্টি, আকস্মিক বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের দাম ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষের স্বস্তি দিতে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ‘কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচি-২০২৪’ উদ্যোগ গ্রহণ করে।

প্রাথমিকভাবে ১৫ অক্টোবর থেকে ঢাকা মহানগরীর ২০টি পয়েন্টে ওএমএস কর্মসূচির আওতায় ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য বিক্রি শুরু করা হয়। পরবর্তী সময়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের কারণে ১৮ অক্টোবর থেকে ঢাকা মহানগরীতে আরও ১০টি পয়েন্ট এ কার্যক্রম বাড়ানো হয়।

কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচির আওতায় ডিম, আলু, পেঁয়াজ, পটোল, পেঁপে, করলা, কচু, শসা, লাউসহ আরও কয়েকটি কৃষিপণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। ক্রেতারা ১ ডজন ডিম ১১০ টাকা, ১ কেজি আলু ৩০ টাকা, ১ কেজি পেঁয়াজ ৭০ টাকা, ১ কেজি কাঁচা পেঁপে ১৫ টাকা, ১ কেজি পটোল ৩০ টাকা, ১ কেজি করলা ৪০ টাকা, ১ কেজি শসা ১৫ টাকা, ১ কেজি কচু ৩০ টাকা, ১ পিস লাউ ২০ টাকা দরে কিনতে পারছেন। সপ্তাহের সাত দিনই এই কার্যক্রম চলমান আছে।

রাজধানীর খাদ্য ভবন, রামপুরা, দক্ষিণখান, উত্তরখান, নতুন বাজার, উত্তর মুগদা, বাসাবো, বছিলা, রূপনগর, মিরপুর, কালসী, কামরাঙ্গীরচর, গাবতলী, হাজারীবাগ, রাজারবাগ, মালিবাগ, কাঁঠাল বাগান, রায়ের বাজার, পলাশী মোড়, মহাখালী, বেগুনবাড়ী, জিগাতলা, মোহাম্মদপুর, আদাবর, তালতলা, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, বিএডিসিসহ মোট ৩০টি পয়েন্টে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য বিক্রি হচ্ছে।

পাশাপাশি ২২ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীর ৫টি পয়েন্টে এ কার্যক্রম শুরু হয়। এটি ব্যাপক সাড়া ফেলায় ২৭ অক্টোবর থেকে আরও ৫টি পয়েন্ট বাড়ানো হয়।

চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার, দেওয়ানহাট, ষোলশহর, ফিরিঙ্গিবাজার, ফিরোজশাহ্, সিটি গেট, হালি শহর, আগ্রাবাদ, বহদ্দারহাট, ফ্রি পোর্টসহ ১০টি পয়েন্টে এ কর্মসূচি চলমান আছে।

এ ছাড়া খুলনা মহানগরীতে ২৮ অক্টোবর থেকে ৫টি পয়েন্টে চালু হয়েছে এ কর্মসূচি। মহানগরীর শিববাড়ি মোড়, বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খালিশপুর ও দৌলতপুরে এ কার্যক্রম চলছে।

বিক্রি করা কৃষিপণ্যগুলো উৎপাদনস্থল অথবা হিমাগার থেকে সরাসরি আনা হচ্ছে। ফলে উৎপাদক পর্যায়েও একদিকে যেমন ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হচ্ছে, তেমনি সরকারি ভর্তুকি দেওয়ার ফলে ভোক্তারাও সাশ্রয়ী মূল্যে কৃষিপণ্য কিনতে পারছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত